এস এম আব্রাহাম লিংকন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যাডভোকেট

এস এম আব্রাহাম লিংকন
জন্ম১৪ নভেম্বর ১৯৬৬
কৃষ্ণপুর বকসীপাড়া, কুড়িগ্রাম
জাতীয়তাবাংলাদেশি
শিক্ষারাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাআইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট (পাবলিক প্রসিকিউটর, কুড়িগ্রাম) সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি।
কর্মজীবনঅধ্যক্ষ- কুড়িগ্রাম আইন কলেজ।

সিনেটর- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সদস্য বোর্ড অব গভর্নরস- বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সদস্য-কমিটি অব কোর্সেস, আইন অনুষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। চেয়ারম্যান বোর্ড ট্রাস্টি উত্তরবঙ্গ জাদুঘর। আহবায়ক- বাংলাদেশ ভারত বর্ডার ভিকটিম রেসকিউ লিগ্যাল এসিস্ট্যান্স ফোরাম আহবায়ক- সম্প্রীতি বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা

লেখক, কলামিস্ট ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষক।
পরিচিতির কারণসমাজসেবা
উল্লেখযোগ্য কর্ম
প্রতিষ্ঠাতা- উত্তরবঙ্গ জাদুঘর নতুন শহর কুড়িগ্রাম
পুরস্কারএকুশে পদক (২০২২), স্বাধীনতা পদক (২০২৩)

এস এম আব্রাহাম লিংকন (জন্ম ১৪ নভেম্বর ১৯৬৬) বাংলাদেশের একজন আইনজীবী ও সমাজসেবক। সমাজসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২২ সালে একুশে পদক এবং ২০২৪ সালে স্বাধীনতা পদক প্রদান করে।[১][২]

প্রাথমিক ও শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

এস এম আব্রাহাম লিংকন ১৯৬৬ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর বকসীপাড়া গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবার নাম মহিউদ্দিন আহমদ এবং মায়ের নাম আমেনা খাতুন। বাবা মহিউদ্দিন আহমদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। এই দম্পতির সাত ছেলের মধ্যে পঞ্চম হচ্ছেন আব্রাহাম লিংকন।[৩]

এস এম আব্রাহাম লিংকনের প্রথম বিদ্যাপীঠের নাম খলিলগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর কিছুদিন তিনি কুড়িগ্রাম আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। খলিলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি এসএসসি এবং কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এইচএসসি পাশের পর লিংকন ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এলএলবি এবং এলএলএম পাস করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালীন ১৯৮৮ সালে রাকসুর সহকারী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।[৩] এছাড়াও আব্রাহাম লিংকন ফিলিপাইন থেকে গ্রামীণ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন এর উপর ডিপ্লোমা শেষ করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর থেকে কুড়িগ্রামে আইনজীবী হিসেবে শুরু করেন তার কর্মজীবন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবেও তালিকাভুক্ত আছেন। ১৯৯২ সালে তিনি কুড়িগ্রাম আইন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৭ সাল থেকে আব্রাহাম লিংকন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত আছেন।[৩]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

আব্রাহাম লিংকন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সমাজসেবা[সম্পাদনা]

এস এম আব্রাহাম লিংকন বহু আলোচিত ফেলানী হত্যা মামলায় বাংলাদেশের পক্ষের আইনজীবী তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬১টি ছিটমহল বিনিময়ে স্থানীয়ভাবে কার্যকরী ভূমিকা রাখেন অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন। বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ বর্ডার ভিকটিমস রেসকিউ লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্স ফোরামের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মুক্তিযুদ্ধের অসামান্য অবদান রাখা বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবির পুনর্বাসনে সহায়তা করেন এস এম আব্রাহাম লিংকন।[৩] ২০১২ সালে আব্রাহাম লিংকন কুড়িগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রহশালা ‘উত্তরবঙ্গ জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠা করেছেন।[৩][৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "২০২২ সালের একুশে পদক পাচ্ছেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২ 
  2. "একুশে পদক পাচ্ছেন বিশিষ্ট ২৪ নাগরিক"দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২ 
  3. "একুশে পদক পেলেন কুড়িগ্রামের আব্রাহাম লিংকন"সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২ 
  4. "একুশে পদক প্রাপ্তিতে আমার কৃতিত্ব নেই, জাতীয় শহীদদের উৎসর্গ করছি"বাংলা ট্রিবিউন। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২