সিঁদুরে হলুদ মৌটুসি
সিঁদুরে হলুদ মৌটুসি | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | প্যাসারিফর্মিস |
পরিবার: | Nectariniidae |
গণ: | Aethopyga |
প্রজাতি: | A. gouldiae |
দ্বিপদী নাম | |
Aethopyga gouldiae (ভিগর্স, ১৮৩১) |
সিঁদুরে হলুদ মৌটুসি (বৈজ্ঞানিক নাম: Cinnyris Cinnyris) যা টোনা বা টুনি হিসেবেও পরিচিত মৌটুসি জাতের পাখি। বাহারি এই পাখির রঙের মেলা শুধু পুরুষ পাখি বা টোনার দেহেই দেখা যায়। অন্যান্য মৌটুসি-নীলটুনির মতো টুনির দেহ অনুজ্জ্বল জলপাই রঙের।[২]
আকার
[সম্পাদনা]
সিঁদুরে হলুদ মৌটুসি পাখির ওজন মাত্র ছয় গ্রাম। ঠোঁটের আগা থেকে লেজের ডগা পর্যন্ত লম্বায় মাত্র ১৪-১৫ সেন্টিমিটার, যার মধ্যে লেজ চার ও ঠোঁট দুই সেন্টিমিটার। লেজ ছোট ও গোলাকার। পেট হালকা হলদে। মাথা ও মুখমণ্ডল ধূসর বা নীলচে ধূসর। অন্যদিকে, বাহারি টোনার মাথার চাঁদি, মুখমণ্ডল, কান-ঢাকনি ও গলা ধাতব নীল থেকে বেগুনি। মাথার পেছন, ঘাড়, পিঠ ও দেহের ওপরটা সিঁদুরে লাল। ডানার ওপরটা জলপাই। বুক-পেট ও লেজের নিচের দিক হলুদ। লেজের পালক নীল। এদের চোখ বাদামি রঙের। ঠোঁট, পা ও নখ কালো।[২]
স্বভাব
[সম্পাদনা]সিঁদুরে হলুদ মৌটুসি গানের পাখি। এরা চমৎকার জিট্-জিট্ স্বরে গান গায়। বেশ চঞ্চল, বেশিক্ষণ এক জায়গায় থাকে না। বাতাসে ঢেউ খেলিয়ে আলোর ঝিলিকের মতো একগাছ থেকে আরেকগাছে এবং ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ায়।[২]
খাদ্য
[সম্পাদনা]এই পাখি অন্যান্য মৌটুসির মতো শূন্যে স্থির থেকে ফুলের মধু পান করে। মধুর অভাবে ছোট ছোট পোকা ও মাকড়সাও খেতে পারে।[২]
প্রজননকাল
[সম্পাদনা]সাধারণত এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে প্রজনন করে। গাছের পাতায় মাকড়সার জাল ও শেওলা দিয়ে ছোট ঝুলন্ত বাসা বানায়। বাসার একদিকে থাকে প্রবেশ পথ। তাতে দু-তিনটি সাদাটে ডিম পাড়ে স্ত্রী পাখি, যার ওপর থাকে হালকা লালচে-বাদামি ছিট। ডিম ফোটে ১৪-১৫ দিনে। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি একত্রে মিলে ছানাদের খাওয়ায়।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ BirdLife International (২০১২)। "Aethopyga gouldiae"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.1। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১২।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ দেখা মিলল সিঁদুরে হলুদ মৌটুসির ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২০-০২-০৪ তারিখে,আ ন ম আমিনুর রহমান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১০-০৪-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।