সি.আই.ডি. (ভারতীয় টেলিভিশন ধারাবাহিক)
সি.আই.ডি. | |
---|---|
![]() | |
নির্মাতা | বি.পি.সিং প্রদীপ উপার |
পরিচালক | বি.পি.সিং |
অভিনয়ে | সি.আই.ডি (টিভি সিরিজ) |
মূল দেশ | ভারত |
মূল ভাষা | হিন্দী |
মৌসুমের সংখ্যা | ১ |
পর্বের সংখ্যা | ১,৫৪৭ |
নির্মাণ | |
প্রযোজক | প্রদীপ উপার বি.পি. সিং |
ব্যাপ্তিকাল | ২০-২২ মিনিট (২৯ এপ্রিল, ১৯৯৭ - ৩ মার্চ, ২০০৬) ৪০-৪৩ মিনিট(১০ মার্চ, ২০০৬ - ১৭ জুলাই, ২০০৯) ৪৬-৪৯ মিনিট(২৪ জুলাই, ২০০৯ - ৫ মার্চ, ২০১০) ৫৮-৬০ মিনিট(১২ মার্চ, ২০১০ - ২০১৮) |
নির্মাণ কোম্পানি | ফায়ারওয়ার্কস প্রোডাকশন |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশন (ভারত) |
ছবির ফরম্যাট | ৪৮০আই (এসডিটিভি) |
বহিঃসংযোগ | |
ওয়েবসাইট |
সি.আই.ডি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনের একটি সিরিজ। এ সিরিজে একদল গোয়েন্দা মুম্বাইয়ের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টে কাজ করে। এ সিরিজের পরিচালক বি.পি. সিং। ভারতের মধ্যে এটি সবচেয়ে লম্বা টিভি সিরিজ। [১] প্রথম ভারতীয় গোয়েন্দা ভিত্তিক টিভি সিরিজ সি.আই.ডি যা এখনও ভারতের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এসিপি প্রদিউমান, সিনিয়র ইন্সপেক্টর দয়া, সিনিয়র ইন্সপেক্টর অভিজিৎ, ইন্সপেক্টর ফ্রেডরিকস এবং ডাক্তার সালোংকি এ সিরিজের মূল চরিত্র।
১৯৯৮ সালের ২১ জানুয়ারি এটি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশন এবং ফায়ারওয়ার্কস প্রোডাকশন সাপ্তাহিক ভাবে গোয়েন্দা সিরিজ সি.আই.ডি চালু করে।[২] সি.আই.ডি সিরিজটি ২০০৪ সালের ৭ নভেম্বর আরেকটি রেকর্ড অর্জন করে যখন পরিচালক বি.পি. সিং কোন রকমের বিরতি ছাড়াই ১১১ মিনিটের "The Inheritance"/C.I.D. 111 সি.আই.ডি'র পর্ব তৈরী করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজেদের নাম তুলে নেয়।
বি.পি সিংয়ের এক ইন্টারভিউর তথ্য অনুযায়ী তিনি ১৯৮৬ সালে দূরদর্শন (ডিডি) তে সি.আই.ডি ছয় পর্ব তৈরী করেছিলেন সনি টেলিভিশনে করার আগে।
২০০৫ সালের ৩ জানুয়ারি সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশন এবং ফায়ারওয়ার্কস প্রোডাকশন মিলে প্রতিদিনের জন্য সি.আই.ডি স্প্যাশাল ব্যুরো নামে ১৬৮ পর্ব তৈরী করেন। যা ২০০৬ সালের ২৭ এপ্রিল শেষ হয়।
২০০৬ সালের ৭ জুলাই থেকে ১ সেপ্টেম্বর "সি.আই.ডি অপরেশন তালাশ" নামের একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়, যার উদ্দেশ্য ছিলো সিআইডি টিমে নতুন অফিসার নেয়া। [৩] এ আয়োজনের মাধ্যমে বিজয়ী বিবেক বি মাশরুকে সিআইডিতে যুক্ত করা হয় যার চরিত্রের নাম বিবেক।[৪] সফল এ আয়োজনের পর "'সিআইডি"' প্রযোজক একটি অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। "সিআইডি গ্যালেন্ট্রি অ্যাওর্য়াড" নামের এ পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান ২০১০ সালের ২৬ জানুয়ারি নিজেদের একযুগ পূর্তি পালন করে।
বর্তমানে সিআইডি টিমের অফিসার হিসেবে আছেন এসিপি প্রদিউমান, সিনিয়র ইন্সপেক্টর অভিজিৎ, সিনিয়র ইন্সপেক্টর দয়া, ইন্সপেক্টর ফ্রেডরিক্স, ইন্সপেক্টর শচীন, সাব-ইন্সপেক্টর বিবেক, সাব-ইন্সপেক্টর কাজল এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডা.সালোঙ্কি এবঙ ডা. সারিকা। ২৭ সেপ্টেমবর ২০১৮ সি.আই.ডি সিরিজ শেষ হয়।
অফিসার[সম্পাদনা]
চরিত্র | পদবী | মূল নাম | সময়কাল | তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
