হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ
লেখক | আব্দুল্লাহ আল ফারুক (সম্পাদক) সাদিকা সুলতানা সাকী (সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী) |
---|---|
কাজের শিরোনাম | হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ: সাবেক অভিনেত্রী নাজনিন আক্তার হ্যাপির দ্বীনের পথে উঠে আসার অশ্রুভেজা ঈমানদীপ্ত সাক্ষাৎকার |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | সাক্ষাৎকার, ইসলামিক |
পটভূমি | হ্যাপির চলচিত্র ছেড়ে ইসলামি জীবনে প্রবেশ |
প্রকাশিত | ২০১৭ |
প্রকাশক | মাকতাবাতুল আজহার |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রিত গ্রন্থ (শক্তমলাট) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৯৬ |
আইএসবিএন | ৪৩৫৯৬৮১৯৮৯০৮২ {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: অবৈধ উপসর্গ |
হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ সাদিকা সুলতানা সাকী কর্তৃক সাক্ষাৎকার নেওয়া তথ্য থেকে আব্দুল্লাহ আল ফারুক সম্পাদিত একটি আলোচিত সাক্ষাৎকারধর্মী বই।[১] এই বইটিতে প্রাক্তন মডেল নাজনীন আক্তার হ্যাপি কীভাবে অভিনয় জীবন ত্যাগ করে একজন প্রায়োগিগ মুসলিম হয়ে উঠলেন, সেটি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[২] বইটি বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, এমনকি ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম এএফপি বইটি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।[৩][৪] বইটি ২০১৭ সালে মাকতাবাতুল আজহার নামক প্রকাশনা থেকে সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছে।[৫]
বিষয়বস্তু
[সম্পাদনা]নাজনীন আক্তার হ্যাপি বাংলাদেশি একজন মডেল ও অভিনেত্রী, তবে হ্যাপি ২০১৪ সালের শেষের দিকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের টানা-পোড়নের বিষয় নিয়ে আলোচনায় আসে।[৬] সেই সময় হ্যাপি রুবেলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। তবে এই ঘটনার পরেই তিনি মডেল ও অভিনয় জীবন ছেড়ে দিয়ে ইসলামের প্রতি অনুরক্ত হয়। তিনি ইসলামের প্রাথমিক বিধানসহ পুর্নাঙ্গ পর্দা করা এবং ইসলামের দাওয়াতের কাজ শুরু করেন। তিনি ইসলামি অরাজনৈতিক সংগঠন তাবলীগ জামাতের সাথে সংযুক্ত হন। এই কাজগুলো তিনি কীভাবে করেছেন, ধারাবাহিকভাবে এই বইতে সেটি বর্ণনা করা হয়েছে।[৭]
বইয়ের সম্পাদক জানান, এই বইতে ১০৪টা প্রশ্নের মাধ্যমে হ্যাপির জীবনী জানার চেষ্টা করা হয়েছে। হ্যাপির শৈশবকাল, তারুণ্যের বয়স, অভিনয় জীবন সম্পর্কে ধারণা এবং সবশেষে ইসলামি জীবনে প্রবেশের ধাক্কাটা কীভাবে লাগলো এইসব বইয়ে স্থান পেয়েছে। এরপরে হ্যাপি কীভাবে নামাজি, পর্দানশীল একজন দ্বীনের দায়ী হয়ে উঠলো এগুলো আলোচনা করা হয়েছে। বইয়ের বর্ণনামতে, হ্যাপি ইরানি একটি সিনেমা দেখে ইসলামের পথে আসতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। তবে এই বইতে ইচ্ছাকৃতভাবে হ্যাপির কথামত ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সাথে সম্পর্কের জীবন এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
পটভূমি
[সম্পাদনা]হ্যাপি ইসলামি জীবনে প্রবেশের পর তার নাম পরিবর্তন করে আমাতুল্লাহ রাখেন। ফেসবুক থেকে সকল ছবি মুছে দেন, এবং ছেলে বন্ধুদের আনফ্রেন্ড করে দেন। এই বইটি প্রকাশের ৬-৭ মাস আগে হ্যাপি একদিন ফেসবুক ওয়ালে তার জীবনী নিয়ে বই প্রকাশের জন্য অনুরোধ করে। তখন তার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সাদিকা সুলতানা সাকী এই আহবানে সাড়া দেন। সাকী তার সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরে, তার স্বামী আব্দুল্লাহ আল ফারুক সম্পাদনা করে এই বইটি প্রকাশ করেন।
জনপ্রিয়তা
[সম্পাদনা]বইটি প্রকাশের পরই হ্যাপির জীবনে কেন ইসলামিক পরিবর্তন আসলো, এটা নিয়ে মানুষের কৌতূহল সৃষ্টি হয়। এরপর বইটি নিয়ে ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম এএফপি বইটি নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করলে বইয়ের বিক্রি আরো বেড়ে যায়। তখন দেশীয় গনমাধ্যম বইটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ২০২২ সালে বই রিভিউ ওয়েবসাইট গুডরিডসে এই ২২ জন রেটারে বইটির রেটিং রয়েছে ৩.৮ স্টার।[৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "আলোচিত অভিনেত্রী হ্যাপি যেভাবে 'আমাতুল্লাহ' হলেন"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ "হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ - মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারূক"। www.rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "সেই হ্যাপি এখন 'আমাতুল্লাহ'"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ "আলোচিত অভিনেত্রী হ্যাপি যেভাবে 'আমাতুল্লাহ' হলেন - Bangla Sanglap"। banglasanglap.co.uk (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৬-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ Dhakatimes24.com। "হ্যাপির পর্দানশীন জীবন নিয়ে এএফপিতে বিশেষ প্রতিবেদন"। Dhakatimes News। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ "নায়িকা হ্যাপি এখন আমাতুল্লাহ"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ Editor, Sub (২০২০-০৫-০৮)। "বুক রিভিউঃ হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ"। Mohioshi (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।
- ↑ "হ্যাপি থেকে আমাতুল্লাহ"। www.goodreads.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৬।