সমকামিতার জীববৈজ্ঞানিক কারণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
EditBangla (আলোচনা | অবদান) |
প্রলয়স্রোত (আলোচনা | অবদান) |
||
২৬ নং লাইন: | ২৬ নং লাইন: | ||
এইচইউ এবং তার সহযোগীদের দ্বারা পরবর্তী আরেকটি গবেষণায় এই গবেষণাটি পুনঃউৎপাদন করা হয়, এবং আগের উপাত্তকে সংশোধন করা হয়। এই গবেষণাটি- ৬৭% সমকামী ভাই; এক্স ক্রোমোজোমে(মাতা থেকে প্রাপ্ত) এক্সকিউ২৮ এ সম্পৃক্ত স্যম্পল শেয়ার করে, এটাই দেখায়।<ref name=Huetal95>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |vauthors=Hu S, Pattatucci AM, Patterson C |শিরোনাম=Linkage between sexual orientation and chromosome Xq28 in males but not in females |সাময়িকী=Nat. Genet. |খণ্ড=11 |সংখ্যা নং=3 |পাতাসমূহ=248–56 |তারিখ=November 1995 |pmid=7581447 |ডিওআই=10.1038/ng1195-248 |ইউআরএল=|লেখক-প্রদর্শন=etal}}</ref> অন্য দুইটি স্টাডি (ব্যালী এবংতার সহযোগী, ১৯৯৯; এমসিকেনাইট এবং মালকম, ২০০০) ব্যর্থ হয়েছিল, মাতার দিক থেকে সমকামী ভাইদের মধ্যে সম্পর্ক আছে বলে যে দাবী করা হয়েছিল, সেই দাবীকে প্রমাণ করতে।<ref name="Wilson and Rahman 2005"/> রাইস এবং তার সহযোগীরা ১৯৯৯ সালে এক্সকিউ ২৮ এর সংযোগ সংক্রান্ত গবেষণাকে পুনরুৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক=Vilain E |শিরোনাম=Genetics of sexual development |সাময়িকী=Annu Rev Sex Res |খণ্ড=11 |সংখ্যা নং= |পাতাসমূহ=1–25 |বছর=2000 |pmid=11351829 |ডিওআই= |ইউআরএল=}}</ref> সকল ধরনের তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বৃহত্তর বিশ্লেষণ গুলো এটাই নির্দেশ করে যে, [[এক্সকিউ২৮]] এর সাথে একটা সুনির্দিষ্ট সংযোগ তো আছে, কিন্তু তার সাথে সাথে এটাও নির্দেশ করা হয় যে, আরো অতিরিক্ত কোনো জিন মানুষের যৌন অভিমুখিতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।<ref name="HamerRiceSciencemeta">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=Hamer DH |লেখক২=Rice G |লেখক৩=Risch N |লেখক৪=Ebers G |শিরোনাম=Genetics and Male Sexual Orientation |সাময়িকী=Science |তারিখ=1999 |খণ্ড=285 |সংখ্যা নং=5429 |পাতা=803 |ডিওআই=10.1126/science.285.5429.803a |ইউআরএল=http://science.sciencemag.org/content/285/5429/803.full |সংগ্রহের-তারিখ=20 March 2016}}</ref> |
এইচইউ এবং তার সহযোগীদের দ্বারা পরবর্তী আরেকটি গবেষণায় এই গবেষণাটি পুনঃউৎপাদন করা হয়, এবং আগের উপাত্তকে সংশোধন করা হয়। এই গবেষণাটি- ৬৭% সমকামী ভাই; এক্স ক্রোমোজোমে(মাতা থেকে প্রাপ্ত) এক্সকিউ২৮ এ সম্পৃক্ত স্যম্পল শেয়ার করে, এটাই দেখায়।<ref name=Huetal95>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |vauthors=Hu S, Pattatucci AM, Patterson C |শিরোনাম=Linkage between sexual orientation and chromosome Xq28 in males but not in females |সাময়িকী=Nat. Genet. |খণ্ড=11 |সংখ্যা নং=3 |পাতাসমূহ=248–56 |তারিখ=November 1995 |pmid=7581447 |ডিওআই=10.1038/ng1195-248 |ইউআরএল=|লেখক-প্রদর্শন=etal}}</ref> অন্য দুইটি স্টাডি (ব্যালী এবংতার সহযোগী, ১৯৯৯; এমসিকেনাইট এবং মালকম, ২০০০) ব্যর্থ হয়েছিল, মাতার দিক থেকে সমকামী ভাইদের মধ্যে সম্পর্ক আছে বলে যে দাবী করা হয়েছিল, সেই দাবীকে প্রমাণ করতে।<ref name="Wilson and Rahman 2005"/> রাইস এবং তার সহযোগীরা ১৯৯৯ সালে এক্সকিউ ২৮ এর সংযোগ সংক্রান্ত গবেষণাকে পুনরুৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক=Vilain E |শিরোনাম=Genetics of sexual development |সাময়িকী=Annu Rev Sex Res |খণ্ড=11 |সংখ্যা নং= |পাতাসমূহ=1–25 |বছর=2000 |pmid=11351829 |ডিওআই= |ইউআরএল=}}</ref> সকল ধরনের তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বৃহত্তর বিশ্লেষণ গুলো এটাই নির্দেশ করে যে, [[এক্সকিউ২৮]] এর সাথে একটা সুনির্দিষ্ট সংযোগ তো আছে, কিন্তু তার সাথে সাথে এটাও নির্দেশ করা হয় যে, আরো অতিরিক্ত কোনো জিন মানুষের যৌন অভিমুখিতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।<ref name="HamerRiceSciencemeta">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=Hamer DH |লেখক২=Rice G |লেখক৩=Risch N |লেখক৪=Ebers G |শিরোনাম=Genetics and Male Sexual Orientation |সাময়িকী=Science |তারিখ=1999 |খণ্ড=285 |সংখ্যা নং=5429 |পাতা=803 |ডিওআই=10.1126/science.285.5429.803a |ইউআরএল=http://science.sciencemag.org/content/285/5429/803.full |সংগ্রহের-তারিখ=20 March 2016}}</ref> |
||
মুসতানস্কি ও তার সহযোগীরা (২০০৫) হ্যামার (১৯৯৩) ও এইচইউয়ের (১৯৯৫) করা গবেষণার পরিবারের সদস্যদের পুরো জিনোম স্ক্যান করেন। তারা এক্সকিউ২৮ এর সাথে কোনো সংযোগ খুঁজে পান নি।<ref>{{cite journal|vauthors=Mustanski BS, Dupree MG, Nievergelt CM, Bocklandt S, Schork NJ, Hamer DH |title=A genomewide scan of male sexual orientation |journal=Hum. Genet. |volume=116 |issue=4 |pages=272–8 |date=March 2005 |pmid=15645181 |doi=10.1007/s00439-004-1241-4 |url=http://mypage.iu.edu/~bmustans/Mustanski_etal_2005.pdf |format=PDF |deadurl=yes |archiveurl=https://web.archive.org/web/20050415233637/http://mypage.iu.edu/~bmustans/Mustanski_etal_2005.pdf |archivedate=2005-04-15 |df= }}</ref> |
|||
<!--আরো দুই প্যারা আছে--> |
|||
২০১২ সালে ব্যাপক পরিসরে স্বাধীন গ্রুপ কর্তৃক পুরুষ সমকামিতার পিছনে কোনো জিনগত সংযোগ আছে কিনা, অন্বেষণ শুরু করা হয়।<ref name=camb20141117>{{cite journal |vauthors = Sanders AR, Martin ER, Beecham GW, Guo S, Dawood K, Rieger G, Badner JA, Gershon ES, Krishnappa RS, Kolundzija AB, Duan J, Gejman PV, Bailey JM |date = November 2014 |title = Genome-wide scan demonstrates significant linkage for male sexual orientation |url=http://journals.cambridge.org/article_S0033291714002451 |journal=Psychological Medicine |volume = 45 |pages = 1379–88 |doi = 10.1017/S0033291714002451 |pmid = 25399360}}</ref> এই গবেষণাটি করা হয়েছিল ৪০৯ জন স্বতন্ত্র সমকামী যমজ ভাইয়ের উপর। তাদের ৩ লক্ষ [[single-nucleotide polymorphism|একক নিউক্লিওটাইড পলিমরফিজম]] মার্কার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই গবেষণাটি দৃঢ়ভাবে হ্যামারের অন্বেষিত এক্সকিউ২৮ এর গবেষণাটিকে সমর্থন করেছিল। এক্সকিউ২৮ এর সংযোগের পাশাপাশি এটি [[৮ নং ক্রমোজমের]] পেরিসেন্ট্রোমেরিক এলাকার সাথেও পুরুষ সমকামিতার সংযোগ খুঁযে পায়। গবেষকরা সমাপ্তি টানেন এই বলে, "আমাদের গবেষনা থেকে এটাই উপলব্ধ যে, প্রত্যেকটি এলাকার জিনগত প্রকরনই সমকামী পুরুষে মনস্তাত্ত্বিক দিশার ক্রমবিকাশ ঘটায়।" নারীর যৌন অভিমুখিতার সাথে এক্সকিউ২৮ এর সংযোগ খুঁজে পাওয়া যায় নি।<ref name=Huetal95/><ref name="Ngunetal2014">{{cite journal |author1=Ngun TC |author2=Vilain E |title=The Biological Basis of Human Sexual Orientation: Is There a Role for Epigenetics? |journal=Advances in Genetics |date=2014 |volume=86 |pages=167–84 |doi=10.1016/B978-0-12-800222-3.00008-5 |pmid=25172350 |url=http://gaystudies.genetics.ucla.edu/UCLA%20Twin%20Sexual%20Orientation%20Study/Read%20More_files/Ngun.pdf |accessdate=20 March 2016 |publisher=Elsevier Inc. |issn=0065-2660 |series=Advances in Genetics |isbn=9780128002223}}</ref> যদিও এটাই প্রতীয়মান হয় যে, নারীর সমকামিতার সাথেও বংশানুক্রমিক জিনগত কারণ বিদ্যমান।<ref name="Sandersetal2014">{{cite journal |author1=Sanders AR |author2=Martin ER |author3=Beecham GW |author4=Guo S |author5=Dawood K |author6=Rieger G |author7=Badner JA |author8=Gershon ES |author9=Krishnappa RS|author10=Kolundzija AB |author11=Duan J |author12=Gejman PV |author13=Bailey JM |title=Genome-wide scan demonstrates significant linkage for male sexual orientation |journal=Psychol Med |date=2014 |volume=45 |issue=7 |pages=1379–88 |doi=10.1017/S0033291714002451 |pmid=25399360 |publisher=Cambridge University Press}}</ref> |
|||
[[এক্সওয়াই লিঙ্গ-নির্ধারণ ব্যবস্থা|সেক্স ক্রোমোজোমের]] পাশাপাশি সমকামীতায় [[অটোজোম|অটোজোমের]] জিনগত অবদান আছে, এমনটা প্রস্তাব করা হয়। একটি গবেষণায় ৭০০০ জনের অধিক অংশগ্রহণ করেন। এলিস এবং তার সহযোগীরা (২০০৮ সাল) ৭০০০ জনের উপর একটি জরিপ চালান। তারা সমকামী এবং বিষমকামীদের মধ্যে A ব্লাড গ্রুপের আধিক্যের একটা সুনির্দিষ্ট প্রাধান্য দেখতে পান, তারা আরো দেখেন বিষমকামীদের তুলনায় সমকামী নারী-পুরুষদের [[Rh factor|Rh নেগেটিভ]] বেশি। যেহেতু উভয় রক্তের গ্রুপ এবং Rh ফ্যাক্টর জিনগত ভাবে উত্তরাধিকার সুত্রে [[alleles|এলিল]] দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং এলিলের অবস্থান [[৯ নং ক্রোমোজোম (মানবদেহ)|৯ নং ক্রোমোজোম]] ও [[১ নং ক্রোমোজোম (মানবদেহ)|১ নং ক্রোমোজমের]] উপর অবস্থান করছে, তাই এই গবেষণা থেকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া যায়, সমকামিতার সাথে জিন এবং অটোজোমের একটি সম্ভাব্য সংযোগ আছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=Ellis L |লেখক২=Ficek C |লেখক৩=Burke D |লেখক৪=Das S |শিরোনাম=Eye Color, Hair Color, Blood Type, and the Rhesus Factor: Exploring Possible Genetic Links to Sexual Orientation |সাময়িকী=Arch Sex Behav. |তারিখ=2008 |খণ্ড=37 |সংখ্যা নং=1 |পাতাসমূহ=145–9 |ডিওআই=10.1007/s10508-007-9274-0 |pmid=18074215 |issn=1573-2800}}</ref><ref name="AnHomGenetics">{{বই উদ্ধৃতি |লেখক১=Aldo Poiani |শিরোনাম=Animal Homosexuality: A Biosocial Perspective |তারিখ=2010 |প্রকাশক=Cambridge University Press |আইএসবিএন=1139490389 |পাতাসমূহ=55–96}}</ref> |
[[এক্সওয়াই লিঙ্গ-নির্ধারণ ব্যবস্থা|সেক্স ক্রোমোজোমের]] পাশাপাশি সমকামীতায় [[অটোজোম|অটোজোমের]] জিনগত অবদান আছে, এমনটা প্রস্তাব করা হয়। একটি গবেষণায় ৭০০০ জনের অধিক অংশগ্রহণ করেন। এলিস এবং তার সহযোগীরা (২০০৮ সাল) ৭০০০ জনের উপর একটি জরিপ চালান। তারা সমকামী এবং বিষমকামীদের মধ্যে A ব্লাড গ্রুপের আধিক্যের একটা সুনির্দিষ্ট প্রাধান্য দেখতে পান, তারা আরো দেখেন বিষমকামীদের তুলনায় সমকামী নারী-পুরুষদের [[Rh factor|Rh নেগেটিভ]] বেশি। যেহেতু উভয় রক্তের গ্রুপ এবং Rh ফ্যাক্টর জিনগত ভাবে উত্তরাধিকার সুত্রে [[alleles|এলিল]] দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং এলিলের অবস্থান [[৯ নং ক্রোমোজোম (মানবদেহ)|৯ নং ক্রোমোজোম]] ও [[১ নং ক্রোমোজোম (মানবদেহ)|১ নং ক্রোমোজমের]] উপর অবস্থান করছে, তাই এই গবেষণা থেকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া যায়, সমকামিতার সাথে জিন এবং অটোজোমের একটি সম্ভাব্য সংযোগ আছে।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি |লেখক১=Ellis L |লেখক২=Ficek C |লেখক৩=Burke D |লেখক৪=Das S |শিরোনাম=Eye Color, Hair Color, Blood Type, and the Rhesus Factor: Exploring Possible Genetic Links to Sexual Orientation |সাময়িকী=Arch Sex Behav. |তারিখ=2008 |খণ্ড=37 |সংখ্যা নং=1 |পাতাসমূহ=145–9 |ডিওআই=10.1007/s10508-007-9274-0 |pmid=18074215 |issn=1573-2800}}</ref><ref name="AnHomGenetics">{{বই উদ্ধৃতি |লেখক১=Aldo Poiani |শিরোনাম=Animal Homosexuality: A Biosocial Perspective |তারিখ=2010 |প্রকাশক=Cambridge University Press |আইএসবিএন=1139490389 |পাতাসমূহ=55–96}}</ref> |
||
