বিষয়বস্তুতে চলুন

১৯২৯ লা লিগা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লা লিগা
মৌসুম১৯২৯
চ্যাম্পিয়নবার্সেলোনা (১ম শিরোপা)
মোট খেলা৯০
মোট গোলসংখ্যা৩৮৩ (ম্যাচ প্রতি ৪.২৬টি)
শীর্ষ গোলদাতাস্পেন পাকো বিয়েন্সাবাস
(১৭টি গোল)
সবচেয়ে বড় হোম জয়অ্যাথলেটিক বিলবাও ৯–০ এউরোপা
দীর্ঘতম টানা জয়৬ ম্যাচ
আরেনাস
বার্সেলোনা
দীর্ঘতম টানা অপরাজিত১১ ম্যাচ
বার্সেলোনা
দীর্ঘতম টানা জয়বিহীন৭ ম্যাচ
রেসিং সান্তান্দের
দীর্ঘতম টানা পরাজয়৭ ম্যাচ
রেসিং সান্তান্দের

১৯২৯ লা লিগা (এছাড়াও ১৯২৯ প্রিমেরা দিভিসিওন নামে পরিচিত) স্পেনের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর লা লিগার উদ্বোধনী মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯২৯ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি তারিখে শুরু হয়ে ২৩শে জুন তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[] আতলেতিকো মাদ্রিদের স্পেনীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ভিসেন্তে পালাসিওস গোন্সালেস এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[]

এই মৌসুমে ২৫ পয়েন্ট অর্জন করে বার্সেলোনা প্রথম ক্লাব হিসেবে লা লিগার শিরোপা জয়লাভ করেছিল।[] রিয়াল সোসিয়েদাদের স্পেনীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় পাকো বিয়েন্সাবাস ১৭ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।[]

প্রতিযোগিতার ধরন

[সম্পাদনা]

প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে হেড-টু-হেড ফলাফলের ভিত্তিতে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি সেহুন্দা দিভিসিওনের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে লা লিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।

১৯২৮ সালে জাতীয় লিগ তৈরির ব্যর্থতার পর, দলগুলো দুটি অসম্পূর্ণ লিগে বিভক্ত হয়ে যায়; অবশেষে সকল ক্লাব একত্রে রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সাথে একত্রিত এই লিগ তৈরিতে সম্মতি প্রকাশ করে। পরবর্তীকালে নিশ্চিত করা হয় যে, প্রথম স্তরের লিগে স্পেনীয় চ্যাম্পিয়নশিপ (আরেনাস, অ্যাথলেটিক বিলবাও, বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, রিয়াল সোসিয়েদাদ এবং রেয়াল ইউনিয়ন) এবং কমপক্ষে একটি ফাইনালে অংশগ্রহণকারী তিনটি ক্লাব (আতলেতিকো মাদ্রিদ, এস্পানিওল এবং এউরোপা) যোগদান করবে।

বাকি ১টি ক্লাব বাছাইপর্বের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল; যেখানে বিজয়ী ক্লাব রেসিং সান্তান্দের লা লিগায় যোগদান করেছিল এবং অংশগ্রহণকারী বাকি ক্লাবগুলো রেসিং মাদ্রিদের সাথে সেহুন্দা দিভিসিওনে অংশগ্রহণ করেছিল। এই মৌসুমে ১০টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।[]

১৯২৯ লা লিগায় অংশগ্রহণকারী ক্লাবের অবস্থান
বার্সেলোনার ক্লাব: বার্সেলোনা, এস্পানিওল, এউরোপা
মাদ্রিদের ক্লাব: আতলেতিকো মাদ্রিদ, রিয়াল মাদ্রিদ
ক্লাব শহর স্টেডিয়াম
আরেনাস গেশো ইবাইওন্দো
অ্যাথলেটিক বিলবাও বিলবাও সান মামেস স্টেডিয়াম
আতলেতিকো মাদ্রিদ মাদ্রিদ মেত্রোপোলিতানো
বার্সেলোনা বার্সেলোনা লেস কোর্তস
এস্পানিওল বার্সেলোনা সারিয়া স্টেডিয়াম
এউরোপা বার্সেলোনা এল গিনার্দো
রেসিং সান্তান্দের সান্তান্দের এল সার্দিনেরো
রিয়াল মাদ্রিদ মাদ্রিদ এস্তাদিও চামার্তিন
রিয়াল সোসিয়েদাদ সান সেবাস্তিয়ান আতোচা স্টেডিয়াম
রেয়াল ইউনিয়ন ইরুন গাল স্টেডিয়াম

