আজকে আমার মন ভালো নেই

আজকে আমার মন ভালো নেই চাটগাঁইয়া ভাষার একটি অডিও কন্টেন্ট যা সামাজিক মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে ভাইরাল হয়। পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মিডটার্ম পরীক্ষার অতিরিক্ত উত্তরপত্রে স্যার আজকে আমার মন ভালো নেই লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হন এবং ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।

প্রেক্ষাপট

প্রাঙ্ক কল

নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি ওয়েব সিরিজ তৈরি করছিলেন কাজী হান্নান আহমেদ উৎস ও তার দল। তবে শুটিং শেষে সবকিছু গুছিয়ে আনার পর দেখলেন একটি এপিসোডের কাজই হয়নি। সেসময় তার সহকর্মী ও ফুফাতো ভাই ফাহাদ বিন ওয়াহিদ সাকিফকে নিয়ে তৈরি করেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার অডিও কন্টেন্ট আজকে আমার মন ভালো নেই। যা কেবল চট্টগ্রাম কিংবা রাজধানী শহর ঢাকাতেই নয়, বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতসহ বিদেশে বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে মাত্র অল্প কয়েকদিনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। যেখানে একটা হৃদয়গ্রাহী আবহ তৈরি করে, ফোনদাতা, ফোনগ্রহীতাকে বলে ওঠেন, ‘আসকে আমার মন ভালো নেই’। অনভিপ্রেত ব্যাপারটা বক্তার কণ্ঠের আকুতি বা অভিব্যক্তির কারণে আরও ব্যঞ্জনাময় হয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

উত্তরপত্র

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম আবর্তনের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী অতিরিক্ত একটি উত্তরপত্র বাসায় নিয়ে যান। পরে ২০২২ সালের ২২ জুন রাতে সেই উত্তরপত্রে 'আজকে আমার মন ভালো নেই' লিখে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন তিনি। মজার ছলে তিনি ওই ছবিটি ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করেছিলেন। পরে যদিও তিনি ওই পোস্টটি মুছে দেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসিঠাট্টা শুরু হলে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। বিভাগীয় তলবের পর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে উত্তরপত্রটি কোনো পরীক্ষার অংশ না হলেও এর বাম পাশে লাল কালিতে শূন্য নম্বর দিয়ে ‘বাতিল’ লিখে দেওয়া ছিল।

প্রতিক্রিয়া

অতিরিক্ত উত্তরপত্রটি কিছুদিন আগে ক্লাসরুমে পড়ে থাকায় তা বাসায় নিয়ে যান ঐ শিক্ষার্থী। পরে উত্তরপত্রটিতে এই কথাটি লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেন। তবে উত্তরপত্রটি কোনো পরীক্ষার অংশ নয় বলে গণমাধ্যমে জানান বিভাগ কর্তৃপক্ষ। উত্তরপত্রটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বলে দাবি করে ওই শিক্ষার্থী বলে, পোস্ট করার কিছুক্ষণ পরেই তার কাছে বিষয়টি ঠিক মনে হয়নি। তখনই সে পোস্টটা ডিলিট করে দেয়। কিন্তু বিষয়টি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। একই সঙ্গে এই ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থী মানবিক দৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করেন।