সি.আই.ডি. (ভারতীয় টেলিভিশন ধারাবাহিক)
সি.আই.ডি. | |
---|---|
ধরন |
|
নির্মাতা | বি. পি. সিং |
পরিচালক | বি. পি. সিং |
মূল দেশ | ভারত |
মূল ভাষা | হিন্দি |
মৌসুমের সংখ্যা | ২ |
পর্বের সংখ্যা | ১,৫৪৭ |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | বি. পি. সিং |
নির্মাণের স্থান | মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত |
ব্যাপ্তিকাল | ৪০–৪৫ মিনিট |
নির্মাণ কোম্পানি | ফায়ারওয়ার্কস প্রোডাকশন |
পরিবেশক | সনি পিকচার্স নেটওয়ার্ক |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশন |
মূল মুক্তির তারিখ | ২১ জানুয়ারি ১৯৯৮ বর্তমান | –
ক্রমধারা | |
সম্পর্কিত অনুষ্ঠান | সি.আই.ডি. কলকাতা ব্যুরো |
বহিঃসংযোগ | |
ওয়েবসাইট |
সি.আই.ডি হলো স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের একটি ধারাবাহিক। এ ধারাবাহিকে একদল গোয়েন্দা মুম্বইয়ের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টে কাজ করে। এ ধারাবাহিকের পরিচালক বি. পি. সিং। ভারতের মধ্যে এটি দীর্ঘতম চলমান টিভি ধারাবাহিক।[১] প্রথম ভারতীয় গোয়েন্দা ভিত্তিক টিভি ধারাবাহিক সি.আই.ডি যা এখনও ভারতের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। ডিসিপি চিত্রলে, এসিপি প্রদ্যুমন, সিনিয়র ইন্সপেক্টর অভিজিৎ, সিনিয়র ইন্সপেক্টর দয়া, ইন্সপেক্টর ফ্রেডরিকস এবং ডাক্তার সালুঁখে এ ধারাবাহিকের মূল চরিত্র। যেখানে ব্যুরোর প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন এসিপি প্রদ্যুমন এবং সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন ডিসিপি চিত্রলে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সিআইডির পরিচালক বি. পি. সিং-ই ডিসিপি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সিআইডি শুধু ভারতে নয়, বাংলাদেশেও অনেক জনপ্রিয়। এটি ভারতে সবচাইতে জনপ্রিয় এবং বাংলাদেশেও সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিকগুলোর একটি।
১৯৯৮ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে ফায়ারওয়ার্কস প্রোডাকশনের অধীনে সাপ্তাহিকভাবে এটি সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনে সম্প্রচার শুরু হয়।[২] সি.আই.ডি ধারাবাহিকটি ২০০৪ সালের ৭ নভেম্বর আরেকটি রেকর্ড অর্জন করে যখন পরিচালক বি. পি. সিং কোনো রকমের বিরতি ছাড়াই ১১১ মিনিটের "দ্য ইনহেরিটেন্স/সি.আই.ডি. ১১১" নামে একটি পর্ব তৈরি করেন। ওই পর্বটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লেখায়।
বি. পি. সিংয়ের এক ইন্টারভিউর তথ্য অনুযায়ী তিনি ১৯৮৬ সালে দূরদর্শনে (ডিডি) সি.আই.ডি ছয় পর্ব তৈরি করেছিলেন সনি টেলিভিশনে করার আগে।
২০০৫ সালের ৩ জানুয়ারি সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশন এবং ফায়ারওয়ার্কস প্রোডাকশন মিলে প্রতিদিনের জন্য সি.আই.ডি. স্পেশাল ব্যুরো নামে ১৬৮ পর্ব তৈরি করেন। যা ২০০৬ সালের ২৭ এপ্রিল শেষ হয়।
