স্লিম্যানিয়া মাদ্রাসা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্লিম্যানিয়া মাদ্রাসা
المدرسة السليمانية
স্লিম্যানিয়া মাদ্রাসার বারান্দা
স্লিম্যানিয়া মাদ্রাসার বারান্দা
ধরনমাদ্রাসা
স্থাপিত১৭৫৪ (1754)
প্রতিষ্ঠাতাপ্রথম আবু এল-হাসান আলী
ধর্মীয় অধিভুক্তি
ইসলাম
ঠিকানা
তিউনিস
,
মানচিত্র

স্লিম্যানিয়া মাদ্রাসা (আরবি: المدرسة السليمانية) তিউনিশিয়ার তিউনিসে অবস্থিত একটি মাদ্রাসা। এটি তিউনিসের মদীনায় একটি প্রাক্তন মাদ্রাসা এবং উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্যতম নিদর্শন।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৭৫৪ সালে প্রথম আবু আল-হাসান আলি তার পুত্র সুলাইমানের (যাকে তার ভাই বিষ পান করায়) স্মরণে মাদ্রাসাটি নির্মাণ করেন। মাদ্রাসাটি আল-জায়েতুনা মসজিদ এবং সৌক এল কাচাইনের নিকটে নির্মিত হয় । [১] প্রথম আবু আল-হাসান আলি কর্তৃক নির্মিত চারটি মাদ্রাসার মধ্যে এটিই প্রথম মাদ্রাসা। অন্যগুলো হলঃ এল বাছিয়া মাদ্রাসা, এল আছৌরিয়া মাদ্রাসা এবং বীর লাহজার মাদ্রাসা

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

স্লিম্যানিয়া মাদ্রাসা রাস্তার তুলনায় উঁচুতে অবস্থিত বারান্দার জন্য পরিচিত। প্রবেশদ্বারের এই বারান্দাটি উসমানীয় স্থাপত্য শৈলীতে ভালভাবে সজ্জায় সজ্জিত। কলাম এবং তোরণগুলো সবুজ টাইলস দ্বারা সজ্জিত। ছাদের কর্নিসগুলো সুন্দর পাথরের খিলান দ্বারা গঠিত।

উঠানের তোরণ এবং কলাম

উঠানটি চারটি লম্বা বারান্দা দ্বারা বেষ্টিত। তাদের মধ্যে একটি প্রার্থনা কক্ষে এবং অন্য তিনটি শিক্ষার্থীদের থাকার ১৮ টি কক্ষে যাবার প্রবেশপথ। প্রার্থনা কক্ষটি তিনটি চক্রনাভিতে বিভক্ত[২] এবং একটি চমকপ্রদ মার্বেল পাথরের মিহরাব রয়েছে। মাদ্রাসার অষ্টভুজাকার গম্বুজটি সবুজ টাইলস দিয়ে আবৃত। এই ঘরের দেয়ালগুলিতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম এবং আল্লাহর ৯৯টি নাম খোদাই করা রয়েছ।

১৯৮২ সালে স্লিম্যানিয়া মাদ্রাসাতি জাতীয় ঐতিহ্যবাহী ইনস্টিটিউট এবং ডি স্যুভেগার্ডে দে লা মদিনা দে তিউনিস সংগঠন দ্বারা পুননির্মাণ করা হয়। বর্তমানে এটি অনেক মেডিকেল সংগঠনের প্রধান কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। [৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Madrasa Slimaniyya"qantara-med.org (ফরাসি ভাষায়)। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  2. "Madrasa Slimaniyya"qantara-med.org (ফরাসি ভাষায়)। ৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  3. "Les 3 médersas"commune-tunis.gov.tn (ফরাসি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