২৪-ঘণ্টার ঘড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্রাজিলের কুরিতিবা শহরে একটি ২৪-ঘণ্টার ঘড়ি।

আধুনিক ২৪-ঘণ্টার ঘড়ি, যা যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক সময় নামে পরিচিত,[ক][১] সময় পরিমাপের এক পদ্ধতি, যেখানে এক মধ্যরাত্রি থেকে অপর মধ্যরাত্রি পর্যন্ত বিস্তৃত দিনকে ২৪ ঘণ্টায় ভাগ করা হয়। এক মধ্যরাত্রি থেকে কত ঘণ্টা (ও মিনিট) অতিক্রান্ত হয়েছে, এর দ্বারা ২৪-ঘণ্টার ঘড়িতে সময় নির্ণয় করা হয়। এটি বিশ্বে সবচেয়ে প্রচলিত সময় উপস্থাপনা পদ্ধতি,[ক] এবং আন্তর্জাতিক প্রমাণ আইএসও ৮৬০১ এটি ব্যবহার করে।[২]

মূলত ইংরেজিভাষী দেশে ১২-ঘণ্টার ঘড়ি, কিংবা ২৪ ও ১২-ঘণ্টার ব্যবস্থার সংমিশ্রণ ব্যবহার করে। যেসব দেশে ১২-ঘণ্টার ঘড়ির আধিপত্য বর্তমান, সেখানে কিছু জীবিকায় ২৪-ঘণ্টার ঘড়ি ব্যবহার করতে পছন্দ করে। যেমন, চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুশীলনের সময় চিকিৎসার নথিভুক্তির জন্য ২৪-ঘণ্টার ঘড়ি ব্যবহার করা হয়, কারণ এর ফলে কোনো রুগীর চিকিৎসা ইতিহাসে কখন কোনো ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ক কোনো দ্ব্যর্থতার সমস্যা থাকে না।[৩]

বিবরণ[সম্পাদনা]

২৪-ঘণ্টার ঘড়ি ১২-ঘণ্টার ঘড়ি
০০:০০ মধ্যরাত্রি ১২:০০[ক]
পূর্বাহ্ন ১২:০০ (দিনের শুরু)
০১:০০ পূর্বাহ্ন ১:০০
০২:০০ পূর্বাহ্ন ২:০০
... ...
১০:০০ পূর্বাহ্ন ১০:০০
১১:০০ পূর্বাহ্ন ১২:০০
১২:০০ মধ্যাহ্ন ১২:০০[ক]
অপরাহ্ন ১২:০০
১৩:০০ অপরাহ্ন ১:০০
১৪:০০ অপরাহ্ন ২:০০
১৫:০০ অপরাহ্ন ৩:০০
১৬:০০ অপরাহ্ন ৪:০০
১৭:০০ অপরাহ্ন ৫:০০
১৮:০০ অপরাহ্ন ৬:০০
১৯:০০ অপরাহ্ন ৭:০০
২০:০০ অপরাহ্ন ৮:০০
২১:০০ অপরাহ্ন ৯:০০
২২:০০ অপরাহ্ন ১০:০০
২৩:০০ অপরাহ্ন ১১:০০
২৪:০০ সমান
পরের দিন ০০:০০
মধ্যরাত্রি ১২:০০[ক]
(দিনের শেষ)
বিশ্বের মানচিত্র যেখানে বিভিন্ন দেশে ১২ ও ২৪-ঘণ্টার ঘড়ির ব্যবহারকে দেখানো হয়েছে।
  কেবল ২৪-ঘণ্টার
  ২৪-ঘণ্টার (মৌখিকভাবে ১২-ঘণ্টার)
  উভয়ই প্রচলিত
  কেবল ১২-ঘণ্টার

২৪-ঘণ্টার উপস্থাপনায় দিনের কোনো সময়কে ঘঘ:মিমি (যেমন ০১:২৩) কিংবা ঘঘ:মিমি:সেসে (যেমন ০১:২৩:৪৫) আকারে লেখা হয়, যেখানে ঘঘ (০০ থেকে ২৩) হলো মধ্যরাত্রি থেকে কেটে যাওয়া সম্পূর্ণ ঘণ্টার সংখ্যা, মিমি (০০ থেকে ৫৯) হলো শেষ সম্পূর্ণ ঘণ্টা থেকে কেটে যাওয়া মিনিটের সংখ্যা, এবং সেসে (০০ থেকে ৫৯) হলো শেষ সম্পূর্ণ মিনিট থেকে কেটে যাওয়া সেকেন্ডের সংখ্যা। লিপ সেকেন্ডের ক্ষেত্রে সেসে-র মান ৬০ পর্যন্ত হতে পারে। ১০-এর নিচে সংখ্যার জন্য আগে শূন্য যোগ করা হয়, কিন্তু এটি ঘণ্টার ক্ষেত্রে ঐচ্ছিক। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে সাধারণভাবেই ১০-এর নিচে সংখ্যার জন্য আগে শূন্য যোগ করা হয়।

যেখানে উপসেকেন্ডের প্রয়োজন, সেখানে সেকেন্ড দশমিক ভগ্নাংশ হতে পারে; অর্থাৎ, ভগ্নাংশ অংশটি একটি দশমিক বিন্দু বা কমা দিয়ে শুরু হয়, যেমন ০১:২৩:৪৫.৬৭৮। ঘণ্টা, মিনিট ও সেকেন্ডের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বিভাজক চিহ্ন হলো কোলন, যা আইএসও ৮৬০১ পদ্ধতিতেও প্রচলিত। আগে কিছু ইউরোপীয় দেশে বিভাজক হিসেবে পূর্ণ বিরাম চিহ্ন করা হতো, কিন্তু সময় উপস্থাপনার বেশিরভাগ জাতীয় আদর্শ পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিক আদর্শ কোলন ব্যবহার করতে লাগল। কিছুক্ষেত্রে (যেমন কিছু কম্পিউটার প্রটোকলে) কোনো বিভাজক ব্যবহৃত হয় না এবং সময়কে ঘঘমিমি আকারে লেখা হয়, যেমন: ২৩৫৯।

টীকা[সম্পাদনা]

  1. বিশ্বজুড়ে প্রচলিত সময় উপস্থাপনা পদ্ধতির জন্য কমন লোকেল ডেটা রিপোজিটরি, প্রধান কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমের লোকেল সেটিংস, এবং দেশ অনুযায়ী তারিখ ও সময় উপস্থাপনা নিবন্ধটি দেখুন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "12. Numerals"। Style Manual (পিডিএফ)United States Government Publishing Office। ২০১৬। পৃষ্ঠা 275। আইএসবিএন 978-0-16-093601-2। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-২৬ 
  2. টেমপ্লেট:Cite ISO standard
  3. Pickar, Gloria D.; Graham, Hope; Swart, Beth; Swedish, Margaret (২০১১)। Dosage calculations (2nd Canadian সংস্করণ)। Toronto: Nelson Education। পৃষ্ঠা 60আইএসবিএন 9780176502591 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]