মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল | |
---|---|
বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১১ জানুয়ারি ২০২৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | শেখ হাসিনা |
ডেপুটি | বেগম শামসুর নাহার (প্রতিমন্ত্রী) |
পূর্বসূরী | দীপু মনি |
উত্তরসূরী | ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ (উপদেষ্টা) |
চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১১ জানুয়ারি ২০২৪ – ৬ আগস্ট ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু |
সংখ্যাগরিষ্ঠ | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
বাংলাদেশের শিক্ষা উপমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৭ জানুয়ারি ২০১৯ – ১০ জানুয়ারি ২০২৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | চট্টগ্রাম মহানগর | ২৬ জুলাই ১৯৮৩
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | এমা ক্লেয়ার বার্টন (বি. ২০০৭)[১] |
সন্তান | ২ কন্যা |
মাতা | শাহেদা মহিউদ্দিন |
পিতা | এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ইউনিভার্সিটি অব ল, যুক্তরাজ্য |
পেশা | রাজনীতি, ব্যবসায়ী ও আইনজীবী |
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (জন্ম: ২৬ জুলাই ১৯৮৩) হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[২][৩] ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৪]
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ১৯৮৩ সালের ২৬ জুন চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩য় মেয়র এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী ও মাতা শাহেদা মহিউদ্দিন। মহিবুল হাসান চৌধুরীর রাজনীতিতে প্রবেশ ও পৃষ্ঠপোষকতা তার পিতার রাজনৈতিক জীবনের সাথে সম্পর্কিত। তার সৎ মা হাসিনা মহিউদ্দিন বর্তমান চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি।
তাঁর জন্মদাতা মা শাহিদা মহিউদ্দিন একটি বোমা বিস্ফোরণে মারা যান। যদিও, তিনি দুর্ঘটনায় বেঁচে যান, তার বোন ফাউজিয়া সুলতানা টুম্পা গুরুতর আহত হন। নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত তার নির্বাচনী কাগজপত্রে তার জন্মদাতা মায়ের তথ্য বিতর্কিতভাবে অনুপস্থিত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে আইন ও নৃবিদ্যা বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইউনিভার্সিটি অফ ল' থেকে স্নাতকোত্তর শেষে লিংকনস ইনের ব্যারিস্টার হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি তাঁর শিক্ষা জীবনে বৈচিত্র্যপূর্ণ শিক্ষা অনুসরণ করেছেন, দ্য ইউনিভার্সিটি অফ ল' এ আইন, লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স এ নৃবিদ্যা ও আইন, এবং লিসেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অধ্যয়ন করেন। তিনি তার জি.সি.ই. এ লেভেলের জন্য ডেভিড গেম কলেজে এবং তার ও লেভেলের জন্য সানশাইন গ্রামার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এছাড়াও তিনি ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশন (১৯৯৫-১৯৯৬), চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, বি.এম.এস গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৯৯৪) এবং নাসিরাবাদ সরকারি হাই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি আরও উচ্চতর পড়াশোনার জন্য লন্ডনে ফিরে আসার আগে লেস্টারে এক বছর কাটিয়েছেন।
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ঢাকা বার এবং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিরও সদস্য। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিজয় টিভির তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি সর্বকনিষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন। তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।
তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।[২] ২০১৮ সালে তিনি শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে শেখ হাসিনার পঞ্চম মন্ত্রিসভায় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।[৩] ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।[৪]
সমালোচনা
[সম্পাদনা]২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ১৫ জুলাই তিনি আন্দোলনকারীদের “সাচ্চা রাজাকার” বলে অভিহিত করেন।[৫] এর আগে ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক বক্তব্যে কোটা আন্দোলনকারীদের “রাজাকারের নাতি-পুতি” হিসেবে অভিহিত করলে,[৬] প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ব্যাঙ্গ করে “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার” এবং “চাইতে গেলাম অধিকার; হয়ে গেলাম রাজাকার” স্লোগান দিয়েছিল।[৭]
পারিবারিক জীবন
[সম্পাদনা]মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ইসলাম ধর্ম গ্রহন পূর্বক বৃটিশ নাগরিক এমা ক্লেয়ার বার্টনকে বিয়ে করেন।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "প্রথা ভাঙলেন নওফেল, স্ত্রীকে নিয়ে লাইন পেরিয়ে ভোট দিলেন"। দৈনিক যুগান্তর। জানুয়ারি ১০, ২০২৪। Archived from the original on জানুয়ারি ১০, ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৮, ২০২৪।
- ↑ ক খ "১১তম সংসদের সদস্যবৃন্দ"। জাতীয় সংসদ। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২০১৯-১০-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ ক খ "শিক্ষা উপমন্ত্রী হলেন চট্টলবীরপুত্র নওফেল"। দৈনিক যুগান্তর। ৬ জানুয়ারি ২০১৯। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ "জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-০৬।
- ↑ "তারা এ যুগের 'সাচ্চা' রাজাকার: কোটাবিরোধীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী"। দৈনিক যুগান্তর। ১৫ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন, কোটা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী"। আজকের পত্রিকা। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "'তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার' স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাবি"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০২৪।