অঙ্কন
অঙ্কন বা রেখাঙ্কন বলতে এক ধরনের দৃশ্যকলাকে বোঝায় যেখানে শিল্পী বিবিধ উপকরণ ব্যবহার করে কাগজ বা অন্য কোনো দ্বিমাত্রিক মাধ্যমে রেখা বা দাগ টেনে চিত্র অঙ্কন করেন। অঙ্কন সামগ্রীর অন্তর্ভুক্ত উপকরণগুলি হল সিসার পেনসিল, কালি ও কলম, রং তুলি, মোম রংপেনসিল, রঙিন খড়ি, কাঠকয়লা, চক্ খড়ি, রংপেনসিল এবং নানা প্রকার রবার, মার্কার, লেখনী, নানাবিধ ধাতু (যেমন - সিলভারপয়েন্ট) ও বৈদ্যুতিন অঙ্কন। একটি অঙ্কন সামগ্রী অতি সামান্য পরিমাণ উপাদান নিঃসরণের মাধ্যমে কোনো তলে একটি দৃশ্যমান দাগের সৃষ্টি করে।অতি সাধারণভাবে ব্যবহৃত মাধ্যমটি হল কাগজ, যদিও অন্যান্য নানা বস্তু যেমন কার্ডবোর্ড, প্লাস্টিক, চামড়া, ক্যানভাস, এবং বোর্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।অস্থায়ী অঙ্কন ব্ল্যাকবোর্ড, হোয়াইট বোর্ড অথবা যে কোনো কিছুর উপর করা হয়ে থাকতে পারে। এটি মানবসভ্যতার ইতিহাসের আদ্যোপান্ত থেকেই গণ অভিব্যক্তি প্রকাশের একটি জনপ্রিয় ও মৌলিক মাধ্যম। এটি ধারণাকে দৃশ্যের দ্বারা স্ংযোগের একটি অতিসরল অথচ অত্যন্ত কার্যকরী মাধ্যম। অঙ্কন সামগ্রীর বিস্তৃত লভ্যতা একে অতিসাধারণ শৈল্পিক কার্যকলাপে পরিণত করেছে।
এর শৈল্পিক রূপের বিষয়ে আরও বলা যায় যে অঙ্কন প্রায়শই বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হয় চিত্রণ,অ্যানিমেশন,স্থাপত্য,যন্ত্রবিদ্যা ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে। একটি খালিহাতে কৃত অঙ্কন সাধারণত সম্পূর্ণ কার্য হিসেবে অভিপ্রেত নয় একে বলা হয়ে থাকে স্কেচ বা নকশা। প্রযুক্তিগত অঙ্কনে কার্যরত বা অভ্যস্ত শিল্পীকে বলা হয় খসড়াকার বা নকশাকার।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/9/90/%E0%A6%90%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF_%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95_%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC_%E0%A7%A8.jpg/220px-%E0%A6%90%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF_%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95_%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AC_%E0%A7%A8.jpg)
বিষয়বস্তূু ১ পরিদর্শন ২ ইতিহাস ২।১ উল্লেখযোগ্য নকশাকার ৩ উপাদান সমূহ ৪ কৌশল ৫ স্বন ৬ আকৃতি ও অনুপাত ৭ পরিপ্রেক্ষিত ৮ কারুকার্য ৯ পদ্ধতি ১০ আরও দেখুন ১১ সূত্রাবলী ১২ অধিকতর পাঠ ১৩ বহিঃভূত স্ংযোগ
পরিদর্শন
দৃশ্যকলাগুলির মধ্যে অঙ্কন হল অভিব্যক্তি প্রকাশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম।এটি সাধারনত কাগজ বা অন্য বস্তুর উপর রেখা দ্বারা চিহ্নিতকরণের বিষয়ে প্রাসঙ্গিক অপরপক্ষে বাস্তব বিশ্বে দৃশ্যের সঠিক উপস্থাপনা সমতল ক্ষেত্রের উপর অভিব্যক্ত করা হয়। ঐতিহ্যবাহী অঙ্কনগুলো হ্ত একবর্ণী অথবা অতি স্ব্ল্প বর্ণযুক্ত যেখানে আধুনিক রং পেনসিল দ্বারা কৃত অঙ্কনগুলো অঙ্কন ও চিত্রণের মধ্যবর্তী সীমা অতিক্রম বা অভিগমন করে। পাশ্চাত্যের পরিভাষা অনুযায়ী, অঙ্কন ও চিত্রণ সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র, যদিও দুই ক্ষেত্রেই একই মাধ্যম প্রায়শই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শুষ্ক মাধ্যম যেমন চক, খড়ি অঙ্কনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।তুলি ও কলম দ্বারা তরল মাধ্যমেও অঙ্কন করা হয়।একই মাধ্যম উভয় ক্ষেত্রে অনুরূপভাবে সাহায্য করে, পূর্বপ্রস্তুত ক্যানভাস বা প্যানেলের উপর তরল রং প্রয়োগের দ্বারা সাধারণত অঙ্কন করা হয়, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে ওই মাধ্যমে পূর্বে খসড়া প্রস্তুত করে নেওয়া হয়।
অঙ্কন প্রায়শই গবেষণামূলক, যাতে পর্যবেক্ষণের গুরুত্বপূর্ণভাবে জোর আরোপিত হয়, এবং এটি গঠনমূলক ও সমস্যা সমাধানকারী।চিত্রণ প্রস্তুতির জন্য অঙ্কন নিয়মিত ব্যবহৃত হয় ও পরে তাদের মধ্যবর্তী প্রভেদ দূরীভূত করা হয়।এই উদ্দেশ্যে কৃত অঙ্কনগুলিকে গবেষণামূলক অঙ্কন বলা হয়।