২০০৬ সালের ৭ জুলাই থেকে ১ সেপ্টেম্বর "সি.আই.ডি অপরেশন তালাশ" নামের একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যার উদ্দেশ্য ছিলো সিআইডি টিমে নতুন অফিসার নেয়া। [৩] এ আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ী বিবেক ভি মাশরুকে সিআইডিতে যুক্ত করা হয় যার চরিত্রের নাম বিবেক।[৪] সফল এ আয়োজনের পর "'সিআইডি"' প্রযোজক একটি অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। "সিআইডি গ্যালেন্ট্রি অ্যাওর্য়াড" নামের এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি নিজেদের একযুগ পূর্তি পালন করে।
২০১৮ সালের ২৭ অক্টোবর সি.আই.ডি.'র প্রথম মৌসুম শেষ হয়।
২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বর সি.আই.ডি.'র দ্বিতীয় মৌসুম শুরু হবে।[৫][৬]
মৌসুম
[সম্পাদনা]মৌসুম | পর্ব | মূল সম্প্রচার | |||
---|---|---|---|---|---|
প্রথম সম্প্রচার | শেষ সম্প্রচার | ||||
১ | ১,৫৪৭ | ২১ জানুয়ারি ১৯৯৮[৭] | ২৭ অক্টোবর ২০১৮ | ||
২ | ঘোষিত হবে | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ঘোষিত হবে |
অভিনয়শিল্পী
[সম্পাদনা]অফিসার
[সম্পাদনা]চরিত্র | পদবী | মূল নাম | সময়কাল | তথ্য |
---|---|---|---|---|
প্রদ্যুমন | এসিপি | শিবাজী সাটম | ১৯৯৮–২০১৮ | প্রথম তিনটি মামলায় দায়িত্ব পালন করেছেন ইন্সপেক্টর শ্রীকান্ত পাটকার এবং পরবর্তী তিনটি মামলায় দায়িত্বে ছিলেন এসিপি পৃথ্বিরাজ। পরবর্তী থেকে শুরু করে এখনও দলনেতা হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন সবকিছুর আগে নিজের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে নিজের সন্ত্রাসী পুত্র নকুলকে নিজ হাতে গুলি করে মেরে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করেননি। তবে তিনি নিজের সকল অফিসারকেই নিজের সন্তানের মতোই দেখেন। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, এই ধারাবাহিকের প্রতি এপিসোডে অভিনয়ের জন্য শিবাজীর পারিশ্রমিক ৫ লক্ষ টাকা। |
অভিজিৎ | সিনিয়র ইন্সপেক্টর | আদিত্য শ্রীবাস্তব | ১৯৯৯–২০১৮ | মূলত দলে যোগ দিয়েছেন ইন্সপেক্টর ভিরেনের স্থলাভিষিক্ত হয়ে। আরেক সিনিয়র ইন্সপেক্টর দয়ার সাথে তার গভীর বন্ধুত্ব। বেশ বড় কিছু বিপদে দয়া তার জীবন বাঁচিয়েছেন। অফিসারদের মধ্যে তিনি সেরা একজন যিনি যথেষ্ট বুদ্ধিমান এবং সৎ সিআইডি অফিসার। তিনি সিআইডি সদস্যদের মধ্যে সেরা একজন শ্যুটার যিনি চোখ বন্ধ করে আওয়াজ শুনে নিখুঁত নিশানায় গুলি করতে পারেন। ফরেনসিক ল্যাবের সহকারী ডা. তারিকার প্রতি আলাদা দূর্বলতা আছে তার। অভিজিৎ চরিত্রে অভিনয়ের পূর্বে ১৯৯৮ সালে একটি পর্বে তিনি ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রতি এপিসোডে অভিনয় করতে আদিত্য শ্রীবাস্তব নেন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। |
