দীপশিখা মেটি স্কুল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দীপশিখা মেটি স্কুল
অবস্থান
মানচিত্র

স্থানাঙ্ক২৫°৪৩′৩৪″ উত্তর ৮৮°৩২′৫৭″ পূর্ব / ২৫.৭২৬০° উত্তর ৮৮.৫৪৯১° পূর্ব / 25.7260; 88.5491
তথ্য
প্রতিষ্ঠাকাল১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ (1999-09-01)
শ্রেণীশিশু শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি
ভাষাবাংলা

দীপশিখা মেটি স্কুল হল বাংলাদেশের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেটি দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে অবস্থিত। বিদ্যালয়টির ভবন আগা খান স্থাপত্য পুরস্কারকারি স্টোন নকশা পুরস্কার জিতেছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বিরল উপজেলার রুদ্রাপুর গ্রামে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকার দরুন ১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর একটি বিদ্যালয় গড়ে তোলে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিশু থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়।[১]

ভবন[সম্পাদনা]

২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিরল উপজেলার রুদ্রাপুর গ্রামে মেটির মাটির স্কুলঘর নির্মাণ শুরু হয়। জার্মানির "শান্তি" নামের এক দাতাসংস্থা একাজে অর্থায়ন করে।[২] অস্ট্রিয়ার লিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীপশিখা প্রকল্পের কর্মীরা ইমারতটি নির্মাণের সাথে যুক্ত ছিলেন। জার্মান স্থপতি অ্যানা হেরিঙ্গার ও এইকে রোওয়ার্গ এই ইমারতটির নকশা করেন।[২]

ইমারতটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে মাটি, খড়, বালু ও বাঁশ, দড়ি, খড়, কাঠ, টিন, রড, ইট ও সিমেন্ট। মাটি ও খড় মেশানো কাদা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এর দেয়াল দেয়ালের ভিতের ওপর দেওয়া হয়েছে আর্দ্রতারোধক।[২]

ইমারতটির দেয়ালের প্লাস্টারে ব্যবহার করা হয়েছে মাটি ও বালু। মেঝের প্লাস্টারের জন্য পামওয়েল ও সাবানের পেস্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ইমারতটিতে বাইরে থেকে প্লাস্টার করা হয় নি।

ইমারতটির ৯ ফুট উচ্চতার ওপরে প্রথম তলায় ছাদ হিসেবে বাঁশ বিছিয়ে ও বাঁশের চাটাই দিয়ে মাটির আবরণ দেওয়া হয়েছে। ১০ ফুট উচ্চতার ওপরে দোতলার ছাদে বাঁশের সাথে কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। ওপরে বৃষ্টির পানি প্রতিরোধ করার জন্য দেওয়া হয়েছে টিন। কোথাও ইট ব্যবহার করা না হলেও ঘরের কাঠামো হিসেবে ইট ব্যবহার করা হয়েছে।

ইমারতটি নির্মাণে জার্মানিঅস্ট্রিয়ার ১০ জন শিক্ষার্থীর সাথে ১৯ জন স্থানীয় শ্রমিক যুক্ত ছিলেন।[২] শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভবন মাটির তৈরি একটি দোতলা ভবন যার আয়তন ৮,০০০ বর্গফুট। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৭ লাখ টাকা।[২]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

২০০৮ সালে ইমারতটি আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছিল।[১][২] [৩] এছাড়া, আনা হেরিংগার ২০০৯ সালে ইমারতটি নকশা করার জন্য কারি স্টোন নকশা পুরস্কারে ভূষিত হন।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "মাটি ও বাঁশের তৈরি দোতলা স্কুল"বাংলানিউজ২৪.কম। ২০ এপ্রিল ২০১৭। ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  2. "দীপশিখা মেটি স্কুল"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  3. "Nine projects receive 2007 Aga Khan Award for Architecture" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে, Aga Khan Development Network. Retrieved 12 March 2012.
  4. 2009 Curry Stone Design Prize ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৬ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে, Retrieved 13 March 2012.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]