স্মৃতিবর্ধনবিদ্যা
স্মৃতিবর্ধনবিদ্যা বা Mnemonic (উচ্চারণ: [nəˈmɒnɪk]) এক ধরনের স্মৃতি সহায়িকা যা পুরোপুরিই শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজে ব্যবহৃত হয়। মানুষের মন অর্থহীন শত শত ধারাবাহিক উপাত্তও মনে রাখতে পারেনা, কিন্তু যদি উপাত্তের মধ্যে স্থান-কাল, ব্যক্তি বা অন্য বিশেষ কোন উপাদান সংশ্লিষ্ট অর্থ নিহিত থাকে তবে তা সহজেই তার মনে গেঁথে যায়। এই মূলনীতির উপর ভিত্তি করেই স্মৃতিবর্ধনবিদ্যা কাজ শুরু করে থাকে। এই বিদ্যা কেবলমাত্র পৌনঃপুনিকতা নির্ভর নয় বরং আত্মস্থ উপাত্তের তালিকা এবং সহজে মনে রাখার মূলগত পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয় সাধনের উপর এর সফলতা অনেকাংশেই নির্ভর করে। অর্থাৎ মানব মনে একটি অর্থবহ ধারাবাহিকতার আবহ সৃষ্টি করাই এই বিদ্যার প্রাথমিক কাজ। এই ধারাবাহিকতার সাথে সম্মিলন ঘটতে হয় মানুষটির শব্দার্থবিদ্যার প্রসারের। এভাবে প্রয়োজনীয় সবকিছুর সামঞ্জস্যপূর্ণ সমন্বয়ের মাধ্যমেই এটি একটি সক্রিয় স্মৃতি সহায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে।
Mnemonic শব্দটি প্রাচীন গ্রীক শব্দ μνημονικός থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার অর্থ "স্মৃতি সংক্রান্ত"। এর সাথে নিমোসাইন (Mnemosyne) শব্দটি সংশ্লিষ্ট যার অর্থ "স্মৃতিচিহ্ন"। গ্রিক পুরাণে নিমোসাইন হল মূসার মা'র নাম। এই দুইটি শব্দই আবার "নেমা" (Mnema) শব্দটিকে নির্দেশ করে। এর অর্থও স্মৃতি।[১] স্মৃতিবর্ধনবিদ্যা চর্চার প্রথম যে দলিলটি পাওয়া যায় তা হলো সিসারো রচিত দ্য ওরেটর গ্রন্থে উল্লেখিত স্থানের পদ্ধতি।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Liddell, H. G. (১৮৮৯)। Intermediate Greek-English Lexicon। Oxford: Oxford University Press। আইএসবিএন ০-১৯-৯১০২০৬-৬। একের অধিক author-name-list parameters উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)