যৌন অভিমুখিতার জীববিজ্ঞান কিছু প্রাণীতেও বিস্তৃতপরিসরে করা হয়েছে। বহুল পরিচিত ফলের মাছি ''[[Drosophila melanogaster|ড্রসোফিলিয়া ম্যালানোগস্টারে]]'', দেখা গিয়েছে, যেসব পুরুষ ফলের মাছি সমলিঙ্গে আকৃষ্ট হয়; তারা যখন বিপরীত লিঙ্গের সাথে যৌনাচারণ করে, তখন সেই নারী ফলের মাছি প্রজননের হার তুলনামুলক বেশি থাকে। এই সংযোগটিকে গবেষকরা জিনগত কারণ বলেই মনে করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ1=Connallon|প্রথমাংশ1=Tim|শেষাংশ2=Clark|প্রথমাংশ2=Andrew G.|শিরোনাম=Evolutionary inevitability of sexual antagonism|সাময়িকী=Proceedings of the Royal Society of London B: Biological Sciences|তারিখ=৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪|খণ্ড=281|পাতাসমূহ=20132123|doi=10.1098/rspb.2013.2123|ইউআরএল=http://rspb.royalsocietypublishing.org/content/281/1776/20132123#ref-3|সংগ্রহের-তারিখ=৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮|ভাষা=en|issn=0962-8452}}</ref> স্তন্যপায়ী প্রাণিতে, কোরিয়া এডভান্সড ইন্সটিউট সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির জিনপ্রকৌশলীর একটি দল নারী ইদুরের যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনে সফল হন। তারা দেখতে পান, ফিউকোস মুটারোটাসে (FucM) জিন ইদুরের প্রজনন স্বভাবের সাথে সম্পৃক্ত; এই জিনটিকে কিছু নারী ইদুর থেকে অপসারণের পর; সেসব নারী ইদুরগুলো অন্য নারী ইদুরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। আর যেসব নারী ইঁদুরে ওই ফিউকোস মুটারোটাসে জিন আছে; তারা পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়।<ref>{{cite journal |pmid=20609214 |year=2010 |last1=Park |first1=D |last2=Choi |first2=D |last3=Lee |first3=J |last4=Lim |first4=DS |last5=Park |first5=C |title=Male-like sexual behavior of female mouse lacking fucose mutarotase |volume=11 |pages=62 |doi=10.1186/1471-2156-11-62 |pmc=2912782 |journal=BMC Genetics}}</ref> |
|||
<!-- আরো এক প্যারা আছে--> |
|||
সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে গবেষকরা বলেন, যৌন অভিমুখিতায় জিনের প্রভাব আছে, কিন্তু জিনই তা নির্ধারণ করে, এমনটা নয়। জিনের প্রভাব এবং জিন নির্ধারক দুইটি কখনো সমতুল্য নয়। ডিন হ্যামার এবং মাইকেল ব্যালী অনুসারে জিন দ্বারা অভিমুখিতা তৈরী হওয়া হচ্ছে, সমকামিতার অনেক গুলো কারণের মধ্যে একটি কারণ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.independent.co.uk/news/the-gay-gene-is-back-on-the-scene-1536770.html |শিরোনাম=The 'gay gene' is back on the scene |প্রথমাংশ=Steve |শেষাংশ=Connor |তারিখ=31 October 1995 |কর্ম=[[The Independent]]}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.telegraph.co.uk/science/science-news/10637532/Being-homosexual-is-only-partly-due-to-gay-gene-research-finds.html |শিরোনাম=Being homosexual is only partly due to gay gene, research finds |প্রথমাংশ=Sarah |শেষাংশ=Knapton |তারিখ=13 February 2014 |কর্ম=The Telegraph |প্রকাশক=[[Telegraph Media Group]]}}</ref> |
সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে গবেষকরা বলেন, যৌন অভিমুখিতায় জিনের প্রভাব আছে, কিন্তু জিনই তা নির্ধারণ করে, এমনটা নয়। জিনের প্রভাব এবং জিন নির্ধারক দুইটি কখনো সমতুল্য নয়। ডিন হ্যামার এবং মাইকেল ব্যালী অনুসারে জিন দ্বারা অভিমুখিতা তৈরী হওয়া হচ্ছে, সমকামিতার অনেক গুলো কারণের মধ্যে একটি কারণ।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.independent.co.uk/news/the-gay-gene-is-back-on-the-scene-1536770.html |শিরোনাম=The 'gay gene' is back on the scene |প্রথমাংশ=Steve |শেষাংশ=Connor |তারিখ=31 October 1995 |কর্ম=[[The Independent]]}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.telegraph.co.uk/science/science-news/10637532/Being-homosexual-is-only-partly-due-to-gay-gene-research-finds.html |শিরোনাম=Being homosexual is only partly due to gay gene, research finds |প্রথমাংশ=Sarah |শেষাংশ=Knapton |তারিখ=13 February 2014 |কর্ম=The Telegraph |প্রকাশক=[[Telegraph Media Group]]}}</ref> |
||
২০১৭ সালে, ''[[Nature (journal)|ন্যাচারে]]'' একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ১০৭৭ জন সমকামী পুরুষ ও ১২৩১ জন বিষমকামী পুরুষের [[genome wide association study|জিনোম ওয়াইড এসোসিয়েশন গবেষনা]] করা হয়। এই গবেষণায় দুটি সুনির্দিষ্ট জিনকে পুরুষের সমকামীতার জন্য দায়ী করা হয়েছে। [[ ১৩ নং ক্রমোজম| ১৩ নং ক্রমোজমে]] প্রাপ্ত একটি জিনের নাম '''এসএলআইটিআরকে৬''' (SLITRK6) জিন। এই জিনটি [[ডিএনএ]]র যে পুনর্বিন্যাস (সিকোয়েন্স) ধারণ করে; তা সমকামী পুরুষ ও বিষমকামী পুরুষে ভিন্ন।<ref name="Nature21">{{cite journal |last1=Sanders |first1=Alan R. |last2=Beecham |first2=Gary W. |last3=Guo |first3=Shengru |last4=Dawood |first4=Khytam |last5=Rieger |first5=Gerulf |last6=Badner |first6=Judith A. |last7=Gershon |first7=Elliot S. |last8=Krishnappa |first8=Ritesha S. |last9=Kolundzija |first9=Alana B. |last10=Duan |first10=Jubao |last11=Gejman |first11=Pablo V. |last12=Bailey |first12=J. Michael |last13=Martin |first13=Eden R. |title=Genome-Wide Association Study of Male Sexual Orientation |journal=Scientific Reports |date=December 2017 |volume=7 |issue=1 |doi=10.1038/s41598-017-15736-4 |url=https://www.nature.com/articles/s41598-017-15736-4 |accessdate=18 August 2018 |language=En |issn=2045-2322}}</ref> এই গবেষণাটি পুর্বোক্ত আরো একটি গবেষণা প্রতিবেদনকে সমর্থন করে। [[Simon levay|সাইমন লিভ্যে]] কর্তৃক করা গবেষণাটিতে দেখা গিয়েছে সমকামী পুরুষের [[hypothalamus|হাইপোথ্যালামাস]] বিষমকামী পুরুষ থেকে ভিন্ন।<ref>{{cite journal |last1=LeVay |first1=S. |title=A difference in hypothalamic structure between heterosexual and homosexual men |journal=Science |date=30 August 1991 |volume=253 |issue=5023 |pages=1034–1037 |pmid=1887219 |url=https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/1887219 |accessdate=18 August 2018 |issn=0036-8075}}</ref> এই এসএলআইটিআরকে৬ জিনটি হাইপোথ্যালামাসের মধ্যমস্তিষ্কে সক্রিয়। গবেষকরা আরো একটি জিন খুঁজে পান, যার নাম "'থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন রিসেপ্টর'" (TSHR)। এই জিনটি [[১৪ নং ক্রমোজোম|১৪ নং ক্রমোজমে]] অবস্থিত। এর ডিএনএ পুনর্বিন্যাস সমকামী পুরুষে বিষমকামী পুরুষ থেকে ভিন্ন।<ref name="Nature21" /> থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন রিসেপ্টর [[থাইরয়েড|থাইরয়েডকে]] উদ্দীপ্ত করে এবং [[grave disease|গ্রেভ রোগ]] টিএসএইচআর এর কার্যক্রম ব্যাহত করে। পূর্বে করা গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে যে, গ্রেভ রোগ সমকামী পুরুষে; বিষমকামী পুরুষের তুলনায় বেশি দেখা যায়।<ref name=nielsen2013>{{cite journal |last1=Frisch |first1=Morten |last2=Nielsen |first2=Nete Munk |last3=Pedersen |first3=Bo Vestergaard |title=Same-sex marriage, autoimmune thyroid gland dysfunction and other autoimmune diseases in Denmark 1989-2008 |journal=European Journal of Epidemiology |date=2013 |volume=29 |issue=1 |pages=63–71 |doi=10.1007/s10654-013-9869-9 |url=https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/24306355 |issn=1573-7284 |accessdate=18 August 2018}}</ref>গবেষণা থেকে এটাও দেখা গিয়েছে, গড়পরতায় সমকামী পুরুষের ওজম বিষমকামীদের তুলনায় কম হয়। অনুমান করা হয়, টিএইচএসআর অতিসক্রিয়তার জন্যই সমকামী পুরুষে ওজন হ্রাস পায়।<ref>{{cite journal |title=Determinants of body weight among men of different sexual orientation |journal=Preventive Medicine |date=1 August 2010 |volume=51 |issue=2 |pages=129–131 |doi=10.1016/j.ypmed.2010.05.010 |url=https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/s0091743510001854 |language=en |issn=0091-7435 |accessdate=18 August 2018}}</ref><ref>{{cite journal |last1=Blanchard |first1=Ray |last2=Bogaert |first2=Anthony F. |title=Biodemographic comparisons of homosexual and heterosexual men in the kinsey interview data |journal=Archives of Sexual Behavior |date=December 1996 |volume=25 |issue=6 |pages=551–579 |doi= 10.1007/BF02437839 }}</ref> |
|||
=== এপিজিনেটিক গবেষণা === |
=== এপিজিনেটিক গবেষণা === |
১৯:৫০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
যৌন অভিমুখিতা |
---|
যৌন অভিমুখিতাসমূহ |
যৌনদ্বৈততা-বিহীন বিষয়শ্রেণী |
গবেষণা |
অ-মানব প্রাণী |
সমকামিতার সাথে জীববিজ্ঞানের সম্পর্ক বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষ উভয়ের নিকট সমভাবে কৌতূহলের বিষয় হলেও এখনো পর্যন্ত দুইয়ের মধ্যে নিশ্চিত কার্যকারণ সূত্র আবিষ্কৃত হয় নি। সমকামিতার সাথে বিজ্ঞান বিশেষ করে জীববৈজ্ঞানিক (প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে জীববিজ্ঞান ও যৌন অভিমুখিতা বলা হয়) সম্পর্ক আছে কী নেই, থাকলে কতটুকু আছে - তা নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে। একজন মানুষ কেন সমলিঙ্গের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করে তার কোনো একক নির্ণায়ক (জিন, হরমোন ইত্যাদি) এখনো অবধি কোনো গবেষণায়র মাধ্যমে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় নি। এখনো পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস সমলিঙ্গের প্রতি যৌনাকর্ষণের পেছনে সামাজিক নির্ণায়ক (social factor) ও জীববৈজ্ঞানিক উভয়বিধ কারণ যুগপৎ সক্রিয়। মানুষের স্বভাব গঠনে ক্রিয়াশীল জিন ও হরমোন এবং সামাজিক নির্ণায়কসমূহ (social factor) মিশ্রিতভাবে এই যৌন অভিমুখিতা নির্ধারণ করে থাকে বলে বিজ্ঞানীগণ মত দিয়েছেন।[১][২][৩] একটি অনুকল্প মতে, অন্তত পুরুষের ক্ষেত্রে সে সমকামী না বিষমকামী হবে তা নির্ধারণ জন্মের পরে পরিবেশ করবে; সে সম্ভাবনা দুর্বল।[৪]
যৌন অভিমুখিতা ব্যাখার ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞানের তত্ত্বসমূহ বেশ জনপ্রিয়।[১] এতে বংশানুক্রমিক বিষয়ের (genetic factor) জটিল অন্তক্রিয়া সহ মস্তিষ্ক এবং মাতৃগর্ভকালীন প্রাথমিক জীবনের পরিবেশ (early uterine environment) নিয়েও আলোচনা করা হয়।[৫] এই বিষয়গুলো জিন, জন্মপূর্বে মার্তৃগর্ভে হরমোন এবং মস্তিষ্কের গঠনের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং ব্যক্তির বিষমকামী, সমকামী, উভকামী ও নিষ্কামী যৌন-অভিমুখিতা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
গবেষণা
যমজ পরীক্ষা
বিভিন্ন সময় যৌন অভিমুখিতা নিয়ে গবেষণা করতে যমজদের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এই পরীক্ষাগুলো মূলত পরিবেশগত ও জিনগত কারণ তুলনা করার জন্য করা হয়ে ছিল। ১৯৯১ সালের এক গবেষণায় বেইলি ও পিলার্ড দেখেন যে যমজদের মাঝে ৫২ শতাংশ অভিন্ন যমজ ভাই (আইডেন্টিকাল বা মনোজাইগোটিক যমজ ভাই) ও ২২ শতাংশ ভিন্ন যমজেরা (ফ্র্যাটারনাল টুইন বা ডআইজাইগোটিক টুইন) সমকামিতার জন্য কনকরডেন্স দেখায়। অর্থাৎ যমজের ক্ষেত্রে একজনের মধ্যে সমকামিতা থাকলে তার অভিন্ন যমজ ভাই এর মধ্যে সমকামিতা থাকার সম্ভাবনা ৫২ শতাংশ এবং ভিন্ন যমজের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা ২২ শতাংশ। উল্লেখ্য, তাঁরা গবেষণার জন্য "হোমোফাইল পাবলিকেশন্স" থেকে যমজদের নিয়োগ করেন। এদের মাঝে ৫৯ জনকে প্রশ্নোত্তর করা হয়েছিল।[৬] মনোজাইগোটিক বলতে একই রকম সেটের জিন থাকা অভিন্ন বা আইডেন্টিকাল যমজ নির্দেশ করে, এবং ডাইজাইগোটিক দ্বারা ভিন্ন বা ফ্রাটারনাল যমজের প্রতি ইঙ্গিত করে হয় যেখানে জিনগুলো অযমজ ভাইদের মতই অনেকটা ভিন্ন হয়। ৬১ জোড়া যমজদের মাঝে, গবেষকরা লক্ষ করেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষেরা (৬৬% মনোজাইগোটিক যমজ এবং ৩০% ডাইজাইগোটিক যমজ) সমকামী কনকরডেন্স (একজনের মধ্যে সমকামিতা থাকলে আরেকজনের মধ্যে সমকামিতা থাকার হার) দেখায়।[৭] ২০০০ সালে বেইলিতে ডুন এবং মার্টিন ৪,৯০১ জন অস্ট্রেলিয়ান যমজদের মাঝে গবেষণা করে রিপোর্ট করেন যে, এই বিশাল দলের অর্ধেকের চেয়ে কম মানুষ একমত প্রকাশ করেন।[৮] সমমত প্রকাশকারীদের মাঝে ২০% পুরুষ অভিন্ন যমজ এবং ২৪% নারী অভিন্ন যমজ বা মনোজাইগোটিক যমজ।
