সুতরাং
সুতরাং | |
---|---|
পরিচালক | সুভাষ দত্ত |
প্রযোজক | এম এ খায়ের সি আর চৌধুরী (ইস্টার্ন ফিল্মস) |
শ্রেষ্ঠাংশে | কবরী সুভাষ দত্ত রানী সরকার বেবী জাসমীন বেবী জামাল মেছবাহ আকবর মঞ্জুর ইনাম সিরাজ মেহেদী খান জইনুল |
সুরকার | সত্য সাহা |
পরিবেশক | শ্রীমতী পিকচার্স |
মুক্তি | ১৯৬৪ |
দেশ | পাকিস্তান |
ভাষা | বাংলা |
সুতরাং ১৯৬৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতাপূর্ব একটি পাকিস্তানি বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুভাষ দত্ত এবং তিনি এই ছবিতে একটি গ্রামের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সুভাষ দত্ত ছাড়াও ছবির প্রধান প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন কবরী, রানী সরকার, বেবী জাসমীন, বেবী জামান, মেছবাহ, আকবর, মঞ্জুর, ইনাম, সিরাজ, মেহেদী, খান জইনুলসহ আরো অনেকে। সৈয়দ শামসুল হক এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য, সংলাপ রচনা করেছিলেন এবং সকল গানের গীতিকার ছিলেন।[১]
এটি কবরী অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। সুভাষ দত্তের প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সত্য সাহার চলচ্চিত্র সংগীত পরিচালনার অভিষেক ঘটে। এটি বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সম্মাননা লাভ করেছিল। ১৯৬৫ সালে ফ্রাংকফুর্ট চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কার লাভ করে।[২]
কাহিনী সংক্ষেপ
[সম্পাদনা]গ্রামের চঞ্চল তরুণী কবরীকে ( জরিনার ভূমিকায়) ভালবাসে যুবক সুভাষ দত্ত ( আবদুল জব্বার খানের ভূমিকায়)। ভাবীকে দিয়ে জরিনার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় সে, কিন্তু জরিনার বাবা দরিদ্র জব্বারের সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হয়না। টাকা উপার্জনের উদ্দেশ্যে ঢাকায় এসে নৈশপ্রহরীর চাকরি নেয় জব্বার। টাকা আয় করে গ্রামে ফিরে দেখে জরিনার বিয়ে হয়ে গেছে। ভাঙা মনে শহরে ফিরে আসে জব্বার। ওদিকে মদ্যপ স্বামীর সংসারে নির্যাতন আর অপমানের শিকার হয় জরিনা। নিরুপায় জরিনার বাবা জব্বারের সাহায্য নেয়ার জন্য শহরে আসে। ঘটনাচক্রে জরিনার সাথে দেখা হয় জব্বারের। এভাবে বিয়োগান্তক পরিণতির দিকে এগিয়ে যায় কাহিনী।[৩]
শ্রেষ্ঠাংশে
[সম্পাদনা]- কবরী -
- সুভাষ দত্ত -
- রানী সরকার
- বেবী জাসমীন -
- বেবী জামান -
- মেছবাহ -
- আকবর -
- মঞ্জুর -
- ইনাম -
- সিরাজ -
- মেহেদী -
- খান জয়নুল -
সম্মাননা
[সম্পাদনা]- ফ্রাংকফুর্ট চলচ্চিত্র উৎসবে
- দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র - (১৯৬৫)
- পাকিস্তান চলচ্চিত্র উৎসব
- শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেতার পুরস্কার - (১৯৬৫)[২]
সংগীত
[সম্পাদনা]সুতরাং ছবির সংগীত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক সত্য সাহা।[১]
গানের তালিকা
[সম্পাদনা]- ‘তুমি আসবে বলে, কাছে ডাকবে বলে, ভালোবাসবে বলে শুধু মোরে’ - গায়িকাঃ আঞ্জুমান আরা বেগম।[১]
- ‘নদী বাঁকা জানি, চাঁদ বাঁকা জানি, তাহার চেয়ে আরও বাঁকা তোমার ছলনা’ - দ্বৈত কন্ঠেঃ মুস্তাফা জামান আব্বাসী ও ফেরদৌসী রহমান।১[১]
- এই যে আকাশ, এই যে বাতাস - গায়কঃ আব্দুল আলীম ও কাজী আনোয়ার হোসেন।[১]
- এমন মজা হয় না, গায়ে সোনার গয়না, বুবুমণির বিয়ে হবে বাজবে কত বাজনা - শিশুশিল্পী আলেয়া শরাফী।[১]
নোট
[সম্পাদনা]১ মুস্তাফা জামান আব্বাসী ও ফেরদৌসী রহমানের একত্রে প্রথম চলচ্চিত্রের গান ছিল[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "আমি কখনো গান লিখতে চাইনি"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৬।
- ↑ ক খ নিজস্ব প্রতিবেদক সুভাষ দত্ত আর নেই ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২০-০৫-২৪ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ১৭, ২০১২
- ↑ সুতরাং, বাংলা মুভি ডাটাবেইজ