বিষয়বস্তুতে চলুন

সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগার, রোবেন দ্বীপ

স্থানাঙ্ক: ৩৩°৪৮′১৭″ দক্ষিণ ১৮°২১′০৮″ পূর্ব / ৩৩.৮০৪৭৪৪° দক্ষিণ ১৮.৩৫২৩২৭৭° পূর্ব / -33.804744; 18.3523277
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগার
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগার
কারাগার ভবন
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগার, রোবেন দ্বীপ কেপ টাউন-এ অবস্থিত
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগার, রোবেন দ্বীপ
কেপ টাউনে অবস্থান
অবস্থানরোবেন দ্বীপ, কেপ টাউন
স্থানাঙ্ক৩৩°৪৮′১৭″ দক্ষিণ ১৮°২১′০৮″ পূর্ব / ৩৩.৮০৪৭৪৪° দক্ষিণ ১৮.৩৫২৩২৭৭° পূর্ব / -33.804744; 18.3523277
অবস্থানিষ্ক্রিয়
নিরাপত্তা শ্রেণিসর্বোচ্চ -সর্বনিম্ন
খোলা হয়১৯৬১
বন্ধকরণ২০১১
ব্যবস্থাপকদক্ষিণ আফ্রিকার সরকার
সড়কের ঠিকানারোবেন দ্বীপ
শহরকেপ টাউন
কাউন্টিকেপ প্রদেশ
ডাককোড৭৪০০
দেশদক্ষিণ আফ্রিকা
ওয়েবসাইটrobben-island.org.za
উল্লেখযোগ্য বন্দি
নেলসন ম্যান্ডেলা, কগালেমা মোটলানথে, জ্যাকব জুমা

সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগার দক্ষিণ আফ্রিকার পশ্চিম কেপ প্রদেশের ব্লুবার্গস্ট্যান্ড উপকূল থেকে ৬.৯ কিলোমিটার (৪.৩ মা) ও কেপ টাউন পোতাশ্রয় থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার (৭.৫ মা) দূরে দক্ষিণ আটলান্টিকের টেবিল উপসাগরের রোবেন দ্বীপে অবস্থিত একটি নিষ্ক্রিয় কারাগার।[][] এখানে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি নেলসন ম্যান্ডেলা বর্ণবাদী শাসনামলে ১৮ বছর কারাগারে বন্দী ছিলেন। এছাড়াও প্রাক্তন বন্দিদের মধ্যে ছিলেন কগালেমা মোটলানথে[] এবং জ্যাকব জুমা, যারা উভয়ে পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।[]

১৯৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বন্দিশালাকে দেশের অন্যতম জাতীয় জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা দেয়।[] একই বছর ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ঘোষণা করে।[][]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ঔপনিবেশিক আমলে, সতেরো শতক থেকে প্রায় ৪০০ বছর ধরে কারাবাস ও নির্বাসনের স্থান হিসেবে রোবেন দ্বীপ ব্যবহৃত হয়েছে। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত কারাগারটি সক্রিয় ছিল। এর প্রথম বন্দি ছিল স্ট্র্যান্ডলপার নেতা অতশুমাতো।[] উনিশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে আফ্রিকান নেতারা এই দ্বীপে নির্বাসিত হন। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা এখানে কারাবন্দি থেকেছেন। তার কারাবাসের ঘটনাবলী তিনি ১৯৯৪ সালে লং ওয়াক টু ফ্রিডম আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থে প্রকাশ করেছেন।[]

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. আহমেদ, সরাফ (২০ জুলাই ২০১৮)। "সেই রোবেন দ্বীপ এখন"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০২০ 
  2. রীয়াদ, মহীন (১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "মাদিবার রোবেন দ্বীপ: দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে উঁকি"banglatribune.comবাংলা ট্রিবিউন। পৃষ্ঠা জার্নি প্রচ্ছদ। ২১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০২০ 
  3. "New S. Africa president sworn in"বিবিসি নিউজ। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-২২ 
  4. "9/2/018/0004 – Robben Island, Table Bay"South African Heritage Resources Agency। ২২ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  5. "Robben Island"। UNESCO। ৪ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১১ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]