বেয়ারম্যান ও ব্রুকনার (২০০২) সালে আগের গবেষণাগুলোর সমালোচনা করেন সেগুলোর ছোটখাটো এবং সনাক্তকৃত স্যাম্পল বাছাই[৯] এবং গবেষনার বিষয়ে নন-রিপ্রেজেন্টেটিভ বাছাই করার জন্য।[১০] তাঁরা ২৮৯ জোড়া অভিন্ন এবং ৪৯৫ জোড়া ভিন্ন যমজের মাঝে পরীক্ষা চালিয়ে শুধুমাত্র ৭.৭% পুরুষ এবং ৫.৩% নারীর মধ্যে সমকামিতার কনকরডেন্স খুঁজে পান। আর এই প্যাটার্ন নিশ্চিত করে না, যে জিনগত প্রভাব সামাজিক বিষয়ের প্রতি অনির্ভরশীল।[৯] অর্থাৎ, তাদের মতে যমজ নিয়ে গবেষণা এটা নির্দেশ করতে পারে না যে যমজ নিয়ে গবেষণায় যে কনকরডেন্স এর মাধ্যমে যৌন অভিমুখিতার কারণ হিসেবে জিনগত ভিত্তি পাওয়া যায় তার উপর সামাজিক কোন প্রভাব নেই। তাদের মতে এখানে জেনেটিক্স ছাড়াও সামাজিক প্রভাব কাজ করতে পারে।
২০১০ সালে সুইডেনের প্রাপ্ত বয়স্ক যমজদের ( ৭৬০০ এরও বেশি)[১১] গবেষণা করে পাওয়া যায় যে সমকামী আচরণকে জিনগত এবং ব্যক্তি-নির্দিষ্ট পরিবেশগত উৎস্য (individual-specific environmental sources) (যেমন মায়ের গর্ভে থাকাকালীন অবস্থা, অসুস্থতা বা ট্রমা, যৌন অভিজ্ঞতা) দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়, যেখানে বণ্টিত পরিবেশের (shared-environment) ভেরিয়েবলগুলোর প্রভাব যেমন পারিবারিক পরিবেশ, সামাজিক প্রবণতা এক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে দুর্বল হলেও গুরূত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। নারীরা পরিসংখ্যানগত দিক থেকে বংশগত বা জিনগত প্রভাবের (hereditary effects) দুর্বল প্রভাবের দিকে খুব একটা প্রভাবিত হয় না, অন্যদিকে পুরুষদেরকে বণ্টিত পরিবেশগত প্রভাবে (shared environmental effects) প্রভাবিত হতে দেখা যায় না। তবে এই পরীক্ষার ফল বেশ সমালোচনার স্বীকার হয় কেননা স্বেচ্ছাসেবকেরা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক ছিল। তাই এখানে বেশি পরিমাণে সমকামী যমজ অংশগ্রহণ করার একটা সাম্ভাব্য পক্ষপাত কাজ করতে পারে;
বায়োমেট্রিক মডেলিং এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, পুরুষের মধ্যে যৌন অভিমুখিতার ভেরিয়েন্সের ০.৩৪ - ০.৩৯ অংশ জিনগত প্রভাব, ০.০০ অংশ বণ্টিত পরিবেশ (shared environment) এবং ০.৬১-০.৬৬ অংশ ব্যক্তি-নির্দিষ্ট পরিবেশ (individual-specific environment) দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়। এক্ষেত্রে নারীদের মধ্যে জিনগত প্রভাব দেখা যায় ০.১৮ - ০.১৯, বণ্টিত পরিবেশের প্রভাব ০.১৬ - ০.১৭ অংশ এবং ব্যক্তি-নির্দিষ্ট পরিবেশের প্রভাব দেখা যায় ০.৬৪-০.৬৬ অংশ। যদিও একটি বিস্তৃত কনফিডেন্স ব্যাপ্তি (confidence interval) সতর্ক ব্যাখ্যা নির্দেশ করে, এই ফলাফলটি সমকামী আচরণের ক্ষেত্রে প্রাথমিক জিনগত প্রভাব ও পারিবারিক (familial) প্রভাব এর মাঝারি প্রভাব এবং অ-বণ্টিত পরিবেশের (nonshared environment (social and biological)) মাঝারি থেকে বড় প্রভাব এর সাথে সামঞ্জস্যতা দেখায়।[১২]
উল্লেখ্য, আমাদের আচরণকে আমাদের জিন এবং পরিবেশ প্রভাবিত করে। যে পরিবেশ আমাদেরকে প্রভাবিত করে তা মূলত দুই রকম হয়। এগুলো হচ্ছে বণ্টিত পরিবেশ (Shared environment) এবং অ-বণ্টিত পরিবেশ (Non-shared environment)। বণ্টিত পরিবেশ বলতে পরিবেশের সেইসব প্রভাব বোঝানো হয় যা বিভিন্ন সদস্যকেই প্রভাবিত করে। আবার একই বাড়িতে ভাইদের মধ্যে (যমজ বা অযমজ) মধ্যে যে প্রভাবের ফলে একই উন্নয়নগত ও অন্যান্য ফলাফল দেখা যায় তাকেও বণ্টিত পরিবেশ, বিশেষ করে পারিবারিক বণ্টিত পরিবেশ (familial shared environment) বলে। অন্যদিকে পরিবেশের যে বিষয়গুলো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকেই প্রভাবিত করে তবে তাকে অ-বণ্টিত পরিবেশ (Non-shared environment) বলে। আবার পরিবেশের যে প্রভাব একই বাড়িতে ভাইদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব ঘটায় তাকেও অ-বণ্টিত পরিবেশ বলে। অ-বণ্টিত পরিবেশকে ব্যক্তি-নির্দিষ্ট পরিবেশও (individual-specific environment) বলা হয়।[১৩][১৪]
সমালোচনা
যমজ পরীক্ষা অনেক ভাবেই সমালোচিত হয়েছে। এই পরীক্ষাগুলো বিশেষ করে নিজস্ব ইচ্ছামতো সনাক্তকরণ প্রবণতার দোষে দূষণীয়। দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত সমকামীদের যমজ ভাই বোন রয়েছে, তারাই এই গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশ নিয়েছে। এতে করে, অভিন্ন যমজদের যৌন অভিমুখিতার পার্থক্য গড়তে শুধুমাত্র জিনগত বৈশিষ্ট্যই একক ভাবে দায়ী না হওয়ার সম্ভাবনা সুনিশ্চিত হয়।[১৫]
আরেকটি লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, মনোজাইগোটিক যমজেরা ভিন্ন হতে পারে। ভিন্ন গঠনপদ্ধতির কারণে মনোজাইগোটিক যমজেরা সমকামি প্রবণতা না দেখানোর সম্ভাবনা রয়ে যায়। গ্রিঙ্গাস ও চেন (২০০১) একটি গঠনপদ্ধতির বর্ননা করেন যা মনোজাইগোটিক যমজদের মাঝে মায়ের গর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় একই প্লাসেন্টা ভাগাভাগি করে কিনা এর ভিত্তিতে পার্থক্যকে তুলে ধরে।[১৬] যেসব যমজেরা মাতৃগর্ভে একই প্লাসেন্টা ভাগাভাগি করে না, তাদের হরমনগত পরিবেশ ভিন্ন হয়। এতে তাদের মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ভিন্নভাবে ঘটার সুযোগ থাকে। অন্যদিকে একই প্লাসেন্টা ভাগাভাগি কয়ারী অভিন্ন যমজেরা একই ধরনের হরমনগত পরিবেশে বড় হয়। অবশ্য এক্ষেত্রে যমজদের মাঝে "ট্রান্সফিউশন সিন্ড্রোম" দেখা দিতে পারে।[১৭]
ক্রোমোজমের সাথে সংযোগ
যৌন অভিমুখিতায় ক্রোমোজমের সংযোগ আছে কিনা এ সংক্রান্ত গবেষণা গুলো ইঙ্গিত করে; জিনোমে বিদ্যমান অসংখ্য জেনেটিক ফ্যাক্টর অভিমুখিতায় প্রভাব ফেলে। ১৯৯৩ সালে ডিন হ্যামার এবং তার সহ-গবেষকরা ৭৬ জন পুরুষ সমকামি ভাই এবং তাদের পরিবারের উপর গবেষণা করে একটি সংযোগ খুঁজে পাওয়ার দাবী করে তা প্রকাশ করেন ।[১৮] হ্যামার দেখতে পান যারা সমকামী পুরুষ, তাদের মামা, মামাত ভাইরাই; চাচা চাচাতো ভাইদের তুলনায় অধিক সমকামী। অর্থাৎ, মায়ের দিকের আত্মীয়রাই, পিতার দিকের আত্মীয়দের তুলনায় অধিক বেশি সমকামী। হ্যামার ভাবলেন, যেহেতু সংযোগটা মায়ের দিক এসেছে; তাই জিনগত পার্থক্য থেকে থাকলে; এই পার্থক্য এমন একটা ক্রমোজমে থাকবে যা পিতা বা পুরুষে; মায়ের (নারী) চেয়ে ভিন্ন। আর নারী ও পুরুষে পার্থক্য সুচক ক্রোমোজমের নাম হলো এক্স-ওয়াই ক্রমোজোম। একজন নারী এক্স-এক্স ক্রোমোজম ও একজন পুরুষ এক্স-ওয়াই ক্রোমোজম বহন করে। তাই তিনি যে সব সমকামী ভাইদের মধ্যে এরকম দেখা গিয়েছিল, তাদেরকে এক্স ক্রোমোজমের ২২ তম মার্কার ব্যবহার করে একই রকম এলিলের জন্য এক্স ক্রোমোজমের সংযোগ পরীক্ষা করা হয়েছিল। অন্য আরেক গবেষণায় ৪০ জোড়ার মধ্যে পরীক্ষা করায় ৩৩ জোড়ার মধ্যে এক্সকিউ২৮ এর দূরবর্তী এলাকায় একই রকম এলিল খুজে পাওয়া গিয়েছিল, যা কাকা-কাকাতো ভাইদের তুলনায় বেশি ছিল। এই বিষয়টাই গণমাধ্যমে "সমকামী জিন'" খুজে পাওয়া গিয়েছে এই মর্মে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে শিরোনাম হয়েছিল। স্যান্ডার্স এবং তার সহযোগীরা ১৯৯৮ সালে একইরূপ গবেষণায় দেখতে পান, মামা-মামাতো ভাইদের দিক থেকে ১৩% সমকামী হয়, যেখানে চাচা-চাচাতো ভাইদের দিক থেকে ৬% সমকামী হয়।[১৯]
এইচইউ এবং তার সহযোগীদের দ্বারা পরবর্তী আরেকটি গবেষণায় এই গবেষণাটি পুনঃউৎপাদন করা হয়, এবং আগের উপাত্তকে সংশোধন করা হয়। এই গবেষণাটি- ৬৭% সমকামী ভাই; এক্স ক্রোমোজোমে(মাতা থেকে প্রাপ্ত) এক্সকিউ২৮ এ সম্পৃক্ত স্যম্পল শেয়ার করে, এটাই দেখায়।[২০] অন্য দুইটি স্টাডি (ব্যালী এবংতার সহযোগী, ১৯৯৯; এমসিকেনাইট এবং মালকম, ২০০০) ব্যর্থ হয়েছিল, মাতার দিক থেকে সমকামী ভাইদের মধ্যে সম্পর্ক আছে বলে যে দাবী করা হয়েছিল, সেই দাবীকে প্রমাণ করতে।[১৯] রাইস এবং তার সহযোগীরা ১৯৯৯ সালে এক্সকিউ ২৮ এর সংযোগ সংক্রান্ত গবেষণাকে পুনরুৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়।[২১] সকল ধরনের তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে বৃহত্তর বিশ্লেষণ গুলো এটাই নির্দেশ করে যে, এক্সকিউ২৮ এর সাথে একটা সুনির্দিষ্ট সংযোগ তো আছে, কিন্তু তার সাথে সাথে এটাও নির্দেশ করা হয় যে, আরো অতিরিক্ত কোনো জিন মানুষের যৌন অভিমুখিতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।[২২]
মুসতানস্কি ও তার সহযোগীরা (২০০৫) হ্যামার (১৯৯৩) ও এইচইউয়ের (১৯৯৫) করা গবেষণার পরিবারের সদস্যদের পুরো জিনোম স্ক্যান করেন। তারা এক্সকিউ২৮ এর সাথে কোনো সংযোগ খুঁজে পান নি।[২৩]
২০১২ সালে ব্যাপক পরিসরে স্বাধীন গ্রুপ কর্তৃক পুরুষ সমকামিতার পিছনে কোনো জিনগত সংযোগ আছে কিনা, অন্বেষণ শুরু করা হয়।[২৪] এই গবেষণাটি করা হয়েছিল ৪০৯ জন স্বতন্ত্র সমকামী যমজ ভাইয়ের উপর। তাদের ৩ লক্ষ একক নিউক্লিওটাইড পলিমরফিজম মার্কার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই গবেষণাটি দৃঢ়ভাবে হ্যামারের অন্বেষিত এক্সকিউ২৮ এর গবেষণাটিকে সমর্থন করেছিল। এক্সকিউ২৮ এর সংযোগের পাশাপাশি এটি ৮ নং ক্রমোজমের পেরিসেন্ট্রোমেরিক এলাকার সাথেও পুরুষ সমকামিতার সংযোগ খুঁযে পায়। গবেষকরা সমাপ্তি টানেন এই বলে, "আমাদের গবেষনা থেকে এটাই উপলব্ধ যে, প্রত্যেকটি এলাকার জিনগত প্রকরনই সমকামী পুরুষে মনস্তাত্ত্বিক দিশার ক্রমবিকাশ ঘটায়।" নারীর যৌন অভিমুখিতার সাথে এক্সকিউ২৮ এর সংযোগ খুঁজে পাওয়া যায় নি।[২০][২৫] যদিও এটাই প্রতীয়মান হয় যে, নারীর সমকামিতার সাথেও বংশানুক্রমিক জিনগত কারণ বিদ্যমান।[২৬]
সেক্স ক্রোমোজোমের পাশাপাশি সমকামীতায় অটোজোমের জিনগত অবদান আছে, এমনটা প্রস্তাব করা হয়। একটি গবেষণায় ৭০০০ জনের অধিক অংশগ্রহণ করেন। এলিস এবং তার সহযোগীরা (২০০৮ সাল) ৭০০০ জনের উপর একটি জরিপ চালান। তারা সমকামী এবং বিষমকামীদের মধ্যে A ব্লাড গ্রুপের আধিক্যের একটা সুনির্দিষ্ট প্রাধান্য দেখতে পান, তারা আরো দেখেন বিষমকামীদের তুলনায় সমকামী নারী-পুরুষদের Rh নেগেটিভ বেশি। যেহেতু উভয় রক্তের গ্রুপ এবং Rh ফ্যাক্টর জিনগত ভাবে উত্তরাধিকার সুত্রে এলিল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং এলিলের অবস্থান ৯ নং ক্রোমোজোম ও ১ নং ক্রোমোজমের উপর অবস্থান করছে, তাই এই গবেষণা থেকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া যায়, সমকামিতার সাথে জিন এবং অটোজোমের একটি সম্ভাব্য সংযোগ আছে।[২৭][২৮]
যৌন অভিমুখিতার জীববিজ্ঞান কিছু প্রাণীতেও বিস্তৃতপরিসরে করা হয়েছে। বহুল পরিচিত ফলের মাছি ড্রসোফিলিয়া ম্যালানোগস্টারে, দেখা গিয়েছে, যেসব পুরুষ ফলের মাছি সমলিঙ্গে আকৃষ্ট হয়; তারা যখন বিপরীত লিঙ্গের সাথে যৌনাচারণ করে, তখন সেই নারী ফলের মাছি প্রজননের হার তুলনামুলক বেশি থাকে। এই সংযোগটিকে গবেষকরা জিনগত কারণ বলেই মনে করেন।[২৯] স্তন্যপায়ী প্রাণিতে, কোরিয়া এডভান্সড ইন্সটিউট সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির জিনপ্রকৌশলীর একটি দল নারী ইদুরের যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনে সফল হন। তারা দেখতে পান, ফিউকোস মুটারোটাসে (FucM) জিন ইদুরের প্রজনন স্বভাবের সাথে সম্পৃক্ত; এই জিনটিকে কিছু নারী ইদুর থেকে অপসারণের পর; সেসব নারী ইদুরগুলো অন্য নারী ইদুরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। আর যেসব নারী ইঁদুরে ওই ফিউকোস মুটারোটাসে জিন আছে; তারা পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়।[৩০]
সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে গবেষকরা বলেন, যৌন অভিমুখিতায় জিনের প্রভাব আছে, কিন্তু জিনই তা নির্ধারণ করে, এমনটা নয়। জিনের প্রভাব এবং জিন নির্ধারক দুইটি কখনো সমতুল্য নয়। ডিন হ্যামার এবং মাইকেল ব্যালী অনুসারে জিন দ্বারা অভিমুখিতা তৈরী হওয়া হচ্ছে, সমকামিতার অনেক গুলো কারণের মধ্যে একটি কারণ।[৩১][৩২]
২০১৭ সালে, ন্যাচারে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ১০৭৭ জন সমকামী পুরুষ ও ১২৩১ জন বিষমকামী পুরুষের জিনোম ওয়াইড এসোসিয়েশন গবেষনা করা হয়। এই গবেষণায় দুটি সুনির্দিষ্ট জিনকে পুরুষের সমকামীতার জন্য দায়ী করা হয়েছে। ১৩ নং ক্রমোজমে প্রাপ্ত একটি জিনের নাম এসএলআইটিআরকে৬ (SLITRK6) জিন। এই জিনটি ডিএনএর যে পুনর্বিন্যাস (সিকোয়েন্স) ধারণ করে; তা সমকামী পুরুষ ও বিষমকামী পুরুষে ভিন্ন।[৩৩] এই গবেষণাটি পুর্বোক্ত আরো একটি গবেষণা প্রতিবেদনকে সমর্থন করে। সাইমন লিভ্যে কর্তৃক করা গবেষণাটিতে দেখা গিয়েছে সমকামী পুরুষের হাইপোথ্যালামাস বিষমকামী পুরুষ থেকে ভিন্ন।[৩৪] এই এসএলআইটিআরকে৬ জিনটি হাইপোথ্যালামাসের মধ্যমস্তিষ্কে সক্রিয়। গবেষকরা আরো একটি জিন খুঁজে পান, যার নাম "'থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন রিসেপ্টর'" (TSHR)। এই জিনটি ১৪ নং ক্রমোজমে অবস্থিত। এর ডিএনএ পুনর্বিন্যাস সমকামী পুরুষে বিষমকামী পুরুষ থেকে ভিন্ন।[৩৩] থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন রিসেপ্টর থাইরয়েডকে উদ্দীপ্ত করে এবং গ্রেভ রোগ টিএসএইচআর এর কার্যক্রম ব্যাহত করে। পূর্বে করা গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে যে, গ্রেভ রোগ সমকামী পুরুষে; বিষমকামী পুরুষের তুলনায় বেশি দেখা যায়।[৩৫]গবেষণা থেকে এটাও দেখা গিয়েছে, গড়পরতায় সমকামী পুরুষের ওজম বিষমকামীদের তুলনায় কম হয়। অনুমান করা হয়, টিএইচএসআর অতিসক্রিয়তার জন্যই সমকামী পুরুষে ওজন হ্রাস পায়।[৩৬][৩৭]
