সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয়

স্থানাঙ্ক: ২৩°১৭′০৫″ উত্তর ৯০°৩৯′৩৮″ পূর্ব / ২৩.২৮৪৮৪৬° উত্তর ৯০.৬৬০৫১৯° পূর্ব / 23.284846; 90.660519
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয়
ঠিকানা
মানচিত্র
বিটি সড়ক


,
৩৬০০

বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°১৭′০৫″ উত্তর ৯০°৩৯′৩৮″ পূর্ব / ২৩.২৮৪৮৪৬° উত্তর ৯০.৬৬০৫১৯° পূর্ব / 23.284846; 90.660519
তথ্য
নীতিবাক্যপড় তোমার প্রভূর নামে
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৩৪ (1934) - এমপিওভূক্তি ১৯৮৮ সাল থেকে
প্রতিষ্ঠাতাহারুন অর রশিদ খান
বিদ্যালয় বোর্ডকুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড
অধ্যক্ষআবুল কাশেম
কর্মকর্তা৪ জন
অনুষদশিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ ,চাঁদপুর ।
শিক্ষকমণ্ডলী১৫ জন
শ্রেণী৬-১০ম
লিঙ্গবালক-বালিকা
বয়সসীমা১১–১৬
শিক্ষার্থী সংখ্যা৫৪৬
ভাষাবাংলা
বিদ্যালয়ের কার্যসময়৭ ঘণ্টা
রংসাদা ও নেভি ব্ল বালক এবং সবুজ কামিজ ও সাদা সেলোয়ার ,সাদা র্স্কাপ
ক্রীড়াফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, , ভলিবল,
দলের নামসফরমালী উচ্চ বিদ্যালয় দল
সংবাদপত্রদর্পণ, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের স্মরণিকা (বার্ষিক)

সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয় বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার অন্তত সাড়ে ৬ কি.মি উত্তরে অবস্থিত প্রাচীনতম একটি বিদ্যালয় । এটি মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে ১৯৩৪ সালে তৎকালীন এলাকার শিক্ষা বিস্তারে সফরমালী গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় । সফরমালী গ্রামের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয় । মেঘনা নদী তীরবর্তী এ বিদ্যালয়টি এলাকার শিক্ষাবিস্তারে অগ্রণীভূমিকা পালন করছে।[১][২][৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ওই অঞ্চলের অজ্ঞতা, নিরক্ষতা দূরিকরণ ও ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে সেকালের মরহুম হাজী ইব্রাহিম ওরফে পগারী খান প্রাকৃতিক ছন, বাঁশ বেত ও বন দিয়ে স্থানীয় ছেলে মেয়েদের সু-শিক্ষার জন্য বাড়ির উঠোনের এক পাশে একটি মক্তব প্রতিষ্ঠা করেন। ধীরে ধীরে এলাকার মানুষ শিক্ষার প্রতি আরও ঝুঁকে পড়লে মক্তবটির প্রসার ঘটতে থাকে। ঠিক এমনি মুহূর্তে কতিপয় ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে তা পুড়ে দেয়।

পরবর্তীতে মরহুম পগারী খান ও কতিপয় সুহৃদ গণ্যমান্য ব্যক্তির সহায়তায় ১৯৩৪ সনে মক্তব গৃহটিকে পুনরায় একটি লম্বা টিন সেডে গড়ে তোলেন। এরই কিছু সময়ের পর তদানীন্তন কলকাতার শিক্ষা বিভাগের একটি বিশেষ দল মক্তবটির বিষয়ে তদন্তে আসে এবং সে দলের প্রধান কর্মকর্তা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আপত্তি তুললে মরহুম পগারী খান তাদের পরামর্শে অপকটে সাড়ে ৩ একর জমি তাৎক্ষণিক মাদ্রাসার নামে লিখে দেন। সে থেকেই তিনি হয়ে যান এ বিদ্যাপীঠটির প্রথম প্রতিষ্ঠাতা। পগারী খান শুধুমাত্র এর প্রতিষ্ঠাতাই নন, এ এলাকার সার্বিক প্রয়োজনে ও উন্নয়নে সফরমালী বাজার, সফরমালী ডাকঘর ও নিকাহ অফিস স্থাপন করেছিলেন।

এতদঞ্চলের ইতিহাসের পাতায় শিক্ষা বিস্তারে এ কালজয়ী পুরুষের নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এর সাথে আরও যাঁরা শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখেন তাদের মধ্যে মরহুম হানিফ পাটওয়ারী, মরহুম হাজী সেকান্দর খান,মরহুম হাজী আব্বাস মিয়াজী, মরহুম গোলাম হোসেন খান, মরহুম ইউনুছ খান, মরহুম গফুর মুন্সী, মরহুম ইমাম উদ্দিন গাজী, মরহুম মফিজ উদ্দিন বেপারী, মরহুম অলি আহম্মদ তালুকদার ও মরহুম ইসমাইল খানের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইতিমধ্যে তৎকালীন সরকার প্রধানের জাতীয় পর্যায়ের এক ফরমানে প্রতিষ্ঠানটি একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত হয়ে যায় ১৯৬০ সালে। ১৯৬১ সালে বিদ্যালয়টি মেঘনা নদীর কড়ারগ্রাসে পতিত হলে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত হয় ।[৪]

১৯৬১ সালে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে বিদ্যাপীঠটি কবলিত হয়। লে মরহুম হাজী ইব্রাহিম ওরফে পগারী খানের অন্যতম দৌহিত্র বিদ্যালয় কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন জাতীয় সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ্ব হারুন-অর-রশিদ খান বিদ্যালয়টি বর্তমানে প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে অন্যান্যদের মধ্যে জমিদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আরো রয়েছেন মো. আবদুল আজিজ খান দুদু, মরহুম আবদুল মতিন খান, মরহুম আবদুল লতিফ খান ও কল্যাণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম হুমায়ুন কবির।

তার পিতা মরহুম হাজী সেকান্দর খান তাকে বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও এ অঞ্চলের শিক্ষাদীক্ষার প্রসার লাভে উদ্বুদ্ধ করেন। সে থেকেই তিনি এ ব্যাপারে অনুরাগী হন। এ অবস্থায় আর একজন শিক্ষা বিষয়ক দিকপাল ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহীদ ইব্রাহিম বি,এ বি,টি যৌবনের এক উত্তাল মুহুর্তে প্রধান শিক্ষক হিসাবে বিদ্যালয়টির হাল ধরেন এবং তাঁরই আপ্রাণ চেষ্টায় কতিপয় অনুরাগী  ছাত্রদের কায়িক শ্রম ও সাধনায় এটির ভগ্নদশা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হন। মরহুম ইব্রাহিম বিটি প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব নেন।[৫]

বিবরণ[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়টি দ্বিতল এল শেফট ভবন । ১০টি শ্রেণি কক্ষ , ১টি অফিস কক্ষ , ১টি শিক্ষক মিলনায়তন , ১টি কম্পিউটার ও বিজ্ঞানাগার ও ১ টি অডোটরিয়াম রয়েছে । ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫৪৬ জন এবং শিক্ষক - কর্মচারীর সংখ্যা ১৫ জন। এর পূর্ব পাশ দিয়ে বিটি সড়ক চলে গেছে ।

এ বিদ্যালয়ের চারপাশে রয়েছে বৃক্ষরাজি, সফরমালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সফরমালী বাজার, সরফমালী ঈদ গাঁ, সফরমালী জনকল্যাণ সংস্থা, সফরমালী ডাকঘর ও স্কুলের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শহীদ ইব্রাহীম বি.এ.বি.টি সড়ক।

ব্যবস্থাপনা[সম্পাদনা]

২০০৮ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা কর্তৃক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অভিনন্দন পত্র ও ২০১৫ সালে বিগত এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক লাখ টাকার পুরস্কার সহ প্রতিষ্ঠানিক কৃতিত্ব সনদ প্রদান করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bangladesh, Review Network। "SAFAR MALI HIGH SCHOOL (Address, EIIN, Mobile Number)"amar-school.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৭ 
  2. "সফরমালী উচ্চ বিদ্যালয় , মাধ্যমিক ওউচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ,কুমিল্লা ্"smhssm.comillaboard.gov.bd। ২০১৯-০৫-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৭ 
  3. তথ্য বাতায়ন। "চাঁদপুর সদর উপজেলা শিক্ষা প্রতিস্ঠানের তালিকা"http (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৯ 
  4. পটভূমি, বিদ্যালয়ের (১৯৯৭)। "দর্পণ : স্কুল ম্যাগাজিন ১৯৯৭"। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের স্মরণিকা ২০১৫ 
  5. "Cumilla Board , Institute List"institution.comillaboard.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-১৭