জগবন্ধু বসু
জগবন্ধু বসু | |
---|---|
জন্ম | জগবন্ধু বসু এপ্রিল, ১৮৩১ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা কলেজ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ |
জগবন্ধু বসু (Jagabandhu Bose) ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলার একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক ।
শিক্ষা[সম্পাদনা]
জগবন্ধু বসু ১৮৫১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা কলেজে শিক্ষালাভ করে স্নাতকস্তরে চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষালাভের জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষের শেষে শব ব্যবচ্ছেদের জন্য শারীরস্থানে এবং চতুর্থ বর্ষের শেষে ধাত্রীবিদ্যায় তিনি গুডিভ পদক লাভ করেন। তিনি দ্বিতীয় বর্ষের শেষে শারীরবিদ্যা ও উদ্ভিদবিজ্ঞানে সাম্মানিক প্রশংসাপত্র লাভ করেন। তিনি দ্বিতীয় বর্ষের শেষে শারীরস্থানে, তৃতীয় বর্ষের শেষে ভেষজবিজ্ঞান ও রসায়নবিজ্ঞানে এবং চতুর্থ বর্ষের শেষে মেডিসিনে স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতক হন এবং ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। [১][২]
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতক হয়ে জগবন্ধু আকিয়াবে নাবিক হাসপাতালে যোগ দেন। তার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডঃ ওয়াকারের অধীনে দ্বিতীয় ব্যবহারিক শিক্ষকের পদে উন্নীত করেন। সাত বছর ঐ পদে থাকার পরে তিনি বাংলা শ্রেণীর শবব্যবচ্ছেদের শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন। ছয় বছর পরে বারো বছরের জন্য তিনি ভেষজবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে নিযুক্ত হন।[২]
ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুলের প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]
সরকারী চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ক্যালকাটা মেডিক্যাল স্কুল নামের বেসরকারী চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রথম সভাপতি ছিলেন। তিনি সেখানে ভেষজবিজ্ঞানের সাম্মানিক অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন।তিনি সরকারের নিকট ঐ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের শবব্যবচ্ছেদের অনুমতি প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। [২]
কলেজ অব ফিজিসিয়ানস অ্যান্ড সার্জেন্স অব বেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা[সম্পাদনা]
১৮৯৫ সালে, বোস বাংলার চিকিৎসক ও সার্জনদের কলেজ খুঁজে পেতে সহায়তা করেছিলেন এবং তিনি এর প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
গ্রামে: দন্ডিরহাট, ২৪ পরগনার (উত্তর) বাসিরহাট মহকুমার অধীনে এই পরিবার প্রতিষ্ঠিত "দত্তর বারির পূজা" নামে বিখ্যাত দুর্গা পূজা এখনও চলছে।