আলাপ:জটিল সংখ্যা
আলোচনা যোগ করুনএই পাতাটি জটিল সংখ্যা নিবন্ধের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য আলাপ পাতা। | |||
| নিবন্ধ সম্পাদনার নীতিমালা
|
জটিল সংখ্যা নিবন্ধ থেকে একটি তথ্য ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে উইকিপিডিয়ার প্রধান পাতার আপনি জানেন কি? কলামে প্রদর্শিত হয়েছে (পরিদর্শন পরীক্ষা করুন)। প্রদর্শিত তথ্যটি নিম্নে দেওয়া হলো:
|
Please put an en:edit summary when you visit the English Wikipedia. Thank you! 128.97.70.46 ১৭:০৩, ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫ (ইউটিসি)
বানান ও পরিভাষা সংক্রান্ত
[সম্পাদনা]প্রচুর বানান ভুল করছি। কেউ যদি অনুগ্রহ করে ঠিক করেন তাহলে খুশি হব। আর গাণিতিক টার্ম গুলো কে বাংলা পরিভাষায় পরিবর্তন করার সময় দয়া করে ইংরেজীটাও রাখুন। যেমন কোথাও কম্পলেক্স পলিনমিয়াল ব্যবহার করা হয়ে থাকলে সেটার পরিভাষা জটিল বহুপদী তে পরিবর্তন করার সময়। কম্পলেক্স পলিনমিয়াল বা জটিল বহুপদী তে পরিবর্তন করুন। কারন হয়তো অনেকে "কম্পলেক্স পলিনমিয়াল" কথাটাই বাংলায় খুজছে।
আর ব্যক্তিগত ভাবে আমি শুধু মাত্র এইচ এস সি লেভেল পর্যন্ত শেখা বাংলা পরিভাষা গুলো ব্যবহারের পক্ষপাতি। এর পরে নতুন উচ্চতর টার্ম গুলো বাংলা করতে গেলে পাঠক ও লেখক সবারই ভোগান্তি বাড়ে।
- পরিভাষাগুলি ইনলাইন কিংবা নিবন্ধের শেষে পরিশিষ্ট হিসেবে দেবার দুইটি রীতি এখানে এ মুহূর্তে প্রচলিত। যদি পরিভাষার সংখ্যা কম হয়, তবে প্রথম রীতি, আর বেশি হলে দ্বিতীয় রীতি অনুসরণ করাটাই ভাল। এই নিবন্ধে মনে হয় দ্বিতীয়টাই করতে হবে। আমি সময় পেলেই করে দিচ্ছি। করে দেবার পর কীভাবে করলাম, সেটার উপর একটু নজর রাখুন। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১৩:২৮, ৩ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- অনেক অনেক ধন্যবাদ। খেয়াল করেছি একটু আগে। পরিভাষা নিয়ে কি আর বলব! মাঝে মাঝে এমন অবাক হই! সংস্কৃতের পন্ডিত না হলে এই পরিভাষায় অভস্ত্য হওয়া মুশকিল। এখন থেকে আমিও পরিভাষা গুলো নিচে দিয়ে দেব। তবে মূল টেক্সটে বাংলা উচ্চারনে ইংরেজী টার্ম টা থাকলে ব্যপার টা পাঠযোগ্য থাকে। নতুন একটা সেকশন যোগ করলাম এখন। এর পরে আপাতত একটা 'ইনফর্মাল টোনের একটা সেকশন যোগ করেই এই আর্টিকেল টা ছেড়ে দিব। আসলে লিখতে চাচ্ছিলাম হিলবার্ট স্পেস নিয়ে। কিন্তু তার জন্যই একটু জটিল সংখ্যার দরকার ছিল। আবারো অনেক ধনব্যাদ। --মোঃ তানভীরুল ইসলাম ০৩:৫৭, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- আসলে বাংলা ভাষা একটা ইন্দো-আর্য ভাষা, আর এই ভাষাটা সংস্কৃত থেকে পালি, প্রাকৃত, অপভ্রংশ হয়ে বহু হাজার বছরের বিবর্তনের ফসল। লাতিন, গ্রিক যেমন ইউরোপীয় ভাষাগুলির আদিভাষা, তেমনি সংস্কৃত ভাষা ভারতীয় উপমহাদেশের