বিষয়বস্তুতে চলুন

আল-ওসমানী মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩°৪৩′৫৬″ উত্তর ৯৮°৪০′৩৪″ পূর্ব / ৩.৭৩২২৩৯° উত্তর ৯৮.৬৭৬২০৫° পূর্ব / 3.732239; 98.676205
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আল-ওসমানী মসজিদ
আল-ওসমানী মসজিদ
مسجد العثمانا
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
অবস্থান
অবস্থানমেদান, উত্তর সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া
আল-ওসমানী মসজিদ মেদান-এ অবস্থিত
আল-ওসমানী মসজিদ
মেদান, উত্তর সুমাত্রা, সুমাত্রা, ও ইন্দোনেশিয়ার মানচিত্রে অবস্থান
আল-ওসমানী মসজিদ সুমাত্রা-এ অবস্থিত
আল-ওসমানী মসজিদ
মেদান, উত্তর সুমাত্রা, সুমাত্রা, ও ইন্দোনেশিয়ার মানচিত্রে অবস্থান
আল-ওসমানী মসজিদ উত্তর সুমাত্রা-এ অবস্থিত
আল-ওসমানী মসজিদ
মেদান, উত্তর সুমাত্রা, সুমাত্রা, ও ইন্দোনেশিয়ার মানচিত্রে অবস্থান
আল-ওসমানী মসজিদ সুমাত্রা-এ অবস্থিত
আল-ওসমানী মসজিদ
মেদান, উত্তর সুমাত্রা, সুমাত্রা, ও ইন্দোনেশিয়ার মানচিত্রে অবস্থান
আল-ওসমানী মসজিদ ইন্দোনেশিয়া-এ অবস্থিত
আল-ওসমানী মসজিদ
মেদান, উত্তর সুমাত্রা, সুমাত্রা, ও ইন্দোনেশিয়ার মানচিত্রে অবস্থান
স্থানাঙ্ক৩°৪৩′৫৬″ উত্তর ৯৮°৪০′৩৪″ পূর্ব / ৩.৭৩২২৩৯° উত্তর ৯৮.৬৭৬২০৫° পূর্ব / 3.732239; 98.676205
স্থাপত্য
স্থপতিডিজি ল্যাঙ্গেরিস
স্থাপত্য শৈলীমুরিশ, মুঘল, স্প্যানিশ, মালয়
ভূমি খনন১৮৫৪

আল-ওসমানী মসজিদ ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রার মেদানে অবস্থিত একটি মসজিদ। মেদান লাবুহান জেলায় অবস্থিত বলে মসজিদটি লাবুহান মসজিদ নামেও পরিচিত। মসজিদটি মেদান শহরের প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তরে পেকান লাবুহানের উপজেলা কেএল ইয়োস সুদারসো রোডে অবস্থিত। এই মসজিদের সামনে একটি স্কুল আছে, যেটির নাম ইয়াসপি স্কুল (ইসলামিক এডুকেশন ফাউন্ডেশন) এবং মসজিদের অদূরে পেকং লিমা নামে একটি চীনা মন্দির রয়েছে। মন্দিরের সামনের পথটি লাবুহান বাজার অভিমুখী নিয়ে যায়। আল-ওসমানী মসজিদ মেদান শহরের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ।

আল-ওসমানী মসজিদ ১৮৫৪ সালে ৭ম ডেলি সুলতান, সুলতান ওসমান পারকাসা আলমের দ্বারা কাঠের উপাদান ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৮৭০ থেকে ১৮৭২ সালে কাঠের তৈরি মসজিদটি সুলতান ওসমানের সন্তান সুলতান মাহমুদ পারকাসা আলম' কর্তৃক স্থায়ী ভবন হিসেবে নির্মাণ করা হয় যিনি ডেলির অষ্টম সুলতান ছিলেন।

১৯০০-১৯১৬ সালে তোলা মসজিদের ছবি

এখন পর্যন্ত মসজিদটি, উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়াও, স্মারক এবং ধর্মীয় ছুটি উদযাপন ও মেদানের উত্তরাঞ্চল থেকে আগত মক্কা তীর্থযাত্রীদের বাসস্থানের স্থান হিসেবেও ব্যবহার করা হত। এই মসজিদে পাঁচটি রাজকীয় কবরস্থানে টুয়াংকু পাংলিমা পাসুতান (ডেলির চতুর্থ সুলতান), তুয়াংকু পাংলিমা গেন্ডার ওয়াহিদ (ডেলির পঞ্চম সুলতান), সুলতান আমালুদ্দিন পেরকাসা আলম (ডেলির ষষ্ঠ সুলতান), সুলতান ওসমান পেরকাসা আলম এবং সুলতান মাহমুদ পারকাসা আলমকে সমাধিস্থ করা হয়েছে।

স্থাপত্য

[সম্পাদনা]

নির্মাণকালে, কাঠের মূল উপাদান দিয়ে আল-ওসমানী মসজিদের পরিমাপ ছিল মাত্র ১৬ x ১৬ মিটার। ১৮৭০ সালে, ডেলির অষ্টম সুলতান মাহমুদ আল-রশিদ মসজিদটি ডাচ স্থপতি জিডি ল্যাঙ্গেরিস দ্বারা নতুনভাবে নকশা করেন। ইউরোপ এবং পারস্যের উপাদান সহ একটি স্থায়ী ভিত্তি তৈরি করার পাশাপাশি, এর আকার ২৬ x ২৬ মিটার পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়। ১৮৭২ সালে মসজিদটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়।

মধ্যপ্রাচ্য, ভারতীয়, স্প্যানিশ, মালয় এবং চীনা মিশ্রিত মূল স্থাপত্যশৈলী হারানো ছাড়াই এই মসজিদ ভবনের বেশ কয়েকটি স্থাপত্যকার্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।[]

চারটি দেশের স্থাপত্যের সংমিশ্রণের উপর ভিত্তি করে তৈরি, উদাহরণস্বরূপ মসজিদের চীনা শৈলীতে সুসজ্জিত দরজা, ভারতীয় দ্বারা সূক্ষ্ম ভবন খোদাই এবং ইউরোপীয় শৈলীতে স্থাপত্য ও মধ্যপ্রাচ্যের স্থাপত্যেড আদলে সূক্ষ্ম অলঙ্করণ। আড়ম্বরপূর্ণ অষ্টভুজাকৃতির তামার গম্বুজটি ভারতীয় শৈলীতে অনন্য। গম্বুজগুলো ২.৫ টন এর অনধিক ওজনের পিতল থেকে তৈরি করা হয়।


আল-ওসমানী মসজিদ প্রধানত মালয়দের গর্বের রঙ হলুদ ও সোনালি হলুদ রঙের, যা আড়ম্বর ও গৌরবকে নির্দেশ করে। এছাড়াও, সবুজ রঙের সাথে মিলিত হয়ে ইসলামী দার্শনিকশৈলী নির্দেশ করে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Menggali Kemegahan Arsitektur Mesjid Al-Osmani Bernuansa Empat Negara"। ১৬ জুন ২০১২। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]