রুই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ r2.5.2) (রোবট যোগ করছে: de:Labeo rohita |
|||
৪৯ নং লাইন: | ৪৯ নং লাইন: | ||
[[ca:Labeo rohita]] |
[[ca:Labeo rohita]] |
||
[[de:Labeo rohita]] |
|||
[[en:Rohu]] |
[[en:Rohu]] |
||
[[es:Labeo rohita]] |
[[es:Labeo rohita]] |
০৬:১৬, ৬ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
রুই | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | Cypriniformes |
পরিবার: | Cyprinidae |
গণ: | Labeo |
প্রজাতি: | L. rohita |
দ্বিপদী নাম | |
Labeo rohita Hamilton, 1822 |
রুই বাংলাদেশের বহুল পরিচিত মাছগুলোর মধ্যে একটি। এর বৈজ্ঞানিক নাম Labeo rohita (লাবেও রোহিতা)। মাছের দেহ অনেকটা মাকুর মতো। মাথা ও লেজ ক্রমশ সরু। শরীরের দুপাশ সমানভাবে চ্যাপ্টা এবং সারা শরীর রূপালী আঁশ দিয়ে আবৃত থাকে। আঁশগুলো মসৃণ ও সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো থাকে। ধুসর বর্ণের পাখনার এই মাছের পৃষ্ঠদেশের আঁশের কেন্দ্র লালাভ এবং প্রান্ত কালো বর্ণের হয়ে থাকে। আঁশের কেন্দ্রের এই লালাভ বর্ণ প্রজনন ঋতুতে আরও গাঢ় ও উজ্জ্বল হয়। এছাড়াও অধিক জলজ উদ্ভিদময় পরিবেশে বেড়ে ওঠা মাছের পৃষ্ঠদেশের বর্ণ সবুজ-লালাভ হতে পারে। এদের পিঠ ও পিঠের নিচের দিকটা বাদামী রঙের এবং পেট রুপালী সাদা রঙের হয়৷ মুখ নিচের দিকে নামানো থাকে এবং পুরু ঠোট ভিতরের দিকে ভাঁজ হয়ে থাকে৷ মুখের উপরে ঠোঁটে এক জোড়া গোঁফ থাকে।
রুই মাছ সর্বোচ্চ ২০০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।এরা সবোর্চ্চ ১০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে এবং ওজন ৪৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।আন্তর্জাতিকভাবে রুই মাছের নাম বলা হয়ে থাকে রোহু।স্থানীয় নাম রুই, রোহিতা, রুহিত, রাউ, নলা, গরমা, নওসি।
প্রাপ্তিস্থান
বাংলাদেশ ছাড়াও উত্তর ও মধ্য ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং মায়ানমারে এই মাছ পাওয়া যায়।সাধারণত নদীর মাছ কিন্তু মিঠাপানির সকল জলাশয়েই প্রায়ই এই মাছের প্রাপ্তিস্থান বলা যায়।এদের বসবাসস্থলঃ নদী,খাল,বিল, হাওড় এবং বাওড়ে।
খাদ্যাভাস
রুই মাছ শাকাশী।এরা সাধারণত পানির মধ্যস্তরে চলাচল করে৷ এদের মুখ কিছুটা নিচের দিকে নামানো এবং পুরু ঠোঁট থাকার কারণে জলজ উদ্ভিদ, আগাছা এবং মাঝে মাঝে পানির তলদেশ থেকে পঁচা জৈব পদার্থ খেয়ে জীবণ ধারণ করে৷ এছাড়াও ফিসমিল, খৈলের গুড়া, কুঁড়া ইত্যাদি পুকুরে চাষের সময় সম্পূরক খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়।তবে ছোট অবস্থায় এদের প্রধান খাদ্য থাকে প্রাণীকণা বা প্লাংকটন।
পুষ্টিগুণ
প্রতি ১০০ গ্রাম রুই মাছে ১৬.৪ গ্রাম আমিষ, ১.৪ গ্রাম চর্বি, ৬৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২২৩ মিলিগ্রাম ফসফরাস থাকে।
প্রজনন
রুই মাছ দুই থেকে তিন বছরেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে।বর্ষাকালে প্লাবিত নদীতে (বিশেষত জলজ উদ্ভিদময় স্থানে) নারী-পুরুষ রুই প্রজননে অংশ নেয়।এক প্রজনন ঋতুতে একটি মা মাছ প্রায় দুই থেকে ত্রিশ লাখ ডিম দিয়ে থাকে যা মাছের বয়স, দৈর্ঘ্য ও ওজনের এবং অমরার দৈর্ঘ ও ওজনের উপর নির্ভর করে কমবেশি হতে পারে।
মাছের ডিম
অপেক্ষাকৃত কম গভীর পানিতে এবং স্রোতের টানে নদীর পাড়ে স্ত্রী রুই মাছ ডিম ছাড়ে৷ এছাড়াও বাঁধ বা পুকুরে কৃত্রিম উপায়ে স্রোতের সৃষ্টি করা হলে রুই মাছ সেখানে নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে।৪-১০ কেজি ওজনের রুই মাছে ৬ লক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ ডিম থাকে৷ তবে গড়ে প্রতিটি পূর্ণবয়স্ক মাছে প্রায় ১ঌ লক্ষ করে ডিম থাকে।রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবোস ইত্যাদি যে সব মাছ আমরা চাষ করি এরা বর্ষাকালে নদীতে ডিম পাড়ে।আবার বাঁকুড়া, মেদিনীপুর অঞ্চলের কিছু সংখ্যক বিশেষ ধরণের বাঁধেও ডিম পাড়ে।বাজারে যে পোনা পাওয়া যায় তা নদী থেকে ধরা মাছের ডিম পোনা।পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় লালগোলা, ধুলিয়ান অঞ্চলে এবং মালদহ মাণিকচক অঞ্চলে নদী থেকে মাছের ডিম পোনা ব্যাপক ভাবে ধরা হয়।
রুই মাছ স্বাদে আকর্ষনীয় হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা ব্যাপক।তাই চাষকৃত মাছের মধ্যে এই মাছ যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।