সীমা তোমর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সীমা তোমর
ব্যক্তিগত তথ্য
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বভারতীয়
জন্ম (1982-07-03) ৩ জুলাই ১৯৮২ (বয়স ৪১)
জোহরি, বাগপথ জেলা, উত্তরপ্রদেশ, ভারত
কার্যকাল২০০০ – বর্তমান
ক্রীড়া
দেশভারত
ক্রীড়াট্র্যাপ শুটার, শটগান

সীমা তোমর (জন্ম ৩রা জুলাই ১৯৮২) হলেন একজন ভারতীয় ট্র্যাপ শুটার[১] তিনিই একমাত্র ভারতীয় মহিলা যিনি আন্তর্জাতিক শ্যুটিং স্পোর্ট ফেডারেশন (আইএসএসএফ) বিশ্বকাপে শটগান রৌপ্যপদক জিতেছেন। তিনি উত্তর প্রদেশের জোহরি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[২]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

তোমর উত্তর প্রদেশের বাগপত জেলার জোহরিতে ১৯৮২ সালের ৩রা জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে তাঁর গ্রামে স্থাপিত একটি রেঞ্জে শুটিং শিখেছিলেন।[৩] তোমরের চারপাশের সমাজের প্রত্যাশা ছিল তিনি বিয়ে করে একজন গৃহিণী হবেন। প্রথমে তিনি এই চাপের কারণে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি অনুভব করেছিলেন যে তাঁর পরিবারের একজন বড় কেউ শ্যুটিংয়ে সঙ্গে না গেলে তিনি এই মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন না।[৪]

প্রথমদিকে, তোমর তাঁর মাকে ছাড়া শ্যুটিং রেঞ্জে যেতে ভয় পেতেন,[৫] তাঁর মা প্রকাশী তোমর তাঁকে উৎসাহিত করেছিলেন এবং শ্যুটিং রেঞ্জে তাঁর সাথে ছিলেন। তোমরের মা তাঁর সাথেই শুটিং শুরু করেন এবং ইভেন্টগুলিতে অংশ নেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি একজন পুরস্কার বিজয়ী শ্যুটার হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতের দ্বিতীয়-বয়স্ক মহিলা শ্যুটার, যিনি রিভলভার দাদি নামেও পরিচিত। প্রকাশী এবং তাঁর বৌদি চন্দ্র তোমরের অংশগ্রহণের ফলে সীমা তোমর শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরেছিলেন। তিনি ২০০১ সালে[৩][৬] গ্রামের ১০ মিটার রেঞ্জে শুটিং শুরু করেছিলেন।

তোমর এখনও ভারতীয় গ্রামে লিঙ্গ সমতার একজন প্রবক্তা, এবং তাঁর নিজের শহরের অনেক অল্পবয়সী মেয়েকে তিনি শ্যুটিং ক্রীড়ায় নিয়ে এসেছেন। [৪][৭]

সীমার সাত ভাইবোন। তাঁর বোন রেখাও একজন শ্যুটার।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্রকাশী গ্রামে একটি শুটিং রেঞ্জও চালান যেখানে অনেক মেয়ে শ্যুটিং শিখতে আসে।

খেলোয়াড় জীবন[সম্পাদনা]

সীমা তোমর ২০০৪ সালে এয়ার রাইফেল দিয়ে শ্যুটিং শুরু করেছিলেন,[৩][৮] কিন্তু পরে শটগান ইভেন্টে চলে যান। তিনি বর্তমানে ট্র্যাপ শুটিংয়ে বিশেষজ্ঞ। [৯]

২০১০ সাল সীমা তোমরের জীবনের একটি মাইলফলক ছিল। সেই বছর তিনি ২০১০ আইএসএসএফ বিশ্বকাপে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন।

পদক[সম্পাদনা]

অন্যান্য প্রতিযোগিতা[সম্পাদনা]

  • নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমস - ২০১০ সাল।
  • ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইএসএসএফ বিশ্বকাপ (ডরসেট)- ২০১০ সাল।
  • মেক্সিকো -২০১০ সালে অনুষ্ঠিত আইএসএসএফ বিশ্বকাপ।
  • এশিয়ান ক্লে শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়েছে – ২০১০ সাল।
  • কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ক্লে শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ - ২০০৯ সাল।
  • পাতিয়ালায় অনুষ্ঠিত ৫৩তম জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ - ২০০৯ সাল।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতআইএসএসএফ বিশ্বকাপ - ২০০৮ সাল।
  • চীনে অনুষ্ঠিতআইএসএসএফ বিশ্বকাপ - ২০০৮ সাল।
  • ৫২তম জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ জয়পুরে অনুষ্ঠিত - ২০০৮ সাল।
  • জয়পুরে অনুষ্ঠিত এশিয়ান শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ - ২০০৭ সাল।
  • স্লোভেনিয়ায় অনুষ্ঠিত আইএসএসএফ বিশ্বকাপ - ২০০৭ সাল।
  • ইতালিতে অনুষ্ঠিত আইএসএসএফ বিশ্বকাপ - ২০০৭ সাল।
  • জয়পুরে অনুষ্ঠিত ৫১তম জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ - ২০০৭ সাল।
  • মিশরে অনুষ্ঠিত আইএসএসএফ বিশ্বকাপ - ২০০৬ সাল।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত আইএসএসএফ বিশ্বকাপ - ২০০৬ সাল।
  • চীনে অনুষ্ঠিত আইএসএসএফ বিশ্বকাপ - ২০০৬ সাল।
  • দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ৫০তম জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ - ২০০৬ সাল।
  • ৪৯তম জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত - ২০০৫ সাল।
  • ৪৮তম জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ দিল্লিতে অনুষ্ঠিত - ২০০৪ সাল।
  • ৪৭তম জাতীয় শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত - ২০০৩ সাল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Special Interview: सीमा तोमर ने कहा- वर्ल्‍ड चैंपियनशिप में चाइना की खिलाड़ी मेरे लिए कोई चुनौती नहीं"www.patrika.com 
  2. Times Of India"Seema Tomar wins women's trap nationals"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭ 
  3. "Seema draws inspiration from her 'shooter' mother"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৯ 
  4. "Seema Tomar: The village girl who shot to fame"CNN। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৯ 
  5. Times Of India"76-year-old 'super mom' keeps shooter Seema Tomar going"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৭ 
  6. "Seema draws inspiration from her 'shooter' mother". Retrieved 29 October 2019.
  7. "Seema Tomar: The village girl who shot to fame". CNN. Retrieved 29 October 2019.
  8. "Seema draws inspiration from her 'shooter' mother". Retrieved 29 October 2019.
  9. "ISSF – International Shooting Sport Federation – TOMAR Seema"