দয়া | সিনিয়র ইন্সপেক্টর | দয়ানন্দ শেঠি | ১৯৯৮–২০১৮ | মূলত দলে যোগ দিয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে। তিনি সেরা পুরুষ ব্যক্তিত্ব হিসেবে ২০০২ সালে ইন্ডিয়ান টেলিভিশন থেকে পুরস্কার জিতেছেন। পাশাপাশি তিনি সিআইডি অফিসারদের মধ্যে শক্তিশালী একজন অফিসার যিনি ভিলেনদের থাপ্পড় দেওয়া এবং লাথি মেরে দরজা ভাঙ্গার কাজটি করে বেশ জনপ্রিয়। সিআইডির আরেক অফিসার অভিজিতের সাথে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক গভীর এবং অনেকবার তার জীবন রক্ষা করেছেন। এই অভিনেতা প্রতি এপিসোডে অভিনয় করতে ১ লক্ষ টাকা নেন। |
ফ্রেডরিক্স (ফ্রেডি) | ইন্সপেক্টর | দীনেশ ফড়নিস | ১৯৯৮–২০১৮ | দলে যোগ দিয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে। ১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করলেও তিনি কমিডিয়ান চরিত্রের জন্য বেশ জনপ্রিয়। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি বেশ নরম-হৃদয়ের অধিকারী যিনি তার স্ত্রীকে মনিষাকে খুব পছন্দ করেন। আত্মা নাম শুনলেই তার ঘাম ঝরতে শুরু করে এবং এই জন্য তিনি এসিপি সাহেবের কাছে বকাও খেয়েছেন। তার মজার ব্যক্তিত্ব বরাবরই স্ট্রেস রিলিভার। দীনেশ প্রতি পর্বের জন্য নেন ৭০-৮০ হাজার টাকা। |
পূরবী | সাব-ইন্সপেক্টর | আনশা সায়েদ | ২০১১–২০১৮ | ‘সিআইডি’র কঠোর অফিসার পূরবী। আগে ছিলেন পুলিশ অফিসার কিন্তু পরে সিআইডি তে যোগ দেন। সাহসী অফিসারদের মধ্যে একজন। প্রতি পর্বে রোজগার করেন ৪০ হাজার টাকা। |
শ্রেয়া | সাব-ইন্সপেক্টর | জানভী ছেড়া | ২০১২–২০১৮ | ৮৪২ নং এপিসোডে (রাজ সার ঔর হাত কা) সাব-ইন্সপেক্টর বিনীতের সাথে সিআইডি টিমে জয়েন করেন শ্রেয়া। প্রথমে তাদের দেখে এসিপি প্রদ্যুমন ছাড়া কেউই চিনতে পারেনি এবং ফ্রেডরিক্স বলেও দেন যে তারা প্রমাণ লোপাট করতে এসেছে। |
রজত | সিনিয়র ইন্সপেক্টর | বিকাশ কুমার | ২০১২–২০১৮ | শ্রেয়া ও বিনীত এর আগের পর্বেই সিআইডি টিমে সিনিয়র ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগ দেন রজত। সিআইডি-র কঠোর অফিসারদের মধ্যে অন্যতম। 'খুনি পানি' নামক এপিসোডে তিনি দলে যোগ দেন এবং খুব চালাকির সাথে অপরাধীকে ধরেন। মিথ্যা কথা শুনলে এনার মাথা এতটাই গরম হয়ে যায় যে নিজেকে সামলাতে পারেন না। তখন তিনি ইন্সপেক্টর দয়ার মত থাপ্পড় মারতে থাকেন অপরাধীদের। |
পূর্বের অফিসারবৃন্দ
[সম্পাদনা]৪ বছর বা তার বেশি সময় ধরে থাকা অফিসারদের গাঢ় রঙ দেয়া হলো
চরিত্র | পদবী | মূল নাম | সময়কাল | তথ্য |
---|---|---|---|---|
ভিরেন্দ্র (ভিরেন) | ইন্সপেক্টর | আশুতোষ গৌয়ারকার | ১৯৯৮-১৯৯৯ | ট্রান্সপার |
আশা | ইন্সপেক্টর | ঐশ্বিনি কালেশকার | ১৯৯৮-২০০৪ | সিআইডির একজন সেরা মহিলা অফিসার হিসেবে দীর্ঘ সময় সিআইডি টিমে থাকা অফিসারদের মধ্যে একজন। |
কে.সুধাকর | সাব-ইন্সপেক্টর | ধনঞ্জয় মান্দ্রেকর | ১৯৯৮–২০০৫ | সিআইডিতে কাজ করেছেন এবং ফ্রেডরিকের ভালো বন্ধু হিসেবে পরিচিত |