আদিভাষা। লাতিন, গ্রিক শব্দমূল থেকে ইউরোপীয় ভাষাগুলি যখন নতুন নতুন পরিভাষা তৈরি করে, জিনিসটা ওদের জন্য খুবই ন্যাচারাল একটা ব্যাপার, কেননা ওদের ভাষাতে ইতিমধ্যেই ঐ জাতীয় শব্দ আছে। ঠিক তেমনি সংস্কৃত থেকে শব্দমূল ধার করে বাংলা ভাষায় নতুন পারিভাষিক শব্দ তৈরি করাটাও খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। বাংলা ভাষার বেশির ভাগ শব্দই হয় সংস্কৃত থেকে সরাসরি ধার করা, কিংবা প্রাচীন কোন সংস্কৃত শব্দের হাজার বছরের বিবর্তিত রূপ। আর পশ্চিমের ভাষাবিদরাই বলেছেন যে লাতিন আর গ্রিকের চেয়ে সংস্কৃত অনেক বেশি সমৃদ্ধ ভাষা। ১৯শ শতকে ইউরোপে ভাষা নিয়ে গবেষণার সূত্রপাতই হয় সংস্কৃত ভাষার প্রতি আকর্ষণ থেকে। ইংরেজি একটা জার্মানীয় ভাষা; এটা শুরু হয়েছিল কিছু জার্মানীয় গোত্রের মুখের ভাষা থেকে, পরে এটাতে লাতিন, গ্রিক, ফরাসি, নর্স, ইত্যাদি ভাষার উপাদান যুক্ত হয়। এটার সাথে ভারতীয় উপমহাদেশীয় কোন ভাষারই কোন মিল-ই নেই। আমাদের হাতের কাছেই একটা সমৃদ্ধ আদিভাষা সংস্কৃত থাকার পরেও আমরা বিভিন্ন কারণে ইংরেজি শব্দ বাংলায় সম্ভবত একটু অতিরিক্ত পরিমাণেই ঢুকিয়ে ফেলছি। এভাবে অতিরিক্ত ইংরেজি সম্বলিত লেখা বাংলা ঠিক স্বাভাবিক নয়। অনেকটা দো-আঁশলা, জগাখিচুড়ি ভাষার মত। আমার ব্যক্তিগত মতে সাধু-চলিতের মিশ্রণের চেয়েও বাজে এই মিশ্রণ। চিন্তা করুন, যদি ইউরোপীয়দের বলা হয় বাংলা পরিভাষাগুলি দিয়ে লিখতে, ওরা হেসেই উড়িয়ে দেবে। আমরা মনে হয় নিজেদের অগোচরেই ঘরের কাছের অমূল্য সম্পদের চেয়ে বাইরের দিকেই আকৃষ্ট বেশি হই। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৭:৩১, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- ভাষা সঙ্ক্রান্ত আপনার অভিমতের সাথে আমি ১০০% একমত। কিন্তু কথা হল আমরা শিখতে চাচ্ছি ‘গণিত’। আর বিজ্ঞান কে ‘জাতি তত্বের’ সাবজেক্ট করতে আমি নারাজ। আমার মতে মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত অন্তর্নিহিত বিজ্ঞান বা গণিতটা শেখা। আমাদের দেশে এমনিতেই গণিত অজনপ্রিয়। চরম ভাবে অজনপ্রিয়। যদিও গণিত অলিম্পিয়াডে অনেক উৎসাহী কে দেখা যায়। তার পরও বাস্তবতা হচ্ছে এটা বেশীর ভাগ ছেলেমেয়ের কাছেই অজনপ্রিয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হল তাই সবার কাছে ‘গণিত’ কে পৌছান। সংস্কৃত একটা ‘ওয়েল স্ট্রাকচার্ড ভাষা’ অনেকটা ল্যানগুয়েজ থিওরীর গাণিতিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে এর সৃষ্টি। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করেছেন কি? এই ভাষা কিন্তু ‘মৃত’। মন্ত্র পাঠ ছাড়া এর আর কোন প্রাকটিকাল ব্যবহার নেই। আমরা আমাদের গাণিতিক পরিভাষা তৈরি করার সময় এই সমৃদ্ধ ভাষাটার সাহায্য নিব অবশ্যই। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে ঐ ‘ভারী’ শব্দ গুলো দিয়ে আমরা আমাদের এই ‘অলরেডী’ অজনপ্রিয় ‘গণিত’ কে আরো ‘বিভীষিকাময়’ করে না ফেলি।মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চার মূল লক্ষ্য বিজ্ঞান আরো ভালভাবে শেখা। বিজ্ঞান কে মাতৃভাষায় বা মাতৃ ভাষাকে বিজ্ঞানে কনভার্ট করা নাকি করলে এই উদ্দেশ্য সফল হয় সেটা খোজাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য। এই আর্টিকেলে আরো সাহায্য প্রয়োজন। আশাকরি সাহায্য করবেন। :-) --মোঃ তানভীরুল ইসলাম ০৭:৫৬, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- গণিত শিখতে কোন সমস্যাই নেই। গণিত হল কতগুলি বিমূর্ত ধারণার সমষ্টি, যেগুলিকে যেকোন natural language-এ বর্ণনা করা সম্ভব। সেই natural language বা স্বাভাবিক ভাষা বাংলা হতে পারে, ইংরেজি বা আরবিও হতে পারে। এখন কথা হল বাংলাদেশ নামের দেশে বাস করে, বাংলা ভাষায় কথা বলে, মাতৃভাষার জন্য জীবনপাত করে আমরা যখন গণিত শিখতে চাই, তখন সেটা কোন natural language-এ শিখব, ইংরেজিতে না বাংলায়? ইংরেজরা বা ইউরোপীয়রা কি কখনো ভুলেও ভারতীয় ভাষা বর্ণান্তর করে গণিত শিখেছে? ওদের বইতে কি আপনি কখনো songkha, rashi, jog, biyog, borgo, trivuj এগুলি দেখতে পেয়েছেন? না, কেননা এটা ওদের কাছে একেবারেই অস্বাভাবিক। তাহলে উল্টোটা কেন আমাদের কাছে স্বাভাবিক লাগবে? বিরাট দার্শনিক প্রশ্ন সন্দেহ নেই। কিন্তু সে প্রশ্নের উত্তর যা-ই হোক, এখানে বাংলা উইকিপিডিয়াতে আমরা এ পর্যন্ত বেশ সচেতনভাবে বাংলাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। গণিতের নিবন্ধগুলি লিখতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য পরিভাষাগুলির একটা তালিকাও আছে, যেটা নিবন্ধ লেখকের জন্য বড় সাহায্য হতে পারে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৯:০১, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- অ্যালজেব্রা শব্দ টা কিন্তু তারা আরবী থেকে নিয়েছে। বোসন কে নিয়েছে বাংলা নাম 'বোস' থেকে। আসলে আমাদের ব্যর্থতা যে গণিতের সূচনা আমাদের পন্ডিত দের হাত ধরে হলেও আমরা পিছিয়ে গেছি। বাঙ্গালীরা যদি তাদের আগে এইসব আবিষ্কার করে ফেলত অথবা এসব নিয়ে বই লিখে ফেলত। তাহলে আর এই সমস্যা থাকতো না। তাই আসলে এই জাতি গত দ্বন্দে জড়িয়ে কোন লাভ নেই। আপনিই বলেছেন আমরা ইংরেজীকে সহজ ভাবে নিচ্ছি। তার মানে সহজ হচ্ছে সেভাবেই। তাই খুব বেশী সমাস সন্ধি না করে আমাদের টিকতে হলে ইংরেজীর চেয়ে সহজকিছু একটা তুলে দিতে হবে। নাইলে দেখা যাবে বাংলা এন্সাইক্লোপিডিয়া হয়ে গেল। কিন্তু বাঙ্গালীরা কিছু সার্চ দেওয়ার সময় সেই en.wikipedia.org এই ক্লিক করবে !! :-s আসেন এই নিষ্ফল তর্ক বাদ দিয়ে নতুন কিছু আবিষ্কার করে তার বাংলা নাম দিয়ে দিই। তখন ওরাও সেগুলোকে বাংলায় ডাকবে। বাধ্য হবে। :D ধন্যবাদ। --মোঃ তানভীরুল ইসলাম ০৯:২৫, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- ইংরেজি ভাষা অ-ইউরোপীয় ভাষা যেমন আরবি বা ভারতীয় ভাষা থেকে সামান্য কিছু শব্দ ধার নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা একেবারেই সামান্য। ইংরেজি ভাষার সমগ্র শব্দভাণ্ডার (প্রায় ৫ লক্ষ শব্দ) বিশ্লেষণ করলে দেখা যানে এগুলি ১%-ও নয়। অথচ আমরা কোন কোন ক্ষেত্রে প্রায় গোটা বাংলা নিবন্ধই বাংলা হরফে লেখা ইংরেজি শব্দে ভরিয়ে দিচ্ছি। হয়ত ৫০%-এরও বেশি। বিশেষ করে keyword-গুলির ক্ষেত্রে তো হয়ত ৮০%-এর মতন। এই ১:৬০ বা ১:৮০ অনুপাত ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। আমাদের লক্ষ্য হবে বাংলা ভাষাতেই সাবলীল, স্বচ্ছন্দ নিবন্ধ লেখা। আমার মতে এটা করা অবশ্যই সম্ভব। বাংলায় আমাদের আগেও অনেক বিজ্ঞান লেখক খুব সুন্দর বাংলায় বিজ্ঞানের ভারী ভারী বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তাদের লেখা পড়েও আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। যাই হোক, এটা নিয়ে আর কথা বাড়াব না। দেখি আপনার এই নিবন্ধটা সম্পাদনা করে নির্বাচিত নিবন্ধ পর্যায়ে নেওয়া যায় কি না। আপনি খুব অল্প সময়েই অনেক বিষয়বস্তু যোগ করেছেন। আপনার উৎসাহ দেখে আমারও উৎসাহ বেড়ে গেছে। :) --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১০:০৬, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!! :) এই নিবন্ধের শেষ সেকশন সম্পর্কে এখনো আপনার মতামতের অপেক্ষায় আছি। --মোঃ তানভীরুল ইসলাম ১০:৪৮, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- ইংরেজি ভাষা অ-ইউরোপীয় ভাষা যেমন আরবি বা ভারতীয় ভাষা থেকে সামান্য কিছু শব্দ ধার নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা একেবারেই সামান্য। ইংরেজি ভাষার সমগ্র শব্দভাণ্ডার (প্রায় ৫ লক্ষ শব্দ) বিশ্লেষণ করলে দেখা যানে এগুলি ১%-ও নয়। অথচ আমরা কোন কোন ক্ষেত্রে প্রায় গোটা বাংলা নিবন্ধই বাংলা হরফে লেখা ইংরেজি শব্দে ভরিয়ে দিচ্ছি। হয়ত ৫০%-এরও বেশি। বিশেষ করে keyword-গুলির ক্ষেত্রে তো হয়ত ৮০%-এর মতন। এই ১:৬০ বা ১:৮০ অনুপাত ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। আমাদের লক্ষ্য হবে বাংলা ভাষাতেই সাবলীল, স্বচ্ছন্দ নিবন্ধ লেখা। আমার মতে এটা করা অবশ্যই সম্ভব। বাংলায় আমাদের আগেও অনেক বিজ্ঞান লেখক খুব সুন্দর বাংলায় বিজ্ঞানের ভারী ভারী বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তাদের লেখা পড়েও আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। যাই হোক, এটা নিয়ে আর কথা বাড়াব না। দেখি আপনার এই নিবন্ধটা সম্পাদনা করে নির্বাচিত নিবন্ধ পর্যায়ে নেওয়া যায় কি না। আপনি খুব অল্প সময়েই অনেক বিষয়বস্তু যোগ করেছেন। আপনার উৎসাহ দেখে আমারও