সুদেষ্ণা সিংহ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষাশহীদ সুদেষ্ণা সিংহের স্মৃতিস্তম্ভ

সুদেষ্ণা সিংহ (১৯৬৪- ১৬ মার্চ, ১৯৯৬) আদিবাসী ভাষাশহীদ এবং দ্বিতীয় নারী ভাষাশহীদ[১]

সুদেষ্ণা সিংহ ১৯৯৬ সনে ভারতের আসাম রাজ্যে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা স্বীকৃতির আন্দোলনে শহীদ হন।[২][৩] আসামের বরাক উপত্যকায় বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের দীর্ঘ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে ১৬ই মার্চ একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৫৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ভাষাবিপ্লবীরা বরাক উপত্যকায় ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে ৫০১ ঘণ্টার রেলপথ-রাজপথ অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করে। ১৬ই মার্চ আসামের পাথারকান্দির কলকলিঘাট রেলস্টেশনে আন্দোলনকারীদের একটি মিছিলে ভারতীয় পুলিশ গুলিবর্ষন করলে ঘটনাস্থলে গুলিতে প্রাণ হারান বত্রিশ বছরের তরুণী সুদেষ্ণা সিংহ। এই গুলি চালনায় আহত হন অরুন সিংহ, প্রমোদিনী সিংহ, কমলাকান্ত সিংহ, দীপংকর সিংহ, প্রতাপ সিংহ, নমিতা সিংহ, রত্না সিংহ, বিকাশ সিংহ, শ্যামল সিংহ সহ আরো অনেকে।  এ ঘটনায় অসংখ্য ভাষাবিদ্রোহী আহত হন এবং ব্যাপক ধরপাকড় হয়। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা স্বীকৃতির আন্দোলনকে উপেক্ষা করতে পারেনা আসাম সরকার। অবশেষে ২০০১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বরাক উপত্যকার ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় শিক্ষাদান চালু করে। এরপর ২০০৬ সালের ৮ মার্চ ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বা সুপ্রীমকোর্টের এক রায়ের মাধ্যমে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষাকে ভারতের একটি স্বতন্ত্র ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার জন্য - আয়োজন"The Daily Ittefaq। ১৬ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসে ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. [author_link] (১৫ মার্চ ২০১৬)। "সুদেষ্ণা দিবস"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসে ২০১৮ 
  3. "মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন সুদেষ্ণা"RTV Online। ১১ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসে ২০১৮