সীহর্স ইন্টারসেপ্টর বোট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সীহর্স-২ ইন্টারসেপ্টর বোট
শ্রেণি'র সারাংশ
নাম: সীহর্স ইন্টারসেপ্টর বোট
নির্মাতা:
ব্যবহারকারী:
নির্মিত: ২০১৭-২০২২
পরিষেবাতে: ২০১৭-বর্তমান
অনুমোদন লাভ: ২০১৭-বর্তমান
সম্পন্ন: ৪টি
সক্রিয়: ৪টি
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার: ইন্টারসেপ্টর বোট
ওজন: ১৩.৫ টন
দৈর্ঘ্য:
  • ১৪.৫০ মিটার (৪৭.৬ ফু) (সীহর্স-১৩);
  • ১৪.৩০ মিটার (৪৬.৯ ফু) (সীহর্স-১৪)
প্রস্থ:
  • ৪.৫০ মিটার (১৪.৮ ফু) (সীহর্স-১৩);
  • ৪.০০ মিটার (১৩.১২ ফু) (সীহর্স-১৪)
গভীরতা:
  • ০.৭০ মিটার (২.৩ ফু) (সীহর্স-১৩);
  • ০.৮০ মিটার (২.৬ ফু) (সীহর্স-১৪)
গভীরতা:
  • ১.৫০ মিটার (৪.৯ ফু) (সীহর্স-১৩);
  • ১.৮৫ মিটার (৬.১ ফু) (সীহর্স-১৪)
প্রচালনশক্তি: ৩ × ইয়ামাহা ভি৬ (৪.২ লিটার) ৩০০ অশ্বশক্তি (২২০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন
গতিবেগ:
  • ৩৫ নট (৬৫ কিমি/ঘ; ৪০ মা/ঘ) (সাধারণ);
  • ৪৫ নট (৮৩ কিমি/ঘ; ৫২ মা/ঘ) (সর্বোচ্চ)
ধারণক্ষমতা: ২০ জন
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
  • ফুরুনো ডিআরএস ৪ডি এনএক্সটি রাডার (জাপান);
  • ইনসাইট রোবোটিক্স এফডি৩ ওয়াইল্ডফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম (হংকং)
রণসজ্জা: ২ × ১২.৭ মিমি বিমান-বিধ্বংসী কামান

সীহর্স হচ্ছে বাংলাদেশে নির্মিত ইন্টারসেপ্টর বোটের শ্রেণী যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত হয়। এই জাহাজ সমূহকে দেশীয় প্রযুক্তিতে মেটাসেন্টার লিমিটেড কোম্পানির লাইসেন্সের অধীনে ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড দ্বারা নির্মিত হয়। প্রতিটি জাহাজ নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজগুলো দুর্যোগ কালীন সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা ও দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ তৎপরতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম।[১][২][৩][৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড এ জাহাজ নির্মানের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ নভেম্বর, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সীহর্স-১সীহর্স-২ কমিশন লাভ করে।

এছাড়াও ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য দুটি ভিআইপি বোট নির্মাণের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে জাহাজ দুটি অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু টানেল বোট-১বঙ্গবন্ধু টানেল বোট-২ নদী ও উপকূলবর্তী অঞ্চলে পরীক্ষাধীন রয়েছে।[৫][৬][৭][৮][৯]

দেশীয় প্রযুক্তিতে জাহাজ নির্মান কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী জাহাজের নকশা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। নিজস্ব প্রযুক্তিতে জাহাজ নির্মাণ সক্ষমতায় আরোও একটি মাইলফলক অর্জন হয় ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড কর্তৃক এসব ইন্টারসেপ্টর বোট নির্মাণের ফলে।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত সীহর্স-১৩ ইন্টারসেপ্টর বোটের দৈর্ঘ্য ১৪.৫০ মিটার (৪৭.৬ ফু), প্রস্থ ৪.৫০ মিটার (১৪.৮ ফু) এবং গভীরতা ১.৫০ মিটার (৪.৯ ফু)। প্রতিটি জাহাজে রয়েছে ৩টি ইয়ামাহা ভি৬ (৪.২ লিটার) ৩০০ অশ্বশক্তি (২২০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন তার ফলে জাহাজগুলো সর্বোচ্চ ৪৫ নট (৮৩ কিমি/ঘ; ৫২ মা/ঘ) গতিতে চলছে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজগুলো ২০ জন সৈন্য বহন করতে পারে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক ব্যবহৃত সীহর্স-১৪ ইন্টারসেপ্টর বোটের দৈর্ঘ্য ১৪.৩০ মিটার (৪৬.৯ ফু), প্রস্থ ৪.০০ মিটার (১৩.১২ ফু) এবং গভীরতা ১.৮৫ মিটার (৬.১ ফু)। প্রতিটি জাহাজে রয়েছে ৩টি ইয়ামাহা ভি৬ (৪.২ লিটার) ৩০০ অশ্বশক্তি (২২০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন তার ফলে জাহাজগুলো সর্বোচ্চ ৪৫ নট (৮৩ কিমি/ঘ; ৫২ মা/ঘ) গতিতে চলছে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজগুলো ২০ জন সৈন্য বহন করতে পারে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Metacentre-seahorse"metacentre.com.bd। ২০২১-০১-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০২ 
  2. "SeaHorse XIII - 14M Aluminum Interceptor - YouTube"www.youtube.com। ২০২১-০১-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২২ 
  3. "Dockyard and Engineering Works Limited Bangladesh - High Speed Boats (Aluminium)"dewbn.gov.bd। ২০২২-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-১৮ 
  4. "SeaHorse XIV" 
  5. "বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নির্মিতব্য ০২ (দুই) টি ভিআইপি স্পীড বোটের কিল লেয়িং অনুষ্ঠান"www.facebook.com। ২০২৩-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৫ 
  6. "Category Ways Product"www.dewbn.gov.bd। Archived from the original on ২০২২-০৪-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-৩১ 
  7. "Dockyard and Engineering Works Limited" (পিডিএফ)www.dewbn.gov.bd। Archived from the original on ২০২২-০৪-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১২-৩১ 
  8. "মেঘনায় দুরন্ত গতিতে ছুটে চলছে বঙ্গবন্ধু টানেল বোট -২ |fastest boat|Bangabandhu tunnel boat-2"। ২৪ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৩ 
  9. "মেঘনার বুকে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে বঙ্গবন্ধু টানেল বোট। Bongobondhu tunnel boat Highest Speed Boat"। ২৪ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৩