হিউয়েন সাঙ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বট: আন্তঃউইকি সংযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা এখন উইকিউপাত্ত ... |
Asifmuktadir (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Image:Xuanzang_w.jpg|thumb|200px|হিউয়েন সাঙের একটি পোর্ট্রেট]] |
[[Image:Xuanzang_w.jpg|thumb|200px|হিউয়েন সাঙের একটি পোর্ট্রেট]] |
||
'''হিউয়েন সাঙ''' (বা '''হিউয়েন-সাং''' বা '''হুয়ান-সাং''' বা '''জুয়ানজ্যাং''' {{zh-cpw|c=玄奘|p=Xuán Zàng|w=Hsüan-tsang}} ''শ্যুয়্যান্ ৎসাং'') ([[৬০২]] - [[৬৬৪]]) ছিলেন বিখ্যাত [[চীন|চীনা]] [[বৌদ্ধ ধর্ম|বৌদ্ধ]] ভিক্ষু, পণ্ডিত, পর্যটক এবং অনুবাদক। তিনি [[চীন]] এবং ভারতের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ধারণামতে [[৬৩০]] খ্রিস্টাব্দের কোন এক সময়ে তিনি ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি তার ভারত ভ্রমণ শুরু করেছিলেন [[লানপো]] বা [[লামখান]] থেকে। লামখানকে তৎকালীন ভারতবর্ষের লোকেরা [[লম্পক]] নামে ডাকত। তিনি [[বালখজুমধ]], [[গচি]], [[বামিয়ান]] এবং [[কপিশা]] হয়ে এ স্থানে এসেছিলেন। মূলত লামখান থেকেই তার ভারতবর্ষ ভ্রমণের সূচনা। তিনি মূলত [[গৌতম বুদ্ধ|গৌতম বুদ্ধের]] নিদর্শন এবং স্মৃতিধন্য স্থানসমূহ পরিদর্শন এবং ভারতবর্ষ থেকে বুদ্ধ ও অন্যান্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের রচনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই ভ্রমণ শুরু করেছিলেন। |
'''হিউয়েন সাঙ''' (বা '''হিউয়েন-সাং''' বা '''হুয়ান-সাং''' বা '''জুয়ানজ্যাং''' {{zh-cpw|c=玄奘|p=Xuán Zàng|w=Hsüan-tsang}} ''শ্যুয়্যান্ ৎসাং'') ([[৬০২]] - [[৬৬৪]]) ছিলেন বিখ্যাত [[চীন|চীনা]] [[বৌদ্ধ ধর্ম|বৌদ্ধ]] ভিক্ষু, পণ্ডিত, পর্যটক এবং অনুবাদক। তিনি [[চীন]] এবং ভারতের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ধারণামতে [[৬৩০]] খ্রিস্টাব্দের কোন এক সময়ে তিনি ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি তার ভারত ভ্রমণ শুরু করেছিলেন [[লানপো]] বা [[লামখান]] থেকে। লামখানকে তৎকালীন ভারতবর্ষের লোকেরা [[লম্পক]] নামে ডাকত। তিনি [[বালখজুমধ]], [[গচি]], [[বামিয়ান]] এবং [[কপিশা]] হয়ে এ স্থানে এসেছিলেন। মূলত লামখান থেকেই তার ভারতবর্ষ ভ্রমণের সূচনা। তিনি মূলত [[গৌতম বুদ্ধ|গৌতম বুদ্ধের]] নিদর্শন এবং স্মৃতিধন্য স্থানসমূহ পরিদর্শন এবং ভারতবর্ষ থেকে বুদ্ধ ও অন্যান্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের রচনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই ভ্রমণ শুরু করেছিলেন। |
||
==প্রারম্ভিক জীবন== |
|||
হিউয়েন সাং লুজহু প্রদেশের (বর্তমান হিনান প্রদেশ) গৌসি টাউনের চিনহি গ্রামে [[৬০২]] খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন। তিনি একটি সম্ভ্রান্ত ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পূর্বসূরী '''চেন শি''' ছিলেন হান সম্রাজ্যের একজন মন্ত্রী। তার দাদার বাবা '''চেন কিন''' পূর্ব ওয়েই সম্রাজ্যের শেনডেং প্রদেশের একজন বড় কর্মকর্তা ছিলেন আর তার দাদা '''চেন কাং''' উত্তোর কি সম্রাজ্যের রাজকীয় একাডেমির অধ্যাপক ছিলেন