ইবনে বাজা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইবনে বাজা
ابن باجة
জন্মআনু. ১০৮৫
মৃত্যুআনু. ১১৩৮
জাতীয়তাআন্দালুস
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রজ্যোতির্বিদ্যা, দর্শন, চিকিৎসা, পদার্থবিজ্ঞান, কবি, বিজ্ঞান
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেনইবনে তুফায়েল, ইবনে রুশদ, মুসা বিন মৈমুন

আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে ইয়াহিয়া ইবনে আস-সাইগ আত-তুজিবি ইবনে বাজা (আরবি: أبو بكر محمد بن يحيى بن الصائغ التجيبي بن باجة), সাধারণত ইবনে বাজা নামে পরিচিত (ল্যাটিনকৃত আভেমপেস /ˈvəmps/ বলেও পরিচিত; আনু. ১০৮৫–১১৩৮), ছিলেন একজন আরব[১] আন্দালুসিয়া বহুবিদ্যাবিশারদ, যার লেখার মধ্যে রয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান এবং সঙ্গীত সম্পর্কিত কাজ, সেইসাথে দর্শন, ঔষধ, উদ্ভিদবিদ্যা এবং কবিতা[২] তিনি কিতাবুল নাবাত ("দ্য বুক অফ প্ল্যান্টস্") এর লেখক, যা উদ্ভিদবিদ্যার উপর একটি জনপ্রিয় রচনা, যা উদ্ভিদের লিঙ্গকে সংজ্ঞায়িত করেছিল।[৩] তার দার্শনিক তত্ত্বগুলি ইবনে রুশদ এবং আলবার্টাস্ ম্যাগনাসের কাজকে প্রভাবিত করেছিল। তাঁর মৃত্যুর কারণে তাঁর বেশিরভাগ লেখা ও বই সম্পূর্ণ (বা সুসংগঠিত) হয়নি। তার চিকিৎসা, গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যার ব্যাপক জ্ঞান ছিল। ইসলামি দর্শনে তার প্রধান অবদান ছিল আত্মা ঘটনাবিদ্যা সম্পর্কে তার ধারণা, যা কখনোই সম্পূর্ণ হয়নি।

তার সময়ে, শুধুমাত্র তিনি দর্শনেরই একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বই নয়, সঙ্গীত ও কবিতায়েও অবদান রেখেছিলেন।[৪] তাঁর দিওয়ান (আরবিঃ কবিতার সংকলন) ১৯৫১ সালে পুনরায় আবিষ্কৃত হয়। যদিও তার অনেক কাজই টিকে থাকেনি, জ্যোতির্বিদ্যা এবং পদার্থবিদ্যায় তার তত্ত্বগুলি যথাক্রমে মুসা বিন মৈমুন এবং ইবনে রুশদ দ্বারা সংরক্ষিত ছিল এবং পরবর্তীকালে ইসলামি সভ্যতারেনেসাঁ ইউরোপের জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং পদার্থবিদদের প্রভাবিত করেছিল, যাদের মধ্যে গ্যালিলিও গ্যালিলেই রয়েছে।[৫]

ইবনে বাজা পশ্চিমা বিশ্বে অ্যারিস্টটলের উপর প্রথম (কেউ কেউ প্রথম বলে মত দিয়েছেন) ভাষ্য লিখেছিলেন। যদিও প্রক্ষিপ্ত গতির উপর তার কাজ আরবি থেকে লাতিন ভাষায় অনুবাদ করা হয়নি, তার মতামত পশ্চিমা বিশ্বে এবং পশ্চিমা দার্শনিক, জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং অনেক বিষয়ের বিজ্ঞানীদের কাছে সুপরিচিত হয়েছিল। তার কাজগুলি সমসাময়িক মধ্যযুগীয় চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করেছিল এবং পরে গ্যালিলিও এবং তার কাজকে প্রভাবিত করেছিল। প্রাসের গতির উপর ইবনে বাজার তত্ত্বগুলি "টেক্স ৭১" নামে পরিচিত পাঠ্যে পাওয়া যায়।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Grant, Edward (১৯৯৬-০৭-১৩)। Planets, Stars, and Orbs: The Medieval Cosmos, 1200-1687 (ইংরেজি ভাষায়)। CUP Archive। পৃষ্ঠা ১২৬আইএসবিএন 978-0-521-56509-7 
  2. McGinnis, Jon; Reisman, David C. (২০০৭-০৯-০১)। Classical Arabic Philosophy: An Anthology of Sources (ইংরেজি ভাষায়)। Hackett Publishing। পৃষ্ঠা ২৬৬। আইএসবিএন 978-1-60384-392-8 
  3. Egerton, Frank N. (২০১২)। "History of Ecological Sciences, Part 43: Plant Physiology, 1800s"Bulletin of the Ecological Society of America৯৩ (৩): ১৯৭–২১৯। আইএসএসএন 0012-9623ডিওআই:10.1890/0012-9623-93.3.197 
  4. Dunlop, D. M. (১৯৫২)। "The Dīwān Attributed to Ibn Bājjah (Avempace)"Bulletin of the School of Oriental and African Studies, University of London১৪ (৩): ৪৬৩–৪৭৭। আইএসএসএন 0041-977X 
  5. Dunlop, D. M. (১৯৫২)। "The Dīwān Attributed to Ibn Bājjah (Avempace)"Bulletin of the School of Oriental and African Studies, University of London১৪ (৩): ৪৬৩–৪৭৭। আইএসএসএন 0041-977X 
  6. Franco, Abel B. (২০০৩)। "Avempace, Projectile Motion, and Impetus Theory"Journal of the History of Ideas৬৪ (৪): ৫২১–৫৪৬। আইএসএসএন 0022-5037ডিওআই:10.2307/3654219 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]