বিষয়বস্তুতে চলুন

মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Remasteredx2 (আলোচনা | অবদান)
ইংরেজি উইকিপিডিয়া থেকে বিস্তারিত যোগ করা হয়েছে। উত্সগুলি স্থানান্তরিত করা দরকার এবং ছোটখাটো সম্পাদনা এখনও প্রয়োজন৷, expansion, Translation
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{জন্য|একই নামের ভিন্ন ব্যক্তির জন্য|আবদুস সাত্তার (দ্ব্যর্থতা নিরসন)}}{{তথ্যছক পদস্থ কর্মকর্তা
{{জন্য|একই নামের ভিন্ন ব্যক্তির জন্য|আবদুস সাত্তার (দ্ব্যর্থতা নিরসন)}}
{{তথ্যছক পদস্থ কর্মকর্তা
| name = আবদুস সাত্তার
| name = আবদুস সাত্তার
| office = মন্ত্রী-[[বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়|পাট মন্ত্রণালয়]]
| office = মন্ত্রী-[[বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়|পাট মন্ত্রণালয়]]
১৮ নং লাইন: ১৯ নং লাইন:
| termend2 = ১৯৯০
| termend2 = ১৯৯০
| successor2 = [[সিরাজুল ইসলাম (নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিবিদ)|সিরাজুল ইসলাম]]
| successor2 = [[সিরাজুল ইসলাম (নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিবিদ)|সিরাজুল ইসলাম]]
}}
}}'''আবদুস সাত্তার''' যিনি '''এম এ সাত্তার''' নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, সাবেক পাটমন্ত্রী ও [[নারায়ণগঞ্জ-৪]] ([[ফতুল্লা]]-[[সিদ্ধিরগঞ্জ|সিদ্ধরগঞ্জ]]) আসনের সাবেক [[সাংসদ]]। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/3rd.pdf|শিরোনাম=৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা|ওয়েবসাইট=[[জাতীয় সংসদ]]|প্রকাশক=[[বাংলাদেশ সরকার]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180918080059/http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/3rd.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/4th.pdf|শিরোনাম=৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা|ওয়েবসাইট=[[জাতীয় সংসদ]]|প্রকাশক=[[বাংলাদেশ সরকার]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190708101931/http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/4th.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=৮ জুলাই ২০১৯}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/36525/নৌকার-মাঝি-শামীম-ওসমানই-বিএনপিতে-একাধিক-প্রার্থী|শিরোনাম=নৌকার মাঝি শামীম ওসমানই বিএনপিতে একাধিক প্রার্থী|ওয়েবসাইট=যুগান্তর|সংগ্রহের-তারিখ=2020-02-08}}</ref>
'''আবদুস সাত্তার''' যিনি '''এম এ সাত্তার''' নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, সাবেক পাটমন্ত্রী ও [[নারায়ণগঞ্জ-৪]] ([[ফতুল্লা]]-[[সিদ্ধিরগঞ্জ|সিদ্ধরগঞ্জ]]) আসনের সাবেক [[সাংসদ]]। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/3rd.pdf|শিরোনাম=৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা|ওয়েবসাইট=[[জাতীয় সংসদ]]|প্রকাশক=[[বাংলাদেশ সরকার]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20180918080059/http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/3rd.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/4th.pdf|শিরোনাম=৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা|ওয়েবসাইট=[[জাতীয় সংসদ]]|প্রকাশক=[[বাংলাদেশ সরকার]]|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190708101931/http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/4th.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=৮ জুলাই ২০১৯}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.jugantor.com/todays-paper/last-page/36525/নৌকার-মাঝি-শামীম-ওসমানই-বিএনপিতে-একাধিক-প্রার্থী|শিরোনাম=নৌকার মাঝি শামীম ওসমানই বিএনপিতে একাধিক প্রার্থী|ওয়েবসাইট=যুগান্তর|সংগ্রহের-তারিখ=2020-02-08}}</ref>


'''মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার'''; ১ মার্চ ১৯২৫ - ৫ জুন ২০০9), যিনি '''এমএ সাত্তার''' নামে পরিচিত, ছিলেন একজন বিশিষ্ট [[বাংলাদেশী]] ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি সাত্তার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, সাত্তার জুট মিলস লিমিটেড, হাসনা শিপবিল্ডিং অ্যান্ড নেভিগেশন লিমিটেড এবং রংপুর ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন <ref name="pak">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Biographical Encyclopedia of Pakistan|তারিখ=1955|প্রকাশক=Biographical Research Institute, Pakistan|পাতা=350}}</ref> ১৯৮০-এর দশকে, সাত্তার একাধিক [[বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা|মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রণালয়ের]] পদে অধিষ্ঠিত হন, দুবার [[বাংলাদেশের সংসদ সদস্য|সংসদ সদস্য]] নির্বাচিত হন এবং ১9৮ থেকে ১৯9০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি [[হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ|এরশাদের]] সরকারে [[জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ|চিফ হুইপ]] ছিলেন <ref name="rahman">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.abebooks.com/9780810848634/Historical-Dictionary-Bangladesh-Dictionaries-Asia-0810848635/plp|শিরোনাম=Historical dictionary of Bangladesh|তারিখ=1989|প্রকাশক=Scarecrow Press|পাতাসমূহ=222-223|আইএসবিএন=9780810848634}}</ref> <ref name="whip">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম="Chief Whips of All Parliaments"|ইউআরএল=https://eclipping.parliament.gov.bd/index.php/en/about-parliament/chief-whips-of-all-parliaments}}</ref> <ref name="juger">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ভাষা=Bengali|শিরোনাম=নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে চোখ|ইউআরএল=https://www.jugerchinta.news/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C-%E0%A7%AA-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96/50381|সংগ্রহের-তারিখ=3 March 2023|ওয়েবসাইট=jugerchinta}}</ref>
==প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা==
সাত্তার 1925 সালের 1 মার্চ, ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমানে বাংলাদেশ) দুর্গাপুর, রংপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে তোফাজ্জল হোসেন এবং হাসনা নামে একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রংপুর ও কলকাতায় শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি পাট ব্যবসায় নামেন।


