বিষয়বস্তুতে চলুন

সুপার পজিশন থিওরেম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বৈদ্যুতিক সার্কিটে সুপারপজিশনের উপপাদ্যের চিত্র।

বৈদ্যুতিক সার্কিট জন্য সুপার পজিশনের থিওরাম হল - কোন লিনিয়ার বাই লেটারাল নেটওয়ার্কের কোন একটি বিন্দু দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ বা দুইটি বিন্দুর মাঝে তড়িৎ বিভবের পার্থক্য ই.এম.এফ. এর একাধিক উৎসের কারণে ঐ বিন্দু বা বিন্দুগুলোতে প্রবাহিত পৃথক পৃথক তড়িৎ সমুহের বা ঐ বিন্দুদ্বয়ের তড়িৎি বিভব ই.এম.এফ. পার্থক্য সমুহের বীজগাণিতিক যোগফল সমান হবে যদি প্রতিটি উৎসকে আলাদা আলাদা ভাবে বিবেচনা করা হয় এবং অন্য উৎস গুলোর প্রতিটি সমমানের আভ্যন্তরীণ রেজিস্ট্যান্সে বা রোধে রূপান্তর করা হয়।

সুপার পজিশন থিওরেম ব্যবহার করার নিয়ম

[সম্পাদনা]

১. সর্বপ্রথমে যেকোন একটি উৎসকে শর্ট করতে হবে। যদি উৎসের সাথে কোন আভ্যন্তরীণ রোধ থাকে তাহলে তা ঐ উৎসের স্থানে বসাতে হবে।
২. এরপর নতুন সার্কিটের তুল্যরোধ R'T নির্ণয় করতে হবে।
৩. এরপর প্রতিটি শাখার তড়িৎ I', I'1, I'2, I'3 ইত্যাদি নির্ণয় করতে হবে।
৪. একইভাবে দ্বিতীয় উৎসের তুল্য রোধ RT এবং প্রতিটি শাখার তড়িৎ I", I"1, I"2, I"3 ইত্যাদি নির্ণয় করতে হবে। ৫. এরপর মূল তড়িৎ I, I1, I2, I3 ইত্যাদি নির্ণয় করতে হবে। এক্ষেত্রে I', I'1, I'2, I'3 ইত্যাদি বিবেচনায় আনতে হবে। ৬. I, I1, I2, I3 ইত্যাদির মান নির্ণয় করার সময় I', I'1, I'2, I'3 ইত্যাদি এবং I", I"1, I"2, I"3 ইত্যাদির প্রবাহের দিক একই দিকে হলে যোগ করতে হবে এবং প্রবাহের দিক বিপরীত হলে বিয়োগ হবে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]