এপিজিনেটিক গবেষণা
এই নিবন্ধটিতে একজন বিশেষজ্ঞের মনোযোগ প্রয়োজন। |
এই নিবন্ধটির রচনা সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ ব্যাকরণ, রচনাশৈলী, বানান বা বর্ণনাভঙ্গিগত সমস্যা রয়েছে। |
এই নিবন্ধটি উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন। মূল সমস্যা হল: এখানে বলা হয়েছে বৈশিষ্ট্য গোপন করা হয়, ঠিক কী গোপন করা হয়, তা বিস্তারিত বর্ননা করা প্রয়োজন। |
একটি গবেষণায় দেখা যায়, মায়ের জিনগত গঠন ও সমকামিতার সাথে পুত্রের যৌন অভিমুখিতার সম্পর্ক রয়েছে। নারীদের দুটি এক্স (X) ক্রোমোজোম আছে। এর মাঝে একটি "সুইচড অফ" বা নিষ্ক্রীয় যার ফলে কিছু স্বভাবী বৈশিষ্ট্য সুপ্ত অবস্থায় থাকে। ভ্রুণাবস্থায় এক্স ক্রোমোজোমের এই বৈশিষ্ট্য না-দেখানোর প্রবণতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ অধারাবাহিকভাবে ঘটে। বকল্যান্ড এবং সহগবেষকবৃন্দ (২০০৬) জানিয়েছেন যে, সমকামি পুরুষদের মায়েদের এক্স ক্রোমোজোম অসমকামি পুরুষদের মায়েদের এক্স ক্রোমোজোমের চেয়ে অনেক বেশি তীব্রভাবে বৈশিষ্ট্য গোপন করে। ১৬ শতাংশ একজন সমকামি পুরুষের মা ও ২৩ শতাংশ দুই জন সমকামি পুরুষের মায়েরা এক্স ক্রোমোজোমের এই তীব্রতা দেখায়। অন্যদিকে সমকামি নয় এরকম পুরুষদের মায়ের ক্ষেত্রে এই হার ৪ শতাংশ মাত্র।[৩৮]
জন্মসূত্রে
ব্ল্যানচার্ড (Blanchard) এবং ক্ল্যাসেন (Klassen) (১৯৯৭ সালে) গবেষণা করে বলেছেন, যদি পরিবারে বড় ভাই থাকে, তাহলে প্রত্যেক বড় ভাইয়ের জন্য ছোট ভাইয়ের সমকামী হবার সম্ভাবনা দাড়ায় ৩৩%।[৩৯][৪০] এখন পর্যন্ত এটিই "যৌন অভিমুখিতা নিয়ে হওয়া গবেষণায় প্রাপ্ত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এপিডেমিওলজিকাল ভেরিয়াবল"।[৪১] এটাকে যদি ব্যাখ্যা করতে হয়, তাহলে এটা বলা যায় যে, মার্তৃজঠরে পুরুষের ভ্রুণ তৈরী হওয়ার সময় মায়ের ইমিউন সিস্টেম (রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা) সক্রিয় হয়ে উঠে, এবং ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেকে পুরুষের ভ্রুণ তৈরী হওয়ার সাথে সাথে প্রত্যেকবার মাতৃ ইমিউন সিস্টেম আগেরবারের চেয়ে অধিক শক্তিশালী হয়ে উঠে। গর্ভকালীন সময়ে এই মাতৃ রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থাপক অনুকল্প (maternal immunization hypothesis) (MIH) মতে, এ অবস্থা শুরু হয়, যখন পুরুষ ভ্রুণ এর কোষ মায়ের মাসিকচক্রে প্রবেশ করে অথবা মা যখন সন্তানকে জন্ম দেয়।[৪২] পুরুষ ভ্রুণ উৎপন্ন করে এইচ-ওয়াই এন্টিজেন যা নিশ্চিতভাবে ভার্টিব্রাটা পর্বের প্রাণীর লিঙ্গ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। এই ওয়াই লিঙ্কড প্রোটিনটিকে (যেহেতু এটা পুরুষের) মায়ের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা চিনতে পারে না, কারণ তিনি একজন নারী। এর কারণে তার এন্টিবডি; যা তার অমরার দেয়াল ধরে চলাফেরা করে, তা (এন্টিবডির) ভ্রুণের এর প্রকোষ্ঠে ক্রমবিকশিত হয়। এখান থেকে এন্টি মেল বডি ভ্রুণীয় মস্তিষ্কের উন্নয়নের ব্লাড/ব্রেইন ব্যারিয়ার (BBB) অধিক্রমণ করে। এতে যৌন অভিমুখীতার সাথে সম্পর্কিত যৌন দ্বিমরফিক মস্তিষ্কের গঠনে (sex-dimorphic brain structures) পরিবর্তন আসে। যার ফলে ছেলে সন্তানের জন্মের পর নারীর তুলনায়; তার পুরুষের প্রতি আকর্ষণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।[৪২] মায়ের এইচ-ওয়াই এন্টিবডি; এইচ-ওয়াই এন্টিজেনকে মনে রাখে, তার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখায়। ফলে পরবর্তীতে তৈরী হওয়া প্রতিটি পুরুষ ভ্রুণ এইচ-ওয়াই এন্টিবডি দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই এইচ-ওয়াই এন্টিজেনের পুরুষ ভ্রুণের মস্তিষ্কে পুরুষের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করার কথা, যা মায়ের এইচ ওয়াই এন্টিবডি কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়।[৩৯]
যাইহোক এই 'মাতৃ রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রকল্প' সমালোচিত, কারণ সমকামিতা বা সমকামীর আধিক্যের তুলনায়, এই ভাবে রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা আক্রমণের সংখ্যার যে হিসাব (যেটা প্রস্তাব করা হয়েছে) তা বিরল, অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যারা পুরুষ সমকামী হয়, তাদের বড় ভাই নেই।[৪৩]
যাইহোক, "জন্মসুত্রে ভ্রার্তৃসম্পর্কিত প্রভাব" ৭১-৮৫ শতাংশ পুরুষের সমকামী হওয়ার পিছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে পারে না।[৪৪] অধিকন্তু, এটি ব্যাখ্যা করতে পারে না কেন প্রথম ছেলে সন্তানের মধ্যে সমকামিতা দেখা যায়।[৪৫]
২০১৭ সালে গবেষকরা, অধিক বড় ভাই থাকলে, কেন ছেলে সন্তানে সমকামিতা দেখা যায় এরুপ একটি জৈব কৌশল আবিষ্কার করেন। তারা মনে করেন, নিউরোলিজিন ৪-ওয়াই লিঙ্কড প্রোটিন এরুপ ভুমিকা পালন করে। তারা দেখতে পান, নারীর পুরুষের তুলনায় অধিক এন্টি- নিউরোলিজিন-৪-ওয়াই লেভেল থাকে। গবেষণা থেকে আরো দেখা যায়, ছেলে সমকামী ও তার অগ্রজ আছে এরুপ মায়ের এন্টি- নিউরোলিজিন-৪-ওয়াই এর স্তর; বিষমকামী সন্তান থাকা মায়ের চেয়ে বেশি।[৪৬]
নারীর উর্বরতা
২০০৪ সালে, ইটালির বিজ্ঞানীরা ৪,৬০০ মানুষের উপর একটি গবেষণা চালান। এরা ৯৮ জন সমকামী ও ১০০ জন বিসমকামী পুরুষের আত্মীয় ছিলেন। সমকামী পুরুষের নারী আত্মীয়দের তুলনামূলক বেশি সন্তানসন্ততি আছে বলে পরিলক্ষিত হয়। সমকামী পুরুষের নারী আত্মীয়দের অধিক সন্তানসন্ততি থাকার পাশাপাশি; সমকামী পুরুষের মায়ের দিককার আত্মীয়দের (যেমনঃ মাসি/খালা); সমকামী পুরুষদের পিতার দিকের নারী আত্মীয়দের (যেমনঃ ফুফু বা পিশি) তুলনায় বেশি সন্তান সন্ততি আছে। এতে করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, এক্স ক্রোমোজোমে করে যে জিনগত বৈশিষ্ট্য বাচ্চার মাঝে পরিবাহিত হত, তার নারীর মাঝে ঊর্বরতা এবং পুরুষের মাঝে সমকামি প্রবণতার সঞ্চার করে। এই গবেষণা তাৎপর্যপূর্ণ ও সমকামিতার সাথে জৈবিক কারণ যুক্ত আছে অনুধাবন করা গেলেও সুনির্দিষ্ট কোনো জিন যৌন অভিমুখিতা নির্ধারণ করে, এমনটা বলা যায় না।[৪৭][৪৮]
ফেরোমন গবেষণা
সুইডেনের এক গবেষণায় [৪৯] দাবী করা হয় সমকামি ও বিষমকামীরা যৌন উদ্দীপক ঘ্রাণের ক্ষেত্রে ভিন্নভাবে আচরন করে। গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, পুরুষের ঘামে থাকা টেস্টোটেরনের উপস্থিতি বিষমকামী নারী ও সমকামী পুরুষদের হাইপোথ্যালামাসের একটি অংশকে সক্রিয় করে। আবার অন্যদিকে, নারীর মূত্রের সাথে পাওয়া এস্ট্রোজেনের উপস্থিতিতে বিষমকামী পুরুষের মস্তিষ্ক ঠিক একই রকম আচরণ করে।[৫০]
মস্তিষ্কের গঠন সংক্রান্ত গবেষণা
নারী ও পুরুষ লিঙ্গভেদে যেমন ভিন্ন, একইভাবে তাদের মস্তিষ্কের কিছু প্রত্যঙ্গও লিঙ্গভেদে ভিন্ন হয়। অর্থাৎ নারীর মস্তিষ্কের কিছু প্রত্যঙ্গ ও পুরুষের মস্তিষ্কের কিছু প্রত্যঙ্গ আলাদা। এছাড়া যৌন অভিমুখিতার ভিত্তিতে মস্তিষ্কের গঠনে তফাৎ আছে বলেও একাধিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯০ সালে, ডিক সোয়াব এবং মিশেল এ. হফম্যান সমকামী ও বিসমকামী পুরুষদের মস্তিষ্কের সুপারকিয়াসম্যাটিক নিউক্লিয়াসের আকারে পার্থক্য রয়েছে বলে প্রকাশ করেন।[৫১] ১৯৯২ সালে, এলেন ও গরস্কি এন্টেরিওর কমিশারের আকারের পার্থক্যের সাথে যৌন অভিমুখিতার সম্পর্ক খুঁজে পেলেও [৫২] তা একাধিক গবেষণায় ভুল প্রমানিত হয়। সেসব পরীক্ষার একটিতে দেখা যায়, মূল পার্থক্য আসলে শুধুমাত্র একটি একক বাহ্যিক কারণে ঘটে থাকে।[৫৩][৫৪][৫৫]
পুরুষ ও নারীর মস্তিষ্কে এরুপ গাঠনিক পার্থক্য দেখার পর একটি ধারণা গড়ে উঠেছিল যে, মানুষের দুই রকম মস্তিষ্ক থাকবে। হয় নারী মস্তিষ্ক নতুবা পুরুষ মস্তিষ্ক। আর এরকম ভিন্ন মস্তিষ্কই নারী ও পুরুষের স্বভাবে ভিন্নতা তৈরী করবে। এরকম ধারণা থেকে যে বিষয়টি প্রতীয়মান হয়েছিল, তা হলো, যদি কোনো পুরুষে নারী মস্তিষ্ক থাকে, তাহলে সে হবে পুরুষ সমকামী। যদিও কিছু গবেষক এই ধারণার পিছনে কোনো শক্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই বলেই দাবী করেছেন। যদিও নারী-পুরুষ ভেদে মস্তিষ্কের আকারে ও মস্তিষ্কের কিছু প্রত্যঙ্গে পার্থক্য দেখা গিয়েছে, তবুও এটাই বলা যায়, নারী ও পুরুষের মস্তিষ্ক অনেক বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ।[৫৬][৫৭]
এন্টিরিও হাইপোথ্যালামাসে সেক্সুয়ালি ডিমরফিক নিউক্লিয়াই
সিমন লিভ্যেও মস্তিষ্কের সাথে যৌন অভিমুখিতার সংযোগ আছে কিনা; এই বিষয়ের কিছু গবেষণা করেন। তিনি হাইপোথ্যালামাসের নিউরনের চারটা গ্রুপ;- যাদেরকে আইএনএএইচ১, আইএনএএইচ২,আইএনএএইচ৩ এবং আইএনএএইচ৪ বলা হয়, তা নিয়ে গবেষণা করেন। প্রাণিতে থাকা যৌন স্বভাবকে এই এলাকা সমূহ প্রভাবিত করে; এমনটা অন্যান্য গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে; কিন্তু মানুষের যৌন অভিমুখিতা নির্ধারণে এসব এলাকা কেমন ভূমিকা রাখে; তা জানার জন্য এগবেষণা প্রাসঙ্গিক। এ অংশের উপর গবেষণা করার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল, পুর্বের তথ্য থেকে দেখা গিয়েছে, পুরুষ এবং নারীর আইএনএএইচ২ এবং আইএনএএইচ৩ এর আকারে পার্থক্য হয়।[৫৮]
তিনি হাসপাতালের ৪১ জন মৃত রোগী থেকে মস্তিষ্ক সংগ্রহ করেন। তার সংগ্রহ তিনভাগে বিভক্ত ছিল। প্রথম গ্রুপে ছিল ১৯ জন সমকামী পুরুষ। যারা মারা গিয়েছেন এইডস-সংক্রান্ত অসুস্থতায়। দ্বিতীয় গ্রুপে ছিল ১৬ জন পুরুষ, যাদের যৌন অভিমুখিতা অজ্ঞাত ছিল, কিন্তু গবেষকরা তাদের বিষমকামী বলে অনুমান করেছেন। এই দ্বিতীয় গ্রুপের ছয়জন পুরুষ মারা গিয়েছিলেন এইডস সংক্রান্ত অসুস্থতায়। তৃতীয় গ্রুপে ছিলেন ছয়জন নারী, যাদের যৌন অভিমুখিতা বিষমকামী বলে গবেষকরা অনুমান করেছিলেন। তৃতীয় গ্রুপের একজন নারী এইডস সংক্রান্ত অসুস্থতায় মারা গিয়েছিলেন।[৫৮]
দ্বিতীয় গ্রুপের যেসমস্ত রোগীদেরকে বিষমকামী বলে অনুমান করা হয়েছে, এবং তাদের মধ্যে যারা এইচআইভি পজেটিভ ছিল, মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুসারে তাদের প্রত্যেকেই হয় ড্রাগের অপব্যবহার বা রক্ত স্থানান্তরের কারণে হয়েছিল। এদের মধ্যে দুইজন বিষমকামী; কখনো সমকামীতার মত যৌন ক্রিয়ায় (যেমনঃ পায়ুমৈথুন) যুক্ত হয়েছিলেন কিনা; চিকিৎসকের এরকম অনুমান সরাসরী প্রত্যাখান করেছিলেন। যাদেরকে বিষমকামি বলে নির্ধারণ করা হয়েছিল; তাদের প্রকৃত যৌন অভিমুখিতা কী ছিল, সেসমস্ত কোনো তথ্য পাওয়া মেডিক্যাল রেকর্ডে পাওয়া যায় নি; মোট জনসংখ্যার একটা অনুপাত হিসাব করে, তাদেরকে বিষমকামী ধরা হয়েছে।"[৫৮]
লিভ্যে আইএনএএইচ১, আইএনএএইচ২ বা আইএনএএইচ৪ এর আকারের মধ্যে পার্থক্যের কোনো প্রমাণ পান নি। কিন্তু আইএনএএইচ৩ এর আকার বিষমকামী পুরুষের গ্রুপে সমকামী পুরুষের গ্রুপের তুলনায় দ্বিগুণ বড় দেখা গিয়েছিল। এমনকি যে ছয়জন বিষমকামী কিন্তু এইডস আক্রান্ত মানুষের মস্তিষ্ক পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল, তাদেরও আইএনএএইচ৩ বড় দেখা গিয়েছিল। সমকামী পুরুষের মস্তিষ্কের আইএনএএইচ৩; বিষমকামী নারীর প্রায় সমান বলে গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে।
যাইহোক, অন্যান্য গবেষণাগুলো দেখিয়েছে যে, প্রিঅপটিক এলাকার সেক্সুয়ালি ডিমরফিক নিউক্লিয়াস, যা আইএনএএইচ৩ ধারণ করে, তা এইডসে আক্রান্ত সমকামী পুরুষে বিষমকামীর ন্যায় সমান আকারের এবং এটা নারীর তুলনায় বড়। এটা পরিষ্কারভাবে সমকামী পুরুষের; 'নারীর হাইপোথ্যালামাস থাকে', এধারণার সাথে সাংঘর্ষিক। এরপরে সমকামী পুরুষদের সুপ্রাকায়াজম্যাটিক নিউক্লিয়াস যথেষ্ট বড় (বিষমকামী পুরুষে কোষে ঘনত্ব এবং নিউরনের সংখ্যা উভয়ই দ্বিগুণ)। সমকামী নারী, উভকামী পুরুষ ও উভকামী নারীর হাইপোথ্যালামাসের এই এলাকাটি নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো গবেষণা করা হয় নি। যদিও এই গবেষণাটি তেমনভাবে পরীক্ষিত নয়, তারপরেও বিস্তৃত পরিসরে ডোরনারের (Dörner) স্বীকৃত অনুকল্প "সমকামী পুরুষের নারীর হাইপোথ্যালামাস থাকে" এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে এই গবেষণা তীব্র সন্দেহ পোষণ করে এবং "পুরুষের নারীর চেয়ে মস্তিষ্কের কলাকৌশল ভিন্ন" হবার জন্য জন্মপুর্ব থেকে টেস্টেস্টোরেণের কার্যক্রম দায়ী; আর এ কার্যক্রম এপিজেনেটিক প্রভাবের কারণে হয়;- এমন ধারণাকেই প্রস্তাবনা করে।[৫৯][৬০]