এবং সর্বশেষে তার বাবা '''চেন হুই''', শুই সম্রাজ্যের একজন ম্যাজিষ্টেট হিসেবে কাজ করেছেন কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংশার আশংকায় চাকরি ছেড়ে দেন। বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত তার আত্মজিবনী থেকে জানা যায় যে ইউয়েন সাং খুব ছোটবেলা থেকেই [[কনফুসিয়াস|কনফুসিয়াসের]] গতানুগতিক তত্বের উপর ব্যাপক আগ্রহ এবং পারদর্ধিতা প্রদর্শন করতে থাকে যা তার বাবাকে অবাক করে দেয়। তার ভাই বোনদের মতই হিউয়েন সাং তাদের বাবার কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা দিক্ষা লাভ করেন।<br> |
|||
যদিও তার পরিবারের সকলে [[কনফুসিয়াস|কনফুসিয়াসের]] তত্বের উপর বিস্বাসী ছিলো তার পরও হিউয়েন সাং তার বড় ভাই '''চেন সু''' এর পদাংক অনুসরন করে বৌদ্ধ ভিক্ষু হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ৬১১ খ্রৃষ্টাব্দে তার বাবার মৃত্যু হলে হিউয়েন সাং, লুয়াং প্রদেশে জিংতু বুদ্ধ আশ্রমে তার ভাইয়ের সাথে প্রায় পাঁচ বছর কাটান। সেই বুদ্ধ আশ্রমে সেই সময় বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ হিসেবে মাহায়ানার চর্চা করা হত। <br> |
|||
৬১৮ খৃষ্টাব্দের দিকে যখন সুই সম্রাজ্য ভেংগে পড়ে তখন হিউয়েন সাং এবং তার ভাই তাং সম্রাজ্যের রাজধানি চ্যাংগানে পালিয়ে যান এবং একটি বুদ্ধ আশ্রমে আরো প্রায় দুই বছর অতিবাহিত করেন। সেখানেই তিনি অভিধর্মকশা শাস্ত্র সম্পর্কে ধারণা এবং জ্ঞান লাভ করেন।<br> |
|||
৬২২ সালে প্রায় ২০ বছর বয়সে তিনি একজন পূর্ণ বৌদ্ধ ভিক্ষু হয়ে ওঠেন। এই সময় তিনি বুদ্ধিজমের ওপর অনেক পড়ালেখা করেন এবং ভারতবর্ষ যেয়ে অরো জ্ঞানার্জনের ইচ্ছা পোষন করেন। এই চিন্তা করে তিনি তার ভাইকে রেখে পুনরায় তাং সম্রাজ্যের রাজধানিতে চলে যান এবং সেখানে সংস্কৃতি ভাষার উপর পড়ালেখা শুরু করেন। একই সময়ে তিনি বুদ্ধিজমের অধিবিদ্যার উপর আগ্রহী হয়ে ওঠেন। |
|||
<br> |
|||
==রচনাসমূহ== |
==রচনাসমূহ== |
১১:১০, ১৮ জুন ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হিউয়েন সাঙ (বা হিউয়েন-সাং বা হুয়ান-সাং বা জুয়ানজ্যাং চীনা: 玄奘; ফিনিন: Xuán Zàng; ওয়েড-জাইলস: Hsüan-tsang শ্যুয়্যান্ ৎসাং) (৬০২ - ৬৬৪) ছিলেন বিখ্যাত চীনা বৌদ্ধ ভিক্ষু, পণ্ডিত, পর্যটক এবং অনুবাদক। তিনি চীন এবং ভারতের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ধারণামতে ৬৩০ খ্রিস্টাব্দের কোন এক সময়ে তিনি ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি তার ভারত ভ্রমণ শুরু করেছিলেন লানপো বা লামখান থেকে। লামখানকে তৎকালীন ভারতবর্ষের লোকেরা লম্পক নামে ডাকত। তিনি বালখজুমধ, গচি, বামিয়ান এবং কপিশা হয়ে এ স্থানে এসেছিলেন। মূলত লামখান থেকেই তার ভারতবর্ষ ভ্রমণের সূচনা। তিনি মূলত গৌতম বুদ্ধের নিদর্শন এবং স্মৃতিধন্য স্থানসমূহ পরিদর্শন এবং ভারতবর্ষ থেকে বুদ্ধ ও অন্যান্য বৌদ্ধ ভিক্ষুদের রচনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই ভ্রমণ শুরু করেছিলেন।
প্রারম্ভিক জীবন
