বিষয়বস্তুতে চলুন

ইন্দ্রভূতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইন্দ্রভূতি বা রাজা জা ওড্ডিয়ান রাজ্যের রাজা ও একজন বৌদ্ধ মহাসিদ্ধ ছিলেন, যদিও মন্ত্রযান বৌদ্ধমতে একাধিক ইন্দ্রভূতি নামধারী ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া যায়।[]

ওড্ডিয়ান রাজ্য ও ইন্দ্রভূতি

[সম্পাদনা]

ভাষাবিদ পি সি বাগচীর মতে তিব্বতী ভাষায় ও-র্গ্যান বা উ-র্গ্যান (তিব্বতি: ཨུ་རྒྱན་ওয়াইলি: u rgyan) এবং ও-ডি-ভি-ষা নামক দুইটি পৃথক শব্দ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ও-র্গ্যান বা উ-র্গ্যান বা ও-ডি-য়া-না রাজ্যের সঙ্গে ওড্ডিয়ানের রাজা ইন্দ্রভূতির নাম জড়িত। অপরদিকে ও-ডি-ভি-ষা বা ওড্র (অধুনা উড়িষ্যা) রাজ্যের সঙ্গে রাজা ইন্দ্রভূতির উল্লেখ পাওয়া যায় না। কিন্তু এন কে সাহুর মতে ওড, ওড্র, উড্র, ওডিভিষা এবং ও-ডি-য়া-না বা উড্ডিয়ান একই শব্দের ভিন্ন রূপ। সাধনমালা গ্রন্থে উড্ডিয়ান শব্দটিকে ওড্রয়ান বানানে এবং কালিকা পুরাণ গ্রন্থে ওড্র বানানে লেখা রয়েছে। চতুরাশিতি সিদ্ধ প্রবৃত্তি গ্রন্থে ইন্দ্রভূতিকে ওডিভিষার রাজা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ব্স্তান-হ্গ্যুর (ওয়াইলি: Bṣtān-ḥgyur) নামক তালিকায় তাকে উড়িষ্যার রাজা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও ইন্দ্রভূতি রচিত জ্ঞানসিদ্ধি গ্রন্থের সূচনাতে উড়িষ্যার দেবতা জগন্নাথের বন্দনা করা হয়েছে। সেই হিসেবে বর্তমান উড়িষ্যা রাজ্যই যে মধ্যযুগে ওড্ডিয়ান ছিল, সেই প্রমাণ পাওয়া যায়।[n ১]

তিব্বতী প্রবাদ

[সম্পাদনা]

তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের র্ন্যিং মা ধর্মসম্প্রদায়ের প্রবাদ অনুসারে তিব্বতী বর্ষপঞ্জীর ভূমি বানরের নামাঙ্কিত বছরে ইন্দ্রভূতি বা রাজা জা আকাশ থেকে জাদুবলে নিজের প্রাসাদ্র ছাদে পড়ে যাওয়া মন্ত্রযান গ্রন্থ থেকে শিক্ষা লাভ করেন।[]:৬১৩ রাজা জা এই শিক্ষা কুকুরাজাকে দান করেন।[]:৪৬০ র্ন্যিং-মা-র্গ্যুদ-'বুম (ওয়াইলি: rnying ma rgyud ‘bum) নামক গ্রন্থসংকলনের তৃতীয় খণ্ডে কুন-ব্জাং-য়ে-শেস-গ্সাল-বার-স্তোন-পা'ই-থাব্স-ক্যি-লাম-ম্ছোগ-'দুস-পা'ই-র্গ্যুদ (ওয়াইলি: kun bzang ye shes gsal bar ston pa'i thabs kyi lam mchog 'dus pa'i rgyud) নামক তন্ত্রের পঞ্চম অধ্যায়ে এই ঘটনা সম্বন্ধে উল্লেখ রয়েছে।[]:৪৬০

শিক্ষা

[সম্পাদনা]

ইন্দ্রভূতি বৌদ্ধ মহাসিদ্ধ কম্বলাম্বর পার নিকট হতে শিক্ষালাভ করেন[n ২] এবং মহাসিদ্ধ তিলো পাকে প্রজ্ঞা নামক শিক্ষাদান করেন।[]

পাদটীকা

[সম্পাদনা]
  1. In his argument, P. C. Bagchi states that there are two distinct series of names in Tibetan: (1) O-rgyān, U-rgyān, O-ḍi-yā-na, and (2) O-ḍi-vi-śā, with the first series connected with Indrabhūti, i.e., Oḍiyăna and Uḍḍiyāna, while the second series falls back on Oḍi and Oḍiviśa, i.e., Uḍra (Orissa) and has nothing to do with Indrabhūti. N.K. Sahu objects, however, and points out that these two sets of names are seldom distinguished in Buddhist Tantra literature, and opines that the words Oḍa, Oḍra, Uḍra, Oḍiviśa and Oḍiyāna are all used as variants of Uḍḍiyāna. In the Sādhanamālā, he further points out, Uḍḍiyāna is also spelt as Oḍrayāna while in the Kālikā Purāṇa, as indicated earlier, it is spelt either Uḍḍiyāna or Oḍra. There is also evidence, Sahu continues, that Indrabhūti is the king of Orissa rather than of the Swāt valley. The Caturāsiti-siddha-Pravṛtti, for example, mentions him as the king of Oḍiviśa while Cordier, in his Bṣtān-ḥgyur catalogue, gives sufficient indications of his being the king of Orissa. Also, in his famous work Jñānasiddhi, king Indrabhūti opens it with an invocation to Lord Jagannātha, a deity intimately associated with Orissa and with no other area of India.[]
  2. The Sidhacharyas popularised the tenets of vajrayana by composing numerous texts. Indrabhuti, disciple of the saint Kambalapada, created a sensation by composing his famous treatise 'yajnasidhi'.[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Karmay, S. G. (1981). "King Tsa/Dza and Vajrayana." In Strickmann, M. (ed.), Tantric and Taoist Studies in Honour of R. A. Stein, MCB 20 (1981), pp.192-211
  2. Donaldson, Thomas E. (2001). 'Iconography of the Buddhist Sculpture of Orissa: Text', Volume 1 of Iconography of the Buddhist Sculpture of Orissa, Indira Gandhi National Centre for the Arts. Abhinav Publications. আইএসবিএন ৮১-৭০১৭-৩৭৫-২, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭০১৭-৩৭৫-৫ Source: [১] (accessed: Tuesday February 2, 2010), p.11
  3. Dorje, Jikdrel Yeshe (Dudjom Rinpoche, author), & translated and edited: Gyurme Dorje and Matthew Kapstein (1991). The Nyingma School of Tibetan Buddhism: Its Fundamentals and History. Boston, USA: Wisdom Publications. আইএসবিএন ০-৮৬১৭১-১৯৯-৮
  4. Choudhury, Janmejaya (2007). "The Antiquity of Tantricism." Orissa Review. September–October - 2007. Source: [২] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ মার্চ ২০০৯ তারিখে (accessed: January 30, 2008)
  5. "Kagyu Lineage History: Tilopa"। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৩