দাকশ | ইন্সপেক্টর | মানব গহিল | ২০০৪-২০০৫ | ভাইয়ের খুনিকে ধরার কাজে জড়িত হতে গিয়ে সিআইডিতে যোগ দেন। এক সময়ে এসিপির গুলিতে নিহত হওয়া সন্ত্রাসী ছেলে নকুলের কাছে সিআইডির কিছু গোপন তথ্য প্রকাশ করে দেন। |
অদিতি | সাব-ইন্সপেক্টর | স্মিতা বানসাল | ২০০৪-২০০৫ | তিনি একজন সাহসী এবং বুদ্ধিমান অফিসার। তবে তার বোন ছিলেন একজন সন্ত্রাসী। ২০০৫ সালের ১২-১৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত এক পর্বে তিনি মারা যান। |
প্রিয়াংকা | সাব-ইন্সপেক্টর | সাই দেবদর | ২০০৫ | হাতে নানা ধরনের কাজে দক্ষতা ছিলো। তবে ২০০৫ সালের ২১ অক্টোবর এবং ২০০৫ সালের ১৮ নভেম্বর দুটি পর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি এসিপি প্রাদিউমানকে একজন খুনি হিসেবে মনে করেন। |
আনুস্কা | সাব-ইন্সপেক্টর | কবিতা কৌশিক | ২০০৫-২০০৬ | ট্রান্সফার |
মুসকান | সাব-ইন্সপেক্টর | অলকা বর্মা | ২০০৬-২০০৭ | সিআইডি দলের মধ্যে তিনি ছিলেন সেরা স্মার্ট একজন নারী অফিসার। ট্রান্সপার |
বিবেক | সাব-ইন্সপেক্টর | বিবেক ভি মাশরু | ২০০৬–২০১২ | তিনি নির্বাচিত হয়েছেন সিআইডি প্রোডাকশন আয়োজিত 'অপারেশন তালাশ' নামের একটি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেরা হয়ে। ২০০৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো সিআইডিতে অভিনয় করেন। |
দীপিকা | সাব- ইন্সপেক্টর | মেঘা গুপ্ত | ২০০৭–২০০৮ | ২০০৭ সালের ১০ আগস্ট একটি পর্বের মাধ্যমে সিআইডিতে যোগ দেন। এসিপি প্রাদিউমান শুরু থেকেই তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন কারণ তিনি ভাবতেন এ কাজের জন্য তিনি যোগ্য নন। ২০০৭ সালের ৩১ আগস্ট এক পর্বে নিজের যোগ্যতা বলে একটি মামলায় দারুণ ভাবে তথ্য উদ্ধার করেন তিনি এবং নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দেন। |
কাবেরি | সাব-ইন্সপেক্টর | পরিণিতা শেঠ | ২০০৮ | ২০০৮ সালের ২১ মার্চ আরেক অফিসার লাবণ্যের সাথে একটি পর্বের মাধ্যমে সিআইডিতে যোগ দেন। কিছুটা আবেগপ্রবণ এ অফিসার একটি পর্বে আহত হন। |
লাবণ্য | সাব-ইন্সপেক্টর | জিমি কুনাল নন্দা | ২০০৮-২০০৯ | ২০০৮ সালের ২১ মার্চ প্রথম একটি পর্বে যোগ দেন। |
তাশা | সাব-ইন্সপেক্টর | বৈশ্বভি ধনরাজ | ২০০৯-২০১০ | ২০০৯ সালের ২৯ মে 'এক রহস্যময় লাশ' নামক পর্বের মাধ্যমে সিআইডিতে যুক্ত হন। শুরুতে তার বহনকৃত ব্যাগে মাদক দ্রব্য পাওয়া গিয়েছিল তখন তিনি সিআইডি দলে যোগ দেওয়ার অযোগ্য বিবেচিত হন। পরবর্তীতে এসিপি উক্ত মাদক পরীক্ষা করে দেখেন তা আসল নয় এবং পরবর্তীতে তাকে সিআইডিতে যোগ দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। মামলার ক্ষেত্রে চালাক হিসেবে তার বেশ গ্রহণযোগ্যতা ছিলো। ২০১০ সালের ৪ ডিসেম্বর এক পর্বে ডিউটি থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। ধারাবাহিকের অন্যতম জনপ্রিয় অফিসার বৈষ্ণবী ধনরাজও প্রতি পর্বে নেন ৪০ হাজার টাকা। [৮] |
ডা. সোনালী বারোই | ফরেনসিক এক্সপার্ট | মানিনি মিশ্রা | ২০১০-২০১১ | ২০১০ সালের ২১ মে রহস্যময় দরজা শীর্ষক পর্বের মাধ্যমে সিআইডিতে যোগ দেন। গল্পের তথ্য অনুযায়ী ডা. সোনালী এবং ডা. সালোংকি একই কলেজে পড়তেন। |
