ইন্দোনেশিয়া-সুদান সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইন্দোনেশিয়া-সুদান সম্পর্ক
মানচিত্র Indonesia এবং Sudan অবস্থান নির্দেশ করছে

ইন্দোনেশিয়া

সুদান

ইন্দোনেশিয়া-সুদান সম্পর্ক ইন্দোনেশিয়া এবং সুদান এর মাঝে বিদ্যমান, দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। পাশাপাশি তাদের মধ্যকার বিদ্যমান বর্তমান এবং ঐতিহাসিক সম্পর্ককেও নির্দেশ করে। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় সুদানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অন্যদিকে সুদানের রাজধানী খার্তুম এ ইন্দোনেশিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। উভয় রাষ্ট্রই মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্র এবং উভয় রাষ্ট্রই অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এর সদস্য।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

দুই দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বেই উভয় দেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ক শুরু হয়। ১৯১০ সালে সুদান থেকে একজন ওলামা, শেখ আহমাদ সুরকাতি, তৎকালীন ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ এ আসেন এবং আল ইরসিয়াদ ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থা চালু করেন। এই সংস্থা সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা প্রদানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং -এ অনুষ্ঠিত এশিয়ান-আফ্রিকান সম্মেলনে সুদানের একটি প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। যদিও সেই সময় সুদান ব্রিটিশ-মিশর শাসনে অধীনে ছিল। তবে সে সময়, ইন্দোনেশিয়া সুদানকে, মিশরের থেকে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে সুদানের স্বতন্ত্রতার প্রতি সমর্থন জানায়। [১]

পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে, ইন্দোনেশিয়া ও সুদানের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[১] এরপরই খার্তুমে, ইন্দোনেশিয়া নিজেদের দূতাবাস স্থাপন করে। যদিও ১৯৬৭ সালে, অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য এই দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯৯৬ সালের ৬ জানুয়ারি আবার এই দূতাবাস চালু হয়।[১] ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, জাকার্তায়, সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এক রাষ্ট্রীয় সফরে, দুই দেশ রাজনীতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক খাতে নিজেদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার ব্যাপারে সম্মত হয়। [২]

বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ[সম্পাদনা]

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি পার্তামিনা এবং একটি বেসরকারি কোম্পানি মেডকো এনার্জি ইন্টারন্যাশনাল, সুদানে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে কাজ করছে। তেল হল, ইন্দোনেশিয়ায়, সুদানের প্রধান রপ্তানি পণ্য। অপরদিকে, ইন্দোনেশিয়া, আসবাবপত্র, গাড়ির ব্যাটারি, সিমেন্ট, কাগজ প্রভৃতি পণ্য সুদানে রপ্তানি করে।[৩]

২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে, ইন্দোনেশিয়া এবং সুদান, কৃষি ও চাষাবাদ বিশয়ে একটি যুগ্ম কারিগরি কমিটি গঠন করে। নিজেদের টেক্সটাইল শিল্প এবং খাদ্য সুরক্ষার বিষয়টি সুরক্ষিত করার জন্য ইন্দোনেশিয়া সুদানের কৃষি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যেসকল ক্ষেত্রে বিনিয়োগে ইন্দোনেশিয়া আগ্রহী তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল তুলা, চিনি এবং চাল প্রভৃতি।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Hubungan Bilateral RI–Sudan" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। কেবিআরআই খার্তুম। ২৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০১৪ 
  2. Ruslan Burhani (ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২)। "Sudan-Indonesia tingkatkan hubungan bilateral" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। অন্তরা নিউজ। ২৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০১৪ 
  3. বীরমল্লা আনজাইয়াহ (ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০০৯)। "Sudan's trade with RI surges above 200 percent in 2008"। দ্যা জাকার্তা পোস্ট। ২৭ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০১৪ 
  4. "Indonesia – Sudan Pererat Hubungan Kerjasama Pertanian dan Peternakan" (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। দ্যা গ্লোবাল রিভিউ। এপ্রিল ২৩, ২০১৩। মার্চ ৩, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]