উইলিয়াম বাইন এবং তার কলিগগণ এই গবেষণাটি পুনরাবৃত্ত করার প্রয়াসে আইএনএএইচ১ থেকে আইএনএএইচ৪ নিয়ে এ গবেষণা পুনরায় করেন। তাদের গবেষণাটি ১৪ জন এইচআইভি-পজেটিভ সমকামী পুরুষ, ৩৪ জন বিষমকামী পুরুষ (যার দশজন এইচআইভি পজেটিভ ছিলেন) এবং ৩৪ জন সমকামী নারীর (৯ জন এইচআইভি পজেটিভ) মস্তিষ্কের উপর পরিচালিত হয়। গবেষকগণ বিষমকামী পুরুষ এবং বিষমকামী নারীর মধ্যে আইএনএএইচ৩ এর আকারের সুনির্দিষ্ট পার্থক্য খুজে পান। আইএনএএইচ৩ এর আকার সমকামী পুরুষে; বিষমকামী পুরুষের তুলনায় ছোট এবং বিষমকামী নারীর তুলনায় বড়; এমনটা দেখা যায়। যদিও এই পার্থক্যটা পরিসংখ্যানগত দিক থেকে তেমন একটা উল্লেখযোগ্য নয়।[৬১]
বাইন এবং তার সহযোগীরা আইএনএএইচ৩ এর ওজনের পাশাপাশি নিউরনের সংখ্যাও গণনা করেন। এ গণনার কাজটি লিভ্যায় করেননি। ফলাফলে দেখা গিয়েছে আইএনএএইচ৩ এর ওজন, বিষমকামী নারীর তুলনায় বিষমকামী পুরুষে সুনির্দিষ্টভাবে বেশি। সমকামী ও বিষমকামী পুরুষের নিউরনের সংখ্যায় কোনো পার্থক্য দেখা যায় নি। তবে নারী পুরুষে এই নিউরনের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য হারে পার্থক্য দেখা গিয়েছে।[৬১]
২০১০ সালে গার্কিয়া ফালগুয়েরাস এবং সোয়াবের প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, "ভ্রুণ মার্তৃজঠরে থাকা অবস্থায়; মায়ের মাসিক (পিরিয়ড) চলাকালীন সময়ে পুরুষ শিশুর ক্ষেত্রে টেস্টেস্টোরণ প্রত্যক্ষভাবে ক্রিয়া করে। আর নারী ভ্রুণের ক্ষেত্রে এই হরমোনের অনুপস্থিতিতে আনুষঙ্গিক কার্যকলাপ ঘটে। এইভাবেই মার্তৃগর্ভে থাকা অবস্থায় আমাদের লিঙ্গ পরিচয় (আমরা পুরুষ হব নাকি নারী) এবং যৌন অভিমুখিতা; আমাদের মস্তিষ্কের গঠনের সময় নির্ধারিত হয়। গবেষণা থেকে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি যা থেকে বলা যায়; জন্মের পর সামাজিক পরিবেশ যৌন পরিচয় বা যৌন অভিমুখিতায় প্রভাব ফেলে।"[৬২]
ওভাইন মডেল
গৃহপালিত ভেড়াকে গবেষণামুলক মডেল হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে; যাতে করে সমকামিতার জন্য প্রাথমিক স্নায়বিক কলাকৌশল কিভাবে কাজ করে, তা বুঝা যায়। পর্যবেক্ষণ থেকে বুঝা দেখা গিয়েছে, গৃহিপালিত পুরুষ ভেড়ার ৮ শতাংশ অন্য পুরুষ ভেড়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়, কিন্তু বেশিরভাগ পুরুষ ভেড়াই নারী ভেড়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়। বেশিরভাগ প্রজাতিতেই লিঙ্গ ভেদে যে পার্থক্য হওয়ার সাথে সাথে তাদের যৌন-দ্বৈত-নিউক্লিয়াসে (SDN) পার্থক্য দেখা যায়। প্রিওপটিক হাইপোথ্যালামাসে অবস্থিত সেক্সুয়াল ডিমরফিক নিউক্লিয়াস (এসডিএন) নারীর চেয়ে পুরুষে সাধারণত বড় হয়।
পুরুষ ভেড়ার প্রতি যেসব পুরুষ ভেড়া আকৃষ্ট হত; রোসেলি এবং তার সহগবেষকরা দেখেন সেসব ভেড়ার প্রি অপটিক হাইপোথ্যালামাসের ওভাইন এসডিএন, বিষমকামী পুরুষ ভেড়ার চেয়ে ছোট। সমকামী পুরুষ ভেড়ার ওভাইন-এসডিএন এর আকার নারী ভেড়ার সমরুপ। ওভাইন-এসডিএনের স্নায়ু বা নিউরন প্রদর্শন করে যে, সমকামী পুরুষ ভেড়ার এরোম্যাটাস উৎসেচকের (এনজাইম) স্তর (লেভেল) বিষমকামী পুরুষ ভেড়ার চেয়ে নিম্নতর। তবে এই প্রকাশের স্তর নারী ভেড়ার সমরুপ। যার অর্থ দাঁড়ায় পুরুষ ভেড়া; পুরুষকামী হবে নাকি নারী কামী হবে; তা স্নায়বিক দিক থেকে কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং হরমোন এখানে প্রভাবিত করে। However, results failed to associate the role of neural aromatase in the sexual differentiation of brain and behavior in the sheep, due to the lack of defeminization of adult sexual partner preference or oSDN volume as a result of aromatase activity in the brain of the fetuses during the critical period. Having said this, it is more likely that oSDN morphology and homosexuality may be programmed through an androgen receptor that does not involve aromatisation. Most of the data suggests that homosexual rams, like female-oriented rams, are masculinized and defeminized with respect to mounting, receptivity, and gonadotrophin secretion, but are not defeminized for sexual partner preferences, also suggesting that such behaviors may be programmed differently. যদিও ওভাইন-এসডিএনের প্রকৃত ক্রিয়া সম্পুর্ণভাবে জানা যায় নি। এর ঘনত্ব, দৈর্ঘ্য এবং কোষ সংখ্যা যৌন অভিমুখিতার সাথে আন্তসম্পৃক্ত। and a dimorphism in its volume and of cells could bias the processing cues involved in partner selection. অধিক গবেষণার মাধ্যমে এটা জানা আবশ্যক; ওএসডিএনের ক্রমবিকাশের সময় এবং ভেড়ার জন্মপূর্ব জৈব প্রভাব; প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের সঙ্গী নির্বাচনকে কিভাবে প্রভাবিত করে।[৬৩]
জীববিজ্ঞানের তত্ত্বে যৌন অভিমুখিতা
পূর্ব নিশ্চিত তত্ত্ব
ভ্রুণের বিবর্ধন ও পরিবেশগত কারণে মস্তিষ্কের বিকাশ সংক্রান্ত গবেষণা পূর্ব নিশ্চিত তত্ত্বের অংশ। কিছু গবেষণায় ভ্রুণ দশায় হরমোনের প্রভাব যৌন অভিমুখিতার ক্ষেত্রে প্রাথমিক প্রভাব রাখে।[৬৪][৬৫][৬৬] সমকামী ও বিসমকামীদের মস্তিষ্কের গঠন এবং চিন্তা করার পার্থক্য এই তত্ত্বে আলোচনা করা হয়। মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় হরমোন মাত্রা এর একটি ব্যাখ্যা দেয়। হরমোণের মাত্রা ও রাসায়নিক ঘনত্ব মা ও ভ্রুণের ইম্যুউন সিস্টেম, মায়ের গৃহীয় ঔষধ এবং সরাসরি নেয়া ইঞ্জেকশোনের উপর নির্ভর করে। এই তত্ত্ব ভ্রূনীয় জন্মসূত্র ও যৌন অভিমুখিতার সাথে সম্পর্কিত।
যৌন অভিমুখিতা ও বিবর্তন
সাধারণ
বিষমকামীদের যৌন আচরনের কারণে স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চা প্রজননের হার কমে যায়। যা বিবর্তনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। ডারউইনের ন্যাচারাল সিলেকশন ধারণা অনুসারে বিবর্তনের হার কমাতে সমকামিতা সরাসরি জড়িত। বেশকিছু নিত্য নতুন গবেষণা এই ব্যাপারে সহমত প্রকাশ করেছে।[৬৭]
কিছু কিছু স্কলার [৬৭] বলেন, বিসমকামীদের ভাই-বোনের মধ্যে প্রজনন না ঘটার যেরকম সুবিধে আছে ঠিক সেভাবেই সমকামিতা পরোক্ষভাবে অভিযোজিত ক্ষমতার জন্য কাজ করে। এনালজির দিক দিয়ে, সিকল সেল এনিমিয়া হওয়ার কারণ একটি নির্দিষ্ট অ্যালীল। এই অ্যালীলের দুইটি কপি উপস্থিত থাকলে রোগটি হয় আবার এক কপি উপস্থিত থাকলে তা ম্যালেরিয়া রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। যা হেটেরোজাইগোসীয় সুবিধা বলে চিহ্নিত।[৬৮]
গবেষকরা আরো দেখান, ডারউইন নিজে উত্তরাধিকার বাছাইয়ের কথা অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস বইয়ে বলেছেন। তাই ডারউইনের বিবর্তন মডেলে শুধুমাত্র একক নয় বরং পারিবারিক দল ( রক্তের সম্পর্ক) এই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারে।
কুইন্সল্যান্ড ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল রিসার্চের ব্রেন্ড জিয়েৎস একটি ভিন্ন প্রস্তাবনা দেন। তার প্রদত্ত তত্ত্বে যেসব পুরুষেরা নারীদের মতো বৈশিষ্ট্য দেখায় তাঁরা নারীদের নিকট আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠে এবং তাদের সংগম সঙ্গী পাওয়ার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। এতে প্রমানিত হয় তাদের জিনগত বৈশিষ্ট্য পুরোপুরিভাবে বিসমকামিতার দিক থেকে বাতিক নয়।[৬৯]
২০০৮ সালে করা একটি গবেষণার গবেষকরা উদ্ধৃত দান করে বলেন "বিবেচনা করার মত এমন অনেক প্রমাণ আছে যে, মানুষের যৌন অভিমুখিতা জিনগতভাবে প্রভাবিত। তাই এটা জানা যায় না কেন সমকামীতার ফলে সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা এত কম থাকা সত্ত্বেও তা মানুষের জনসংখ্যায় এত অধিক হারে দেখা যায়। তারা হাইপোথিসিস দিয়ে বলেন, যেহেতু সমকামিতাকে নিয়ন্ত্রণকারী জিন সমকামীদের প্রজননের সফলতা হ্রাস করে, তার মানে পক্ষান্তরে, একই জিন যেসব বিষমকামীদের থাকে, তারা নিশ্চয়ই কোনো সুবিধাও পায়।" গবেষকদের গবেষণালব্ধ ফলাফল এটাই প্রস্তাবনা করে যে, "যেসব জিনের কারণে সমকামিতা দেখা যায়, সেই একই জিন বিষমকামীদের প্রজননে সফলতার সুবিধা দেয় এবং এইভাবেই বিবর্তনের ছাঁকুনিতে কিভাবে সমকামিতা টিকে রয়েছে, বা জনসংখ্যায় কেন সমকামিতা দেখা যায়, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।" [৭০]
একই গবেষণা থেকে লেখকরা বলেন, "তাদের তথ্যপ্রমাণ থেকে এটা দেখা গিয়েছে যে, যদি সন্তান জমজ হয় এবং তাদের মধ্যে একজন সমকামী হয়। তাহলে অপরজন এর প্রজননের সক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়"।
বিসমকামিতা সুবিধা তত্ত্ব আরো শক্ত সমর্থন পায় ২০০৪ সালে প্রকাশীত এক ইতালীয় গবেষণার মাধ্যমে। যেখানে সমকামি পুরুষের নারী আত্মীয়দের মাঝে যৌন ফলপ্রসূতার হার বেশি বলে দেখানো হয়েছে।[৪৭][৪৮] হ্যামার দেখান যে, ,[৭১] বেশ ভালোমাত্রায় প্রজনন ক্ষমতাসম্পন্ন নারীরা "গে জিন" বহন করে সহজেই মোট জনসংখ্যায় এর উচ্চ হার বজায় রাখে।[৪৮]
সমকামী চাচা প্রকল্প
"সমকামী চাচা প্রকল্প" থেকে এটা প্রতীয়মেয় হয় যে, যেসব ব্যক্তির নিজস্ব সন্তান নেই, কিন্তু তিনি তার খুব কাছের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকার সন্তানদের উৎস দিয়ে সাহায্যের (খাদ্য, প্রতিরক্ষা, আশ্রয়, রক্ষণাবেক্ষণ) মাধ্যমে জিনে প্রভাব ফেলতে পারে।
এই প্রকল্পটি আত্মীয় নির্বাচনীয় তত্ত্বের একটি সম্প্রসারিত রুপ। যা অভিযোজনের মাধ্যমে কল্যাণ করার জায়গা থেকে প্রস্তাব করা হয়েছিল। এর প্রাথমিক ধারণা প্রস্তাব করেছিলেন ১৯৩২ সালে জে. বি. এস হালডেন এবং পরবর্তীতে জন মায়ানার্ড স্মিথ, ডব্লিউ ডি হ্যামিলটন এবং মেরী জেন ওয়েস্ট-এবারহার্ড দ্বারা এটা আরো ভালোভাবে বিশ্লেষিত হয়।[৭২] এই ধারণাটি সুনির্দিষ্ট সামাজিক পতঙ্গ যাদের বেশিরভাগ সদস্য ছিল বন্ধ্যা; তার বিন্যাস ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।
ভাসে এবং ভ্যান্ডারল্যান (২০১০) সামোয়ার প্যাসিফিক দ্বীপে গবেষণা চালান। তারা সেখানের নারী, বিষমকামী পুরুষ এবং ফাফাফিন পুরুষের উপর গবেষণা চালান। ফাফাফিনরা জন্মসুত্রে পুরুষ যৌন সঙ্গী নির্বাচনের দিক থেকে তারা পুরুষকে বাছাই করেন। তারা সংস্কৃতিগত দিক থেকে সে সমাজে স্বতন্ত্র তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ভাসে এবং ভ্যান্ডারল্যান দেখতে পান, ফাফাফিয়ানরা তাদের আত্মীয়স্বজনদের সাহায্য করতে অতীব উৎসাহী থাকে। সেসব শিশুদের সাহায্য করতে তারা অনিচ্ছুক থাকে; যারা তাদের পরিবারের সদস্য নয়; এখান থেকে আত্মীয় নির্বাচন মুলক প্রকল্পের পক্ষে প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায়।[৭৩][৭৪]
এই প্রকল্পটি সমকামিতা সংক্রান্ত অন্য গবেষণার সাথে সংগতিপুর্ন, যা সহোদর ও জমজের মধ্যে করা গবেষণায় দেখা গিয়েছে।[৭৩][৭৪][৭৫][ভাল উৎস প্রয়োজন]
কেন সমকামিতার মত আচরণ যা প্রজননের ক্ষেত্রে বৈপরীত্য প্রদর্শন করে, তা এই হাজার বছরের ইতিহাসে বিলুপ্ত হলো না, তা এই প্রকল্পটি ব্যাখ্যা করে। অনেক বিজ্ঞানী অবিষমকামী আচরণ যেমনঃ সমকামিতা বা উভকামীতা কেন এখনো টিকে রয়েছে তার কারণ হিসেবে এই প্রকল্পটিকেই সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যা হিসেবে ধরে নেন। জীববিজ্ঞান ও সমাজতত্ত্বে ঘটা প্রাকৃতিক বেল কার্ভ প্রকরণ অভিব্যক্তির এই বর্ণালী ব্যাখ্যা করে।
Vasal and VanderLaan (2011) provides evidence that if an adaptively designed avuncular male androphilic phenotype exists and its development is contingent on a particular social environment, then a collectivistic cultural context is insufficient, in and of itself, for the expression of such a phenotype.[৭৬]
সমকামী পুরুষ ও নারীতে জৈবিক পার্থক্য
শারীরতত্ত্ব বিদ্যায়
কিছু গবেষণা মানুষ ও তার যৌন অভিমুখিতার মধ্যে শারীরবৃত্তের আন্তঃসম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে। প্রমাণ সমৃদ্ধ এই গবেষণাগুলো অনুযায়ীঃ
