সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা
ধরন | বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ৬ জানুয়ারি, ১৯০৯ |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম ফারুক |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | শিক্ষা ও গবেষণা, শিক্ষক শিক্ষা |
ঠিকানা | ধানমন্ডি, ঢাকা , , ২৩°৪৪′১১″ উত্তর ৯০°২৩′০১″ পূর্ব / ২৩.৭৩৬৪৮২° উত্তর ৯০.৩৮৩৬৯৭° পূর্ব |
সংক্ষিপ্ত নাম | টিটি কলেজে, টিটিসি, ঢাকা টিটিসি, টিটিসিডি, ডিটিটিসি |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা অধিদপ্তর |
মাসকট | সূর্য এবং আত্মা |
ওয়েবসাইট | https://ttcdhaka.edu.bd/ |
সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে মানবসম্পদ তৈরিতে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ, ঢাকা’য় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।[১] উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক তৈরির উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ১৯০৯ খ্রীস্টাব্দে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। বেঙ্গল গভর্নমেন্টের আদেশ নং-৫৩, শিক্ষা, তারিখ ৬ জানুয়ারি ১৯০৯-এর মাধ্যমে ঢাকার আরমানিটোলায় ১৯০৯ খ্রীস্টাব্দে টিচার্স ট্রেনিং কলেজ স্থাপন করা হয়। ১৯৫৬ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত কলেজটি আরমানিটোলাতেই ছিল। পরবর্তীকালে এটি ধানমন্ডিতে স্থানান্তর করা হয়। কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল নিযুক্ত হন ইভান ই. বিস। ১৯০৯-১৯১০ শিক্ষাবর্ষে সর্বমোট ১২ জন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে কলেজের বি. এড. কোর্স চালু হয়। ১৯০৬ খ্রীস্টাব্দে অবিভক্ত বাংলায় এনট্রান্স পরীক্ষায় ভয়াবহ ফলাফল বিপর্যয় দেখা দিলে এ অঞ্চলে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এমতাবস্থায় বাংলায় দু’টি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ঃ একটি ঢাকায়, অন্যটি কলকাতায়। ১৯০৮ খ্রীস্টাব্দে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় "ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজ"। [২]
স্থাপনা
[সম্পাদনা]ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের আয়তন ৮ একর। এখানে প্রশাসনিক ও একাডেমির ভবন একত্রে রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ছাত্রাবাস, অধ্যক্ষের বাসভবন, তত্ত্বাবধায়ক কোয়ার্টার, ডর্মেটরি, মিলানায়াতন, মসজিদ, শহীদমিনার ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ভবন। কলেজে খেলাধুলার জন্য রয়েছে বেশ বড় একটি মাঠ। এ কলেজে দুইটি পুরুষ ছাত্রাবাস , একটি ছাত্রীনিবাস এবং একটি বিজ্ঞান উন্নয়ন ভবন রয়েছে। পুরুষ ছাত্রাবাস একটি তিনতলা, অন্যটি পাঁচতলা এবং মহিলা ছাত্রাবাস চারতলা বিশিষ্ট।
লোকবল
[সম্পাদনা]বর্তমানে কলেজে ১ জন অধ্যক্ষ, ১ জন উপাধ্যক্ষ, ১ জন অধ্যাপক, ১৪ জন সহযোগী অধ্যাপক, ১৯ জন সহকারী অধ্যাপক, ১৪জন প্রভাষক (রাজস্ব), ১৩জন প্রভাষক (উন্নয়ন প্রকল্প), ৩ জন সহকারী অধ্যাপক (বিজ্ঞান উন্নয়ন কেন্দ্র),৪জন গবেষণা সহকারী, ১জন গন্থাগারিক,৩জন সহকারী গন্থাগারিক,২ জন কম্পিউটার অপেরেশন সুপারভাইজার, ৭ জন একাডেমিক স্টাফ,১১ জন সরকারি কর্ম চারী ,১১ জন কর্ম চারী (উন্নয়ন প্রকল্প),৪ জন কর্ম চারী (বিজ্ঞান উন্নয়ন কেন্দ্র),১৩ জন বেসরকারী কর্ম চারী রয়েছে। কলেজে মোট শিক্ষাথী সংখ্যা ১৫০০ জন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]কলেজের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত লাইব্রেরিতে প্রায় ২১ হাজারের মত বিভিন্ন ধরনের বই সংগৃহীত আছে। এছাড়া বেশকিছু থিসিস পেপার, জার্নাল, পত্র-পত্রিকা সংগৃহীত রয়েছে। লাইব্রেরী সরকারি ছুটির দিন বাদে সকাল ৯ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ লাইব্রেরি থেকে বিভিন্ন সেবা পেয়ে থাকে। [৩]
ভর্তি পদ্ধতি
[সম্পাদনা]এখানে শিক্ষা ও গবেষণার ওপর ৪ বছর (৮ সেমিস্টার) বিএড (অনার্স) ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রদান করা হয়।[৪]
প্রতি বছর এপ্রিল-মে মাসে ভর্তিচ্ছুকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহবান করা হয়। ভর্তির নির্দিষ্ট নিয়মাবলীর রয়েছে। বিএড ও এমএড কোর্সের মেয়াদকাল ১০ মাস করে। মোট ৬০০ আসনের বিএড আবেদনপত্র বাছাইয়ের পর সরাসরি ভর্তি করা হয়। জুন মাসের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জুলাই মাস থেকে বিএড ও এমএড কার্যক্রম শুরু হয়। বি.এড (অর্নাস) ও এখানে ভর্তি হয়। সময় ৪ বছর (৮ সেমিস্টার)।[৪] আসন ১২০ টি। অনলাইনে আবেদন এরপরে SSC & HSC এর ফলাফল এর ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জানুয়ারি /ফেব্রুয়ারি মাসে ক্লাস শুরু হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Government Teachers' Training College, Dhaka"। http://ttc.dhaka.gov.bd/ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০১-১৪ তারিখে মূল
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৪।|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১২।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১২।
- ↑ ক খ Mizan, Md. Mizanur Rahaman (মে ১০, ২০১৯)। "NCTB should look for quality teachers"। The Daily Observer। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে
বাংলাদেশের বিদ্যালয় বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |