সন্তোষ জমিদার বাড়ি
সন্তোষ জমিদার বাড়ি | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | টাঙ্গাইল সদর উপজেলা |
শহর | টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, টাঙ্গাইল জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | ১৮০০ |
বন্ধ | ১৯৫০ |
স্বত্বাধিকারী | মন্মথনাথ রায় |
কারিগরি বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
সন্তোষ জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর টাঙ্গাইল জেলার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সন্তোষ গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। [১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রায় ১৮০০ শতকে জমিদার মন্মথনাথ রায় এই জমিদার বংশ ও জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন করেন। এই জমিদার বংশধররা ছিলেন শিক্ষানুরাগী। তারা তাদের জমিদারী আমলে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। এই বাড়িতেই জন্ম নেন তিন মহিলা শিক্ষানুরাগী জাহ্নবী চৌধুরানী, দিনমনি চৌধুরানী এবং বিন্দুবাসিনী চৌধুরানী। তারা বর্তমান সময়ের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তারা তাদের জীবদ্দশায় প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বংশপরামপণায় এই জমিদার বংশধররা তাদের পরিচালনা করতে থাকেন। পরবর্তীতে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে জমিদার বাড়ির শেষ জমিদার গোলকনাথ চৌধুরী তার পরিবারবর্গ নিয়ে ভারতে চলে যান।
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]বর্তমান অবস্থা
[সম্পাদনা]জমিদার বাড়ির কোনও বংশধর বাংলাদেশে না থাকায় জমিদার বাড়ির অধিকাংশ সম্পত্তি নামে-বেনামে দখল হয়ে গেছে। এছাড়াও ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ সরকার মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করতে একটি ভবন ছাড়া জমিদার বাড়ির অধিকাংশ ভবন ভেঙে ফেলে। তবে, বর্তমানে সেটিও পরিচর্যার অভাবে আস্তে আস্তে ধ্বংসের মুখে পড়ছে।[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ কালের বিবর্তনে অযত্নে অবহেলায় সন্তোষ জমিদার বাড়ি!
- ↑ "সংস্কারের অভাবে জীর্ণশীর্ণ টাঙ্গাইলের জমিদার বাড়ি!"। ২৮ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০১৯।