১৯০৬ সালে বালিতে ওলন্দাজ হস্তক্ষেপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯০৬ সালে বালিতে ওলন্দাজ হস্তক্ষেপ
১৯০৬ সালে বালির সানুরে ওলন্দাজ বাহিনীর অবতরণ
সানুরে ওলন্দাজদের অশ্বারোহী সৈন্য
তারিখসেপ্টেম্বর–অক্টোবর ১৯০৬
অবস্থান
ফলাফল দক্ষিণ বালিতে ওলন্দাজ বিজয়
বিবাদমান পক্ষ
 নেদারল্যান্ডস বাদুং
তাবানান
ক্লুংকুং
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
নেদারল্যান্ডস মেজর জেনারেল রস্ট ভ্যান টনিনজেন
শক্তি
৩ পদাতিক ব্যাটালিয়ন
১ ডিটাচমেন্ট অশ্ববাহিনী
২ ব্যাটারি কামানতোপ
বায়ুবাহিনী[১]
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
অন্তত ১ হাজারের ওপর মৃত
দেনপাসারে পুপুতান হওয়া মৃতদেহের স্তূপ। বাম দিকে দাঁড়িয়ে থাকা ওলন্দাজ সৈন্য

১৯০৬ সালে বালিতে ওলন্দাজ হস্তক্ষেপ ছিল ওলন্দাজ ঔপনিবেশিক দমনের অংশ হিসেবে বালিতে একটি ওলন্দাজদের সামরিক হস্তক্ষেপ। এর ফলে হাজার জনেরও বেশি লোককে হত্যা করা করেছিল, যাদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক। এটি নেদারল্যান্ডের ঔপনিবেশিক ইস্ট-ইন্ডিজের বেশিরভাগ বিদ্রোহ দমনের জন্য সামরিক অভিযানের অংশ ছিল। অভিযানটির দ্বারা বাদুং-এর বালীয় শাসক এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করেছিল, সেইসাথে বাদুংতাবানানের দক্ষিণের বালীয় রাজ্যগুলিকে ধ্বংস এবং ক্লুংকুং রাজ্যকে সামরিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছিল। এটি ছিল বালিতে ষষ্ঠ ডাচ সামরিক হস্তক্ষেপ।[২]

প্রসঙ্গ[সম্পাদনা]

নেদারল্যান্ডস ইতিমধ্যেই ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি উত্তর বালি জয় করেছিল। জেমব্রানা, বুলেলেং এবং কারাঙ্গাসেম রাজ্যগুলিকে ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিজের সাথে ঔপনিবেশিক যুক্তিকরণ করা হলেও দক্ষিণের রাজ্য তাবানান, বাদুং এবং ক্লুংকুং স্বতন্ত্রতা বজায় রাখতে পেরেছিল। এসময়ে ওলন্দাজ বাহিনী এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে বিভিন্ন বিরোধ সংঘটিত হলে এটি প্রত্যাশিত ছিল যে ওলন্দাজরা একটি অজুহাত উপস্থাপন করে এই রাজ্যগুলিতে সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করবে।[৩]

ওলন্দাজরা গিয়ানিয়ারে সুপরিকল্পিতভাবে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠন করে কর ব্যবস্থা আরোপ ও তা নিয়ন্ত্রণে বেশ সফল হয়, এই ঘটনাই ১৯০৬ সালে ওলন্দাজ হস্তক্ষেপের পথ সুগম করে। ঔপনিবেশিক এলাকায় সেতু, রাস্তা, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটতে থাকে এবং বিচার ব্যবস্থা সুদৃঢ় করা হয়। এই উন্নয়নে ও বন্দোবস্তের কারণে পার্শ্ববর্তী স্থানীয় রাজ্যগুলি থেকে প্রচুর লোক দাসত্ব, অনাচার ও প্রজাপীড়ন থেকে মুক্তি পেতে উদ্বাস্তু হয়ে এইসমস্ত এলাকায় আসতে শুরু করে।[৪] এই সমস্ত সাফল্যের ফলস্বরূপ এবং পবিত্র পুরী ক্লুংকুং থেকে অতি নিকটে ওলন্দাজদের উপস্থিতি থাকার দরুন ঐ রাজ্যের দেব আগুং ওলন্দাজদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা শুরু করেন। এই হয়রানির চরমতম হয়ে ওঠে যখন সানুর সমুদ্রসৈকতের নিকট ওলন্দাজদের জাহাজ ডুবি এবং তাতে রাজ্যের উর্ধ্বতন নেতাদের পরিকল্পনামাফিক লুঠপাটকে দেব আগুং-এর পূর্ণ সমর্থন।[৪]