উৎসাহ বেড়ে গেছে। :) --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১০:০৬, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- অ্যালজেব্রা শব্দ টা কিন্তু তারা আরবী থেকে নিয়েছে। বোসন কে নিয়েছে বাংলা নাম 'বোস' থেকে। আসলে আমাদের ব্যর্থতা যে গণিতের সূচনা আমাদের পন্ডিত দের হাত ধরে হলেও আমরা পিছিয়ে গেছি। বাঙ্গালীরা যদি তাদের আগে এইসব আবিষ্কার করে ফেলত অথবা এসব নিয়ে বই লিখে ফেলত। তাহলে আর এই সমস্যা থাকতো না। তাই আসলে এই জাতি গত দ্বন্দে জড়িয়ে কোন লাভ নেই। আপনিই বলেছেন আমরা ইংরেজীকে সহজ ভাবে নিচ্ছি। তার মানে সহজ হচ্ছে সেভাবেই। তাই খুব বেশী সমাস সন্ধি না করে আমাদের টিকতে হলে ইংরেজীর চেয়ে সহজকিছু একটা তুলে দিতে হবে। নাইলে দেখা যাবে বাংলা এন্সাইক্লোপিডিয়া হয়ে গেল। কিন্তু বাঙ্গালীরা কিছু সার্চ দেওয়ার সময় সেই en.wikipedia.org এই ক্লিক করবে !! :-s আসেন এই নিষ্ফল তর্ক বাদ দিয়ে নতুন কিছু আবিষ্কার করে তার বাংলা নাম দিয়ে দিই। তখন ওরাও সেগুলোকে বাংলায় ডাকবে। বাধ্য হবে। :D ধন্যবাদ। --মোঃ তানভীরুল ইসলাম ০৯:২৫, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- গণিত শিখতে কোন সমস্যাই নেই। গণিত হল কতগুলি বিমূর্ত ধারণার সমষ্টি, যেগুলিকে যেকোন natural language-এ বর্ণনা করা সম্ভব। সেই natural language বা স্বাভাবিক ভাষা বাংলা হতে পারে, ইংরেজি বা আরবিও হতে পারে। এখন কথা হল বাংলাদেশ নামের দেশে বাস করে, বাংলা ভাষায় কথা বলে, মাতৃভাষার জন্য জীবনপাত করে আমরা যখন গণিত শিখতে চাই, তখন সেটা কোন natural language-এ শিখব, ইংরেজিতে না বাংলায়? ইংরেজরা বা ইউরোপীয়রা কি কখনো ভুলেও ভারতীয় ভাষা বর্ণান্তর করে গণিত শিখেছে? ওদের বইতে কি আপনি কখনো songkha, rashi, jog, biyog, borgo, trivuj এগুলি দেখতে পেয়েছেন? না, কেননা এটা ওদের কাছে একেবারেই অস্বাভাবিক। তাহলে উল্টোটা কেন আমাদের কাছে স্বাভাবিক লাগবে? বিরাট দার্শনিক প্রশ্ন সন্দেহ নেই। কিন্তু সে প্রশ্নের উত্তর যা-ই হোক, এখানে বাংলা উইকিপিডিয়াতে আমরা এ পর্যন্ত বেশ সচেতনভাবে বাংলাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। গণিতের নিবন্ধগুলি লিখতে যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য পরিভাষাগুলির একটা তালিকাও আছে, যেটা নিবন্ধ লেখকের জন্য বড় সাহায্য হতে পারে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৯:০১, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- ভাষা সঙ্ক্রান্ত আপনার অভিমতের সাথে আমি ১০০% একমত। কিন্তু কথা হল আমরা শিখতে চাচ্ছি ‘গণিত’। আর বিজ্ঞান কে ‘জাতি তত্বের’ সাবজেক্ট করতে আমি নারাজ। আমার মতে মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত অন্তর্নিহিত বিজ্ঞান বা গণিতটা শেখা। আমাদের দেশে এমনিতেই গণিত