ইয়াবা (মাদকদ্রব্য): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
S.M.Tanim (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
MD Rashedul Islam Shoshan (আলোচনা | অবদান)
বানান ঠিক করা হয়েছে, ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে, লিংক সংযোজন, {{MD Rashedul Islam ShoshanAddiction yaba 20 জানুয়ারি ২০২০}}
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Original research|date=আগস্ট, ২০১৫}}
'''{{Original research|date=আগস্ট ২০১৫,সংযোজক করা হয় [[MD Rashedul Islam Shoshan]]20 জানুয়ারি ২০২০}}'''


''''ইয়াবা''' ([[থাই ভাষা|থাই]]: ยาบ้า; অর্থ পাগলা ঔষধ) একধরনের নেশাজাতীয় ট্যাবলেট। এটি মূলত [[মেথঅ্যাম্ফিটামিন]] ও [[ক্যাফেইন]] এর মিশ্রন।<ref name="NDIC">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Yaba Fast Facts|ইউআরএল=http://www.justice.gov/archive/ndic/pubs5/5048/index.htm|ওয়েবসাইট=US National Drug Intelligence Center|প্রকাশক=National Drug Intelligence Center|সংগ্রহের-তারিখ=2014-11-13|আর্কাইভের-তারিখ=Jun 2003|তারিখ=Jun 2003}}</ref> কখনো কখনো এর সাথে [[হেরোইন]] মেশানো হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার বড়ি হিসাবে সেবন করা হয়, তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধাতব ফয়েলে পুড়িয়ে ধোঁয়া হিসাবেও এটিকে সেবন করা হয়ে থাকে। এই মাদকটি [[থাইল্যান্ড|থাইল্যান্ডে]] বেশ জনপ্রিয়, এবং পার্শ্ববর্তী দেশ [[বার্মা]] থেকে এটি চোরাচালান করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ, [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] সহ পৃথিবীর অনেক দেশেই এই মাদকের বিস্তার ঘটেছে।
''''ইয়াবা''' ([[বাংলা ভাষা|[[MD Rashedul Islam [[মোঃরাশেদুল ইসলাম সুশান]]]]: ยาบ้า; অর্থ পাগলা ঔষধ) একধরনের নেশাজাতীয় ট্যাবলেট।এটি একমাএ যা মানুষকে পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট করে তুলে।সাথে মাদক কারবারি তো আছেই। এটি মূলত [[মেথঅ্যাম্ফিটামিন]] ও [[ক্যাফেইন]] এর মিশ্রন।<ref name="NDIC">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=নেশাখোর যখন নেশা বিকৃেতা|ইউআরএল=http://www.justice.gov/archive/ndic/pubs5/5048/index.htm|ওয়েবসাইট=US National Drug Intelligence Center|প্রকাশক=National Drug Intelligence Center|সংগ্রহের-তারিখ=2014-11-13|আর্কাইভের-তারিখ=Jun 2003|তারিখ=Jun 2003}}</ref> কখনো কখনো এর সাথে [[হেরোইন]] মেশানো হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার বড়ি হিসাবে সেবন করা হয়, তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধাতব ফয়েলে পুড়িয়ে ধোঁয়া হিসাবেও এটিকে সেবন করা হয়ে থাকে। এই মাদকটি [[থাইল্যান্ড|থাইল্যান্ডে]] বেশ জনপ্রিয়, এবং পার্শ্ববর্তী দেশ [[বার্মা]] থেকে এটি চোরাচালান করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ, [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] সহ পৃথিবীর অনেক দেশেই এই মাদকের বিস্তার ঘটেছে।
[[MD Rashedul Islam Shoshan]]
[[মোঃরাশেদুল ইসলাম সুশান ]][[বাংলাদেশ ]][[]]


== শ্রেণী : ঔষধ না মাদক ==
== শ্রেণী : ঔষধ না মাদক ==

১০:১৫, ২০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

'ইয়াবা ([[বাংলা ভাষা|[[MD Rashedul Islam মোঃরাশেদুল ইসলাম সুশান]]: ยาบ้า; অর্থ পাগলা ঔষধ) একধরনের নেশাজাতীয় ট্যাবলেট।এটি একমাএ যা মানুষকে পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট করে তুলে।সাথে মাদক কারবারি তো আছেই। এটি মূলত মেথঅ্যাম্ফিটামিনক্যাফেইন এর মিশ্রন।[১] কখনো কখনো এর সাথে হেরোইন মেশানো হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি খাওয়ার বড়ি হিসাবে সেবন করা হয়, তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধাতব ফয়েলে পুড়িয়ে ধোঁয়া হিসাবেও এটিকে সেবন করা হয়ে থাকে। এই মাদকটি থাইল্যান্ডে বেশ জনপ্রিয়, এবং পার্শ্ববর্তী দেশ বার্মা থেকে এটি চোরাচালান করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পৃথিবীর অনেক দেশেই এই মাদকের বিস্তার ঘটেছে। MD Rashedul Islam Shoshan মোঃরাশেদুল ইসলাম সুশান বাংলাদেশ [[]]

