১৯৯১ কেন্দুয়ার হিংসাত্মক ঘটনা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

১৯৯১ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (সিপিআইএম) আশ্রিত একদল দুষ্কৃতি হাওড়া জেলার কেন্দুয়া গ্রামে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা গোপাল পাত্রকে আক্রমণ করে তাঁর কব্জি ও পা কেটে নেয়। উক্ত দুষ্কৃতিরা দুই মহিলার স্তনও কেটে নিয়েছিল।[১] পরে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার জন্য সাত গ্রামবাসীর কব্জিও কেটে নেয় ওই দুষ্কৃতিরা। আমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়।[২]

আক্রান্তেরা অভিযোগ করেছিলেন, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে সমর্থন করার জন্যই তাঁদের কব্জি কেটে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস তাঁদের অবহেলা করেছে।[৩] আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছিল, আক্রমণকারীরা তরোয়াল, লাঠি ও বর্শা নিয়ে হামলা চালায়। এফআইআর-এ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। জানা যায়, অভিযুক্তেরা তরোয়াল দিয়েই গোপাল পাত্রকে হত্যা করে এবং তারপর গ্রামের ১০০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।[৪]

২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময় শাসকদল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সিপিআইএম ও জাতীয় কংগ্রেস রাজনৈতিক জোট গঠনের পর সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছিলেন যে, কেন্দুয়ায় কংগ্রেস নেতা গোপাল পাত্রের কব্জি কেটে নেওয়াটা ঠিক হয়নি।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]