প্র্দ্যুমন | এসিপি | শিবাজী সতম | ১৯৯৮ – ২০১৮ | প্রথম তিনটি মামলায় দায়িত্ব পালন করেছেন ইন্সপেক্টর শ্রীকান্ত পাটকার এবং পরবর্তী তিনটি মামলায় দায়িত্বে ছিলেন এসিপি পৃথ্বিরাজ। পরবর্তী থেকে শুরু করে এখনও দলনেতা হিসেবে কাজ করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন সবকিছুর আগের নিজের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে নিজের সন্ত্রাসী পুত্র নকুলকে নিজ হাতে গুলি করে মেরে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করেননি। তবে তিনি নিজের সকল অফিসারকেই নিজের সন্তানের মতোই দেখেন। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, এই ধারাবাহিকের প্রতি এপিসোডে অভিনয়ের জন্য শিবাজির পারিশ্রমিক ৫ লক্ষ টাকা। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অভিজিৎ | সিনিয়র ইন্সপেক্টর | আদিত্য শ্রীবাস্তব | ১৯৯৯ – ২০১৮ | মূলত দলে যোগ দিয়েছেন ইন্সপেক্টর ভিরেনের স্থলাভিষিক্ত হয়ে। ১৯৯৮ সালের এক মামলায় কাজ করতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং নিজের আগের সব তথ্য ভুলে যান। আরেক সিনিয়র ইন্সপেক্টর দায়ার সাথে তার গভীর বন্ধুত্ব। বেশ বড় কিছু বিপদে দায়া তার জীবন বাচিয়েছেন। অফিসারদের মধ্যে তিনি সেরা একজন যিনি যথেষ্ট বুদ্ধিমান এবং সৎ সিআইডি অফিসার। পাশাপাশি তিনি সিআইডি সদস্যদের মধ্যে সেরা একজন শুট্যার যিনি চোখ বন্ধ করে আওয়াজ শুনে নিখুত নিশানায় গুলি করতে পারেন। ফরেনসিক ল্যাবের সহকারী ডা. তারিকার প্রতি আলাদা দূর্বলতা আছে তার। অভিজিৎ চরিত্রে অভিনয়ের পূর্বে ১৯৯৮ সালে একটি পর্বে তিনি ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রতি এপিসোডে অভিনয় করতে আদিত্য শ্রীবাস্তব নেন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দয়া | সিনিয়র ইন্সপেক্টর | দয়ানন্দ শেঠি | ১৯৯৮ –২০১৮ | মূলত দলে যোগ দিয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে। তিনি সেরা পুরুষ ব্যক্তিত্ব হিসেবে ২০০২ সালে ইন্ডিয়ান টেলিভিশন থেকে পুরস্কার জিতেছেন। পাশাপাশি তিনি সিআইডি অফিসারদের মধ্যে শক্তিশালী একজন অফিসার যিনি ভিলেনদের থাপ্পড় দেওয়া এবং লাথি মেরে দরজা ভাঙ্গার কাজটি করে বেশ জনপ্রিয়। সিআইডির আরেক অফিসার অভিজিৎয়ের সাথে তার বন্ধুত্ব সম্পর্ক অনেক গভীর এবং অনেকবার তার জীবন রক্ষা করেছেন। এই অভিনেতা প্রতি এপিসোডে অভিনয় করতে ১ লক্ষ টাকা নেন। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ফ্রেডরিক্স (ফ্রেডি) | ইন্সপেক্টর | দীনেশ ফাদনিস | ১৯৯৮ – ২০১৮ | দলে যোগ দিয়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে। ১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত সিরিয়াস চরিত্রে অভিনয় করলেও তিনি কমিডিয়ান চরিত্রের জন্য বেশ জনপ্রিয়। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি বেশ নরম-হৃদয়ের অধিকারী যিনি তার স্ত্রীকে মনিষাকে খুব পছন্দ করেন। আত্মা নাম শুনলেই তার ঘাম ঝরতে শুরু করে এবং এই জন্য তিনি এসিপি সাহেবের কাছে বকাও খেয়েছেন। তার মজার ব্যক্তিত্ব বরাবরই স্ট্রেস রিলিভার। দীনেশ প্রতি পর্বের জন্য নেন ৭০-৮০ হাজার টাকা। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পূরবী | সাব-ইন্সপেক্টর | আনশা সায়েদ | ২০১১- ২০১৮ | ‘সিআইডি’র কঠোর অফিসার পূরবী। আগে ছিলেন পুলিশ অফিসার কিন্তু পরে সিআইডি তে যোগ দেন। সাহসী অফিসার দের মধ্যে একজন। প্রতি পর্বে রোজগার করেন ৪০ হাজার টাকা। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শ্রেয়া | সাব-ইন্সপেক্টর | জাহ্নবী ছেড়া | ২০১২-২০১৮ | ৮৪২ নং এপিসোড-এ(রাজ সার আউর হাত কা) সাব-ইন্সপেক্টর বিনীতের সাথে সিআইডি টিমে জয়েন করেন শ্রেয়া। প্রথমে তাদের দেখে এসিপি প্র্দ্যুমন ছাড়া কেউ-ই চিনতে পারেনি এবং ফ্রেডরিক্স বলেও দেন যে তারা প্রমান লোপাট করতে এসেছে। | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
রজত | সিনিয়র ইন্সপেক্টর | বিকাশ কুমার | ২০১২-২০১৮ | শ্রেয়া ও বিনীত এর আগের পর্বেই সিআইডি টিমে সিনিয়র ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগ দেন রজত। সিআইডি-র কঠোর অফিসার দের মধ্যে অন্যতম। 'খুনি পানি' নামক এপিসোড-এ তিনি দলে যোগ দেন এবং খুব চালাকির সাথে অপরাধী কে ধরেন। মিথ্যা কথা শুনলে এনার মাথা এতটাই গরম হয়ে যায় যে নিজেকে সামলাতে পারেন না। তখন তিনি ইন্সপেক্টর দয়ার মত থাপ্পড় মারতে থাকেন অপরাধীদের।
পূর্বের অফিসারবৃন্দ[সম্পাদনা]৪ বছর বা তার বেশি সময় ধরে থাকা অফিসারদের গাঢ় রঙ দেয়া হলো
ফরেনসিক এক্সপার্ট[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
|