- সমকামী পুরুষ এবং বিষমকামী নারীর মস্তিষ্কের হেমিস্ফিয়ার গড়পড়তায় একইরুপ সমান হয়। সমকামী নারী এবং বিষমকামী পুরুষের ডানদিকে ব্রেইন হেমিস্ফিয়ার গড়পড়তায় কিছুটা বড় হয়।[৭৭]
- সোয়াব এবং হপম্যান দ্বারা হাইপোথ্যালামাসের সুপ্রাচিয়াসম্যাটিক নিউক্লিয়াস; সমকামী পুরুষে বিষমকামীর তুলনায় বড় হয়, এমনটা পাওয়া গেছে,[৭৮] এও জানা যায় যে, সুপ্রাচিয়াসম্যাটিক নিউক্লিয়াস পুরুষে নারীর তুলনায় বড় হয়।[৭৯][৮০]
- প্রতিবেদন অনুসারে সমকামী পুরুষদের; বিষমকামী পুরুষের তুলনায় গড়পড়তায় দীর্ঘ এবং পাতলা পুরুষাঙ্গ থাকে।[৮১]
- সমকামী পুরুষ এবং সাধারণ নারীদের; মস্তিষ্কের আইএনএএইচ৩ প্রায় একই হয়। এর কোষ বিষমকামী পুরুষদের তুলনায় সমকামি পুরুষে ঘনতর হয় এবং আকারে ছোট হয়।[৫৮]
- এন্টেরিয়র কমিশার নারীতে, পুরুষের তুলনায় বড় হয়। পরবর্তীতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমকামী পুরষে; যারা সমকামি নন তাদের তুলনায় এটি বড় হয়।[৫২] কিন্ত পরবর্তী গবেষণায় দেখা গিয়েছে; এধরনের কোনো পার্থক্য নেই।[৮২]
- সমকামী পুরুষদের মস্তিষ্ক সিলেক্টিভ সেরোটোনিন ফ্লুক্সেটিনের প্রভাবে ভিন্ন ভাবে সাড়া দেয়।[৮৩]
- সমকামী নন এরুপ নারীর তুলনায় উভকামী ও সমকামী নারীদের মধ্যকর্ণ ও কেন্দ্রীয় অডিটরী সিস্টেমের কার্যাবলী পুরুষের ন্যায়। (গবেষকদের মতে এই অন্বেষণ যৌন অভিমুখিতার জন্য জন্মপুর্ব হরমোন দায়ী এই প্রকল্পের সাথে সংগতিপুর্ণ).[৮৪]
- সমকামী নারী এবং উভকামী নারীতে স্টার্টল রেসপন্স (eyeblink following a loud sound) পুরুষের ন্যায় আচরণ করে।[৮৫]
- সমকামী এবং সমকামী নন এরুপ পুরুষদের মস্তিষ্ক দুইটি পুটেটিভ (putative) সেক্স ফেরোমেনে ভিন্নভাবে সাড়াদান করে।[৪৯][৮৬][৮৭]
- মস্তিষ্কের একটি এলাকা এমিগডালা সমকামী নন, এসব পুরুষের তুলনায় সমকামী পুরুষে অনেক বেশি সক্রিয়।[৮৮] সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো দেখিয়েছে মস্তিষ্কের গঠনের সাথে (হেমিস্ফিয়ারিক অনুপাতে পার্থক্য এবং এমিগোডালার প্যাটার্ন সংযোগ অন্তর্ভুক্ত করলে) যৌন অভিমুখিতার আন্তঃসম্পর্ক আছে। সমকামী পুরুষ এমিগডালাতে বিষমকামী পুরুষের তুলনায় অধিক নারীত্বমুলক প্যাটার্ন দেখায়, এবং একইভাবে সমকামী নারী বিষমকামী নারীর তুলনায় এমিগডালাতে অধিক পুরুষত্বমুলক প্যাটার্ন দেখায়। সমকামী পুরুষ এবং বিষমকামী নারীর বাম এমিগডালা সংযোগ অধিকভাবে বিস্তৃত; এমনটাও দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে বিষমকামী পুরুষ এবংসমকামী নারীতে ডান এমিগডালা অধিকভাবে বিস্তৃত।[৮৯][৯০]
- সমকামী নন এরকম পুরুষ এবং সমকামী নারীর মধ্যে তর্জনী এবং অনামিকার আঙ্গুলের দৈর্ঘ্যের অনুপাতে পার্থক্য হয়।[৯১][৯২][৯৩][৯৪][৯৫][৯৬][৯৭][৯৮][৯৯][১০০]
- বিষমকামী নারী-পুরুষের তুলনায় সমকামী পুরুষ এবং নারীদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট ভাবে বাঁহাতি ও সব্যসাচী হবার প্রবণতা বেশি দেখা গিয়েছে।[১০১][১০২][১০৩] সিমন লিভ্যে এর বিরুদ্ধাচরণ করে বলেন "কে কোন হাত অধিক ব্যবহার করবে; তা জন্মপুর্ব থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায়...[১০৪] সমকামী পুরুষদের মধ্যে ডানহাতি না হবার যে প্রবণতা বাড়তে থাকে, তা যৌন অভিমুখিতা জন্মপুর্ব কার্যক্রম দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার ধারণার সাথে সংগতিপুর্ণ," সম্ভবত উত্তরাধিকার সুত্রে।[৫৮]
- ৫০ জন সমকামী পুরুষের মধ্যে করা গবেষণায় দেখা গিয়েছে; তাদের ২৩ শতাংশের ঘড়ির বিপরীতক্রমে হেয়ার হোর্ল আছে, যা মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ। এর সাথে বাঁহাতিদের একটা আন্তঃসংযোগ আছে।[১০৫]
- সমকামী পুরুষদের বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি এবং কণিষ্ঠাঙ্গুলির ফিঙ্গারপ্রিন্ট ঘনতর হয়।[১০৫]
- সমকামী পুরুষদের বাহু এবং হাতের দৈর্ঘ্য সাধারণ জনসংখ্যার তুলনায় ছোট হয়। তবে এটা শুধুমাত্র শেতাঙ্গদের মধ্যে দেখা গিয়েছে।[১০৫]
রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি
যৌন অভিমুখিতা জিনগত বা মনস্তত্ব বিষয় এর উপির নির্ভর করে কিনা; তা নিয়ে উচ্চমাত্রায় রাজনৈতিক ইস্যু হয়েছে। দ্য এডভোকেট, একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পুরুষ সমকামী এবং নারীসমকামী ভিত্তিক পত্রিকা ১৯৯৬ সালের প্রতিবেদনে বলেছে, এই পত্রিকার ৬১ শতাংশ পাঠক মনে করে "যদি সমকামিতা জৈবিকভাবে স্বীকৃত এমনটা গবেষণা থেকে খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সহজতর হবে।"[১০৬] যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন এবং সুইডেনে করা একটি জরিপ থেকে দেখা গেছে, যারা বিশ্বাস করে সমকামিতা জন্মগত, তারা তুলনামুলকভাবে অন্য যারা সমকামীতা মানুষের ইচ্ছাকৃত ধরে নেয়, তাদের তুলনায় সমকামিদের প্রতি পজেটিভ দৃষ্টিকোণ উপস্থাপন করে।[১০৭][১০৮] যৌন অভিমুখিতা জৈবিকভাবে নির্ধারিত এর সপক্ষে প্রমাণ দেওয়া গেলে (অথবা যৌন অভিমুখিতা অপরিবর্তনীয় এমনটা নিশ্চিত হলে) তা বৈষম্যকারী আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সমকামিতার পক্ষে শক্তিশালী যুক্তি উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়।[১০৯][১১০][১১১] সমাজের রক্ষণশীলতার দিক দিয়ে যৌন অভিমুখীতার দিকে দিয়ে সংখ্যালঘুদের সামাজিক অবস্থানের ভিত তৈরিতে যৌন অভিমুখীতার সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ওয়াশিংটন ডি.সির একটি রক্ষণশীল খ্রিস্টান দল "গেটিং ইত স্ট্রেইট" বইয়ে তর্কের বিষয় হিসেবে উত্থাপন করেন যে, জন্মসূত্রে যৌন অভিমুখীতা নির্ধারিত হয় এরকম ধারণা নির্দিষ্ট বর্ণের প্রতি হওয়া বৈষম্যের মত নির্দিষ্ট যৌন অভুমিখিতা প্রদর্শন করে এরকম মানুষের প্রতি বৈষম্যের বিরোধিতা করে। এই বইয়ে সমকামিতার বিরুদ্ধে কথা বলা হয় এবং হোমোফোবিয়াকে বর্ণবৈষম্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করতে বলা হয়। যদিও, রেভারেন্ড রবার্ট শ্নেক এর মতো সামাজিক রক্ষণবাদী ব্যক্তির মতে, যে কেউ যে কোন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত তথ্য মেনে নিতে পারে। যদিও তিনি নৈতিকভাবে সমকামিতা বিরোধী।[১১২]
জাতীয় বিবাহ সংঘের বোর্ড চ্যামার ও গল্প লেখক অরসন স্কট কার্ড সমকামিতার উপরে জীববৈজ্ঞানিক গবেষণার পক্ষে লিখেছেন। তার মতে, সমকামিতার কারনে হিসেবে জিনেটিক কিংবা জীববিজ্ঞানীয় কারণ নির্ধারনে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সমকামিদের অধিকার প্রাপ্তিতে অবদান রাখতে পারে। এই গবেষণাগুলো কোনভাবেই সমকামিদের প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ থেকে নয় বরং প্রমানের জন্য, সমকামিতা কোন রোগ নয় এবং এর কোন ঔষধ নেই। সমকামি ভাবে বেঁচে থাকা ও জীবনযাপনের ইচ্ছা একটি ভিন্ন ধরনের জীবনযাপন বলে তিনি অভিহিত করেন।"[১১৩]
কারো কারো মতে যৌন অভিমুখিতার দিক দিয়ে সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সমকামিতার সাথে জীববিজ্ঞানের সম্পর্ক অথবা জন্মসূত্রে সমকামিতার নির্ধারন হওয়া প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ। যদিও তাদের তর্কের একটি অংশ, মানুষের জীবনের যৌন অভিমুখিতা বিভিন্ন কারনে পাল্টাতে পারে।[১১২][১১৪] চ্যান্ডলার বার অবশ্য সংকা প্রকাশ করেছেন, ভ্রুনের যৌন অভিমুখিতা ভ্রুণ হত্যাকে উস্কে দিতে পারে।[১১৫] লেভেই বলেছে, সমকামিতার উপর হওয়া গবেষণা গে ও লেসবিয়ানদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে এরকম চিঠি তিনি পেয়েছেন।[১১২] | ্ নি
আরো দেখুন
- প্রকৃতি বিরুদ্ধ?
- স্নায়ুবিজ্ঞান এবং যৌন অভিমুখিতা
- Alfred Kinsey
- Arnold Aletrino
- Environment and sexual orientation
- Epigenetic theories of homosexuality
- Gay bomb
- Homosexual behavior in animals
- Genetic diagnosis of intersex
- Intersex and LGBT
- Norms of reaction
- Causes of transsexuality
নোটস
- ↑ ক খ Frankowski BL; American Academy of Pediatrics Committee on Adolescence (জুন ২০০৪)। "Sexual orientation and adolescents"। Pediatrics। 113 (6): 1827–32। ডিওআই:10.1542/peds.113.6.1827। পিএমআইডি 15173519।
- ↑ Mary Ann Lamanna; Agnes Riedmann; Susan D Stewart (২০১৪)। Marriages, Families, and Relationships: Making Choices in a Diverse Society। Cengage Learning। পৃষ্ঠা 82। আইএসবিএন 1305176898। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬।
The reason some individuals develop a gay sexual identity has not been definitively established – nor do we yet understand the development of heterosexuality. The American Psychological Association (APA) takes the position that a variety of factors impact a person's sexuality. The most recent literature from the APA says that sexual orientation is not a choice that can be changed at will, and that sexual orientation is most likely the result of a complex interaction of environmental, cognitive and biological factors...is shaped at an early age...[and evidence suggests] biological, including genetic or inborn hormonal factors, play a significant role in a person's sexuality (American Psychological Association 2010).
- ↑ Gail Wiscarz Stuart (২০১৪)। Principles and Practice of Psychiatric Nursing। Elsevier Health Sciences। পৃষ্ঠা 502। আইএসবিএন 032329412X। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬।
No conclusive evidence supports any one specific cause of homosexuality; however, most researchers agree that biological and social factors influence the development of sexual orientation.
- ↑ Bailey JM, Vasey PL, Diamond LM, Breedlove SM, Vilain E, Epprecht M (২০১৬)। "Sexual Orientation, Controversy, and Science"। Psychological Science in the Public Interest। 17 (21): 45–101। ডিওআই:10.1177/1529100616637616। পিএমআইডি 27113562।
- ↑ "Submission to the Church of England's Listening Exercise on Human Sexuality"। The Royal College of Psychiatrists। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৩।
- ↑ Bailey JM, Pillard, RC (১৯৯১)। "A Genetic Study of Male Sexual Orientation"। Archives of General Psychiatry। 48 (12): 1089–96। ডিওআই:10.1001/archpsyc.1991.01810360053008। পিএমআইডি 1845227।
- ↑ Whitam FL; ও অন্যান্য (১৯৯৩)। "Homosexual orientation in twins: a report on 61 pairs and three triplet sets."। Arch Sex Behav.। 22 (3): 187–206.। ডিওআই:10.1007/bf01541765।
- ↑ Bailey JM, Dunne MP, Martin NG (মার্চ ২০০০)। "Genetic and environmental influences on sexual orientation and its correlates in an Australian twin sample"। J Pers Soc Psychol। 78 (3): 524–36। ডিওআই:10.1037/0022-3514.78.3.524। পিএমআইডি 10743878।
- ↑ ক খ Bearman P. S.; Bruckner H. (২০০২)। "Opposite-sex twins and adolescent same-sex attraction"। American Journal of Sociology। 107 (5): 1179–1205। ডিওআই:10.1086/341906।
- ↑ While inconsistent with modern findings, the first relatively large-scale twin study on sexual orientation was reported by Kallman in 1952. (See: Kallmann FJ (এপ্রিল ১৯৫২)। "Comparative twin study on the genetic aspects of male homosexuality"। J. Nerv. Ment. Dis.। 115 (4): 283–97। পিএমআইডি 14918012।).Examining only male twin pairs, he found a 100% concordance rate for homosexuality among 37 monozygotic (MZ) twin pairs, compared to a 12%–42% concordance rate among 26 dizygotic (DZ) twin pairs, depending on definition. In other words, every identical twin of a homosexual subject was also homosexual, while this was not the case for non-identical twins. This study was criticized for its vaguely described method of recruiting twins and for a high rate of psychiatric disorders among its subjects. (See Rosenthal, D., "Genetic Theory and Abnormal Behavior" 1970, New York: McGraw-Hill.)
