হটুগঞ্জ মহারাজা নরেন্দ্র কৃষ্ণ হাই স্কুল
হটুগঞ্জ মহারাজা নরেন্দ্র কৃষ্ণ হাই স্কুল | |
---|---|
অবস্থান | |
হটুগঞ্জ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা – ৭৪৩ ৩৩২, ভারত | |
স্থানাঙ্ক | ২২°০৬′০৬″ উত্তর ৮৮°০৯′০২″ পূর্ব / ২২.১০১৮° উত্তর ৮৮.১৫০৬° পূর্ব |
তথ্য | |
বিদ্যালয়ের ধরন | পশ্চিমবঙ্গ সরকার পোষিত বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৭৪ |
প্রতিষ্ঠাতা | মহারাজা নরেন্দ্রকৃষ্ণ দেব |
বিদ্যালয় কোড | সি১-৪৮৯ (WBBSE), ১৯১৮২১০০১০২ (UDISE) |
ভাষা | বাংলা |
অন্তর্ভুক্তি | পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ এবং পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ |
হটুগঞ্জ মহারাজা নরেন্দ্রকৃষ্ণ হাই স্কুল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় অবস্থিত একটি শতাব্দী প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়। কলকাতার শোভাবাজার রাজপরিবারের মহারাজা নরেন্দ্রকৃষ্ণ দেব ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তার নামানুসারে হটুগঞ্জ মহারাজা নরেন্দ্র কৃষ্ণ হাই স্কুল নামে পরিচিত হয়।
বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কেবলমাত্র ছাত্রদের বিদ্যালয় এটি। কেবল বাংলা ভাষাতেই শিক্ষাদানের ব্যবস্থা আছে এই প্রাচীন বিদ্যালয়টিতে এবং শিক্ষাদানের মান মোটামুটি ভালোই। শিক্ষাঙ্গনে বেশ বড়ো খেলার মাঠ আছে। বিভিন্ন শিক্ষাক্রম বহির্ভূত বিষয়ে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করে থাকে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে প্রায় এক হাজারের বেশি ছাত্র আছে বিদ্যালয়ে। উস্থি থানা অন্তর্গত মগরাহাট ১ নম্বর উন্নয়ন ব্লকে, ডায়মণ্ড হারবার হতে কাকদ্বীপগামী জাতীয় মহাসড়ক ১২এর সন্নিকটে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনী খ্যাতনামা ঐতিহাসিক নিরঞ্জন ধরের পিতা বর্তমানে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বিনতিলক গ্রামের যোগেশচন্দ্র ধর বিংশ শতকের প্রথম দিকে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
পরিকাঠামো
[সম্পাদনা]শতাব্দী প্রাচীন বিদ্যালয় ভবনে প্রশস্ত ছাব্বিশটি কক্ষে পঞ্চম শ্রেণী হতে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের পঠনপাঠনের সুব্যবস্থা আছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বর্তমান অনুপাত ৩২:১ বিদ্যালয়ে পাঠাগারের পুস্তক সংখ্যা প্রায় ২১০০ পড়াশোনার মানের সাথে বিদ্যালয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ছাত্রদের উত্তীর্ণের হার সামজস্যপূর্ণ।[১]
প্রাক্তনী
[সম্পাদনা]- নিরঞ্জন ধর (১৯১৯ - ২০০২), যুক্তিবাদী সমাজবিজ্ঞানী ও মানবতাবাদী ঐতিহাসিক। [২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Hatuganj Mnk High School"। icbse.com।
- ↑ অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯, পৃষ্ঠা ১৯৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