হিউয়েন সাং লুজহু প্রদেশের (বর্তমান হিনান প্রদেশ) গৌসি টাউনের চিনহি গ্রামে ৬০২ খৃষ্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন। তিনি একটি সম্ভ্রান্ত ও উচ্চশিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পূর্বসূরী চেন শি ছিলেন হান সম্রাজ্যের একজন মন্ত্রী। তার দাদার বাবা চেন কিন পূর্ব ওয়েই সম্রাজ্যের শেনডেং প্রদেশের একজন বড় কর্মকর্তা ছিলেন আর তার দাদা চেন কাং উত্তোর কি সম্রাজ্যের রাজকীয় একাডেমির অধ্যাপক ছিলেন এবং সর্বশেষে তার বাবা চেন হুই, শুই সম্রাজ্যের একজন ম্যাজিষ্টেট হিসেবে কাজ করেছেন কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রতিহিংশার আশংকায় চাকরি ছেড়ে দেন। বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাপ্ত তার আত্মজিবনী থেকে জানা যায় যে ইউয়েন সাং খুব ছোটবেলা থেকেই কনফুসিয়াসের গতানুগতিক তত্বের উপর ব্যাপক আগ্রহ এবং পারদর্ধিতা প্রদর্শন করতে থাকে যা তার বাবাকে অবাক করে দেয়। তার ভাই বোনদের মতই হিউয়েন সাং তাদের বাবার কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা দিক্ষা লাভ করেন।
যদিও তার পরিবারের সকলে কনফুসিয়াসের তত্বের উপর বিস্বাসী ছিলো তার পরও হিউয়েন সাং তার বড় ভাই চেন সু এর পদাংক অনুসরন করে বৌদ্ধ ভিক্ষু হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ৬১১ খ্রৃষ্টাব্দে তার বাবার মৃত্যু হলে হিউয়েন সাং, লুয়াং প্রদেশে জিংতু বুদ্ধ আশ্রমে তার ভাইয়ের সাথে প্রায় পাঁচ বছর কাটান। সেই বুদ্ধ আশ্রমে সেই সময় বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ হিসেবে মাহায়ানার চর্চা করা হত।
৬১৮ খৃষ্টাব্দের দিকে যখন সুই সম্রাজ্য ভেংগে পড়ে তখন হিউয়েন সাং এবং তার ভাই তাং সম্রাজ্যের রাজধানি চ্যাংগানে পালিয়ে যান এবং একটি বুদ্ধ আশ্রমে আরো প্রায় দুই বছর অতিবাহিত করেন। সেখানেই তিনি অভিধর্মকশা শাস্ত্র সম্পর্কে ধারণা এবং জ্ঞান লাভ করেন।
৬২২ সালে প্রায় ২০ বছর বয়সে তিনি একজন পূর্ণ বৌদ্ধ ভিক্ষু হয়ে ওঠেন। এই সময় তিনি বুদ্ধিজমের ওপর অনেক পড়ালেখা করেন এবং ভারতবর্ষ যেয়ে অরো জ্ঞানার্জনের ইচ্ছা পোষন করেন। এই চিন্তা করে তিনি তার ভাইকে রেখে পুনরায় তাং সম্রাজ্যের রাজধানিতে চলে যান এবং সেখানে সংস্কৃতি ভাষার উপর পড়ালেখা শুরু করেন। একই সময়ে তিনি বুদ্ধিজমের অধিবিদ্যার উপর আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
রচনাসমূহ
- Si-Yu-Ki: Buddhist Records of the Western World - হিউয়েন সাঙের মূল রচনার ইংরেজি অনুবাদ। ইংরেজিতে ভাষান্তর করেছেন স্যামুয়েল বিল। ১৮৮৪ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। ১৯৬৯ সালে দিল্লী থেকে পুনর্মুদ্রণ হয়। এর বাংলা অনুবাদের নাম হিউয়েন সাঙ ভ্রমণ কাহিনী। ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তর করেছেন খুররম হোসাইন। ঢাকার শব্দ গুচ্ছ প্রকাশনী থেকে বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে ২০০৩ সালের ঢাকা বইমেলায়।
তথ্যসূত্র
- হিউয়েন সাঙ ভ্রমণ কাহিনী - খুররম হোসাইনের বাংলা অনুবাদ।
বহিঃসংযোগ
- Details of Xuanzang's life and works [১]
- History of San Zang A narration of Xuan Zang's journey to India.
- Xuanzang's Journey In the footsteps of Xuanzang
- 大慈恩寺三藏法师传 (全文) Chinese text of The Life of Hiuen-Tsiang, by Shaman (monk) Hwui Li (Hui Li) (沙门慧立)