পয়েন্ট টেবিল

[সম্পাদনা]
অব দল ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো গোপা পয়েন্ট যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন
বার্সেলোনা (C) ১৮ ১১ ৩৭ ২৩ +১৪ ২৫
রিয়াল মাদ্রিদ ১৮ ১১ ৪০ ২৭ +১৩ ২৩
অ্যাথলেটিক বিলবাও ১৮ ৪৭ ৩৪ +১৩ ২০
রিয়াল সোসিয়েদাদ ১৮ ৪৬ ৪১ +৫ ২০
আরেনাস ১৮ ৩৩ ৪৩ −১০ ১৯
আতলেতিকো মাদ্রিদ ১৮ ৪৩ ৪১ +২ ১৮
এস্পানিওল ১৮ ৩২ ৩৮ −৬ ১৮
এউরোপা ১৮ ৪৫ ৪৯ −৪ ১৬
রেয়াল ইউনিয়ন ১৮ ১১ ৪০ ৪২ −২ ১২
১০ রেসিং সান্তান্দের (O) ১৮ ১২ ২৫ ৫০ −২৫ অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ
উৎস: বিডিফুটবল
শ্রেণীবিভাগের নিয়মাবলী: ১) পয়েন্ট; ২) হেড-টু-হেড পয়েন্ট; ৩) হেড-টু-হেড গোল পার্থক্য; ৪) গোল পার্থক্য; ৫) স্বপক্ষে গোল।
(C) চ্যাম্পিয়ন; (O) প্লে-অফ বিজয়ী।

ফলাফল

[সম্পাদনা]
স্বাগতিক \ সফরকারী ARE ATH ATM BAR ESP EUR RAC RMA RSO RUN
আরেনাস ১–০ ২–৩ ০–২ ৩–০ ২–২ ২–১ ৩–২ ৩–০ ১–১
অ্যাথলেটিক বিলবাও ২–৩ ৩–৩ ৫–১ ৯–০ ২–০ ০–০ ২–০ ৪–২ ২–১
আতলেতিকো মাদ্রিদ ১–২ ২–৩ ৪–১ ৭–১ ৫–৪ ৪–০ ০–৩ ০–৩ ৩–১
বার্সেলোনা ২–২ ৩–০ ৪–০ ১–০ ৫–২ ৫–১ ১–২ ১–০ ৪–১
এস্পানিওল ১–২ ৪–১ ৩–২ ১–১ ৩–১ ৩–০ ৪–০ ১–১ ৩–২
এউরোপা ৫–২ ১–১ ৪–১ ১–১ ০–৩ ৪–১ ৫–২ ৪–৩ ৩–৩
রেসিং সান্তান্দের ৫–১ ০–৪ ১–২ ০–২ ১–১ ৩–২ ১–৩ ৬–১ ১–৩
রিয়াল মাদ্রিদ ২–০ ৫–১ ২–১ ০–১ ২–০ ৫–০ ২–২ ২–১ ২–০
রিয়াল সোসিয়েদাদ ৩–২ ১–১ ৩–৩ ৩–০ ১–১ ৫–৪ ৮–১ ৫–৪ ৩–২
রেয়াল ইউনিয়ন ৭–১ ৬–৩ ১–২ ১–২ ৪–৩ ২–৩ ৩–১ ০–২ ২–৩
উৎস: বিডিফুটবল
রং: নীল = স্বাগতিক দল বিজয়ী; হলুদ = ড্র; লাল = সফরকারী দল বিজয়ী।

শীর্ষ গোলদাতা

[সম্পাদনা]
অবস্থান খেলোয়াড় ক্লাব গোল
স্পেন পাকো বিয়েন্সাবাস রিয়াল সোসিয়েদাদ ১৭
স্পেন কোসমে ভাসকেস আতলেতিকো মাদ্রিদ ১৫
স্পেন লুইস মারিন আতলেতিকো মাদ্রিদ ১২
স্পেন লাফুয়েন্তে অ্যাথলেটিক বিলবাও
স্পেন মানুয়েল পারেরা বার্সেলোনা ১১
স্পেন মানুয়েল ক্রোস এউরোপা
স্পেন হোসে মারিয়া ইয়েরমো আরেনাস
স্পেন লুইস রেগেইরো রেয়াল ইউনিয়ন
স্পেন সান্তিয়াগো উরতিসবেরেয়া রেয়াল ইউনিয়ন
১০ স্পেন হাইমে লাস্কানো রিয়াল মাদ্রিদ

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Primera División 1928/1929 - Schedule" [প্রিমেরা দিভিসিওন ১৯২৮/১৯২৯ - সময়সূচী]। worldfootball.net (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়ার্ল্ডফুটবল। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২২ 
  2. "Arenas de Getxo - Atlético Madrid 2:3 (Primera División 1928/1929, 1. Round)"worldfootball.net। ১১ মার্চ ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০২২ 
  3. "Primera División 1928/1929 - 38. Round" [প্রিমেরা দিভিসিওন ১৯২৮/১৯২৯ - ৩৮. পর্ব]। worldfootball.net (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়ার্ল্ডফুটবল। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২২ 
  4. "Primera División 1928/1929 - Top Scorer" [প্রিমেরা দিভিসিওন ১৯২৮/১৯২৯ - শীর্ষ গোলদাতা]। worldfootball.net (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়ার্ল্ডফুটবল। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২২ 
  5. "Primera División 1928/1929 - Teams" [প্রিমেরা দিভিসিওন ১৯২৮/১৯২৯ - দল]। worldfootball.net (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়ার্ল্ডফুটবল। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২২ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]