- ↑ Långström N, Rahman Q, Carlström E, Lichtenstein P (ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "Genetic and environmental effects on same-sex sexual behavior: a population study of twins in Sweden"। Arch Sex Behav। 39 (1): 75–80। ডিওআই:10.1007/s10508-008-9386-1। পিএমআইডি 18536986।
- ↑ Genetic and Environmental Effects on Same-sex Sexual Behavior: A Population Study of Twins in Sweden
- ↑ "Psychology Glossary"।
- ↑ "Psychology Glossary"।
- ↑ Schacter, Daniel L., Gilbert, Daniel T., and Wegner, Daniel M. (2009) "Psychology". Worth Publishers: 435.
- ↑ Gringas, P.; Chen, W. (২০০১)। "Mechanisms for difference in monozygous twins"। Early Human Development। 64 (2): 105–117। ডিওআই:10.1016/S0378-3782(01)00171-2। পিএমআইডি 11440823।
- ↑ Rutter, M. (2006). Genes and Behavior. Oxford, UK: Blackwell Publishing.
- ↑ Hamer DH, Hu S, Magnuson VL, Hu N, Pattatucci AM (জুলাই ১৯৯৩)। "A linkage between DNA markers on the X chromosome and male sexual orientation"। Science। 261 (5119): 321–7। ডিওআই:10.1126/science.8332896। পিএমআইডি 8332896।
- ↑ ক খ Wilson, G.D., & Rahman, Q. (2005). Born Gay: The Biology of Sex Orientation. London: Peter Owen Publishers.
- ↑ ক খ Hu S, Pattatucci AM, Patterson C, ও অন্যান্য (নভেম্বর ১৯৯৫)। "Linkage between sexual orientation and chromosome Xq28 in males but not in females"। Nat. Genet.। 11 (3): 248–56। ডিওআই:10.1038/ng1195-248। পিএমআইডি 7581447।
- ↑ Vilain E (২০০০)। "Genetics of sexual development"। Annu Rev Sex Res। 11: 1–25। পিএমআইডি 11351829।
- ↑ Hamer DH; Rice G; Risch N; Ebers G (১৯৯৯)। "Genetics and Male Sexual Orientation"। Science। 285 (5429): 803। ডিওআই:10.1126/science.285.5429.803a। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ Mustanski BS, Dupree MG, Nievergelt CM, Bocklandt S, Schork NJ, Hamer DH (মার্চ ২০০৫)। "A genomewide scan of male sexual orientation" (পিডিএফ)। Hum. Genet.। 116 (4): 272–8। ডিওআই:10.1007/s00439-004-1241-4। পিএমআইডি 15645181। ২০০৫-০৪-১৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Sanders AR, Martin ER, Beecham GW, Guo S, Dawood K, Rieger G, Badner JA, Gershon ES, Krishnappa RS, Kolundzija AB, Duan J, Gejman PV, Bailey JM (নভেম্বর ২০১৪)। "Genome-wide scan demonstrates significant linkage for male sexual orientation"। Psychological Medicine। 45: 1379–88। ডিওআই:10.1017/S0033291714002451। পিএমআইডি 25399360।
- ↑ Ngun TC; Vilain E (২০১৪)। "The Biological Basis of Human Sexual Orientation: Is There a Role for Epigenetics?" (পিডিএফ)। Advances in Genetics। Advances in Genetics। Elsevier Inc.। 86: 167–84। আইএসএসএন 0065-2660। আইএসবিএন 9780128002223। ডিওআই:10.1016/B978-0-12-800222-3.00008-5। পিএমআইডি 25172350। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৬।
- ↑ Sanders AR; Martin ER; Beecham GW; Guo S; Dawood K; Rieger G; Badner JA; Gershon ES; Krishnappa RS; Kolundzija AB; Duan J; Gejman PV; Bailey JM (২০১৪)। "Genome-wide scan demonstrates significant linkage for male sexual orientation"। Psychol Med। Cambridge University Press। 45 (7): 1379–88। ডিওআই:10.1017/S0033291714002451। পিএমআইডি 25399360।
- ↑ Ellis L; Ficek C; Burke D; Das S (২০০৮)। "Eye Color, Hair Color, Blood Type, and the Rhesus Factor: Exploring Possible Genetic Links to Sexual Orientation"। Arch Sex Behav.। 37 (1): 145–9। আইএসএসএন 1573-2800। ডিওআই:10.1007/s10508-007-9274-0। পিএমআইডি 18074215।
- ↑ Aldo Poiani (২০১০)। Animal Homosexuality: A Biosocial Perspective। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 55–96। আইএসবিএন 1139490389।
- ↑ Connallon, Tim; Clark, Andrew G. (৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Evolutionary inevitability of sexual antagonism"। Proceedings of the Royal Society of London B: Biological Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। 281: 20132123। আইএসএসএন 0962-8452। ডিওআই:10.1098/rspb.2013.2123। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ Park, D; Choi, D; Lee, J; Lim, DS; Park, C (২০১০)। "Male-like sexual behavior of female mouse lacking fucose mutarotase"। BMC Genetics। 11: 62। ডিওআই:10.1186/1471-2156-11-62। পিএমআইডি 20609214। পিএমসি 2912782 ।
- ↑ Connor, Steve (৩১ অক্টোবর ১৯৯৫)। "The 'gay gene' is back on the scene"। The Independent।
- ↑ Knapton, Sarah (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Being homosexual is only partly due to gay gene, research finds"। The Telegraph। Telegraph Media Group।
- ↑ ক খ Sanders, Alan R.; Beecham, Gary W.; Guo, Shengru; Dawood, Khytam; Rieger, Gerulf; Badner, Judith A.; Gershon, Elliot S.; Krishnappa, Ritesha S.; Kolundzija, Alana B.; Duan, Jubao; Gejman, Pablo V.; Bailey, J. Michael; Martin, Eden R. (ডিসেম্বর ২০১৭)। "Genome-Wide Association Study of Male Sexual Orientation"। Scientific Reports (ইংরেজি ভাষায়)। 7 (1)। আইএসএসএন 2045-2322। ডিওআই:10.1038/s41598-017-15736-4। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ LeVay, S. (৩০ আগস্ট ১৯৯১)। "A difference in hypothalamic structure between heterosexual and homosexual men"। Science। 253 (5023): 1034–1037। আইএসএসএন 0036-8075। পিএমআইডি 1887219। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ Frisch, Morten; Nielsen, Nete Munk; Pedersen, Bo Vestergaard (২০১৩)। "Same-sex marriage, autoimmune thyroid gland dysfunction and other autoimmune diseases in Denmark 1989-2008"। European Journal of Epidemiology। 29 (1): 63–71। আইএসএসএন 1573-7284। ডিওআই:10.1007/s10654-013-9869-9। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Determinants of body weight among men of different sexual orientation"। Preventive Medicine (ইংরেজি ভাষায়)। 51 (2): 129–131। ১ আগস্ট ২০১০। আইএসএসএন 0091-7435। ডিওআই:10.1016/j.ypmed.2010.05.010। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ Blanchard, Ray; Bogaert, Anthony F. (ডিসেম্বর ১৯৯৬)। "Biodemographic comparisons of homosexual and heterosexual men in the kinsey interview data"। Archives of Sexual Behavior। 25 (6): 551–579। ডিওআই:10.1007/BF02437839।
- ↑ Bocklandt S, Horvath S, Vilain E, Hamer DH (ফেব্রুয়ারি ২০০৬)। "Extreme skewing of X chromosome inactivation in mothers of homosexual men"। Hum. Genet.। 118 (6): 691–4। ডিওআই:10.1007/s00439-005-0119-4। পিএমআইডি 16369763।
- ↑ ক খ Blanchard R, Klassen P (এপ্রিল ১৯৯৭)। "H-Y antigen and homosexuality in men"। J. Theor. Biol.। 185 (3): 373–8। ডিওআই:10.1006/jtbi.1996.0315। পিএমআইডি 9156085।
- ↑ "Pas de Deux of Sexuality Is Written in the Genes"। The New York Times। ১০ এপ্রিল ২০০৭।
- ↑ Blanchard R (১৯৯৭)। "Birth order and sibling sex ratio in homosexual versus heterosexual males and females"। Annu Rev Sex Res। 8: 27–67। পিএমআইডি 10051890।
- ↑ ক খ Anthony F. Bogaert & Malvina Skorska (এপ্রিল ২০১১)। "Sexual orientation, fraternal birth order, and the maternal immune hypothesis: a review"। Frontiers in neuroendocrinology। 32 (2): 247–254। ডিওআই:10.1016/j.yfrne.2011.02.004। পিএমআইডি 21315103।
- ↑ Whitehead NE (২০০৭)। "An antiboy antibody? Re-examination of the maternal immune hypothesis"। J Biosocial Sci। 39 (6): 905–921। ডিওআই:10.1017/S0021932007001903। পিএমআইডি 17316469।
- ↑ Cantor, Blanchard, Paterson, & Bogaert, 2002; Blanchard & Bogaert, 2004
- ↑ Blanchard, 2011; Rieger et al., 2012
- ↑ Bogaert, Anthony F.; Skorska, Malvina N.; Wang, Chao; Gabrie, José; MacNeil, Adam J.; Hoffarth, Mark R.; VanderLaan, Doug P.; Zucker, Kenneth J.; Blanchard, Ray (৯ জানুয়ারি ২০১৮)। "Male homosexuality and maternal immune responsivity to the Y-linked protein NLGN4Y"। Proceedings of the National Academy of Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। 115 (2): 302–306। আইএসএসএন 0027-8424। ডিওআই:10.1073/pnas.1705895114।
- ↑ ক খ Camperio-Ciani A, Corna F, Capiluppi C (নভেম্বর ২০০৪)। "Evidence for maternally inherited factors favouring male homosexuality and promoting female fecundity"। Proc. Biol. Sci.। 271 (1554): 2217–21। ডিওআই:10.1098/rspb.2004.2872। পিএমআইডি 15539346। পিএমসি 1691850 ।
- ↑ ক খ গ A. Camperio Ciani; P. Cermelli; G. Zanzotto (২০০৮)। "Sexually Antagonistic Selection in Human Male Homosexuality"। PLoS ONE। 3 (6): e2282। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0002282। পিএমআইডি 18560521। পিএমসি 2427196 ।
- ↑ ক খ Savic I, Berglund H, Lindström P (মে ২০০৫)। "Brain response to putative pheromones in homosexual men"। Proc. Natl. Acad. Sci. U.S.A.। 102 (20): 7356–61। ডিওআই:10.1073/pnas.0407998102। পিএমআইডি 15883379। পিএমসি 1129091 ।
- ↑ Wade, Nicholas. (May 9, 2005). "Gay Men Are Found to Have Different Scent of Attraction." New York Times.
- ↑ Swaab DF, Hofman MA (ডিসেম্বর ১৯৯০)। "An enlarged suprachiasmatic nucleus in homosexual men"। Brain Res.। 537 (1–2): 141–8। ডিওআই:10.1016/0006-8993(90)90350-K। পিএমআইডি 2085769।
- ↑ ক খ Allen, L. S.; Gorski, R. A. (১৯৯২)। "Sexual orientation and the size of the anterior commissure in the human brain"। Proceedings of the National Academy of Sciences। 89 (15): 7199–7202। আইএসএসএন 0027-8424। ডিওআই:10.1073/pnas.89.15.7199। পিএমআইডি 1496013। পিএমসি 49673 ।
- ↑ Byne W.; Parsons B. (১৯৯৩)। "Human sexual orientation: The biological theories reappraised"। Archives of General Psychiatry। 50 (3): 228–239। ডিওআই:10.1001/archpsyc.1993.01820150078009। পিএমআইডি 8439245।
- ↑ Byne William; Tobet Stuart; Mattiace Linda A.; Lasco Mitchell S.; Kemether Eileen; Edgar Mark A.; Morgello Susan; Buchsbaum Monte S.; Jones Liesl B. (২০০১)। "The Interstitial Nuclei of the Human Anterior Hypothalamus: An Investigation of Variation with Sex, Sexual Orientation, and HIV Status"। Hormones and Behavior। 40 (2): 86–92। ডিওআই:10.1006/hbeh.2001.1680। পিএমআইডি 11534967।
- ↑ Lasco MS, Jordan TJ, Edgar MA, Petito CK, Byne W (মে ২০০২)। "A lack of dimorphism of sex or sexual orientation in the human anterior commissure"। Brain Res.। 936 (1–2): 95–8। ডিওআই:10.1016/s0006-8993(02)02590-8। পিএমআইডি 11988236।
- ↑ Cahill, 2006; Lenroot and Giedd, 2010; McCarthy et al., 2009; Sakuma, 2009
- ↑ Berenbaum and Beltz, 2016.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ LeVay, Simon (১৯৯১)। "A difference in hypothalamic structure between heterosexual and homosexual men"। Science। American Association for the Advancement of Science। 253 (5023): 1034–1037। আইএসএসএন 0036-8075। ডিওআই:10.1126/science.1887219। পিএমআইডি 1887219।
- ↑ Judaš, Miloš; Kostović, Ivica। "Neurobiologija emocija i spolnosti"। Temelji Neuroznanosti: Sadržaj Poglavlja (পিডিএফ) (ক্রোয়েশীয় ভাষায়)। পৃষ্ঠা 408। ২৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Swaab, D. F.; Gooren, L. J.; Hofman, M. A. (১৯৯২)। "Gender and sexual orientation in relation to hypothalamic structures"। Horm Res। 38 Suppl 2 (2): 51–61। ডিওআই:10.1159/000182597। পিএমআইডি 1292983।
- ↑ ক খ Byne W, Tobet S, Mattiace LA, ও অন্যান্য (সেপ্টেম্বর ২০০১)। "The interstitial nuclei of the human anterior hypothalamus: an investigation of variation with sex, sexual orientation, and HIV status"। Horm Behav। 40 (2): 86–92। ডিওআই:10.1006/hbeh.2001.1680। পিএমআইডি 11534967।
- ↑ Garcia-Falgueras A, Swaab DF (২০১০)। "Sexual Hormones and the Brain: An Essential Alliance for Sexual Identity and Sexual Orientation"। Endocr Dev। Endocrine Development। 17: 22–35। আইএসবিএন 978-3-8055-9302-1। ডিওআই:10.1159/000262525। পিএমআইডি 19955753।
- ↑ C. E. Roselli & F. Stormshak (মার্চ ২০০৯)। "Prenatal programming of sexual partner preference: the ram model"। Journal of Neuroendocrinology। 21 (4): 359–364। ডিওআই:10.1111/j.1365-2826.2009.01828.x। পিএমআইডি 19207819। পিএমসি 2668810 ।
- ↑ Garcia-Falgueras, Alicia, & Swaab, Dick F., Sexual Hormones and the Brain: An Essential Alliance for Sexual Identity and Sexual Orientation, in Endocrine Development, vol. 17, pp. 22–35 (2010) (ISSN 1421-7082) (authors are of Netherlands Institute for Neuroscience, of Royal Netherlands Academy of Arts and Sciences) (author contact is 2d author) (vol. 17 is Sandro Loche, Marco Cappa, Lucia Ghizzoni, Mohamad Maghnie, & Martin O. Savage, eds., Pediatric Neuroendocrinology).
- ↑ Wilson, G.D. & Rahman, Q (2005) Born Gay: The Psychobiology of Sex Orientation, Peter Owen, London
- ↑ Brodie HK, Gartrell N, Doering C, Rhue T (জানুয়ারি ১৯৭৪)। "Plasma testosterone levels in heterosexual and homosexual men"। Am J Psychiatry। 131 (1): 82–3। ডিওআই:10.1176/ajp.131.1.82। পিএমআইডি 4808435।
- ↑ ক খ MacIntyre F, Estep KW (১৯৯৩)। "Sperm competition and the persistence of genes for male homosexuality"। BioSystems। 31 (2–3): 223–33। ডিওআই:10.1016/0303-2647(93)90051-D। পিএমআইডি 8155854।
- ↑ Baker, Robin (1996) Sperm Wars: The Science of Sex, p.241 ff.