বালির আশেপাশের প্রাচীরগুলি থেকে স্থাপিত জাহাজ লুণ্ঠনের অধিকার নিয়ে ডাচ এবং বালীয় রাজাদের মধ্যে বারবার বিরোধ দেখা দিচ্ছিল। তাওয়ান কারাং নামক বালীয় ঐতিহ্য অনুসারে বালীয় রাজারা ঐতিহ্যগতভাবে এই ধরনের ধ্বংসাবশেষকে তাদের সম্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করতেন। ওলন্দাজরা এর বিপরীতে দাবি করে যে তারা তা করতে পারেন না। ১৯০৪ সালের ২৭শে মে শ্রী কুমলা নামে একজন চীনা স্কুনার সানুরের কাছে প্রাচীরে আঘাত করে এবং বালীয়দের দ্বারা লুণ্ঠিত হয়। ওলন্দাজদের কাছে ক্ষতিপূরণের অনুরোধের পর, বাদুং-এর রাজারা তাবানানের রাজা, ক্লুংকুং-এর রাজা এবং দেবা আগুং এই সকলের সমর্থনে তারি কিছু দিতে অস্বীকার করেন।[২][৪] ১৯০৪ সালে ওলন্দাজ শাসকদের বিপক্ষে গিয়ে তাবানানের রাজা সতীদাহ প্রথাকে সমর্থন করলে ওলন্দাজরা দক্ষিণ বালির এই ছোট রাজ্যগুলির ওপর বেশ অসন্তোষ প্রকাশ করেন।[২]

১৯০৬ সালের জুন মাসে ওলন্দাজরা দক্ষিণ উপকূল অবরোধ শুরু করে এবং একাধিক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আরোপ শুরু করে।[২]


হস্তক্ষেপ[সম্পাদনা]

১৯০৬ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর সিক্সথ মিলিটারি এক্সপেডিশন (ষষ্ঠ সামরিক অভিযান) নামে রয়্যাল নেদারল্যান্ডস ইস্ট ইন্ডিজ সেনাবাহিনীর একটি বড় বাহিনী সানুর সমুদ্রসৈকতের উত্তর অংশে অবতরণ করে। এটি ছিল মেজর জেনারেল এম.বি. রস্ট ভ্যান টোনিনজেনের সেনাপতিত্বে।[২][৫] ১৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে বাদুং-এর সৈন্যদল ওলন্দাজদের কিছু বিভুয়াকে আক্রমণ করে এম্বং ইন্তারান গ্রামে ওলন্দাজদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। [৬]

কেসিমান[সম্পাদনা]

সামগ্রিকভাবে বাহিনীটি খুব বেশি প্রতিরোধ ছাড়াই রাজ্যের অভ্যন্তরে ঢুকে যেতে সক্ষম হয় এবং ১৯০৬ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর কেসিমান শহরে পৌঁছায়। সেখানে স্থানীয় রাজা, বাদুং-এর রাজার একজন সামন্ত ওলন্দাজদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিতে অস্বীকার করলে তার নিজের পুরোহিতের হাতেই নিহত হন। প্রশাসনিক অদক্ষতার ফলস্বরূপ প্রাসাদটি অগ্নিদগ্ধ হয় এবং শহরটি জনশূন্য হয়ে যায়।[২]

দেনপাসার[সম্পাদনা]

পোশাক পরিহিত সৈন্যরা জোরপূর্বক বালির দেনপাসারে অভিযান চালায়।[২] রাজপ্রাসাদ থেকে আগুনে ধোঁয়া ও তীব্র বাদ্যের শব্দ আসতে দেখে তারা সেখানে গিয়ে পৌঁছান।

তাদের প্রাসাদে পৌঁছানোর পর একটি নীরব মিছিল বের হয়, যার নেতৃত্বে রাজাকে একটি পালকিতে চারজন বহনকারী বহন করে নিয়ে যান। রাজা ঐতিহ্যবাহী সাদা শ্মশানের পোশাক পরেছিলেন, সাথে ছিল সুদর্শন গয়না এবং একটি আনুষ্ঠানিক কিরিচ। মিছিলের অন্যান্য লোকেরা ছিল রাজার কর্মকর্তা, রক্ষী, পুরোহিত, স্ত্রী, শিশু এবং রক্ষক, যাদের সবাই একই রকম পোশাক পরিধান করেছিল।[২] আচারানুসারে কিরিচ মাথায় ঠেকিয়ে সাদা পোশাক পড়ে তারা মৃত্যুবরণ করেন।[৭]

