সেন নদী
সেন নদী | |
---|---|
![]() | |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
মোহনা | ইংলিশ চ্যানেল (সেন উপসাগর, ল্য আভ্র্) ৪৯°২৬′৫″ উত্তর ০°৭′৩″ পূর্ব / ৪৯.৪৩৪৭২° উত্তর ০.১১৭৫০° পূর্ব |
দৈর্ঘ্য | ৭৭৬ কিমি (৪৮২ মা) |
অববাহিকার আকার | ৭৯,০০০ কিমি২ (৩১,০০০ মা২) |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
নদী ব্যবস্থা | সেন বেসিন |
উপনদী | |
• বামে | ইয়োন, Loing, Eure, Risle |
• ডানে | Ource, ওব, মার্ন, ওয়াজ, Epte |

সেন (ফরাসি: La Seine, আ-ধ্ব-ব: [la sɛn]) উত্তর ফ্রান্সের একটি নদী। নদীটি পূর্ব-মধ্য ফ্রান্সে দিজোঁ শহরের কাছে লঁগ্র্ মালভূমিতে উৎপন্ন হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে ত্রোয়া, ফোঁতেনব্লো, প্যারিস এবং রুঅঁ শহরগুলির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইংলিশ চ্যানেলে পতিত হয়েছে। প্রাচীনকালে নদীটি সেকুয়ানা নামে পরিচিত ছিল।
সেন নদীর মোহনাটি প্রায় ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং এটির দুপাশে ল্য আভ্র্ এবং ওঁফ্লর বন্দর শহরগুলি অবস্থিত। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ৭৭৬ কিলোমিটার। মোহনা থেকে ৫৬০ কিলোমিটার উজানে বার-সুর-সেন শহর পর্যন্ত নদীটি নৌপরিবহনের উপযোগী। এছাড়া সমুদ্রগামী জাহাজগুলি মোহনা থেকে ১২১ কিলোমিটার উজানে রুঅঁ শহর পর্যন্ত যেতে পারে। সেন নদীর অববাহিকার আয়তন প্রায় ৭৭,৭০০ বর্গকিলোমিটার। উত্তর থেকে ওব, মার্ন, ওয়াজ এবং দক্ষিণ দিকে থেকে ইয়োন ও ওর উপনদীগুলি সেন নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এছাড়া নদীটি খালের মাধ্যমে এস্কো বা শেল্ডে, মোজ, রাইন, সোন এবং লোয়ার নদীর সাথে যুক্ত। ১৯১০ সালে এক ভয়াবহ বন্যায় সেন নদী উপচে পড়ে প্যারিসকে প্লাবিত করে। ১৯৯৩ ও ১৯৯৫ সালে আবারও বন্যা হয়।