== প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা ==
==পূর্ব পাকিস্তান আমল==
এম এ সাত্তার ১৯২৫ সালের ১ মার্চ, দুর্গাপুর, [[রংপুর বিভাগ|রংপুর]], [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]], [[ব্রিটিশ ভারতের প্রেসিডেন্সি ও প্রদেশসমূহ|ব্রিটিশ ভারতের]] (বর্তমানে [[বাংলাদেশ]] ) একটি [[বাঙালি মুসলমান|বাঙালি মুসলিম]] পরিবারে তোফাজ্জল হোসেন এবং হাসনাতে জন্মগ্রহণ করেন। রংপুর ও [[কলকাতা|কলকাতায়]] শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি পাট ব্যবসায় নামেন। <ref name="east">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=iSu6AAAAIAAJ|শিরোনাম=Near East/South Asia Report, Issue 84116|তারিখ=1984|প্রকাশক=Foreign Broadcast Information Service|পাতা=64|সংগ্রহের-তারিখ=1 March 2023}}</ref>
===ব্যবসায়িক পেশা===
সাত্তার ১৯৪৮ সালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ২৬২ একর জমিতে সাত্তার জুট মিলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name="বহুতল">{{cite web |last1=আলম প্রিয় |first1=মাহবুব |title=বহুতল ভবনে বদলে গেছে রূপগঞ্জের ছাত্তার জুট মিলস মডেল হাই স্কুল |url=http://www.kholakagojbd.com/prints/67156 |website=গ্রামবাংলা |publisher=আহসান হাবীব |access-date=1 March 2023}}</ref> সাত্তার জুট মিলে কাজ করতেন ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক।<ref>{{cite web |last1=Sikder |first1=Khalil |title=The jute mills of Rupganj have been closed for a century and a half |url=https://www.dailyinqilab.com/article/344824/%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%9C%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%97-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7 |website=The Daily Inqilab |access-date=1 March 2023}}</ref>


== পূর্ব পাকিস্তান আমল ==
1963-64 সালে, তিনি তৎকালীন পাকিস্তান জুট অ্যাসোসিয়েশনের (PJA) প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং 1965 এবং 1967 সালে তিনি পুনঃনির্বাচিত হন। সাত্তার আন্তর্জাতিকভাবে বেশ কয়েকটি সম্মেলনে PJA-এর প্রতিনিধিত্ব করেন এবং শিল্পের স্বার্থের পক্ষে কথা বলেন।<ref name="east">{{cite book |title=Near East/South Asia Report, Issue 84116 |date=1984 |publisher=Foreign Broadcast Information Service |page=64 |url=https://books.google.com/books?id=iSu6AAAAIAAJ |access-date=1 March 2023}}</ref>


=== ব্যবসায়িক পেশা ===
তিনি পাকিস্তান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (পিজেএমএ) ভাইস-চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।<ref name="east">{{cite book |title=Near East/South Asia Report, Issue 84116 |date=1984 |publisher=Foreign Broadcast Information Service |page=64 |url=https://books.google.com/books?id=iSu6AAAAIAAJ |access-date=1 March 2023}}</ref>
এম এ সাত্তার ১৯৪৮ সালে [[নারায়ণগঞ্জ|নারায়ণগঞ্জের]] [[শীতলক্ষ্যা নদী|শীতলক্ষ্যা নদীর]] তীরে ২৬২ একর জমিতে <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম="Sattar Jute Mill Ltd"|ইউআরএল=https://www.bangladeshyp.com/company/18467/Sattar_Jute_Mill_Ltd}}</ref> জুট মিলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। <ref name="বহুতল">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=আলম প্রিয়|প্রথমাংশ=মাহবুব|প্রকাশক=আহসান হাবীব|শিরোনাম=বহুতল ভবনে বদলে গেছে রূপগঞ্জের ছাত্তার জুট মিলস মডেল হাই স্কুল|ইউআরএল=http://www.kholakagojbd.com/prints/67156|সংগ্রহের-তারিখ=1 March 2023|ওয়েবসাইট=গ্রামবাংলা}}</ref> সাত্তার জুট মিলে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করত। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Sikder|প্রথমাংশ=Khalil|শিরোনাম=The jute mills of Rupganj have been closed for a century and a half|ইউআরএল=https://www.dailyinqilab.com/article/344824/%E0%A6%B0%E0%A7%82%E0%A6%AA%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%9C%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%97-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A7|সংগ্রহের-তারিখ=1 March 2023|ওয়েবসাইট=The Daily Inqilab}}</ref>


১৯৬৩-৬৪ সালে, তিনি তৎকালীন পাকিস্তান জুট অ্যাসোসিয়েশনের (PJA) প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৬৫ এবং ১৯৬৭ সালে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। এম এ সাত্তার আন্তর্জাতিকভাবে বেশ কয়েকটি সম্মেলনে PJA-এর প্রতিনিধিত্ব করেন এবং পাকিস্তানের পাট শিল্পের স্বার্থের পক্ষে কথা বলেন। <ref name="east">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=iSu6AAAAIAAJ|শিরোনাম=Near East/South Asia Report, Issue 84116|তারিখ=1984|প্রকাশক=Foreign Broadcast Information Service|পাতা=64|সংগ্রহের-তারিখ=1 March 2023}}</ref>
বছরের পর বছর ধরে, তিনি তার ব্যবসা অন্যান্য শিল্পে প্রসারিত করেন এবং সাত্তার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, হাসনা শিপবিল্ডিং অ্যান্ড নেভিগেশন লিমিটেড, রংপুর ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name="pak">{{cite book |title=Biographical Encyclopedia of Pakistan |date=1955 |publisher=Biographical Research Institute, Pakistan |location=Pakistan |page=350}}</ref>