রাজার কাপড়ে মোড়ানো দেহ

মিছিলটি ওলন্দাজ বাহিনীর কাছ থেকে একশত একক দূরে এসে তারা থামল এবং রাজা পালকি থেকে নামলেন এবং একজন পুরোহিতকে ইঙ্গিত করলেন, যিনি নির্দেশানুসারে রাজার বুকে তার খঞ্জর নিক্ষেপ করলেন। মিছিলের বাকি অংশ পুপুতান নামে পরিচিত একটি গণ-আত্মহত্যা আচারে নিজেদের এবং অন্যদের হত্যা করতে শুরু করে।[২] মহিলারা উপহাস করে সৈন্যদের দিকে গয়না ও স্বর্ণমুদ্রা ছুড়ে মারেন।[২]

এলোপাথাড়ি গুলি ও বর্শা বল্লম দিয়ে আক্রমণ হতে থাকলে ওলন্দাজ সেনা বাহিনীও কামান দেগে প্রতি আক্রমণ করা শুরু করে। রাজপ্রাসাদ থেকে যত মানুষ বের হতে থাকেন, বাইরে মৃতের পাহাড় তত বড় হতে থাকে।[২] মোটামুটি হাজার জনের মৃত্যু মিছিল চলে[৭] কারও কারও মতে হাজার জনেরও বেশি। ওলন্দাজদের গুলিতে সকলেই নিহত হন।[৮]

বিকল্প বিবরণগুলি বর্ণনা করে যে ওলন্দাজরা প্রথমে প্রাসাদের গেটের বাইরে চলে আসা বালীয় লোকদের উপর গুলি চালায়, তারা শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী কিরিচ, বর্শা এবং ঢাল সজ্জিত ছিলেন। ভেতরে বাকি ব্যক্তিরা যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখে আত্মহত্যা করেছিল ও তাদের অনুগামীরাও তাদের নির্দেশ অনুসারে নিজেদেরকে 'পুপুতান' করেছিল।[৮]

সৈন্যরা মৃতদেহ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং পুড়ে যাওয়া প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষে ভাংচুর করে। দেনপাসারের প্রাসাদ মাটিতে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।[৮]

ঐদিন বিকেলে পেমেকুটানের নিকটবর্তী প্রাসাদে অনুরূপ ঘটনা ঘটে, যেখানে সহ-শাসক গুস্তি গেদে নাগুরাহ বাস করতেন। ওলন্দাজরা পেমেকুটানের অভিজাতদের পুপুতান বা আত্মহত্যা করতে ছেড়ে দেয় এবং লুটপাট চালিয়ে যায়।

বালির দেনপাসারের তামান পুপুতানে অবস্থিত ১৯০৬ সালের ঐতিহাসিক পুপুতানের স্মৃতিসৌধ

এই গণহত্যাকে স্থানীয়ভাবে "বাদুং পুপুতান" হিসাবে স্মরণ করা হয় এবং বিদেশী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের গৌরবময় উদাহরণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। দেনপাসারের কেন্দ্রীয় চত্বরে যেখানে পুরাতন রাজপ্রাসাদটি ছিল, সেখানে একটি বিশাল ব্রোঞ্জের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়, যা পুপুতানের মাধ্যমে বালির সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধকে মহিমান্বিত করে।

তাবানান[সম্পাদনা]

ওলন্দাজ বাহিনী তাবানান রাজ্যের দিকে অগ্রসর হতে থাকে যেখানে রাজা গুস্তি নাগুরাহ আগুং এবং তার ছেলে পালিয়ে যায়। পরে তারা ওলন্দাজদের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং তাদের সাম্রাজ্যের অংশীভূত হয়ে রিজেন্সি হিসাবে রয়ে যাওয়ার জন্য মীমাংসা করার চেষ্টা করে।

এর বিপরীতে ওলন্দাজরা তাদের নিকটবর্তী মাদুরা বা লম্বক দ্বীপে নির্বাসনের প্রস্তাব দেয়। দুই দিন পরে তারা কারাগারে নিজেদের পুপুতান করাকে বেছে নেন।[৭][৯] ওলন্দাজরা তাদের প্রাসাদ লুণ্ঠন ও ধ্বংস করে।[১০]

ক্লুংকুং[সম্পাদনা]

ওলন্দাজদের সাথে বোঝাপড়া করতে গিয়ানিয়ারে আসা সমগ্র বালির নামমাত্র রাজা ক্লুংকুং-এর দেবা আগুং

ওলন্দাজেরা ক্লুংকুং-এ সৈন্য স্থানান্তরিত করে এবং বালির নামমাত্র শাসক রাজা দেবা আগুং-এর উপর আক্রমণের কথা বিবেচনা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকেন কারণ দেবা আগুং তাদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকে এবং তার দুর্গ ধ্বংস করার জন্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়, একইসাথে আগ্নেয়াস্ত্র এবং আমদানি ও রপ্তানি কর পরিত্যাগ করেন।[১০]

