বিষয়বস্তুতে চলুন

সপ্ত উপত্যকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সপ্ত উপত্যকা ( ফার্সি: هفت وادی হাফত-ওয়াদি) বাহাই ধর্ম এর প্রতিষ্ঠাতা বাহাউল্লাহ্ কর্তৃক ফার্সি ভাষায় রচিত একটি গ্রন্থ। সপ্ত উপত্যকা ফার্সি কবিতা পাখিদের সম্মেলন এর কাঠামো অনুসরণ করে রচিত হয়েছে।

সপ্ত উপত্যকা সাধারণত চারি উপত্যকা (ফার্সি: چهار وادی চাহার-ওয়াদি) -এর সাথে একত্রে প্রকাশিত হয়, যা বাহাউল্লাহ্ সপ্ত উপত্যকা ও চারি উপত্যকা শিরোনামে লিখেছিলেন। বই দুটি সম্পূর্ণ আলাদা এবং কোন সরাসরি সম্পর্ক নেই। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে উভয় শিরোনাম এবং বাহাউল্লাহ এর আরও কিছু লিখনি একত্রে "দিব্য প্রেমাস্পদের আহ্বান" শিরোনামে বিশ্ব বাহাই কেন্দ্র একটি সংকলন প্রকাশ করেছে।

বাহাউল্লাহ্ ইরাকি কুর্দিস্তানের সুলায়মানিয়া অঞ্চল থেকে ফিরে আসার পর ১৮৬০ সালের দিকে বাগদাদে অবস্থান কালে সপ্ত উপত্যকা লিখেছিলেন, সুলাইমানিয়াতে তিনি দারবিশ মুহাম্মদ-ই-ইরানি ছদ্মনাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সুফি শেখদের সাথে দুই বছর কাটিয়েছিলেন। [১] [২] এই রচনাটি শায়খ মুহিউদ্দিন নামক একজন বিচারক, যিনি সূফীবাদের কাদিরিয়্যাহ তরীকার একজন অনুসারী ছিলেন তার প্রশ্নের জবাবে লেখা হয়েছিল। [৩] তিনি যখন বাহাউল্লাহ্ কে প্রশ্ন করেছিলেন, সে সময় তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং বাকি জীবন তিনি ইরাকি কুর্দিস্তানে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। [৪]

সপ্ত উপত্যকা এর রচনাশৈলী অতিশয় কাব্যিক, যদিও ইহা পদ্যের বিন্যাসে রচিত নয়। রচনাটির প্রায় প্রতিটি লাইনে শব্দ ও বাক্যাবলীতে ছড়া ও ছন্দের খেলা রয়েছে, যা যে কোন ভাষায় ইহার অনুবাদে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু প্রাপক সুফি বংশোদ্ভূত ছিলেন, তাই বাহাউল্লাহ্ ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় সূক্ষ্মতাপূর্ণ বাচনভঙ্গি অবলম্বন করেছেন, এজন্য মাঝে মাঝে কুরআনের আয়াত, ঐতিহ্য (হাদিস) এবং সুপরিচিত কবিতাগুলি হতে শুধুমাত্র একটি বা কয়েকটি শব্দ ব্যবহার করেছেন। ইংরেজি অনুবাদে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ক পটভূমির কিছু তথ্য জানাতে ঘন ঘন পাদটীকাগুলি ব্যবহৃত হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Smith 2008
  2. Balyuzi 2000
  3. Taherzadeh, Adib (১৯৭৬)। The Revelation of Baháʼu'lláh, Volume 1: Baghdad 1853-63। George Ronald। পৃষ্ঠা 96–99। আইএসবিএন 0-85398-270-8 
  4. Walbridge, John (১৯৯৬)। Sacred Acts, Sacred Space, Sacred Time। George Ronald।