বিষয়বস্তুতে চলুন

বিনয়পিটক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(বিনয় পিটক থেকে পুনর্নির্দেশিত)

বিনয় পিটক Vinaya Piṭaka একটি বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ, তিনটি অংশের মধ্যে একটি যা ত্রিপিটক (আল. তিনটি ঝুড়ি) তৈরি করে। ত্রিপিটকের অন্য দুটি অংশ হল সুত্ত পিটক (পালি: সুত্ত পিটক) এবং অভিধম্ম পিটক (সংস্কৃত; পালি: অভিধম্ম পিটক)।

বিনয় ত্রিপিটকের সর্বাগ্রে গ্রথিত বিষয়, বিনয় বুদ্ধশাসনের আয়ু স্বরুপ, বিনয়ের স্থিতিতেই বুদ্ধ শাসনের স্থিতি নির্ভরশীল। গৌতম বুদ্ধের পরিনির্বাণের অব্যবহতি পরে এ বিষয় অনুধাবন করে বুদ্ধশিষ্যদের অগ্রজ সারির প্রাজ্ঞ- অভিজ্ঞ ধর্মধর, বিনয়ধর ও মাতিকাধর ভিক্ষুদের নিয়ে প্রথম সংগীতির মাধ্যমে বিনয় ও ধর্ম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। []

বিশ্লেষন

[সম্পাদনা]

সাধারণ অর্থে বিনয় মানে নীতি, নিয়ম, শৃংখলা। বৌদ্ধ সাহিত্যে এই বিষয়টিকে বলা হয় শীল। প্রকৃতির ও নিজস্ব কিছু নিয়ম আছে, জগতের সবকিছুই নিযন্ত্রানিধীন, অনিয়ম ও উশৃংখলভাবে কোন কিছুই টিকে থাকতে পারে না। গ্রহ, তারা সবকিছুই নিয়মে আবর্তিত হয়। নিয়ম বহির্ভুত কোন কিছুর বৃদ্ধি কিংবা বিনাশ আশা করা যায় না। নিয়ম শৃংখলা, সংযম, ধীরতা, আত্বত্যাগ, চরিত্রবল, শীল, সমাধি, প্রজ্ঞা, নিয়মানুবর্তিতা, উদ্যম ইত্যাদি হলো উন্নতির সহায়ক। গৌতম বুদ্ধ তার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এই চরম সত্যকে উপলব্ধি করেছেন, তাই তিনি তার শিষ্যদের মাঝে প্রথমেই শীল পালনের কথা বলেছেন। Dr. TW Rhys Davids লিখেছেন:

বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]

বিনয় মূলত প্রবর্তন করা হয়েছিল বুদ্ধশিষ্য, ভিক্ষু, শ্রমণদের জন্য, কিন্তু গার্হ্যস্থ্য ও পারিবারিক জীবনের উন্নত জীবন যাপনের সর্ববিধ নির্দেশনা এতে সন্নিবেশিত হয়েছে, সমাজ, সংস্কৃতি অ রাষ্ট্রের আদর্শ সম্পর্কে ও এখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে।

গ্রন্থসমুহ

[সম্পাদনা]

বিনয় পিটক ৫ খণ্ডে সমাপ্ত, বিষয় অনুসারে বিনয় পিটক তিন ভাগে বিভক্ত, যেমন-

সুত্তবিভঙ্গ

[সম্পাদনা]

এর অর্থ নীতিমালা সমুহের বিস্তৃত ব্যাখা, নীতি প্রবর্তনের ঐতিহাসিক ভিত্তি, এর প্রয়োজনীয়তা, কীভাবে প্রবর্তন করা হলো, কোন প্রেক্ষাপটে প্রবর্তন করা হলো ইত্যাদি আলোচনা করা হয় এখানে।

খন্ধক

[সম্পাদনা]

এটি বিনয় পিটকের ২য় ভাগ।বিভিন্ন বিষয় ২২ অধ্যায়।

পরিবার পাঠো

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ত্রিপিটক পরিচিতি, DR. Shukomal Barua and Suman Kanti Barua, Pg. 49, Ch. Binoy Pitok; বাংলা একাডেমী, ডিসেম্বর ২০০০
  2. T.W Rhys Davids: The Sacred Book of The East.Delhi-1989, vol-11 p-X (Introduction)

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:বিনয়পিটক