২০১৬-এর পাঞ্জাব মিষ্টি বিষক্রিয়া

২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিষ মেশানো লাড্ডু খাওয়ার পর পাকিস্তানের পাঞ্জাবের লেয়াহ জেলায় পাঁচজন শিশুসহ অন্তত ৩৩ জন মারা যায়।^[১] মিষ্টান্নগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেগুলো অত্যন্ত বিষাক্ত কীটনাশক ক্লোরফেনাপির দিয়ে মিশ্রিত ছিল। খালিদ মাহমুদ নামে এক মিষ্টির দোকানের মালিক তার ভাই ও সহ-প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে তর্কের পর মিষ্টিতে কীটনাশক মেশানোর কথা স্বীকার করেন।^[২]

কারণ[সম্পাদনা]

বেকারিটি একটি কীটনাশকের দোকানের কাছাকাছি ছিল। বেকারির সংস্কার করা হচ্ছিল এবং মালিক বেকারিতে তার পণ্যগুলো নিরাপদ রাখার জন্য রাখে।^[৩] মাহমুদ হয়তো মিষ্টির মিশ্রণে একটি ছোট প্যাকেট ব্যবহার করে।^[৪]

১৭ এপ্রিল, একজন লোক তার নবজাতকের অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য ৫ কেজি লাড্ডু কিনে। কমপক্ষে ৫০ জন মিষ্টি খায় এবং তাদের মধ্যে ১০ জন একই দিনে মারা যায়।^[৩] ২৫ এপ্রিল, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ এ দাঁড়ায় যেখানে ৫২ জন এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।^[৪] ১ মে, হাসপাতালে আরও ১৩ জনসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ এ দাঁড়ায়।^[৫]^[৩] একটি শিশু তার বাবা, ছয় চাচা এবং এক খালাকে হারায়।

ফলাফল[সম্পাদনা]

প্রাথমিকভাবে দুই দোকান মালিক ও এক শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়।^[৩] দুই সপ্তাহ পর পুলিশ ঘোষণা করে যে, মাহমুদ সব স্বীকার করেছে।

প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলেন, ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে। তিনি দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।^[৬]

২ মে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ লেয়াহ পরিদর্শন করেন এবং প্রাণহানির জন্য সমবেদনা ও দুঃখ প্রকাশ করেন।^[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

↑ "Pakistan poisoned sweets death toll climbs to 33"। ২০১৬-০৫-০১। ২০২১-০৫-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫।
↑ "Sweet shop owner admits killing 30 people with poison-laced sweets"। The Independent। ৬ মে ২০১৬। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২০।
↑ ^ক ^খ ^গ ^ঘ Agence France-Presse (২০১৬-০৫-০১)। "Mass Food Poisoning Kills 33 Including 5 Children In Pakistan's Multan"। NDTV.com। ২০১৯-০৯-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫।
↑ ^ক ^খ "Poisoned sweets kill 23 people in Pakistan"। ABC News। ২০১৬-০৪-২৫। ২০২০-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫।
↑ Liza van Lonkhuyzen (২০১৬-০৫-০১)। "Minstens 33 doden in Pakistan door gif in snoepgoed"। nrc.nl। ২০১৬-০৫-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫।
↑ ^ক ^খ "Toxic sweets case: CM Punjab visits Layyah, expresses grief over deaths - Pakistan - Dunya News"। dunyanews.tv। ২০২০-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫।

[1] "Pakistan poisoned sweets death toll climbs to 33"। ২০১৬-০৫-০১। ২০২১-০৫-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫।

[2] "Sweet shop owner admits killing 30 people with poison-laced sweets"। The Independent। ৬ মে ২০১৬। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-২০।

[agencefrance-presse-3] ক ^খ ^গ ^ঘ Agence France-Presse (২০১৬-০৫-০১)। "Mass Food Poisoning Kills 33 Including 5 Children In Pakistan's Multan"। NDTV.com। ২০১৯-০৯-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫।

[abc.net.au-4] ক ^খ "Poisoned sweets kill 23 people in Pakistan"। ABC News। ২০১৬-০৪-২৫। ২০২০-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫।

[5] Liza van Lonkhuyzen (২০১৬-০৫-০১)। "Minstens 33 doden in Pakistan door gif in snoepgoed"। nrc.nl। ২০১৬-০৫-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫।

[dunyanews.tv-6] ক ^খ "Toxic sweets case: CM Punjab visits Layyah, expresses grief over deaths - Pakistan - Dunya News"। dunyanews.tv। ২০২০-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-১৫।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]