সামা চকেবা

সামা চকেবা
সামা চকেবা উতসবে বেতের ঝুড়ি তৈরি
অন্য নাম	সামা খেলা
পালনকারী	মৈথিলী (ভারত & নেপাল)
ধরন	সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক, ধর্মীয়
তাৎপর্য	ভাইবোনের মধ্যে বন্ধন
শুরু	কার্তিক ষষ্ঠীর পরদিন
সমাপ্তি	কার্তিক পূর্নিমা

সামা চাকেবা একটি হিন্দু উৎসব যার উতপত্তিস্থল ভারতীয় উপমহাদেশের মিথিলা অঞ্চল। এটি একটি ঐক্যের উৎসব। এটি নভেম্বরে পালিত হয়। যখন পরিযায়ী পাখিরা শীতের সময় তাদের হিমালয়ের বাসভূমি ছেড়ে ভারতের সমভূমির দিকে যাত্রা শুরু করে তখন এই উৎসবের সূচনা হয়। হিন্দুস্তান টাইমসের মতে এই উৎসব, লোক নাট্য এবং গানে সজ্জিত। এই উৎসব ভাই ও বোনের প্রেমকে সম্মান করে উদযাপিত হয়। পুরাণে বর্ণিত একটি কিংবদন্তির উপর ভিত্তি করে এই উৎসবের সূচনা।

পৌরাণিক তাৎপর্য

এই উৎসবের উৎস হল কৃষ্ণের কন্যা সামা ও তার ভাই চকেবার গল্প। সামার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছিল। তাই শাস্তিস্বরূপ তার বাবা তাকে পাখিতে পরিণত করে। কিন্তু তার ভাই চকেবার ভালবাসা এবং আত্মত্যাগের জন্য সে শেষ পর্যন্ত মানুষের রূপ ফিরে পায়।

উদযাপন

ছট পূজার রাত থেকেই শুরু হয় এই উৎসব। এটি কার্তিক মাসের ৭ম দিনে পালিত হয়। অল্পবয়সী, বেশিরভাগ অবিবাহিত মেয়েরা রাতে নদীর ঘাটের কাছে একটি ঝুড়ি নিয়ে সমবেত হয় যার মধ্যে ছোট ছোট মূর্তি থাকে যারা আসলে সামা এবং চকেবার প্রতিমূর্তি। তাদের ঝুড়িতে মোমবাতি, কাজল, মাটির তৈরি দৈনন্দিন ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি ইত্যাদিও থাকে।

তারা ঐতিহ্যবাহী গান গায় ও কিছু আনুসঙ্গিক আচার পালন করে, যেমন নিজ হাতে চোখের কাজল তৈরি করা, ঝুড়ি বিনিময় করা ইত্যাদি। কার্তিক পূর্ণিমা পর্যন্ত এই উৎসব চলে। কার্তিক পূর্ণিমার শুভ উপলক্ষ্যে মেয়েরা নদীতে স্নান করে এবং সামা ও চকেবার প্রতিমা নদীতে বিসর্জন দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করে।