যদুনাথ সরকার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
fix
তথ্য যোগ
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:


'''স্যার যদুনাথ সরকার''' ([[ডিসেম্বর ১০]], [[১৮৭০]] - [[মে ১৯]], [[১৯৫৮]]) স্বনামধন্য বাঙালি ইতিহাসবিদ। তিনিই প্রথম মীর্জা নাথান রচিত [[বাহারিস্তান-ই-গায়বী‎]] এর পান্ডুলিপি [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] [[প্যারিস|প্যারিসে]] অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগারে খুজে পান, এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন জার্নালে বাংলা এবং ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখে বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
'''স্যার যদুনাথ সরকার''' ([[ডিসেম্বর ১০]], [[১৮৭০]] - [[মে ১৯]], [[১৯৫৮]]) স্বনামধন্য বাঙালি ইতিহাসবিদ। তিনিই প্রথম মীর্জা নাথান রচিত [[বাহারিস্তান-ই-গায়বী‎]] এর পান্ডুলিপি [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] [[প্যারিস|প্যারিসে]] অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগারে খুজে পান, এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন জার্নালে বাংলা এবং ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখে বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
==জন্ম, পরিবার শিক্ষা==

যদুনাথ সরকারের জন্ম ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর, বৃহত্তর রাজশাহী জেলার আত্রাই থানার কড়চমারিয়া গ্রামে৷ পিতা রাজকুমার সরকার এবং মাতা হরিসুন্দরী দেবীর ৭ পুত্র এবং ৩ কন্যার মধ্যে তিনি ৫ম সন্তান, ৩য় পুত্র। তাদের পূর্বপুরুষ ধনাঢ্য জমিদার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। বিদ্যানুরাগী রাজকুমার সরকারের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল বিশালাকার। গণিতের ছাত্র হলেও ইতিহাসে ছিল গভীর আগ্রহ। নানা জনহিতকর কাজে তিনি সময় ও অর্থ ব্যয় করতে ভালোবাসতেন। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এই বিষয়াদি যদুনাথ সরকারকে প্রভাবান্বিত করেছিল। পিতার মাধ্যমেই অল্প বয়সে তাঁর পরিচয় হয়েছিল বার্ট্রান্ড রাসেলের Hisotry of England নামীয় গ্রন্থের সঙ্গে। রাজকুমার সরকার পুত্রের হাতে প্লুটার্ক রচিত প্রাচীন গ্রীক ও রোমান নায়কদের জীবনী তুলে দিয়েছিলেন। পিতাই তাঁর কিশোর চিত্তে ইতিহাসের নেশা জাগিয়ে দিয়েছিলেন।
যদুনাথ সরকারের জন্ম ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর, বৃহত্তর রাজশাহী জেলার আত্রাই থানার কড়চমারিয়া গ্রামে৷ ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইতিহাস ও ইংরেজি সাহিত্য এই দুটি বিষয়ে অনার্স সহ বিএ পাশ করেন এবং ৯০% নম্বর নিয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এমএ পাশ করেন৷ এসময় তিনি ‘প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ’ স্কলারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বর্ণপদকসহ দশ হাজার টাকা বৃত্তি লাভ করেন৷ প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর প্রথম কর্মস্থল নির্ধারিত হয় এবং ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি পাটনা কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন৷ যদুনাথ সরকার তাঁর প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে বিরল সম্মাননা অর্জন করেছিলেন৷
গ্রামের স্কুলে তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু। তারপর অধ্যয়ন করেছেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। এরপর গন্তব্য কোলকাতার হেয়ার স্কুর ও সিটি কলেজিয়েট স্কুল। পরে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করেন প্রথম শ্রেণীতে ষষ্ঠ স্থান অর্জন ক’রে। তিনি ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে।

পরবর্তী গন্তব্য কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ। থাকতেন ইডেন হোস্টেলে।
১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইতিহাস ও ইংরেজি সাহিত্য এই দুটি বিষয়ে অনার্স সহ বিএ পাশ করেন এবং ৯০% নম্বর নিয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এমএ পাশ করেন৷ এসময় তিনি ‘প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ’ স্কলারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বর্ণপদকসহ দশ হাজার টাকা বৃত্তি লাভ করেন৷ প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর প্রথম কর্মস্থল নির্ধারিত হয় এবং ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি পাটনা কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন৷ যদুনাথ সরকার তাঁর প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে বিরল সম্মাননা অর্জন করেছিলেন৷
==কর্মজীবন==
==মৃত্যু==
আচার্য যদুনাথ সরকার ৮৮ বৎসর বয়সে ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মে তারিখে কলকাতায় পরলোকগমন করেন৷
আচার্য যদুনাথ সরকার ৮৮ বৎসর বয়সে ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মে তারিখে কলকাতায় পরলোকগমন করেন৷
==প্রকাশিত গ্রন্থাদি==
[[চিত্র:Bookcover-JadunathSarker.jpg|thumb|right|100px|"যদুনাথ সরকার রচনা সম্ভার" গ্রন্থটির প্রচ্ছদপট]]
[[চিত্র:Bookcover-JadunathSarker.jpg|thumb|right|100px|"যদুনাথ সরকার রচনা সম্ভার" গ্রন্থটির প্রচ্ছদপট]]
==পুরস্কার==
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধি এবং যথাক্রমে ১৯৩৬ এবং ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় ডিলিট উপাধী প্রদান করে৷
১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধি এবং যথাক্রমে ১৯৩৬ এবং ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় ডিলিট উপাধী প্রদান করে৷