তিনি পাকিস্তান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (পিজেএমএ) ভাইস-চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন। <ref name="east">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=iSu6AAAAIAAJ|শিরোনাম=Near East/South Asia Report, Issue 84116|তারিখ=1984|প্রকাশক=Foreign Broadcast Information Service|পাতা=64|সংগ্রহের-তারিখ=1 March 2023}}</ref>
সাত্তারকে অস্ট্রেলেসিয়া ব্যাংক লিমিটেড এবং গ্রেট ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালক করা হয়।<ref name="pak">{{cite book |title=Biographical Encyclopedia of Pakistan |date=1955 |publisher=Biographical Research Institute, Pakistan |location=Pakistan |page=350}}</ref>


বছরের পর বছর ধরে, তিনি তার ব্যবসা অন্যান্য শিল্পে প্রসারিত করেন এবং সাত্তার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, হাসনা শিপবিল্ডিং অ্যান্ড নেভিগেশন লিমিটেড, রংপুর ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন <ref name="pak">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Biographical Encyclopedia of Pakistan|তারিখ=1955|প্রকাশক=Biographical Research Institute, Pakistan|পাতা=350}}</ref>
এই সময়ের মধ্যে, সাত্তারকে সাধারণত পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম ধনী পরিবার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়, পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এবং 30 মিলিয়ন টাকা মূল্যের সম্পদ সহ দশম স্থানে ছিল।<ref>{{cite web |last1=মওলা |first1=গোলাম |title=হারিয়ে যাওয়া ২২ ধনী পরিবার |url=https://www.banglatribune.com/national/204785/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0 |website=Bangla Tribune |access-date=1 March 2023}}</ref>


সাত্তারকে অস্ট্রেলেসিয়া ব্যাংক লিমিটেড এবং গ্রেট ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালক করা হয় <ref name="pak">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Biographical Encyclopedia of Pakistan|তারিখ=1955|প্রকাশক=Biographical Research Institute, Pakistan|পাতা=350}}</ref>
===বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ===
সাত্তার, কয়েকজন বাঙালি শিল্পপতির একজন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে, অপারেশন সার্চলাইটের সময় তাকে নির্মূল করার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ পাকিস্তানি সৈন্যরা নারায়ণগঞ্জে তার বাড়িতে "রংপুর হাউস মাসদাইরে" প্রবেশ করে এবং সাথে সাথে তার বড় ছেলে তৌফিক সাত্তার তার বন্ধু জালাল আহমেদকে গুলি করে হত্যা করে। সৈন্যরা তাদের আক্রমণ বন্ধ করে দেয় যখন তারা পাকিস্তানের একটি লোভনীয় বেসামরিক পুরস্কার দেখেছিল যেটি পাকিস্তানের অর্থনীতিতে তার অবদানের জন্য সাত্তারকে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে তার পরিবারের বাকি সদস্যদের সাথে তার জীবন বাঁচিয়েছিল।<ref>{{cite web |last1=রাবি্ব |first1=রাফিউর |title=২৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জে প্রথম প্রতিরোধ |url=https://www.samakal.com/todays-print-edition/tp-editorial-comments/article/1703280167/%E0%A7%A8%E0%A7%AD-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7 |website=সমকাল |access-date=17 March 2023}}</ref><ref>{{cite web |last1=হোসেন মমি |first1=মনির |title=আমার জন্মভুমি “সিদ্ধিরগঞ্জ”০৫পর্ব-(মুক্তিযুদ্ধ) ১ম খন্ড |url=https://www.sonelablog.com/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%9E-2/ |website=সোনেলা দরজা |access-date=17 March 2023 |language=Bengali |date=29 July 2018 |quote=তারা এমএ ছাত্তারের (পরে এরশাদ সরকারের উপদেষ্টা) জ্যেষ্ঠ পুত্র তৌফিক সাত্তার ও তৌফিক সাত্তারের বন্ধু জালালকে হত্যা করে}}</ref>


এই সময়ের মধ্যে, সাত্তার সাধারণত [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানের]] অন্যতম ধনী পরিবার হিসাবে তালিকাভুক্ত হন, দশম স্থানে, পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এবং 30 মিলিয়ন রুপি মূল্যের সম্পদ (১৯70 সালে $6.3 মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য)। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=মওলা|প্রথমাংশ=গোলাম|শিরোনাম=হারিয়ে যাওয়া ২২ ধনী পরিবার|ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/national/204785/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A7%A8%E0%A7%A8-%E0%A6%A7%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0|সংগ্রহের-তারিখ=1 March 2023|ওয়েবসাইট=Bangla Tribune}}</ref>
==স্বাধীনতা পরবর্তী কার্যক্রম==
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশী সরকার বাংলাদেশের সংবিধানে সমাজতন্ত্র যোগ করে এবং বেশিরভাগ শিল্পকে জাতীয়করণ করে, যার ফলশ্রুতিতে সাত্তার সাত্তার জুট মিলসহ তার শিল্পের মালিকানা হারায়। পাটকলগুলোকে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের অধীনে রাখা হয়।


=== বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ (১৯৭১) ===
সাত্তার বাংলাদেশী পাটকল মালিকদের সংগঠিত করেন এবং জাতীয়করণকৃত পাট ও তুলা মিল তাদের প্রাক্তন বাঙালি মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করার জন্য একটি সমিতি গঠন করেন, যা 1982 সালে অর্জিত হয়েছিল।
এম এ সাত্তার, কয়েকজন বাঙালি শিল্পপতির একজন এবং [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিবুর রহমানের]] সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে, অপারেশন সার্চলাইটের সময় তাকে নির্মূল করার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। 27 মার্চ, ১৯৭১ তারিখে, পাকিস্তানি সৈন্যরা নারায়ণগঞ্জে তার বাড়িতে "রংপুর হাউস মাসদাইরে" প্রবেশ করে এবং অবিলম্বে তার বড় ছেলে তৌফিক সাত্তার এবং তার বন্ধু জালাল আহমেদকে গুলি করে হত্যা করে। সৈন্যরা তাদের আক্রমণ বন্ধ করে দেয় যখন তারা পাকিস্তানের একটি লোভনীয় বেসামরিক পুরস্কার দেখেছিল যেটি পাকিস্তানের অর্থনীতিতে তার অবদানের জন্য সাত্তারকে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে তার পরিবারের বাকি সদস্যদের সাথে তার জীবন বাঁচিয়েছিল। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=রাবি্ব|প্রথমাংশ=রাফিউর|শিরোনাম=২৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জে প্রথম প্রতিরোধ|ইউআরএল=https://www.samakal.com/todays-print-edition/tp-editorial-comments/article/1703280167/%E0%A7%A8%E0%A7%AD-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7|সংগ্রহের-তারিখ=17 March 2023|ওয়েবসাইট=সমকাল}}</ref> <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=হোসেন মমি|প্রথমাংশ=মনির|তারিখ=29 July 2018|ভাষা=Bengali|শিরোনাম=আমার জন্মভুমি “সিদ্ধিরগঞ্জ”০৫পর্ব-(মুক্তিযুদ্ধ) ১ম খন্ড|ইউআরএল=https://www.sonelablog.com/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%9E-2/|সংগ্রহের-তারিখ=17 March 2023|ওয়েবসাইট=সোনেলা দরজা|উক্তি=তারা এমএ ছাত্তারের (পরে এরশাদ সরকারের উপদেষ্টা) জ্যেষ্ঠ পুত্র তৌফিক সাত্তার ও তৌফিক সাত্তারের বন্ধু জালালকে হত্যা করে}}</ref>


== স্বাধীনতা পরবর্তী কার্যক্রম ==
এই জাতীয়করণের সময়, ক্রমবর্ধমান ব্যয়, টাকার অবমূল্যায়ন এবং অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির কারণে বেশিরভাগ শিল্প ধ্বংসাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আগামী কয়েক দশক ধরে পাট শিল্প কখনই পুনরুদ্ধার করতে পারেনি এবং ভারী অপারেটিং লোকসান বহন করেনি। এই সময়েই সাত্তার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশী সরকার [[বাংলাদেশের সংবিধান|বাংলাদেশের সংবিধানে]] [[বাংলাদেশে সমাজতন্ত্র|সমাজতন্ত্র]] যোগ করে এবং বেশিরভাগ শিল্পকে জাতীয়করণ করে, যার ফলে সাত্তার তার শিল্পের মালিকানা হারায়, যার মধ্যে সাত্তার জুট মিল ছিল। পাটকলগুলিকে [[বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন|বাংলাদেশ জুট মিল কর্পোরেশনের]] অধীনে রাখা হয়েছিল। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=The Economic Development of Bangladesh within a Socialist Framework|শেষাংশ=Sobhan|প্রথমাংশ=Rehman|অধ্যায়ের-ইউআরএল=https://link.springer.com/content/pdf/10.1007/978-1-349-02363-9_7.pdf|বছর=1974|পাতাসমূহ=181–200|অধ্যায়=Nationalisation of Industries in Bangladesh: Background and Problems|doi=10.1007/978-1-349-02363-9_7|আইএসবিএন=978-1-349-02365-3}}</ref> <ref name="jibpd">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Islam|প্রথমাংশ=Mufakharul|প্রকাশক=Banglapedia|শিরোনাম=Jute Industry|ইউআরএল=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Jute_Industry|সংগ্রহের-তারিখ=24 August 2019|ওয়েবসাইট=en.banglapedia.org}}</ref>


এম এ সাত্তার বাংলাদেশী পাটকল মালিকদের সংগঠিত করেন এবং জাতীয়করণকৃত পাট ও কটন মিল তাদের প্রাক্তন বাঙালি মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করার জন্য একটি সমিতি গঠন করেন, যা ১৯82 সালে অর্জিত হয়েছিল <ref name="east">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=iSu6AAAAIAAJ|শিরোনাম=Near East/South Asia Report, Issue 84116|তারিখ=1984|প্রকাশক=Foreign Broadcast Information Service|পাতা=64|সংগ্রহের-তারিখ=1 March 2023}}</ref>
===রাজনৈতিক পেশা===
1983 সালে, তিনি মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীর পদমর্যাদা ও মর্যাদা সহ রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত হন।


