সুবোধচন্দ্র রায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সুবোধচন্দ্র রায়
জন্ম১৯০৯
মৃত্যু৭ এপ্রিল ১৯৮৫
পেশাঅধ্যাপনা
দাম্পত্য সঙ্গীএভেলিন রায় (স্ত্রী)
পিতা-মাতানিবারণচন্দ্র রায় (পিতা)
শরৎসুন্দরী রায় (মাতা)

ড.সুবোধচন্দ্র রায় (১৯০৯ – ৭ এপ্রিল ১৯৮৫) ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি শিক্ষাব্রতী এবং কলকাতায় লাইট হাউস ফর দ্য ব্লাইড সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। [১]

জীবনী[সম্পাদনা]

সুবোধচন্দ্র রায়ের জন্ম কলকাতায়। পিতা নিবারণচন্দ্র রায় এবং মাতা শরৎসুন্দরী রায়। আট বৎসর বয়সে তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান। বহু প্রতিকূলতার মাঝে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার ব্লাইন্ড স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। সেন্ট পলস ক্যাথেড্রাল মিশন কলেজ এবং প্রেসিডেন্সি কলেজের কৃতি ছাত্র ছিলেন তিনি। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি 'মানসিক ও নৈতিক দর্শনে' কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কলকাতা কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সহায়তায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসবিহারী ঘোষ ট্রাভেলিং ফেলোশিপ লাভ করে উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ গমন করেন। [২] নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পিএইচডি ডিগ্রি এবং রয়্যাল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ব্লাইড থেকে ডিপ্লোমা লাভ করেন। দৃষ্টিহীনদের শিক্ষার ব্যাপারে নানা বৃত্তি নিয়ে দেশে বিদেশে ভ্রমণ করেন।

দেশে ফিরে তিনি লরেটো কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তারই প্রচেষ্টায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ-বিভাগে ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে ব্রেইল অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে অধ্যাপক সুবোধচন্দ্র রায় দেশ ছেড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং সেখানেই অধ্যাপনা করতে থাকেন। ড.অধ্যাপক সুবোধচন্দ্র রায় দর্শনশাস্ত্রের ছাত্রদের অত্যন্ত প্রিয় এবং ধর্মীয় বিষয়ে নিষ্টাবান ছিলেন। ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বধর্ম সম্মেলনে প্রতিনিধি ও বক্তা নির্বাচিত হয়ে পর্তুগাল যান। বিভিন্ন পত্রিকায় দর্শন ও ধর্মীয় বিষয়ক নিবন্ধ রচনা করেছেন। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল-

  • সুবোধচন্দ্র রায় (২০২১)। দ্য ব্লাইড ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড অ্যাব্রড। হাসেল স্ট্রীট প্রেস, কলকাতা। আইএসবিএন 978-10-1399-914-7 
  • সুবোধচন্দ্র রায় (২০১৫)। দ্য সো কলড নোবেল প্রাইজেস-অ্যান ইনসাল্ট টু ইন্টেলিজেন্স ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড অ্যাব্রড। স্পার্কলিং অ্যাডভার্টাইজিং সার্ভিসেস।  অজানা প্যারামিটার |এএসআইএন= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)

অন্ধত্ব ও অন্ধের উপর ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ড.সুবোধচন্দ্র রায়ের বক্তৃতা, নিবন্ধ, রেডিও-টক, চিঠিপত্র ইত্যাদির সংকলন- দ্য ব্লাইড ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড অ্যাব্রড গ্রন্থটি ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রথম প্রকাশিত হয়। [২]

দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগেই তিনি ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় অন্ধ ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন লাইট হাউস ফর দ্য ব্লাইড[৩] তিনি লাইট হাউস ফর দ্য ব্লাইডের সর্বভারতীয় সংগঠনের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৮০৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. "The Blind in India and Abroad:Subodh Chandra Roy"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-৩১ 
  3. "About Us- Lighthouse For The Blind"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-৩১