১৫:০০, ১৯ নভেম্বর ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

স্যার যদুনাথ সরকার, ১৮৭০-১৯৫৮

স্যার যদুনাথ সরকার (ডিসেম্বর ১০, ১৮৭০ - মে ১৯, ১৯৫৮) স্বনামধন্য বাঙালি ইতিহাসবিদ। তিনিই প্রথম মীর্জা নাথান রচিত বাহারিস্তান-ই-গায়বী‎ এর পান্ডুলিপি ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত জাতীয় গ্রন্থাগারে খুজে পান, এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন জার্নালে বাংলা এবং ইংরেজিতে প্রবন্ধ লিখে বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

জন্ম, পরিবার শিক্ষা

যদুনাথ সরকারের জন্ম ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর, বৃহত্তর রাজশাহী জেলার আত্রাই থানার কড়চমারিয়া গ্রামে৷ পিতা রাজকুমার সরকার এবং মাতা হরিসুন্দরী দেবীর ৭ পুত্র এবং ৩ কন্যার মধ্যে তিনি ৫ম সন্তান, ৩য় পুত্র। তাদের পূর্বপুরুষ ধনাঢ্য জমিদার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। বিদ্যানুরাগী রাজকুমার সরকারের ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার ছিল বিশালাকার। গণিতের ছাত্র হলেও ইতিহাসে ছিল গভীর আগ্রহ। নানা জনহিতকর কাজে তিনি সময় ও অর্থ ব্যয় করতে ভালোবাসতেন। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। এই বিষয়াদি যদুনাথ সরকারকে প্রভাবান্বিত করেছিল। পিতার মাধ্যমেই অল্প বয়সে তাঁর পরিচয় হয়েছিল বার্ট্রান্ড রাসেলের Hisotry of England নামীয় গ্রন্থের সঙ্গে। রাজকুমার সরকার পুত্রের হাতে প্লুটার্ক রচিত প্রাচীন গ্রীক ও রোমান নায়কদের জীবনী তুলে দিয়েছিলেন। পিতাই তাঁর কিশোর চিত্তে ইতিহাসের নেশা জাগিয়ে দিয়েছিলেন। গ্রামের স্কুলে তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার শুরু। তারপর অধ্যয়ন করেছেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে। এরপর গন্তব্য কোলকাতার হেয়ার স্কুর ও সিটি কলেজিয়েট স্কুল। পরে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে প্রত্যাবর্তন করেন এবং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করেন প্রথম শ্রেণীতে ষষ্ঠ স্থান অর্জন ক’রে। তিনি ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে। পরবর্তী গন্তব্য কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ। থাকতেন ইডেন হোস্টেলে। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইতিহাস ও ইংরেজি সাহিত্য এই দুটি বিষয়ে অনার্স সহ বিএ পাশ করেন এবং ৯০% নম্বর নিয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এমএ পাশ করেন৷ এসময় তিনি ‘প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ’ স্কলারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে স্বর্ণপদকসহ দশ হাজার টাকা বৃত্তি লাভ করেন৷ প্রেসিডেন্সি কলেজে তাঁর প্রথম কর্মস্থল নির্ধারিত হয় এবং ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি পাটনা কলেজ থেকে অবসর গ্রহণ করেন৷ যদুনাথ সরকার তাঁর প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে বিরল সম্মাননা অর্জন করেছিলেন৷

কর্মজীবন

মৃত্যু

আচার্য যদুনাথ সরকার ৮৮ বৎসর বয়সে ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মে তারিখে কলকাতায় পরলোকগমন করেন৷

প্রকাশিত গ্রন্থাদি

চিত্র:Bookcover-JadunathSarker.jpg
"যদুনাথ সরকার রচনা সম্ভার" গ্রন্থটির প্রচ্ছদপট

পুরস্কার ও সম্মাননা

১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে বৃটিশ সরকার তাঁকে নাইট উপাধি এবং যথাক্রমে ১৯৩৬ এবং ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় ডিলিট উপাধী প্রদান করে৷

তথ্যসূত্র