এই জাতীয়করণের সময়কালে, ক্রমবর্ধমান ব্যয়, [[বাংলাদেশী টাকা|টাকার]] অবমূল্যায়ন এবং অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির কারণে বেশিরভাগ শিল্প ধ্বংসাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আগামী কয়েক দশক ধরে [[বাংলাদেশের পাট শিল্প|পাট শিল্প]] কখনই পুনরুদ্ধার করতে পারেনি এবং ভারী অপারেটিং লোকসান বহন করেনি। <ref name="jibpd">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Islam|প্রথমাংশ=Mufakharul|প্রকাশক=Banglapedia|শিরোনাম=Jute Industry|ইউআরএল=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Jute_Industry|সংগ্রহের-তারিখ=24 August 2019|ওয়েবসাইট=en.banglapedia.org}}</ref> এই সময়েই এম এ সাত্তার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
১৯৮৫ সালের জুলাই থেকে ১৯৮৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের মন্ত্রিসভায় পাটমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাত্তার বাংলাদেশে পাট শিল্পের উন্নতির জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ প্রবর্তন করেন, যার মধ্যে রয়েছে পাটকলের আধুনিকীকরণ, পাটভিত্তিক শিল্পের প্রচার এবং পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্য। তার মেয়াদে তিনি পাটজাত পণ্যের নতুন বাজার গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করেন এবং দেশের পাট রপ্তানি বৃদ্ধি করেন। সাত্তার পাটের উৎপাদন ও রপ্তানি উন্নয়নে কাজ করেন। এরপর তিনি 1986 সালের জুলাই থেকে 1987 সালের মার্চ পর্যন্ত শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


=== রাজনৈতিক পেশা ===
তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দুবার নির্বাচিত হন, প্রথমে ১৯৮৬ সালে এবং তারপর আবার ১৯৮৮ সালে। তার দ্বিতীয় মেয়াদে, তিনি 1988 থেকে 1990 সাল পর্যন্ত চতুর্থ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির চিফ হুইপের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১৯83 সালে, তিনি মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীর পদমর্যাদা ও মর্যাদা সহ রাষ্ট্রপতি [[হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ|হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের]] উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত হন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.google.com/books/edition/Quarterly_Economic_Review_of_Pakistan_Ba/1CUWAQAAMAAJ?hl=en&gbpv=0|শিরোনাম=Quarterly Economic Review of Pakistan, Bangladesh, Afghanistan|তারিখ=1983|প্রকাশক=Economist Intelligence Unit Limited|পাতাসমূহ=20|ভাষা=English|সংগ্রহের-তারিখ=18 March 2023}}</ref>


১৯৮৫ সালের জুলাই থেকে ১৯৮৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের মন্ত্রিসভায় [[বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়|পাটমন্ত্রী]] হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাত্তার বাংলাদেশে পাট শিল্পের উন্নতির জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ প্রবর্তন করেন, যার মধ্যে রয়েছে পাটকলের আধুনিকীকরণ, পাটভিত্তিক শিল্পের প্রচার এবং পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্য। তার মেয়াদে তিনি পাটজাত পণ্যের নতুন বাজার গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করেন এবং দেশের পাট রপ্তানি বৃদ্ধি করেন। এম এ সাত্তার পাটের উৎপাদন ও রপ্তানির উন্নয়নে কাজ করেন। তিনি পাট শিল্পের সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন খাতে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এরপর তিনি ১৯86 সালের জুলাই থেকে 1987 সালের মার্চ পর্যন্ত [[শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)|শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রী]] হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন <ref name="rahman">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.abebooks.com/9780810848634/Historical-Dictionary-Bangladesh-Dictionaries-Asia-0810848635/plp|শিরোনাম=Historical dictionary of Bangladesh|তারিখ=1989|প্রকাশক=Scarecrow Press|পাতাসমূহ=222-223|আইএসবিএন=9780810848634}}</ref>
চিফ হুইপ হিসেবে সাত্তার ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং সংসদীয় অধিবেশনে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য দায়ী ছিলেন। তিনি দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সংসদে উপস্থিতি, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ভোটিং অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি সংসদে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রভাব বাড়াতে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে জোট জোরদার করতে কাজ করেন।


তিনি [[জাতীয় পার্টি (এরশাদ)|জাতীয় পার্টির]] প্রার্থী হিসেবে [[নারায়ণগঞ্জ-৪]] আসনের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দুবার নির্বাচিত হন, প্রথমে ১৯৮৬ সালে এবং তারপর আবার ১৯৮৮ সালে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম="List of 3rd Parliament Members"|ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/3rd.pdf|সংগ্রহের-তারিখ=9 April 2020|ওয়েবসাইট=parliament.gov.bd}}</ref> <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|প্রকাশক=Bangladesh Parliament (in Bengali).|শিরোনাম="List of 4th Parliament Members"|ইউআরএল=http://www.parliament.gov.bd/images/pdf/formermp/4th.pdf|সংগ্রহের-তারিখ=9 April 2020}}</ref> তার দ্বিতীয় মেয়াদে, তিনি ১৯88 থেকে ১৯90 সাল পর্যন্ত [[চতুর্থ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকা|চতুর্থ জাতীয় সংসদে]] জাতীয় পার্টির [[জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ|চিফ হুইপের]] পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। চিফ হুইপ হিসেবে এম এ সাত্তার ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং সংসদীয় অধিবেশনে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য দায়ী ছিলেন। তিনি দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সংসদে উপস্থিতি, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ভোটিং অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি সংসদে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রভাব বাড়াতে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সাথে তার জোটকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছিলেন। <ref name="whip">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম="Chief Whips of All Parliaments"|ইউআরএল=https://eclipping.parliament.gov.bd/index.php/en/about-parliament/chief-whips-of-all-parliaments}}</ref> <ref name="juger">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ভাষা=Bengali|শিরোনাম=নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে চোখ|ইউআরএল=https://www.jugerchinta.news/%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A3%E0%A6%97%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9C-%E0%A7%AA-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96/50381|সংগ্রহের-তারিখ=3 March 2023|ওয়েবসাইট=jugerchinta}}</ref>


1991 সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে, সাত্তার আরও একবার অফিসের জন্য দৌড়েছিলেন কিন্তু সফল হননি, 11.7% ভোট পেয়েছিলেন।
[[পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৯১|১৯91 সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে]], এম এ সাত্তার আরও একবার অফিসের জন্য দৌড়েছিলেন কিন্তু 11.7% ভোট পেয়ে সফল হননি। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম="Parliament Election Result of 1991"|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20081229002542/http://votemonitor.net/bangladesh/EADetails_1991_1996_2001.php?EA=205}}</ref>


==ব্যক্তিগত জীবন==
== ব্যক্তিগত জীবন ==
এম এ সাত্তার তার স্থানীয় সম্প্রদায়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন এবং জনহিতকর কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। 1967 সালে, সাত্তার নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের প্রথম বাঙালি সভাপতি নির্বাচিত হন
এম এ সাত্তার তার স্থানীয় সম্প্রদায়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন এবং জনহিতকর কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯67 সালে, সাত্তার নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের প্রথম বাঙালি সভাপতি নির্বাচিত হন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম="CLUB HISTORY"|ইউআরএল=https://www.narayanganjclubltd.com/club-history}}</ref>


1980 সালে, সাত্তার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাত্তার জুট মিলস মডেল হাই স্কুল নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে পাটকলের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এটি প্রতিষ্ঠিত হলেও সময়ের সাথে সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্তানরাও এই বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। নতুন বাড়িওয়ালাদের দ্বারা একটি 4 তলা আধুনিক ভবন এবং একটি বিস্তীর্ণ খেলার মাঠ সহ বিদ্যালয়টিকে আরও উন্নত করা হয়েছে। তিনি স্কুলের পাশে নামাজের জন্য একটি মসজিদও প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯80 সালে, এম এ সাত্তার নারায়ণগঞ্জের [[রূপগঞ্জ উপজেলা|রূপগঞ্জে]] সাত্তার জুট মিলস মডেল হাই স্কুল নামে একটি [[মাধ্যমিক বিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে পাটকলের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এটি প্রতিষ্ঠিত হলেও সময়ের সাথে সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্তানরাও এই বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। নতুন বাড়িওয়ালাদের দ্বারা একটি 4 তলা আধুনিক ভবন এবং একটি বিস্তীর্ণ খেলার মাঠ সহ বিদ্যালয়টিকে আরও উন্নত করা হয়েছে। তিনি স্কুলের পাশে নামাজের জন্য একটি [[মসজিদ|মসজিদও]] প্রতিষ্ঠা করেন। <ref name="বহুতল">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=আলম প্রিয়|প্রথমাংশ=মাহবুব|প্রকাশক=আহসান হাবীব|শিরোনাম=বহুতল ভবনে বদলে গেছে রূপগঞ্জের ছাত্তার জুট মিলস মডেল হাই স্কুল|ইউআরএল=http://www.kholakagojbd.com/prints/67156|সংগ্রহের-তারিখ=1 March 2023|ওয়েবসাইট=গ্রামবাংলা}}</ref>


পাটকলের ঋণ পরিশোধের জন্য তাকে বছরের পর বছর ধরে তার বেশিরভাগ সম্পদ বিক্রি করতে হয়েছে। 2005 সালে, তিনি সিনহা গ্রুপের মালিক শিল্পপতি আনিসুর রহমান সিনহার কাছে সম্পূর্ণ কারখানা ভবন, গুদাম এবং অবশিষ্ট 55 একর রিভারফ্রন্ট সহ সাত্তার জুট মিলস বিক্রি করেন।
পাটকলের ঋণ পরিশোধের জন্য তাকে বছরের পর বছর ধরে তার বেশিরভাগ সম্পদ বিক্রি করতে হয়েছে। 2005 সালে, তিনি সিনহা গ্রুপের মালিক শিল্পপতি আনিসুর রহমান সিনহার কাছে সম্পূর্ণ কারখানা ভবন, গুদাম এবং অবশিষ্ট 55 একর রিভারফ্রন্ট সহ সাত্তার জুট মিলস বিক্রি করেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Anisur Rahman Sinha|ইউআরএল=https://sites.google.com/site/faridenator/anisurrahmansinha}}</ref>


এম এ সাত্তার ৮৪ বছর বয়সে ৫ জুন ২০০৯ সালে মারা যান।
এম এ সাত্তার ৮৪ বছর বয়সে ৫ জুন ২০০৯ সালে ইন্তেকাল করেন।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
<references group="" responsive="0"></references>
{{সূত্র তালিকা}}
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ব্যাংকার]]

[[বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০০৯-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২৫-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:জাতীয় পার্টির সাবেক রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী মুসলিম]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ব্যবসায়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর মুসলিম]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর বাঙালী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি মুসলমান]]
[[বিষয়শ্রেণী:চতুর্থ জাতীয় সংসদ সদস্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:তৃতীয় জাতীয় সংসদ সদস্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:চতুর্থ জাতীয় সংসদ সদস্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:জাতীয় পার্টির রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি)]]

২০:৫৪, ২১ মার্চ ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আবদুস সাত্তার
মন্ত্রী-পাট মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
১৯৮৬ – ১৯৯০
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৮৬ – ১৯৯০
উত্তরসূরীসিরাজুল ইসলাম
ব্যক্তিগত বিবরণ
মৃত্যুনারায়ণগঞ্জ জেলা
রাজনৈতিক দলজাতীয় পার্টি
ডাকনামএম এ সাত্তার

আবদুস সাত্তার যিনি এম এ সাত্তার নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, সাবেক পাটমন্ত্রী ও নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধরগঞ্জ) আসনের সাবেক সাংসদ। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।[১][২][৩]

মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার; ১ মার্চ ১৯২৫ - ৫ জুন ২০০9), যিনি এমএ সাত্তার নামে পরিচিত, ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি সাত্তার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, সাত্তার জুট মিলস লিমিটেড, হাসনা শিপবিল্ডিং অ্যান্ড নেভিগেশন লিমিটেড এবং রংপুর ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন [৪] ১৯৮০-এর দশকে, সাত্তার একাধিক মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রণালয়ের পদে অধিষ্ঠিত হন, দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১9৮ থেকে ১৯9০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি এরশাদের সরকারে চিফ হুইপ ছিলেন [৫] [৬] [৭]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

এম এ সাত্তার ১৯২৫ সালের ১ মার্চ, দুর্গাপুর, রংপুর, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমানে বাংলাদেশ ) একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে তোফাজ্জল হোসেন এবং হাসনাতে জন্মগ্রহণ করেন। রংপুর ও কলকাতায় শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি পাট ব্যবসায় নামেন। [৮]

পূর্ব পাকিস্তান আমল

ব্যবসায়িক পেশা

এম এ সাত্তার ১৯৪৮ সালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ২৬২ একর জমিতে [৯] জুট মিলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। [১০] সাত্তার জুট মিলে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করত। [১১]

১৯৬৩-৬৪ সালে, তিনি তৎকালীন পাকিস্তান জুট অ্যাসোসিয়েশনের (PJA) প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৬৫ এবং ১৯৬৭ সালে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। এম এ সাত্তার আন্তর্জাতিকভাবে বেশ কয়েকটি সম্মেলনে PJA-এর প্রতিনিধিত্ব করেন এবং পাকিস্তানের পাট শিল্পের স্বার্থের পক্ষে কথা বলেন। [৮]

তিনি পাকিস্তান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (পিজেএমএ) ভাইস-চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন। [৮]

বছরের পর বছর ধরে, তিনি তার ব্যবসা অন্যান্য শিল্পে প্রসারিত করেন এবং সাত্তার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, হাসনা শিপবিল্ডিং অ্যান্ড নেভিগেশন লিমিটেড, রংপুর ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন [৪]

সাত্তারকে অস্ট্রেলেসিয়া ব্যাংক লিমিটেড এবং গ্রেট ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালক করা হয় [৪]

এই সময়ের মধ্যে, সাত্তার সাধারণত পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম ধনী পরিবার হিসাবে তালিকাভুক্ত হন, দশম স্থানে, পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এবং 30 মিলিয়ন রুপি মূল্যের সম্পদ (১৯70 সালে $6.3 মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য)। [১২]

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ (১৯৭১)

এম এ সাত্তার, কয়েকজন বাঙালি শিল্পপতির একজন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ঘনিষ্ঠতার কারণে, অপারেশন সার্চলাইটের সময় তাকে নির্মূল করার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। 27 মার্চ, ১৯৭১ তারিখে, পাকিস্তানি সৈন্যরা নারায়ণগঞ্জে তার বাড়িতে "রংপুর হাউস মাসদাইরে" প্রবেশ করে এবং অবিলম্বে তার বড় ছেলে তৌফিক সাত্তার এবং তার বন্ধু জালাল আহমেদকে গুলি করে হত্যা করে। সৈন্যরা তাদের আক্রমণ বন্ধ করে দেয় যখন তারা পাকিস্তানের একটি লোভনীয় বেসামরিক পুরস্কার দেখেছিল যেটি পাকিস্তানের অর্থনীতিতে তার অবদানের জন্য সাত্তারকে দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে তার পরিবারের বাকি সদস্যদের সাথে তার জীবন বাঁচিয়েছিল। [১৩] [১৪]

স্বাধীনতা পরবর্তী কার্যক্রম

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশী সরকার বাংলাদেশের সংবিধানে সমাজতন্ত্র যোগ করে এবং বেশিরভাগ শিল্পকে জাতীয়করণ করে, যার ফলে সাত্তার তার শিল্পের মালিকানা হারায়, যার মধ্যে সাত্তার জুট মিল ছিল। পাটকলগুলিকে বাংলাদেশ জুট মিল কর্পোরেশনের অধীনে রাখা হয়েছিল। [১৫] [১৬]

এম এ সাত্তার বাংলাদেশী পাটকল মালিকদের সংগঠিত করেন এবং জাতীয়করণকৃত পাট ও কটন মিল তাদের প্রাক্তন বাঙালি মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করার জন্য একটি সমিতি গঠন করেন, যা ১৯82 সালে অর্জিত হয়েছিল [৮]

এই জাতীয়করণের সময়কালে, ক্রমবর্ধমান ব্যয়, টাকার অবমূল্যায়ন এবং অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির কারণে বেশিরভাগ শিল্প ধ্বংসাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। আগামী কয়েক দশক ধরে পাট শিল্প কখনই পুনরুদ্ধার করতে পারেনি এবং ভারী অপারেটিং লোকসান বহন করেনি। [১৬] এই সময়েই এম এ সাত্তার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।

রাজনৈতিক পেশা

১৯83 সালে, তিনি মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রীর পদমর্যাদা ও মর্যাদা সহ রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত হন। [১৭]

১৯৮৫ সালের জুলাই থেকে ১৯৮৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের মন্ত্রিসভায় পাটমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাত্তার বাংলাদেশে পাট শিল্পের উন্নতির জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ প্রবর্তন করেন, যার মধ্যে রয়েছে পাটকলের আধুনিকীকরণ, পাটভিত্তিক শিল্পের প্রচার এবং পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্য। তার মেয়াদে তিনি পাটজাত পণ্যের নতুন বাজার গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করেন এবং দেশের পাট রপ্তানি বৃদ্ধি করেন। এম এ সাত্তার পাটের উৎপাদন ও রপ্তানির উন্নয়নে কাজ করেন। তিনি পাট শিল্পের সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন খাতে পাটের ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এরপর তিনি ১৯86 সালের জুলাই থেকে 1987 সালের মার্চ পর্যন্ত শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন [৫]

তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য দুবার নির্বাচিত হন, প্রথমে ১৯৮৬ সালে এবং তারপর আবার ১৯৮৮ সালে। [১৮] [১৯] তার দ্বিতীয় মেয়াদে, তিনি ১৯88 থেকে ১৯90 সাল পর্যন্ত চতুর্থ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির চিফ হুইপের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। চিফ হুইপ হিসেবে এম এ সাত্তার ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের মধ্যে শৃঙ্খলা এবং সংসদীয় অধিবেশনে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য দায়ী ছিলেন। তিনি দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সংসদে উপস্থিতি, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ ভোটিং অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি সংসদে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রভাব বাড়াতে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সাথে তার জোটকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছিলেন। [৬] [৭]

১৯91 সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে, এম এ সাত্তার আরও একবার অফিসের জন্য দৌড়েছিলেন কিন্তু 11.7% ভোট পেয়ে সফল হননি। [২০]

ব্যক্তিগত জীবন

এম এ সাত্তার তার স্থানীয় সম্প্রদায়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন এবং জনহিতকর কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। ১৯67 সালে, সাত্তার নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের প্রথম বাঙালি সভাপতি নির্বাচিত হন। [২১]

১৯80 সালে, এম এ সাত্তার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাত্তার জুট মিলস মডেল হাই স্কুল নামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে পাটকলের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এটি প্রতিষ্ঠিত হলেও সময়ের সাথে সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্তানরাও এই বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। নতুন বাড়িওয়ালাদের দ্বারা একটি 4 তলা আধুনিক ভবন এবং একটি বিস্তীর্ণ খেলার মাঠ সহ বিদ্যালয়টিকে আরও উন্নত করা হয়েছে। তিনি স্কুলের পাশে নামাজের জন্য একটি মসজিদও প্রতিষ্ঠা করেন। [১০]

পাটকলের ঋণ পরিশোধের জন্য তাকে বছরের পর বছর ধরে তার বেশিরভাগ সম্পদ বিক্রি করতে হয়েছে। 2005 সালে, তিনি সিনহা গ্রুপের মালিক শিল্পপতি আনিসুর রহমান সিনহার কাছে সম্পূর্ণ কারখানা ভবন, গুদাম এবং অবশিষ্ট 55 একর রিভারফ্রন্ট সহ সাত্তার জুট মিলস বিক্রি করেন। [২২]

এম এ সাত্তার ৮৪ বছর বয়সে ৫ জুন ২০০৯ সালে ইন্তেকাল করেন।

তথ্যসূত্র

  1. "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "নৌকার মাঝি শামীম ওসমানই বিএনপিতে একাধিক প্রার্থী"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৮ 
  4. Biographical Encyclopedia of Pakistan। Biographical Research Institute, Pakistan। ১৯৫৫। পৃষ্ঠা 350। 
  5. Historical dictionary of Bangladesh। Scarecrow Press। ১৯৮৯। পৃষ্ঠা 222–223। আইএসবিএন 9780810848634 
  6. ""Chief Whips of All Parliaments"" 
  7. "নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে চোখ"jugerchinta (Bengali ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০২৩ 
  8. Near East/South Asia Report, Issue 84116। Foreign Broadcast Information Service। ১৯৮৪। পৃষ্ঠা 64। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২৩ 
  9. ""Sattar Jute Mill Ltd"" 
  10. আলম প্রিয়, মাহবুব। "বহুতল ভবনে বদলে গেছে রূপগঞ্জের ছাত্তার জুট মিলস মডেল হাই স্কুল"গ্রামবাংলা। আহসান হাবীব। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২৩ 
  11. Sikder, Khalil। "The jute mills of Rupganj have been closed for a century and a half"The Daily Inqilab। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২৩ 
  12. মওলা, গোলাম। "হারিয়ে যাওয়া ২২ ধনী পরিবার"Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২৩ 
  13. রাবি্ব, রাফিউর। "২৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জে প্রথম প্রতিরোধ"সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২৩ 
  14. হোসেন মমি, মনির (২৯ জুলাই ২০১৮)। "আমার জন্মভুমি "সিদ্ধিরগঞ্জ"০৫পর্ব-(মুক্তিযুদ্ধ) ১ম খন্ড"সোনেলা দরজা (Bengali ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০২৩তারা এমএ ছাত্তারের (পরে এরশাদ সরকারের উপদেষ্টা) জ্যেষ্ঠ পুত্র তৌফিক সাত্তার ও তৌফিক সাত্তারের বন্ধু জালালকে হত্যা করে 
  15. Sobhan, Rehman (১৯৭৪)। "Nationalisation of Industries in Bangladesh: Background and Problems" (পিডিএফ)The Economic Development of Bangladesh within a Socialist Framework। পৃষ্ঠা 181–200। আইএসবিএন 978-1-349-02365-3ডিওআই:10.1007/978-1-349-02363-9_7 
  16. Islam, Mufakharul। "Jute Industry"en.banglapedia.org। Banglapedia। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৯ 
  17. Quarterly Economic Review of Pakistan, Bangladesh, Afghanistan (English ভাষায়)। Economist Intelligence Unit Limited। ১৯৮৩। পৃষ্ঠা 20। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২৩ 
  18. ""List of 3rd Parliament Members"" (পিডিএফ)parliament.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০২০ 
  19. ""List of 4th Parliament Members"" (পিডিএফ)। Bangladesh Parliament (in Bengali).। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০২০ 
  20. ""Parliament Election Result of 1991"" 
  21. ""CLUB HISTORY"" 
  22. "Anisur Rahman Sinha"