হায়ওয়া স্টেশন প্রতিবাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হায়ওয়া স্টেশনের প্রতিবাদ ২০১৮ সালের ১৯ মে শুরু হয়, যখন লাল পোশাক পরা ১২,০০০ জনেরও বেশি মহিলা দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের হায়ওয়া স্টেশনে নারীদের বৈষম্য ও গুপ্তচর ক্যামেরা অপরাধের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছিল।[১] গুপ্তচর ক্যামেরা মামলার যৌন-বিরোধীতা ও সহিংসতা -বিরোধী লড়াইয়ের প্রাথমিক সমাবেশ একত্রীত সমাবেশে পরিণত হয়েছিল। হংকিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পাই ক্যাম মামলা প্রথম সমাবেশের সূত্রপাত করেছিল। একজন পুরুষ নগ্ন মডেলকে অন্য মহিলা মডেলের ছবি গোপনে তোলেন এবং তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয়।[২] যাইহোক, বহু পুরুষ গুপ্তচর ক্যামেরা অপরাধীদের নিন্দা করা হয় না এবং অনেক মামলা অমীমাংসিত থেকে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ায় স্পাই ক্যামকে মোলকা নামে অভিহিত করা হয়, যা অবৈধ ও অসম্মতিপূর্ণ চিত্রগ্রহণের একটি শব্দ।

এই ঘটনা থেকে, নারীরা হায়ওয়া স্টেশনে জড়ো হয়ে নারী বৈষম্যের বিরুদ্ধে ও মোলকা অপরাধের বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য সমাবেশ করেছিল। মে মাসে প্রাথমিক সমাবেশের পরে, অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা জুন ও জুলাইয়ে ২০,০০০ জনেরও বেশি হয়ে যায়।[১] আগস্টে চতুর্থ সমাবেশে ৭০,০০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী ছিলেন এবং বিক্ষোভের একটি সাধারণ স্থান গওয়ানঘামুন প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[২] হায়ওয়া স্টেশন বিক্ষোভ ২০১৯ সালে অব্যাহত রয়েছে, কারণ নির্দিষ্ট কিছু বিষয় যা লিঙ্গ সমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

হেইওয়া স্টেশন বিক্ষোভ সংবাদ মাধ্যম ও সরকারের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কিছু দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমের কিছু সরকারি দলের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং এই প্রতিবাদ সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিস্তৃত, যা এই বিষয়টির মার্কিন গণমাধ্যমের প্রচারণার সাথে ভিন্ন।

আইন প্রয়োগের অভাব এবং অপরাধের শাস্তির অভাবের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে। গণ বিশ্রামাগারের বাইরে, তাদের বাড়ির বাইরে অবস্থানগুলি পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই অপরাধের সম্ভাব্য স্থান। হায়ওয়া স্টেশন প্রতিবাদ লিঙ্গ বৈষম্য ও মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। এই প্রতিবাদ একটি অপরিহার্য ঘটনা, যা দক্ষিণ কোরিয়ায় মহিলাদের আন্দোলনে অবদান রাখে।

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

গণমাধ্যম[সম্পাদনা]

হাইওয়া স্টেশন বিক্ষোভের গণমাধ্যমের প্রচারণার দৃষ্টিভঙ্গিতে ভিন্ন। দক্ষিণ কোরিয়ার অনেকেই নারীবাদী শব্দটিকে "ফেমি" (페미) বলে ছোট করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, নারীবাদ সংজ্ঞাকে চরমপন্থি নারীবাদ বলে উল্লেখ করে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়।[৩] হাইওয়া স্টেশনের নারী আন্দোলন বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বিভক্ত, একটি অংশে হল নারী আন্দোলন ও অন্যটি হল মৌলবাদী নারীবাদী আন্দোলন। ভিন্ন ভিন্ন সংবাদ মাধ্যম নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করার মাধ্যমে নারীবাদ ও হায়ওয়া স্টেশন প্রতিবাদ হিসাবে উল্লেখ করেছে।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Women gather to protest biased investigations into hidden-camera incidents"english.hani.co.kr। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-০৭ 
  2. "Spycam porn protesters speak out against male-centered ruling"m.koreatimes.co.kr। ২০১৮-১০-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-০৭ 
  3. "FEMINISM: What is it, and how does it work?"The Soongsil Times(숭실대영자신문) (কোরীয় ভাষায়)। ২০১৮-০৯-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-০৮ 
  4. "문재인 대통령 조롱… 선 넘은 혜화역 페미시위"한국일보 (কোরীয় ভাষায়)। ২০১৮-০৭-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-০৮