শ্রেণী : ঔষধ না মাদক

ইয়াবা প্রধান উপাদান মেথঅ্যাম্ফিটামিনক্যাফেইন। এটি উত্তেজক (স্টিমুল্যান্ট) মাদক দ্রব্য। মেথঅ্যাম্ফিটামিন জাতীয় মাদক ডাকতারের অনুমতিতে এডিএইচডি জাতীয় রোগে কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ হিসাবে দেওয়া হতে পারে, তবে ইয়াবা ওষুধ হিসাবে ব্যবহারের মত বিশুদ্ধও নয় এবং উত্তেজক নেশার ভয়ানক মাত্রা ও স্বাস্থ্যের ক্ষতির ক্ষমতার জন্য এটি ওষুধ হিসাবে ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। এটি খেলে অনেক ধরণের সমস্যা হয় যেমন গায়ের চামড়ার নিচে কোনো পোকামাকড় নড়াচড়া করে মনে হয়।

প্রকারভেদ

ঢাকায় তিন ধরনের ইয়াবা টেবলেট পাওয়া যায়। প্রথম ধরনের ইয়াবা ট্যাবলেটের বেশির ভাগ সবুজ বা গোলাপি রঙের হয়। এর ঘ্রাণ অনেকটা বিস্কুটের মত হয়ে থাকে। দ্বিতীয় ধরনেন ইয়াবা ট্যাবলেট এর দাম তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু এটিও নেশাসৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। তৃতীয়ধরনের ট্যাবলেটি আরও সস্তা এবং নেশায় আষক্তদের নিকট এটি ভেজাল বলে পরিচিত।ইয়াবা সেবনকারীদের মধ্যে প্রচলিত ধারণা অনুসারে, চিতা নামের পিলটি সবচেয়ে নিম্নমানের ইয়াবা পিল হিসেবে গণ্য হয়। এর গায়ে ক্ষুদ্র চিহ্ন থাকে। অন্যদিকে গোলাপ জল নামের ইয়াবা পিলকে উচ্চ মান পিল হিসেবে গণ্য করা হয়। ইয়াবা পিলের গায়ে ইংরেজি ডাব্লিউ ওয়াই (WY) লেখা থাকে। ওয়াই (Y) লেখার ধরন দীর্ঘ হলে এবং ইয়াবার রঙ পুরোপুরি গোলাপি হলে ধারণা করা হয় সেটি ইয়াবা হিসেবে দেখা ভাল মানের।[২]