অজনপ্রিয়। চরম ভাবে অজনপ্রিয়। যদিও গণিত অলিম্পিয়াডে অনেক উৎসাহী কে দেখা যায়। তার পরও বাস্তবতা হচ্ছে এটা বেশীর ভাগ ছেলেমেয়ের কাছেই অজনপ্রিয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হল তাই সবার কাছে ‘গণিত’ কে পৌছান। সংস্কৃত একটা ‘ওয়েল স্ট্রাকচার্ড ভাষা’ অনেকটা ল্যানগুয়েজ থিওরীর গাণিতিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে এর সৃষ্টি। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করেছেন কি? এই ভাষা কিন্তু ‘মৃত’। মন্ত্র পাঠ ছাড়া এর আর কোন প্রাকটিকাল ব্যবহার নেই। আমরা আমাদের গাণিতিক পরিভাষা তৈরি করার সময় এই সমৃদ্ধ ভাষাটার সাহায্য নিব অবশ্যই। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে ঐ ‘ভারী’ শব্দ গুলো দিয়ে আমরা আমাদের এই ‘অলরেডী’ অজনপ্রিয় ‘গণিত’ কে আরো ‘বিভীষিকাময়’ করে না ফেলি।মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চার মূল লক্ষ্য বিজ্ঞান আরো ভালভাবে শেখা। বিজ্ঞান কে মাতৃভাষায় বা মাতৃ ভাষাকে বিজ্ঞানে কনভার্ট করা নাকি করলে এই উদ্দেশ্য সফল হয় সেটা খোজাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য। এই আর্টিকেলে আরো সাহায্য প্রয়োজন। আশাকরি সাহায্য করবেন। :-) --মোঃ তানভীরুল ইসলাম ০৭:৫৬, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- আসলে বাংলা ভাষা একটা ইন্দো-আর্য ভাষা, আর এই ভাষাটা সংস্কৃত থেকে পালি, প্রাকৃত, অপভ্রংশ হয়ে বহু হাজার বছরের বিবর্তনের ফসল। লাতিন, গ্রিক যেমন ইউরোপীয় ভাষাগুলির আদিভাষা, তেমনি সংস্কৃত ভাষা ভারতীয় উপমহাদেশের আদিভাষা। লাতিন, গ্রিক শব্দমূল থেকে ইউরোপীয় ভাষাগুলি যখন নতুন নতুন পরিভাষা তৈরি করে, জিনিসটা ওদের জন্য খুবই ন্যাচারাল একটা ব্যাপার, কেননা ওদের ভাষাতে ইতিমধ্যেই ঐ জাতীয় শব্দ আছে। ঠিক তেমনি সংস্কৃত থেকে শব্দমূল ধার করে বাংলা ভাষায় নতুন পারিভাষিক শব্দ তৈরি করাটাও খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। বাংলা ভাষার বেশির ভাগ শব্দই হয় সংস্কৃত থেকে সরাসরি ধার করা, কিংবা প্রাচীন কোন সংস্কৃত শব্দের হাজার বছরের বিবর্তিত রূপ। আর পশ্চিমের ভাষাবিদরাই বলেছেন যে লাতিন আর গ্রিকের চেয়ে সংস্কৃত অনেক বেশি সমৃদ্ধ ভাষা। ১৯শ শতকে ইউরোপে ভাষা নিয়ে গবেষণার সূত্রপাতই হয় সংস্কৃত ভাষার প্রতি আকর্ষণ থেকে। ইংরেজি একটা জার্মানীয় ভাষা; এটা শুরু হয়েছিল কিছু জার্মানীয় গোত্রের মুখের ভাষা থেকে, পরে এটাতে লাতিন, গ্রিক, ফরাসি, নর্স, ইত্যাদি ভাষার উপাদান যুক্ত হয়। এটার সাথে ভারতীয় উপমহাদেশীয় কোন ভাষারই কোন মিল-ই নেই। আমাদের হাতের কাছেই একটা সমৃদ্ধ আদিভাষা সংস্কৃত থাকার পরেও আমরা বিভিন্ন কারণে ইংরেজি শব্দ বাংলায় সম্ভবত একটু অতিরিক্ত পরিমাণেই ঢুকিয়ে ফেলছি। এভাবে অতিরিক্ত ইংরেজি সম্বলিত লেখা বাংলা ঠিক স্বাভাবিক নয়। অনেকটা দো-আঁশলা, জগাখিচুড়ি ভাষার মত। আমার ব্যক্তিগত মতে সাধু-চলিতের মিশ্রণের চেয়েও বাজে এই মিশ্রণ। চিন্তা করুন, যদি ইউরোপীয়দের বলা হয় বাংলা পরিভাষাগুলি দিয়ে লিখতে, ওরা হেসেই উড়িয়ে দেবে। আমরা মনে হয় নিজেদের অগোচরেই ঘরের কাছের অমূল্য সম্পদের চেয়ে বাইরের দিকেই আকৃষ্ট বেশি হই। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৭:৩১, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- অনেক অনেক ধন্যবাদ। খেয়াল করেছি একটু আগে। পরিভাষা নিয়ে কি আর বলব! মাঝে মাঝে এমন অবাক হই! সংস্কৃতের পন্ডিত না হলে এই পরিভাষায় অভস্ত্য হওয়া মুশকিল। এখন থেকে আমিও পরিভাষা গুলো নিচে দিয়ে দেব। তবে মূল টেক্সটে বাংলা উচ্চারনে ইংরেজী টার্ম টা থাকলে ব্যপার টা পাঠযোগ্য থাকে। নতুন একটা সেকশন যোগ করলাম এখন। এর পরে আপাতত একটা 'ইনফর্মাল টোনের একটা সেকশন যোগ করেই এই আর্টিকেল টা ছেড়ে দিব। আসলে লিখতে চাচ্ছিলাম হিলবার্ট স্পেস নিয়ে। কিন্তু তার জন্যই একটু জটিল সংখ্যার দরকার ছিল। আবারো অনেক ধনব্যাদ। --মোঃ তানভীরুল ইসলাম ০৩:৫৭, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
ইনফর্মাল সেকশন প্রসঙ্গে
[সম্পাদনা]শেষের সেকশন সম্পর্কে মতামত জানতে চাই। এই সেকশনের তথ্য সুত্র উল্লেখ করেছি। তবে বর্ণনার টোন টা ইনফর্মাল। আমার মতে এই সেকশনের কথা গুলো না জানলে বা না বুঝলে জটিল সংখ্যার জ্ঞান অসম্পুর্ন থাকে। ইংরেজী উইকির অনেক গুলো ম্যাথ এন্ট্রিতে এরকম দেখেছি। সেকারণেই বাংলায় চেষ্টা করলাম। ধন্যবাদ।--মোঃ তানভীরুল ইসলাম ০৭:২৮, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- আমি দেখে মন্তব্য করছি। শুক্রবার সকালের জন্য একটু ভারী নাস্তা হয়ে যাচ্ছে। :) --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৭:৩১, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- অপেক্ষায় আছি। :-)--মোঃ তানভীরুল ইসলাম ০৮:০০, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
ক্রোমাত্বকজোড়-->ক্রোমজোড়
[সম্পাদনা]ক্রোমজোড় শব্দটা বেশ প্রচলিত। বাংলা ভাষায় লেখা টেক্স বই গুলোতে ক্রোমজোড় শব্দ টাই ব্যবহার হয়। ক্রোমাত্বক শব্দটা কেমন 'মারাত্বক' শোনাচ্ছে!! :-s ক্রোমজোড় করে দিচ্ছি, --মোঃ তানভীরুল ইসলাম ০৮:২১, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- "ক্রমাত্মক জোড়" ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণিত সমিতির করা পরিভাষা। আমি পরিভাষাগুলি শিঘ্রই গণিত পরিভাষা পাতায় দিয়ে দিচ্ছি। ক্রমজোড় পরিভাষাটাও আমার খারাপ লাগছে না। গণিতের অন্য কোন ধারণার নামের সাথে ভুল বোঝাবুঝি না হলে ক্রমজোড় ব্যবহার করা যেতে পারে। আরেকটা ব্যাপার, ক্রোম না, ক্রম হবে। ক্রমের ইংরেজি order, তাই ক্রমাত্মক জোড় বা ক্রমজোড়ের