বিষয়বস্তুতে চলুন

ইদুক্কি জেলা

স্থানাঙ্ক: ৯°৫১′ উত্তর ৭৬°৫৬′ পূর্ব / ৯.৮৫° উত্তর ৭৬.৯৪° পূর্ব / 9.85; 76.94
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইদুক্কি জেলা
জেলা
আন্নামুড়ি, দক্ষিণ ভারতের সর্বোচ্চ শিখর
আন্নামুড়ি, দক্ষিণ ভারতের সর্বোচ্চ শিখর
ডাকনাম: কেরালায় মশলার জমি
ইদুক্কি জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৯°৫১′ উত্তর ৭৬°৫৬′ পূর্ব / ৯.৮৫° উত্তর ৭৬.৯৪° পূর্ব / 9.85; 76.94
দেশ ভারত
রাজ্যকেরালা
সদরদপ্তরপাইনাভু
আয়তন
 • মোট৪,৩৫৮ বর্গকিমি (১,৬৮৩ বর্গমাইল)
উচ্চতা১,২০০ মিটার (৩,৯০০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১১,০৭,৪৫৩
 • জনঘনত্ব২৫৪/বর্গকিমি (৬৬০/বর্গমাইল)
ভাষা
 • দাপ্তরিকমালায়ালাম
 • কথ্যমালায়ালাম, তামিলইংরেজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
আইএসও ৩১৬৬ কোডIN-KL
ওয়েবসাইটwww.idukki.nic.in

ইদুক্কি জেলা ভারতের কেরালা রাজ্যের ১৪টি জেলার একটি জেলা।[] এটি ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কোট্টায়াম জেলাকে ভেঙে তৈরি করা হয়। সে সময় এ জেলার সদরদপ্তর ছিল কোট্টায়াম। ১৯৭৬ সালে তা পাইনাভু শহরে স্থানান্তরিত হয়। ইদুক্কি জেলা কেরালাতে পশ্চিম ঘাটে অবস্থিত। এটি কেরালার ২য় বৃহৎ জেলা হলেও এ জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব খুব কম। ইদুক্কি জেলায় একটি বিশাল সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকা আছে; জেলার আয়তনের অর্ধেকেরও বেশি বন দ্বারা আচ্ছাদিত। শহুরে এলাকায় জনবসতি বেশি থাকলেও গ্রামে জনসংখ্যা খুবই কম। ইদুক্কি জেলা মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত।

উৎপত্তি

[সম্পাদনা]

জেলার নাম তামিল ও মালেয়ালাম শব্দ ইদুক্কু থেকে এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে সংকীর্ণ গর্জ।

ভূগোল

[সম্পাদনা]

ইদুক্কি জেলার মোট আয়তন ৪,৩৫৮ বর্গকিলোমিটার (১,৬৩৮ বর্গ মাইল) এবং এটি কেরালার দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা (বৃহত্তম হচ্ছে পালঘাট জেলা)। জেলার মোট আয়তনের ৯৭ শতাংশই পাহাড় পর্বত ও বনজঙ্গলে ঘেরা। ইদুক্কি জেলা পাঁচটি তালুকে বিভক্ত।

আনামুরি হল ইদুক্কি জেলা এবং কেরালার তথা দক্ষিণ ভারতের সর্বোচ্চ স্থান। আনামুরি এবং মীসপুলিমালা হিমালয়ের দক্ষিণে ভারতের সর্বোচ্চ দুটি শৃঙ্গ। আনামুরি দেবিকুলাম তালুকের আদিমালী ব্লকের কট্টমপুঝা পঞ্চায়েতের কান্নান দেওয়ান গ্রামে অবস্থিত। জেলায় ৩০টির‌ও বেশি শৃঙ্গ রয়েছে যেগুলোর উচ্চতা ২০০০ মিটারের (৬৬০০ ফুট) বেশি। পেরিয়ার, থোডুপুজার, মুথিরপুজ্জায়ার এবং থালায়য়ার জেলার গুরুত্বপূর্ণ নদী।

অবস্থান

[সম্পাদনা]

জেলাটির উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে এর্নাকুলাম জেলা, পশ্চিম দিকে রয়েছে কোট্টায়ম জেলা, দক্ষিণ দিকে রয়েছে পত্তনমতিট্টা জেলা, উত্তর দিকে রয়েছে তামিলনাড়ু রাজ্যের কোয়েম্বাটুরতিরুপুর জেলা, উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে দিন্দিগুল জেলা, পূর্ব দিকে রয়েছে তেনি জেলা এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে বিরুধনগরতেনকাশী জেলা

জনসংখ্যা

[সম্পাদনা]

২০১১ সালের ভারতীয় জনগণনা অনুযায়ী এ জেলার মোট জনসংখ্যা ছিল ১,১০৭,৪৫৩ জন।[] জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে ৪১৬তম জেলা। এ জেলায় জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৫৪ জন (প্রতি বর্গমাইলে ৬৬০ জন)। ২০০১-২০১১ এর দশকে এই জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.৯৩% শতাংশ। লিঙ্গ অনুপাত প্রতি ১০০০ পুরুষের বিপরীতে ১০০৬ জন নারী রয়েছে। স্বাক্ষরতার হার ৯২.২ শতাংশ।[]

২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী ইদুক্কি জেলার মোট জনসংখ্যার ৪৬.৭৬ শতাংশ মানুষ হিন্দু, ৪৫.৯২ শতাংশ খ্রিস্টান, ৭.৩২ শতাংশ মানুষ মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষের সংখ্যা ০.৩ শতাংশ।

প্রশাসন

[সম্পাদনা]

ইদুক্কি জেলা পাঁচটি তালুকে বিভক্ত; থোডুপুজা, দেবীকুলাম, ইদুক্কি, উদুমবাংলা ও পীরমেডু। তালুকগুলো আবার আটটি কমিউনিটি উন্নয়ন ব্লকে বিভক্ত। ব্লকগুলো আবার গ্রাম পঞ্চায়েতে বিভক্ত।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Idukki District (Variant – V) at GEOnet Names Server, United States National Geospatial-Intelligence Agency
  2. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১১