বিষয়বস্তুতে চলুন

ঈগল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ঈগল
বল্ড ঈগল
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Falconiformes বা Accipitriformes
পরিবার: Accipitridae
প্রজাতি

নিচে দেওয়া আছে

ইগল একপ্রকার বৃহৎ আকার, শক্তিধর, দক্ষ শিকারি পাখি। ঈগল সাধারণত বনে বা ঘন জঙ্গলে বসবাস করে থাকে। বানর, ছোট জাতের পাখি, টিকটিকি, হাস-মুরগী খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে। একটি পূর্ণবয়স্ক ঈগলের ওজন প্রায় ৩০ কেজি এবং লম্বায় প্রায় ৩০-৩৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো একটি পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ঈগল ১১,০০০ ফুট উপরে উঠতে পারে। শীতকালে এরা তুলনামুলক কম শীত এলাকা বা দেশে চলে যায়। এরা জনমানব এলাকার বাইরে এবং কমপক্ষে ১০০ ফুট উপরে বাসা তৈরি করে স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একত্রে বসবাস করে প্রজনন ঘটায়।

তাদের জীবন রক্ষার জন্য বড় হাতিয়ার তাদের পায়ের নখ। নখগুলো এতই তীক্ষ্ণ যে নিমিষের মধ্যে শিকারকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। তবে এরা এখন বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশে এদের দেখা পাওয়া যায়না বললেই চলে। যদিও বাংলাদেশে একসময় সাদা বুকের সমুদ্র ঈগল (Haliacetus Leucogaster), কুড়া বা পলাশ মেছো ঈগল (Haliacetus leucoryphus), কুল্লে বা সাপখেকো ঝুঁটি ঈগল (Spilornis cheela) ছোটনখের ঈগল দেখা যেত কিন্তু অধুনা তারা বিলুপ্তির পথে।

এখনও পর্যন্ত জানতে পারা সবচেয়ে বড় জাতের ঈগল হল হাস্ট ঈগল। 1874 সালে জুলিয়াস ফন হাস্ট নিউজিল্যান্ডে এই জাতের ঈগলের প্রথম দেখা পান বলে তার নামানুসারে এই জাতের ঈগলের এই নামকরণ করা হয়। অবশ্য স্থানীয় মাওরি জতের মানুষের কাছে এরা আগে থেকেই সুপরিচিত ছিল। এদের ডানামেলা অবস্থায় প্রস্থ তিন মিটার পর্যন্ত হত, ওজন হত আঠারো থেকে কুড়ি কিলোগ্রাম। বর্তমানে এরা বিলুপ্ত।

প্রজাতি

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]
  1. বাজ
  2. শকুন
  3. চিল

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]