ইংরেজি অর্থ ordered pair. আর বাংলা ভাষার ভারী শব্দকে মারাত্মক, কিন্তু ইংরেজি ভাষা তার চেয়েও বেশি ভারী শব্দকে সেক্সি ভাবাটা খুব দোষের কিছু না। বাঙালির স্বভাবই হল বিদেশী দেখে পাগল হওয়া। ;-) --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৮:৪৮, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- হা হা!! সত্যি কথা বলেছেন। আসলে ব্যপার হল। হয়তো একধরণের স্বার্থপরতা কাজ করছে। অনেক কষ্ট করে ঐ ইংরেজী জটিল শব্দ গুলো আয়ত্ব করেছি। এখন ততোধিক বাংলা জটিল কিছু তদ্ভব শব্দ আয়ত্ব করতে কষ্ট হচ্ছে। ইংরেজী তে কিন্তু ইদানিং জটিল শব্দ ব্যবহারের ট্রেন্ড টা চলে গেছে। এখন তাই 'স্পিন' 'কোয়ার্ক' 'ফ্লেভার' এরকম কথ্য ভাষার শব্দ কেই তারা বৈজ্ঞানিক শব্দ হিসেবে নিচ্ছে। আমাদের ও উচিৎ প্রথমে আমাদের কথ্য ভাষা থেকে কিছু নেওয়ার চেষ্টা করা। সত্যি কথা বলতে কি ইংরেজীটা আজকাল আরবী আর সংস্ক্রৃতের চেয়ে সহজ লাগে। হয়ত এটা আমারই একার প্রবলেম।--মোঃ তানভীরুল ইসলাম ০৯:১৪, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- আপনার ব্যাপারটা আমি বুঝতে পারছি। এটার জন্য অনুতাপের কিছু নেই। আমি ছোটবেলা থেকেই বাংলা নিয়ে আগ্রহী ছিলাম বলে হয়ত আমার কাছে সোজা লাগছে। তবে একই কথা ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রেও খাটে। ইংল্যান্ডে বা আমেরিকাতে একটা সাধারণ রাস্তার মানুষের এইসব ইংরেজি গাণিতিক টার্ম নিয়ে কথা বলে দেখুন, দেখবেন আপনাকে আঁতেল বা পাগল ঠাওরাবে। আপনি বলবেন conceptualization, আর ওদের মাথায় ঘুরবে constipation। আপনি হয়ত বলবেন complex polynomial analysis, ওরা আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে এটা কি কোন জটিল অসুখের নাম? বলবে বাইরে হাওয়া খেয়ে আসতে বা বিয়ার খেয়ে মাথা ঠান্ডা করতে। এই ভারী ইংরেজি শব্দগুলি ইংরেজিভাষী সাধারণ জনগণের জন্যও একই রকম বিভীষিকাময়। সব ভাষাতেই একই জিনিস। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৯:২৫, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)
- হা হা!! সত্যি কথা বলেছেন। আসলে ব্যপার হল। হয়তো একধরণের স্বার্থপরতা কাজ করছে। অনেক কষ্ট করে ঐ ইংরেজী জটিল শব্দ গুলো আয়ত্ব করেছি। এখন ততোধিক বাংলা জটিল কিছু তদ্ভব শব্দ আয়ত্ব করতে কষ্ট হচ্ছে। ইংরেজী তে কিন্তু ইদানিং জটিল শব্দ ব্যবহারের ট্রেন্ড টা চলে গেছে। এখন তাই 'স্পিন' 'কোয়ার্ক' 'ফ্লেভার' এরকম কথ্য ভাষার শব্দ কেই তারা বৈজ্ঞানিক শব্দ হিসেবে নিচ্ছে। আমাদের ও উচিৎ প্রথমে আমাদের কথ্য ভাষা থেকে কিছু নেওয়ার চেষ্টা করা। সত্যি কথা বলতে কি ইংরেজীটা আজকাল আরবী আর সংস্ক্রৃতের চেয়ে সহজ লাগে। হয়ত এটা আমারই একার প্রবলেম।--মোঃ তানভীরুল ইসলাম ০৯:১৪, ৪ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)