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রথমদিকে ইয়াবা যৌনউত্তেজক বড়ি হিসাবে বাজারে পরিচিত ছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিন সেবনের ফলে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ড্রাগ ইনফরমেশন এর ওয়েবসাইটের তথ্য অণুযায়ী ইয়াবা ট্যাবলেটটি খেলে সাময়িক ভাবে উদ্দীপনা বেড়ে যায়। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হেরোইনের চেয়েও ভয়াবহ। নিয়মিত ইয়াবা সেবন করলে মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরন, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, ক্ষুধামন্দা এবং মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা যেতে পারে। ইয়াবা গ্রহণের ফলে ফুসফুস, বৃক্ক সমস্যা ছাড়াও অনিয়মিত এবং দ্রুতগতির হৃৎস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত হারে ইয়াবা গ্রহণ হাইপারথার্মিয়া বা উচ্চ শারীরিক তাপমাত্রার কারণ হতে পারে। অভ্যস্ততার পর হঠাৎ ইয়াবার অভাবে সৃষ্টি হয় আত্মহত্যা প্রবণতা এবং হতাশা।দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা খেলে স্মরণশক্তি কমে যায়, সিদ্ধান্তহীনতা শুরু হয় এবং কারও কারও ক্ষেত্রে সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। অনেকে পাগল হয়ে যায়। ডিপ্রেশন বা হতাশাজনিত নানা রকম অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, এমনকি অনেকে আত্মহত্যাও করে থাকে। এছাড়া হার্টের ভেতরে ইনফেকশন হয়ে বা মস্তিষ্কের রক্তনালী ছিঁড়েও অনেকে মারা যান। অনেকে রাস্তায় দুর্ঘটনায় পতিত হন। কেউ কেউ টানা সাত থেকে ১০ দিন জেগে থাকেন। ইয়াবার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশিষ্ট মনোচিকিৎসক ডা. মোহিত কামাল বলেন, নিয়মিত ইয়াবা সেবনে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিদ্রাহীনতা, খিঁচুনি, মস্তিষ্ক বিকৃতি, রক্তচাপ বৃদ্ধি, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন, হার্ট অ্যাটাক, ঘুমের ব্যাঘাত, শরীরে কিছু চলাফেরার অস্তিত্ব টের পাওয়া, অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থা, কিডনি বিকল, চিরস্থায়ী যৌন-অক্ষমতা, ফুসফুসের প্রদাহসহ ফুসফুসে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। এ ছাড়া ইয়াবায় অভ্যস্ততার পর হঠাৎ এর অভাবে সৃষ্টি হয় হতাশা ও আত্মহত্যার প্রবণতা। তিনি বলেন, এ মাদক সাধারণ শান্ত ব্যক্তিটিকেও হিংস্র ও আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। ইয়াবা গ্রহণে হ্যালুসিনেশন ও সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। হ্যালুসিনেশন হলে রোগী উল্টোপাল্টা দেখে, গায়েবি আওয়াজ শোনে। আর প্যারানয়াতে ভুগলে রোগী ভাবে অনেকেই তার সঙ্গে শত্রুতা করছে। তারা মারামারি ও সন্ত্রাস করতেও পছন্দ করে। [২]

বিভিন্ন দেশে ইয়াবার ব্যবহার

বাংলাদেশ

বাংলাদেশে ইয়াবার আবির্ভাব ঘটে ১৯৯৭ সালে।[৩] । পরবর্তীতে ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে মায়ানমার থেকে ইয়াবা আসতে শুরু করে।[৩] । এই ট্যাবলেটের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হবার কারণে উচ্চবিত্তদের মাঝেই এটি মূলত: বিস্তার লাভ করে।

মিয়ানমার

মিয়ানমারে ওয়া এবং কোকাং নামের আদিবাসী সম্প্রদায় মেথাম্ফেটামিন পিল বা ইয়াবা এর সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী। এই দুই গোষ্ঠীর লোকজন পূর্বে আফিম এবং হেরোইন উৎপাদন এর সাথে জড়িত ছিল। উল্লেখ্য যে মিয়ানমারে খুব সাধারণ ল্যাবরেটরিতেও মাত্র ২০ হংকং সেন্টের বিনিময়ে প্রতিটি ইয়াবা পিল তৈরি করা হতো। ২০০০ সালে থাইল্যান্ডের সরকার মিয়ানমার সরকারকে সীমান্তে যৌথ টহলের জন্য ব্যাপক চাপ দেয়। মূলত থাইল্যান্ড এবং মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান ২৪০০ কিলোমিটার সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা র চোরাচালান ব্যাপক চোরাচালান রোধের জন্য এই চাপ প্রয়োগ করা হয়।[৪]

থাইল্যান্ড

থাই সরকার ১৯৭০ সালে ইয়াবা ট্যাবলেটকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেসময় এটি সেদেশে পেট্রল পাম্পে বিক্রি হতো, এবং থাই ট্রাক চালকেরা জেগে থাকার জন্য এটা ব্যবহার করতো। ইয়াবাসেবী ট্রাক ও বাস চালকদের হাতে অনেক গুলো ভয়াবহ বাস দূর্ঘটনা ঘটেছে। থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৩ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। এর পর থেকে থাইল্যান্ডে এই মাদকের প্রকোপ কমে এসেছে।

তথ্যসূত্র

  1. "নেশাখোর যখন নেশা বিকৃেতা"US National Drug Intelligence Center। National Drug Intelligence Center। জুন ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১১-১৩ 
  2. [অকার্যকর সংযোগ] http://www.thedailystar.net/magazine/2006/09/02/cover.htm%5Bঅকার্যকর+সংযোগ%5D
  3. প্রথম আলো-২৫ অক্টোবর ২০০৭
  4. http://www.ibiblio.org/obl/reg.burma/archives/200007/msg00026.html

বহিঃসংযোগ