কাজল | সাব-ইন্সপেক্টর | জসভীর কাউর | ২০১০ –২০১২ | শুরুতে সিআইডিতে যোগ দেওয়ার অনুমতি পাননি। তার ভাই রাহুল নিহত হন ভিলেনদের হাতে এবং সেই ভিলেনদের ধরতেই তিনি সিআইডিতে যোগ দিতে চেয়েছেন বলে অভিযোগ ছিলো। তবে পরবর্তীতে নিজের কাজের মাধ্যমে সেরাটা দেখিয়ে সিআইডি দলে জায়গা করে নেন। |
শচীন | ইন্সপেক্টর | হৃষিকেশ পাণ্ডে | ২০১০ –২০১৬ | সিআইডি দলে যোগ দেন ২০১০ সালের ৭মে অনুষ্ঠিত একটি পর্ব থেকে। পরবর্তীতে তিনি বেশ কিছু পর্বে সাদা পোশাকে বেশ কিছু মামলায় কাজ করেন। এক সময়ে সেরা নানা ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন একজন সিআইডি অফিসার হিসেবে। শুরুতে তিনি সিদ্ধার্থ নামে যোগ দিলেও পরবর্তীকালে শচীন নামে কাজ শুরু করেন। |
ফরেনসিক এক্সপার্ট
[সম্পাদনা]চরিত্র | মূল নাম | সময়কাল | তথ্য |
---|---|---|---|
ডা. আর পি সালুঁখে | নরেন্দ্র গুপ্ত | ১৯৯৮–২০০৩ ২০০৭–২০১৮ |
১৯৯৮ সালে তিনি ডা. বর্মা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। শুরু থেকে কয়েক বছর কাজ করলেও মাঝে কয়েক বছর চুল প্রতিস্থাপনের জন্য সিআইডি টিমের বাইরে ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৭ থেকে নিয়মিত হন। তদন্তের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি এসিপি প্রদ্যুমন, ডা. সোনালী এবং অভিজিৎতের সাথে যুক্তিতর্ক করেন। তবে সিআইডি টিমের প্রতি তার রয়েছে বিশেষ দরদ। এসিপি প্রদ্যুমন এর মুখে সালুঁখে-র সম্পর্কে শোনা যায়, "লোকটার কথা একটু ট্যারা হলেও ট্যালেন্ট আছে" কিন্তু এগুলো শুধুমাত্র সালুঁখে কে রাগানোর জন্যই বলা হয়। |
ডা. তারিকা/সারিকা | শ্রদ্ধা মুসলে | ২০০৭-২০১৮ | ২০০৭ সালের ১০ আগস্ট দ্য ডন'স ফাইনাল রিভেঞ্জ মামলার মাধ্যমে সিআইডিতে আসেন। ডা. সালুঁখের সহকারী হিসেবে ফরেনসিক ল্যাবে কাজ করছেন। সিনিয়র ইন্সপেক্টর অভিজিৎ তার প্রতি দুর্বল এবং একইভাবে সারিকাও অভিজিতের উপর দুর্বল। |
পুরস্কার
[সম্পাদনা]বছর | পুরস্কার | শ্রেণী | মনোনীত ব্যক্তি | স্থিতি | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|
২০০২ | ভারতীয় টেলি পুরস্কার | সেরা ধারাবাহিক টিভি প্রোগ্রাম | ফায়ারওয়ার্ক্স প্রডাকশন | বিজয়ী | [৯] |
২০০২ | প্রধান চরিত্রে সেরা অভিনেতা | শিবাজী সতম | বিজয়ী | [১০] | |
২০০৩ | [১১] | ||||
২০০৪ | সেরা থ্রিলার প্রোগ্রাম | বিপি সিং, প্রদীপ উপপুর (ফায়ারওয়ার্ক্স প্রডাকশন) |
বিজয়ী | [৯] | |
২০০৬ | সেরা সাপ্তাহিক সিরিয়াল | ||||
২০০৭ | সেরা থ্রিলার প্রোগ্রাম | ||||
২০০৯ | সেরা সাপ্তাহিক সিরিয়াল | ||||
২০১০ | সেরা থ্রিলার প্রোগ্রাম | ||||
২০১২ | সেরা থ্রিলার প্রোগ্রাম | ||||
২০১৩ | সেরা সাপ্তাহিক সিরিয়াল |
বছর | পুরস্কার | শ্রেণী | মনোনীত ব্যক্তি | স্থিতি | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|
