বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি
গঠিত | ১৯৭৩ |
---|---|
সদরদপ্তর | আগারগাও, ঢাকা, বাংলাদেশ |
সভাপতি | আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী |
ওয়েবসাইট | bas |
বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী হলো বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের একটি জাতীয় ফোরাম যা ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ক্ষেত্রে দেশের কর্ণধার বলে বিবেচিত।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হওয়ার পরে ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান বিজ্ঞান একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানি) একাডেমির ১২ জন বাংলাদেশী ফেলো ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি গঠন করেন। মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন পালন করেছেন। [১]
সভাপতি
[সম্পাদনা]- মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা (১৯৭৩ - ১৯৭৬)
- ওসমান গণি (১৯৭৬ - ১৯৮৮)
- সাইফউদ-দীন চৌধুরী
- মোহাম্মদ শমশের আলী (২০০৪ - ২০১২)[২]
- মেসবাহউদ্দিন আহমদ (২০১২ - ২০১৫)
- আমিনুল ইসলাম (২০১৬ - ২০১৭)
- কাজী আবদুল ফাত্তাহ[৩]
- আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী
ফেলোশিপ
[সম্পাদনা]বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি কর্তৃপক্ষ ফেলোশিপ প্রদান করে থাকে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মানসূচক এই ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। একাডেমি বাংলাদেশের সর্বাধিক খ্যাতনামা বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তিবিদদের মধ্য থেকে ‘জাতীয় ফেলো’ নির্বাচন করে থাকে। [১] ১৯৭১ সালের পূর্বে ‘পাকিস্তান বিজ্ঞান একাডেমি’র ৩০ জন ফেলোর মধ্যে ১২ জন বাংলাদেশি ফেলো ছিলেন যারা বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। [১] প্রতিষ্ঠাতা ১২ জনকে সম্মানসূচক ‘ফাউন্ডেশন ফেলো’ হিসেবেও অবহিত করা হয়। এছাড়াও, জাতীয় ফেলো, প্রবাসী ফেলো, আন্তর্জাতিক ফেলো ও সহকারী ফেলো - এ চারটি শাখায় ফেলো নির্বাচিত হন। ফেলোগণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে একাডেমির স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করেন।[৪]
আয়োজন
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে জাতীয় প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ সায়েন্স অলিম্পিয়াড আয়োজন করে। তাছাড়া চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সমন্বয়ে বিভাগীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়।
একাডেমি স্বর্ণপদক পুরস্কার
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি (প্রকৌশল ও প্রযুক্তি) এবং ভৌত বিজ্ঞান (কৃষি ও চিকিৎসা) ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের প্রতি বছর পুরস্কার দেয়।[৫]
পদার্থবিদ্যা
[সম্পাদনা]বছর | বড় | ছোট |
---|---|---|
১৯৮২ | এস জে হায়দার | এস এম মুজিবুর রহমান |
১৯৮৪ | M. Shamsher Ali | |
১৯৮৫ | Jamal Nazrul Islam | |
১৯৮৬ | সৈয়দ সাইফুল্লাহ | M. Salimullah |
১৯৮৮ | কে এম এ মালিক | Saiful Islam |
১৯৮৯ | M. Shamsher Ali ওয়জি উদ্দিন |
Khondkar Siddique-e-Rabbani |
১৯৯৩ | আমির হোসেন খান | এম সালাউদ্দিন খান |
১৯৯৮ | Shariff Enamul Kabir | এ এস এম আব্দুল হাসেব গোলাম মোহাম্মদ ভুইয়া |
২০২০ | M. Salimullah | জুনায়েদ আমিন |
২০০৩ | Arun Kumar Basak | মোঃ সাইদুর রহমান |
২০০৪ | Mohammad Kaykobad | আব্দুল্লাহ আল মামুন (বিজ্ঞানী) |
২০০৫ | মোহাম্মদ রেজওয়ান খান | এরশাদ মোমেন |
২০০৬ | একেএম আজহারুল ইসলাম | |
২০০৭ | এম এম শহিদুল হাসান | তানভির নূর ভাইগ |
২০০৯ | তোফাজ্জেল হোসেন তফাদার | মোঃ ইদ্রিস মিয়া |
২০১০ | আনিসুল হক মোবারক আহমেদ খান |
মোহাম্মদ সুজাউদ্দিন খান |
২০১১ | আব্দুল্লাহ আল মামুন (বিজ্ঞানী) | মোহাম্মদ আবুল হাসানাত |
২০১৩ | এম রুহুল আমিন শফি এম তারিক [৬] |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ মোঃ মাহবুব মোর্শেদ (২০১২)। "বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "Prof Dr M Shamsher Ali, former Founder Vice-Chancellor of Bangladesh Open University..."। The New Nation। ৫ জুলাই ২০১৪। ১২ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৬।
- ↑ "BAS Council (July 2016 - June 2019)"। Bangladesh Academy of Sciences। ২০১৩-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৪।
- ↑ "বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি ফেলোশিপ"। বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Academy Gold Medal Award"। Bangladesh Academy of Sciences। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৬।
- ↑ "BAS Gold Medal Award-2013 | East West University"। www.ewubd.edu (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-০৫।