- ↑ "Gender bending"। The Economist।
- ↑ Zietsch, B.; Morley, K.; Shekar, S.; Verweij, K.; Keller, M.; Macgregor, S.; ও অন্যান্য (নভেম্বর ২০০৮)। "Genetic factors predisposing to homosexuality may increase mating success in heterosexuals"। Evolution and Human Behavior। 29 (6): 424–433। ডিওআই:10.1016/j.evolhumbehav.2008.07.002।
- ↑ Hamer, D., Copeland, P. The Science of Desire: The Search for the Gay Gene and the Biology of Behavior (Simon and Schuster, 1994) আইএসবিএন ০-৬৮৪-৮০৪৪৬-৮
- ↑ Mayr, E. (1982). The Growth of Biological Thought: Diversity, Evolution, and Inheritance. Cambridge: Harvard University Press. p 598.
- ↑ ক খ https://www.uleth.ca/dspace/handle/10133/3159
- ↑ ক খ http://www.advocate.com/news/daily-news/2010/02/05/study-supports-gay-super-uncles-theory
- ↑ Fraternal birth order and male sexual orientation
- ↑ https://link.springer.com/article/10.1007/s10508-011-9763-z
- ↑ "BBC NEWS - Health - Scans see 'gay brain differences'"।
- ↑ http://www.dafml.unito.it/anatomy/panzica/pubblicazioni/pdf/1995PanzicaJEI.pdf[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Swaab DF, Zhou JN, Ehlhart T, Hofman MA (১৯৯৪)। "Development of vasoactive intestinal polypeptide neurons in the human suprachiasmatic nucleus in relation to birth and sex"। Brain Res. Dev. Brain Res.। 79 (2): 249–59। ডিওআই:10.1016/0165-3806(94)90129-5। পিএমআইডি 7955323।
- ↑ Roughgarden, Joan (২০০৪)। Evolution's Rainbow: Diversity, Gender, and Sexuality in Nature and People। Berkeley, CA: University of California Press। পৃষ্ঠা 245।
- ↑ Bogaert AF, Hershberger S (১৯৯৯)। "The relation between sexual orientation and penile size"। Arch Sex Behav। 28 (3): 213–21। ডিওআই:10.1023/A:1018780108597। পিএমআইডি 10410197।
- ↑ Lasco, M. S.; Jordan, T. J.; Edgar, M. A.; Petito, C. K.; Byne, W. (২০০২)। "A lack of dimorphism of sex or sexual orientation in the human anterior commissure"। Brain Research। 936 (1–2): 95–98। ডিওআই:10.1016/S0006-8993(02)02590-8। পিএমআইডি 11988236।
- ↑ Kinnunen LH, Moltz H, Metz J, Cooper M (২০০৪)। "Differential brain activation in exclusively homosexual and heterosexual men produced by the selective serotonin reuptake inhibitor, fluoxetine"। Brain Res.। 1024 (1–2): 251–4। ডিওআই:10.1016/j.brainres.2004.07.070। পিএমআইডি 15451388।
- ↑ McFadden D (২০০২)। "Masculinization effects in the auditory system"। Arch Sex Behav। 31 (1): 99–111। ডিওআই:10.1023/A:1014087319682। পিএমআইডি 11910797।
- ↑ Rahman Q, Kumari V, Wilson GD (২০০৩)। "Sexual orientation-related differences in prepulse inhibition of the human startle response"। Behav. Neurosci.। 117 (5): 1096–102। ডিওআই:10.1037/0735-7044.117.5.1096। পিএমআইডি 14570558।
- ↑ Savic I, Berglund H, Gulyas B, Roland P (২০০১)। "Smelling of odorous sex hormone-like compounds causes sex-differentiated hypothalamic activations in humans"। Neuron। 31 (4): 661–8। ডিওআই:10.1016/S0896-6273(01)00390-7। পিএমআইডি 11545724।
- ↑ Berglund H, Lindström P, Savic I (২০০৬)। "Brain response to putative pheromones in lesbian women"। Proc. Natl. Acad. Sci. U.S.A.। 103 (21): 8269–74। ডিওআই:10.1073/pnas.0600331103। পিএমআইডি 16705035। পিএমসি 1570103 ।
- ↑ Safron A, Barch B, Bailey JM, Gitelman DR, Parrish TB, Reber PJ (২০০৭)। "Neural correlates of sexual arousal in homosexual and heterosexual men"। Behav. Neurosci.। 121 (2): 237–48। ডিওআই:10.1037/0735-7044.121.2.237। পিএমআইডি 17469913।. The authors of the study caution that any interpretation of this finding must take into account that the group difference in brain activation between heterosexual men and homosexual men in the amygdala region is not large and that the most robust finding is that both heterosexual and homosexual men used the same areas when they reacted to sexually preferred stimuli. "For the most part, homosexual and heterosexual men showed very similar patterns of activation (albeit to different erotic stimuli). One possible exception was the amygdala, in which homosexual men showed greater activational differences between preferred and nonpreferred erotic stimuli compared with heterosexual men. However, this difference was not hypothesized a priori, was not large, and was the only group difference found out of many tested. Thus, this finding needs replication."(Debra A. Hope (editor), What is Sexual Orientation and Do Women Have One? (presentation by J.M. Bailey), Nebraska Symposium on Motivation, Volume 54 p. 47, Springer Science, 2009.)
- ↑ Swaab, D. F. (২০০৮)। "Sexual orientation and its basis in brain structure and function"। Proceedings of the National Academy of Sciences of the United States of America। 105 (30): 10273–4। ডিওআই:10.1073/pnas.0805542105। পিএমআইডি 18653758। পিএমসি 2492513 ।
- ↑ Swaab, Dick F. (২০০৭)। "Sexual differentiation of the brain and behavior"। Best Practice & Research Clinical Endocrinology & Metabolism। 21 (3): 431–44। ডিওআই:10.1016/j.beem.2007.04.003। পিএমআইডি 17875490।
- ↑ Williams TJ; Pepitone ME; Christensen SE; ও অন্যান্য (মার্চ ২০০০)। "Finger-length ratios and sexual orientation" (পিডিএফ)। Nature। 404 (6777): 455–6। ডিওআই:10.1038/35006555। পিএমআইডি 10761903।
- ↑ Tortorice JL (২০০২)। "butch vs. femme"। Rutgers University। ওসিএলসি 80234273।
- ↑ Hall LS, Love CT (ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। "Finger-length ratios in female monozygotic twins discordant for sexual orientation"। Archives of Sexual Behavior। 32 (1): 23–8। ডিওআই:10.1023/A:1021837211630। পিএমআইডি 12597269।
- ↑ Rahman Q, Wilson GD (এপ্রিল ২০০৩)। "Sexual orientation and the 2nd to 4th finger length ratio: evidence for organising effects of sex hormones or developmental instability?"। Psychoneuroendocrinology। 28 (3): 288–303। ডিওআই:10.1016/S0306-4530(02)00022-7। পিএমআইডি 12573297।
- ↑ Putz, David A.; Gaulin, Steven J. C.; Sporter, Robert J.; McBurney, Donald H. (মে ২০০৪)। "Sex hormones and finger length: What does 2D:4D indicate?" (পিডিএফ)। Evolution and Human Behavior। 25 (3): 182–99। ডিওআই:10.1016/j.evolhumbehav.2004.03.005। ২০১০-০১-০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Rahman Q (মে ২০০৫)। "Fluctuating asymmetry, second to fourth finger length ratios and human sexual orientation"। Psychoneuroendocrinology। 30 (4): 382–91। ডিওআই:10.1016/j.psyneuen.2004.10.006। পিএমআইডি 15694118।
- ↑ Kraemer B, Noll T, Delsignore A, Milos G, Schnyder U, Hepp U (২০০৬)। "Finger length ratio (2D:4D) and dimensions of sexual orientation"। Neuropsychobiology। 53 (4): 210–4। ডিওআই:10.1159/000094730। পিএমআইডি 16874008।
- ↑ Wallien MS, Zucker KJ, Steensma TD, Cohen-Kettenis PT (আগস্ট ২০০৮)। "2D:4D finger-length ratios in children and adults with gender identity disorder"। Hormones and Behavior। 54 (3): 450–4। ডিওআই:10.1016/j.yhbeh.2008.05.002। পিএমআইডি 18585715।
- ↑ Grimbos T, Dawood K, Burriss RP, Zucker KJ, Puts DA (২০১০)। "Sexual orientation and the second to fourth finger length ratio: a meta-analysis in men and women"। Behav Neurosci। 124 (2): 278–287। ডিওআই:10.1037/a0018764। পিএমআইডি 20364887।
- ↑ Hirashi K, Sasaki S, Shikishima C, Ando J (জুন ২০১২)। "The second to fourth digit ratio (2D:4D) in a Japanese twin sample: heritability, prenatal hormone transfer, and association with sexual orientation"। Arch Sex Behav। 41 (3): 711–24। ডিওআই:10.1007/s10508-011-9889-z। পিএমআইডি 22270254।
- ↑ Lalumière ML, Blanchard R, Zucker KJ (২০০০)। "Sexual orientation and handedness in men and women: a meta-analysis"। Psychol Bull। 126 (4): 575–92। ডিওআই:10.1037/0033-2909.126.4.575। পিএমআইডি 10900997।
- ↑ Mustanski BS, Bailey JM, Kaspar S (২০০২)। "Dermatoglyphics, handedness, sex, and sexual orientation"। Arch Sex Behav। 31 (1): 113–22। ডিওআই:10.1023/A:1014039403752। পিএমআইডি 11910784।
- ↑ Lippa RA (২০০৩)। "Handedness, sexual orientation, and gender-related personality traits in men and women"। Arch Sex Behav। 32 (2): 103–14। ডিওআই:10.1023/A:1022444223812। পিএমআইডি 12710825।
- ↑ Hepper PG, Shahidullah S, White R (১৯৯১)। "Handedness in the human fetus"। Neuropsychologia। 29 (11): 1107–11। ডিওআই:10.1016/0028-3932(91)90080-R। পিএমআইডি 1775228।
- ↑ ক খ গ The Science of Gaydar by David France. New York Magazine. 18 June 2007.
- ↑ The Advocate (1996, February 6). Advocate Poll Results. p. 8.
- ↑ Ernulf KE, Innala SM, Whitam FL (ডিসেম্বর ১৯৮৯)। "Biological explanation, psychological explanation, and tolerance of homosexuals: a cross-national analysis of beliefs and attitudes"। Psychol Rep। 65 (3 Pt 1): 1003–10। ডিওআই:10.2466/pr0.1989.65.3.1003। পিএমআইডি 2608821।
- ↑ Whitley B. E. Jr (১৯৯০)। "The relationship of heterosexuals' attributions for the causes of homosexuality to attitudes toward lesbians and gay men"। Personality and Social Psychology Bulletin। 16 (2): 369–377। ডিওআই:10.1177/0146167290162016।
- ↑ Balog, Kari (2005–2006) "Equal Protection for Homosexuals: Why the Immutability Argument is Necessary and How it is Met.", Cleveland St. L. Rev. 545–573.
- ↑ "Is Sexuality Immutable?", Margaret Talbot, The New Yorker, January 25, 2010.
- ↑ "Prop. 8 trial: defenders of gay-marriage ban make their case"। Christian Science Monitor। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ ক খ গ What Makes People Gay? By Neil Swidey. The Boston Globe. Published August 14, 2005. Accessed June 18, 2009.
- ↑ Card, Orson Scott (আগস্ট ৭, ২০০৮)। "Science on gays falls short"। Deseret Morning News। সংগ্রহের তারিখ জুন ১২, ২০১০।
- ↑ Myths About Queer by Choice People. Queer by Choice. Accessed March 6, 2009.
- ↑ Homosexuality and Biology. By Chandler Burr. The Atlantic Monthly. June 2007.
তথ্যসূত্র
- Anders Ågmo (২০০৭)। Functional and Dysfunctional Sexual Behavior: A Synthesis of Neuroscience and Comparative Psychology। Amsterdam: Elsevier/Academic Press। আইএসবিএন 978-0-12-370590-7।
- Serge Wunsch PhD thesis about sexual behavior Paris Sorbonne 2007
- BBC (April 23, 1999). Doubt cast on 'gay gene'. BBC News.
- Articles by Dr. Daryl Bem will be found at [১], including several on his EBE theory
- Byne, William (১৯৯৪)। "The Biological Evidence Challenged"। Scientific American। 270 (5): 50–55। ডিওআই:10.1038/scientificamerican0594-50। পিএমআইডি 8197445।
- Trisha Macnair (undated). Genetics and human behaviour. BBC Health.
- Timothy F. Murphy (Fall 2000). Now What? The Latest Theory of Homosexuality. APA Newsletter on Philosophy and Lesbian, Gay, Bisexual and Transgender Issues.
- Muscarella, F.; Fink, B.; Grammer, K.; Kirk-Smith, M. (২০০১)। "Homosexual Orientation in Males: Evolutionary and Ethological Aspects" (PDF)। Neuroendocrinology Letters। 22 (6): 393–400। পিএমআইডি 11781535।
- Nuffield Council on Bioethics (2002). Genetics and human behaviour. London: Author. Chapter 10 discusses sexual orientation.
- Out in Nature: Homosexual Behaviour in the Animal Kingdom, a documentary by Stéphane Alexandresco, Bertrand Loyer and Jessica Menendez
- Rahman Q. (2005). The neurodevelopment of human sexual orientation. Neuroscience and Biobehavioral Reviews 29 :1057–1066.
- Rines JP, vom Saal FS (জুন ১৯৮৪)। "Fetal effects on sexual behavior and aggression in young and old female mice treated with estrogen and testosterone"। Horm Behav। 18 (2): 117–29। ডিওআই:10.1016/0018-506X(84)90037-0। পিএমআইডি 6539747।
- Veniegas, Rosemary C.; Conley, Terri D. (২০০০)। "Biological Research on Women's Sexual Orientations: Evaluating the Scientific Evidence"। Journal of Social Issues। 56 (2): 267–282। ডিওআই:10.1111/0022-4537.00165। ২০০৩-০৪-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- Ryan BC, Vandenbergh JG (অক্টোবর ২০০২)। "Intrauterine position effects"। Neurosci Biobehav Rev। 26 (6): 665–78। ডিওআই:10.1016/S0149-7634(02)00038-6। পিএমআইডি 12479841।
- LeVay, Simon; Hamer, Dean H. (১৯৯৪)। "Evidence for a Biological Influence in Male Homosexuality"। Scientific American। 270 (5): 44–49। ডিওআই:10.1038/scientificamerican0594-44। পিএমআইডি 8197444।
- T. J. Taylor (1992). Twin Studies of Homosexuality. Part II Experimental Psychology Dissertation (unpublished), University of Cambridge, UK.
- vom Saal FS (জুলাই ১৯৮৯)। "Sexual differentiation in litter-bearing mammals: influence of sex of adjacent fetuses in utero"। J. Anim. Sci.। 67 (7): 1824–40। পিএমআইডি 2670873।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- vom Saal FS, Bronson FH (মে ১৯৮০)। "Sexual characteristics of adult female mice are correlated with their blood testosterone levels during prenatal development"। Science। 208 (4444): 597–9। ডিওআই:10.1126/science.7367881। পিএমআইডি 7367881।
- McCarty, Linda. "Wearing my identity: a transgender teacher in the classroom." Equity & Excellence in Education 36.2 (June 2003): 170–183. Expanded Academic ASAP. Gale. UC Santa Barbara. 10 December 2007 [২].
- Begley, Sharon. "Nature plus nurture." Newsweek 126.n20 (Nov 13, 1995): 72(1). Expanded Academic ASAP. Gale. UC Santa Barbara. 10 December 2007 [৩].
- Jones, Steve. "Ys and wherefores." New Statesman & Society 6.n256 (June 11, 1993): 30(2). Expanded Academic ASAP. Gale. UC Santa Barbara. 10 December 2007 [৪].
- Dr. Gregory Cochran (July 2005). An Evolutionary Look At Human Homosexuality.
- Caleb Crain (August 1999). Did a Germ Make You Gay?. Out Magazine.
- LeVay, Simon (2011). Gay, Straight, and the Reason Why: The Science of Sexual Orientation. Oxford University Press.