২০০০ | ভারতীয় টেলিভিশন একাডেমি পুরস্কার | সেরা থ্রিলার/হরর সিরিয়াল | বিপি সিং, প্রদীপ উপপর (ফায়ারওয়ার্ক্স প্রডাকশন) |
বিজয়ী | |
২০০২ | নাটক | বিজয়ী | [১২] | ||
২০০৪ | সেরা টেলিপ্লে | রজত অরোরা | বিজয়ী | [১৩] | |
নাটক | বিপি সিং | বিজয়ী | [১৪] | ||
সেরা ভিডিওগ্রাফি | |||||
২০০৫ | নেতিবাচক চরিত্রে সেরা অভিনেতা | মকরন্দ দেশপান্ডে | বিজয়ী | [১৫] | |
২০০৭ | সেরা থ্রিলার/হরর সিরিয়াল | বিপি সিং, প্রদীপ উপপর (ফায়ারওয়ার্ক্স প্রডাকশন) |
বিজয়ী | ||
২০০৯ | [১৪] |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "What makes this TV show such a hit with Indians?"। Movies.rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০৬।
- ↑ "Indian Entertainment Channel - Indian Television Shows - Sony TV Live - Bollywood Movie Channel"। SET India। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০৬।
- ↑ "> News >CID Operation Talaash is on!"। Tellychakkar.com। ২০০৬-০৭-০৭। ২০১০-০১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০৬।
- ↑ "Another hero enters CID - Entertainment - DNA"। Dnaindia.com। ২০০৬-০৯-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০৬।
- ↑ "CID 2 is all set to arrive on TV! When and where to catch ACP Pradyuman, Inspector Daya in action"। The Economic Times। ২০২৪-১১-২৩। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-২৭।
- ↑ "CID Season 2 Date Out: The Powerful Cop Daya Announces His Arrival In Signature Style"। News18 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-২৭।
- ↑ "The best CID episodes, as explained by their writers"। Film Companion। ২০ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ সিআইডি অভিনেতাদের প্রতি এপিসোড রোজগার কত
- ↑ ক খ "The Winners of The Indian Telly Awards 2002"। Indian Television। ২৮ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "ITA Awards 2002 Winner list", Indian Telly Awards, ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৫
- ↑ "ITA Awards 2003 Winner list", Indian Telly Awards, ১৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৮
- ↑ "Hero Honda Indian Television Academy Awards 2002"। Indian Television Academy। ২৯ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "ITA Award 2004 winners list", ITA Awards, ২৬ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা
- ↑ ক খ "The Indian Television Academy Awards 2009"। IndianTelevisionAcademy.com। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১২।
- ↑ "The Hero Honda Indian Television Academy Awards 2005"। Indian Television Academy। ৪ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।