হেযবুত তওহীদ
গঠিত | ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী |
সদরদপ্তর | বাসা - ৩, রোড ২০/এ, সেক্টর ১৪, উত্তরা, ঢাকা |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
নেতা | হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম |
ওয়েবসাইট | ওয়েবসাইট |
হেযবুত তওহীদ ধর্মভিত্তিক একটি সংগঠন। জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে সংগঠনটি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কালো তালিকাভুক্ত।[১][২][৩]
গঠন ও নেতৃত্ব
১৯৯৫ সালে মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[৪] হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চ নেতাকে ‘এমাম’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ২০১২ সালে মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নীর মৃত্যুর পর নোয়াখালী জেলার হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম সংগঠনটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[৫]
বিতর্ক
যদিও হেযবুত তওহীদ জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং অপ-রাজনীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে বলে নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়েছে[৬] কিন্তু বিভিন্ন সময় এই দলের কর্মসূচি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।[৭] ২০০৮ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় কালো তালিকাভুক্ত হয় সংগঠনটি।[৮] ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংগঠনটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে চিঠি জারি করা হয়।[২]
বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ক সতর্কতা জারি করে সংগঠন ও এর অঙ্গ সংগঠনের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলে।[২][৯] ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নিশ্চিত করেন হেযবুত তওহীদসহ আরো কয়েকটি দল কালো তালিকাভুক্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জমা হয়েছে।[১] বিভিন্ন সময় সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার কথাও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা যায়।[১০][১১]
কার্যক্রম
সংগঠনটির দাবি — জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গোলটেবিল বৈঠক, সভা-সেমিনারের আয়োজনের মাধ্যমে তারা জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে।[১২] এছাড়াও সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সময় আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। [১৩][১৪]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ "কালো তালিকাভুক্ত আট জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধ হয়নি"। ইত্তেফাক। ২ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ গ "হিজবুত তাওহীদের ছদ্মবেশ"। কালের কণ্ঠ। ২০১৮-১১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-১০।
- ↑ "হিযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধ করা হতে পারে"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ৫ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ ইসলাম, নজরুল (১৫ মার্চ ২০১৬)। "হেফাজত, জামায়াতকে দুষল হিজবুত তওহিদ"। প্রথম আলো। ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ নিজস্ব প্রতিবেদক (২৯ জুন ২০১৯)। "'সব অভিযোগ মিথ্যা' দাবি করলেন হেযবুত তওহীদের নেতা"। জাগো নিউজ। ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারী ২০২৩।
- ↑ "Hezbut Tawheed | হেযবুত তওহীদ"। হেযবুত তওহীদ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৫-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১৩।
- ↑ "হিযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধ করা হতে পারে || প্রথম পাতা || জনকন্ঠ"। জনকন্ঠ। ১৬ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৮।
- ↑ "হিযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধের চিন্তা করছে সরকার"। প্রথম আলো। ২০১৮-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৬-১৩।
- ↑ "'হিজবুত তাওহীদ' নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "হিযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধের চিন্তা করছে সরকার"। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তৎপর নিষিদ্ধ হিজবুত তাওহীদ"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি — গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা"। দৈনিক ইত্তেফাক। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০২৪।
- ↑ Pratidin, Bangladesh (২০২৪-০৬-০৯)। "সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় জাতীয় প্রেসক্লাবে হেযবুত তওহীদের আলোচনা সভা"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০২৪-০৬-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১০।
- ↑ কালবেলা। "প্রকৃত ধর্ম মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে না : রানা দাশগুপ্ত | কালবেলা"। কালবেলা | বাংলা নিউজ পেপার। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-১০।