কালিদাস নাগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১৬ নং লাইন: | ১৬ নং লাইন: | ||
''' |
''' |
||
''' ডঃ কালিদাস নাগ''' {{lang-en|Dr.Kalidas Nag}} ( |
''' ডঃ কালিদাস নাগ''' {{lang-en|Dr.Kalidas Nag}} ( ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯১ – ৯ নভেম্বর ১৯৬৬) ছিলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি ঐতিহাসিক ও লেখক। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়ের ভারতের রাষ্ট্রপতির মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। |
||
== জন্ম ও শিক্ষা জীবন == |
== জন্ম ও শিক্ষা জীবন == |
০০:০১, ১২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কালিদাস নাগ | |
---|---|
সাংসদ, রাজ্যসভা (ভারত) | |
কাজের মেয়াদ ১৯৫২-১৯৫৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | শিবপুর হাওড়া বৃটিশ ভারত, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ | ৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৯১
মৃত্যু | ৮ নভেম্বর ১৯৬৬ | (বয়স ৭৫)
দাম্পত্য সঙ্গী | শান্তা দেবী |
পিতামাতা | মতিলাল নাগ (পিতা) কমল নাগ (মাতা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | ইতিহাসবিদ |
ডঃ কালিদাস নাগ ইংরেজি: Dr.Kalidas Nag ( ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯১ – ৯ নভেম্বর ১৯৬৬) ছিলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি ঐতিহাসিক ও লেখক। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়ের ভারতের রাষ্ট্রপতির মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন।
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
কালিদাস নাগের জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শিবপুরে। পিতা মতিলাল নাগ ও মাতা কমল নাগ। এঁদের পৈতৃক নিবাস ছিল বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে। তিনি ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে শিবপুর হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে এফ.এ এবং ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে বি.এ পাশ করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে এম.এ পাশ করেন। [১]
কর্মজীবন
এম.এ পাশের পর ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে স্কটিশ চার্চ কলেজেই অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯২১ - ২২ খ্রিস্টাব্দে তিনি সিংহল মহেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার হন এবং এই বছরেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ডক্টরেট' উপাধি লাভ করেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে জেনিভায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে প্রাচ্য ও চীন সফরে যান। বৃহত্তর ভারতের সাংস্কৃতিক রূপ ও বার্তা তিনি লেখায় ও বক্তৃতায় দেশে দেশে বহন করেছেন। এশিয়ার সৌভ্রাত্র গঠনে তাঁর বাস্তব প্রয়াসও উল্লেখযোগ্য। সম্ভবত এই কারণেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি বিনাবিচারে কারারুদ্ধ হন। পরবর্তীকালে স্বাধীন ভারতে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হন রাজ্যসভার। তিনি "প্রবাসী" ও "মডার্ন রিভিউ" পত্রিকার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন।
বিশিষ্ট ফরাসি নাট্যব্যক্তিত্ব, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব রোম্যাঁ রোলাঁর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
সুলেখিকা শান্তা দেবী তাঁর পত্নী এবং প্রখ্যাত "কল্লোল" প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-সম্পাদক গোকুলচন্দ্র নাগ তাঁর অনুজ। [২]
রচনাসম্ভার
কালিদাস নাগের রচিত গ্রন্থগুলি হল -
- আর্ট অ্যাকাউন্ট আর্কিওলজি অ্যাব্রড
- ইউনিয়ন অ্যান্ড প্যাসিফিক ওয়ার্ল্ড
- উইথ টেগোর ইন চায়না অ্যান্ড সিলেন
- টেগোর অ্যান্ড গান্ধী
- স্বদেশ ও সভ্যতা
- ডিসকভারি অব এশিয়া (১৯৫৭) কলকাতার 'দ্য ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান আফ্রিকান রিলেশন' প্রকাশনা
তথ্যসূত্র
- ↑ Teaching Staff: History in 175th Year Commemoration Volume. Scottish Church College, April 2008. page 575
- ↑ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ১২৩, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