পরবর্তীকালে ১৯০৮ সালে ওলন্দাজরা বালিতে পুনরায় সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু করলে সমগ্র বালিদ্বীপে স্থানীয় শাসনের অবসান হয়।

পরিণাম[সম্পাদনা]

১৯০৬ সাল এবং তার পর পরই ১৯০৮ সালে ওলন্দাজরা বালিদ্বীপে অভিযান চালিয়ে সমগ্র দ্বীপের ওপর নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে সক্ষম হয়।

ওলন্দাজদের আক্রমণ অবশ্য মিডিয়া বেশ গুরুত্ব নিয়ে সুচারুভাবে কভারেজ করে এবং বালি দ্বীপের দক্ষিণ অংশের রক্তাক্ত বিজয়ের খবর পশ্চিমা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অপরাধ এবং শাস্তিমূলক কর্মের কঠোরতার মধ্যে অসামঞ্জস্য আলাদা করে নির্দেশ করা হয়। এর ফলে নেদারল্যান্ডসের পূর্ব থেকে হওয়া কল্যাণকর এবং দায়িত্বশীল ঔপনিবেশিক শক্তির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে।[১১]

জাভা, সুমাত্রা এবং তার পূর্বের দ্বীপগুলিতে নেদারল্যান্ডসএর নীতির জন্যও সমালোচনার মুখে পড়ে তারা তা সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং একটি নির্দিষ্ট "নৈতিক নীতি" প্রতিষ্ঠার কথা বলে।[১২] ফলস্বরূপ, বালিতে ওলন্দাজরা বালীয় সংস্কৃতির অধ্যয়ন করতে শুরু করে এবং এর রক্ষক হয়ে ওঠে। তারা প্রাথমিক স্তরের আধুনিকীকরণের ভূমিকা ছাড়াও এটিকে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে।[১২] বালি সংস্কৃতি সংরক্ষণ এবং এটিকে শাস্ত্রীয় সংস্কৃতির একটি "জীবন্ত যাদুঘর" করার প্রচেষ্টা করা হয়[৭] ও ১৯১৪ সালে বালিতে পর্যটন উন্মুক্ত করা হয়।[১৩] ১৯০৬ এবং ১৯০৮ সালের বাহিনীর সামরিক আগ্রাসনের কঠোরতা এমনভাবে আন্তর্জাতিক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল যে ওলন্দাজরা চাপের মুখে বালির সংস্কৃতি সংরক্ষণে যথেষ্ট অবদানে রাখতে শুরু করে। দ্বীপটি আজ অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

কথা প্রসঙ্গে[সম্পাদনা]

ভিকি বাউমের ১৯৩৭ সালের ঐতিহাসিক উপন্যাস লাভ অ্যান্ড ডেথ ইন বালি (লিবে আন্ড টড আউফ বালি) ১৯০৬ সালের ঘটনাগুলির সাথে জড়িত একটি পরিবারের বর্ণনা করে৷ বইটি ১৯৩৫ সালে বাউমের বালি ভ্রমণের উপরে লেখা হয়েছিল, যখন তিনি ওয়াল্টার স্পাইসের সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন জার্মান চিত্রশিল্পী যিনি বহু বছর ধরে ওই দ্বীপে বসবাস করেছিলেন এবং তাকে নিজের স্মৃতি থেকে এই ঘটনা বিষয়ে অনেক তথ্য দিয়েছিলেন।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Hanna, p.140
  2. Hanna, pp.140–141
  3. Hanna, pp.139–140
  4. Hannah, Willard A. (২০১৬)। A brief history of Bali: piracy, slavery, opium and guns: the story of an island paradise (Second সংস্করণ)। Rutland, Vermont: Tuttle। আইএসবিএন 978-1-4629-1875-1ওসিএলসি 960638749 
  5. Pieter ter Keurs (২০০৭)। Colonial collections revisited। CNWS Publication। পৃষ্ঠা 146। আইএসবিএন 90-5789-152-2 
  6. Notice at the Bali Museum
  7. Barski, p.49
  8. Haer, p.38
  9. Hanna, pp.143–144
  10. Hanna, p.144
  11. Michael Hitchcock; Nyoman Darma Putra (২০০৭)। Tourism, development and terrorism in Bali। পৃষ্ঠা 14। আইএসবিএন 0-7546-4866-4 
  12. Hanna, p.171
  13. Barski, p.50