গাম্বিয়া-ফিলিপাইন সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গাম্বিয়া-ফিলিপাইন সম্পর্ক
মানচিত্র The Gambia এবং Philippines অবস্থান নির্দেশ করছে

গাম্বিয়া

ফিলিপাইন

গাম্বিয়া-ফিলিপাইন সম্পর্ক, গাম্বিয়া এবং ফিলিপাইন এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। ১৯৪০ এর দশকের শেষের দিকে এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।

গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ফিলিপাইনের একটি কনস্যুলেট রয়েছে। অপরদিকে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় গাম্বিয়ার একটি কনস্যুলেট রয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৪৯ সালের ৩ মার্চ, গাম্বিয়া এবং ফিলিপাইনের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[১] ২০০৫ সালের ২০-২৪ জুন, গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি, ইয়াহিয়া জামেহ, এক রাষ্ট্রীয় সফরে ফিলিপাইনে যান। সেই সফরে তিনি ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি, গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগাল আরোয়ো এর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।[২] গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এর সদস্যপদ লাভের জন্য ফিলিপাইনের প্রতি সমর্থন জানান।[২][৩]

গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতির সফরের পূর্বে, গাম্বিয়াতে তেলের খনি আবিষ্কৃত হয়। গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি সেই তেল অনুসন্ধানের জন্য ফিলিপাইন এবং গাম্বিয়ার যৌথ অনুসন্ধানের বিষয়ে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতিকে প্রস্তাব দেন।[৪] এছাড়াও জামেহ, ফিলিপাইনকে, গাম্বিয়ায় আবিষ্কৃত তেলের খনির ৫ টি ব্লকের একটি ফিলিপাইনকে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। ফিলিপাইন গাম্বিয়ার এই প্রস্তাবে সম্মত হয় এবং গাম্বিয়া ও ফিলিপাইনের সমন্নয়ে একটি যৌথ অনুসন্ধান দল গঠন করে গাম্বিয়ায় তেল অনুসন্ধানের ব্যাপারে চুক্তি করে।[৪] এই চুক্তিকে, ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসেই গঠিত নিউ এশিয়ান-আফ্রিকান স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ এর সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। ফিলিপাইন এবং গাম্বিয়ার মধ্যকার এই চুক্তিটি ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় সাক্ষরিত হয়।[৪][৫] তবে পরবর্তীতে ফিলিপাইন এবং গাম্বিয়ার সমন্নয়ে গঠিত যৌথ অনুসন্ধানকারী দল জানায় উল্লিখিত ৫ টি ব্লকে আশানুরুরপ তেল পাওয়া যায় নি। তবে তারা ষষ্ঠ ব্লক নিয়ে আশাবাদী ছিলেন এবং সেখানে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

এর আগে ১৯৬৬ সালে, ফিলিপাইনের কৃষি বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক ব্রুক ফিলিপাইন পিংক নামক নতুন জাতের একটি মটরশুঁটি আবিষ্কার করেন। এই ফিলিপাইন পিংক মটরশুঁটি হল গাম্বিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য।[৬] গাম্বিয়া ফিলিপাইনের এই সহায়তার প্রতিদান হিসেবে তেল অনুসন্ধান কাজে ফিলিপাইনকে যুক্ত করার এবং ফিলিপাইনকে একটি ব্লক দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

চুক্তি[সম্পাদনা]

১৯৯৬ সালে এই দুই দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে চুক্তি সাক্ষর করে। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের এই দুই দেশ স্বাস্থ্যসেবা খাত এবং ঔষধ বিষয়ে সমন্বয়ের লক্ষ্যে চুক্তি সাক্ষর করে।[৫]

সমন্বয়[সম্পাদনা]

২০০৭ সাল মোতাবেক, এই দুই দেশে অবস্থিত কনস্যুলেট ২ টি স্ব স্ব অঞ্চলে বিতরণ কার্যালয় তৈরি করছিল। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুবিধা তৈরির জন্য এই দুই দেশ এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছিল।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Joint Communique on the Establishment of Diplomatic Relations between the Republic of the Philippines and the Republic of the Gambia" (পিডিএফ)। ১৭ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৭ 
  2. "Office of The Gambian President: State House Online: Yahya A.J.J. Jammeh: PRESIDENT JAMMEH VISITS THE PHILIPPINES"। Statehouse.gm। ২৪ জুন ২০০৫। ২১ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৩ 
  3. "Gambia to support Philippines' bid for observer status at OIC."দ্যা ডেইলি ট্রিবিউন। ২১ জুন ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৩ 
  4. "Gambia, Philippines make oil exploration deal"। Panapress.com। ২৫ জুন ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৩ 
  5. "LISTSERV 16.0 - GAMBIA-L Archives"। Listserv.icors.org। ১৬ এপ্রিল ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৩ 
  6. ভিলানুয়েভা, মারিচু (২৩ জুন ২০০৫)। "Pinoy farmers’ peanuts link RP and Gambia | Headlines, News, The Philippine Star"। philstar.com। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৩ 
  7. "The Gambia marks 42 years of freedom"ফিলিপাইন ডেইলি ইনকুয়ারার। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। পৃষ্ঠা 5। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৩